জ্বলদর্চি

জঙ্গলমহলের গ্রাম নামের উৎস সন্ধানে /সূর্যকান্ত মাহাতো

জঙ্গলমহলের জীবন ও প্রকৃতি
পর্ব - ৫৫

জঙ্গলমহলের গ্রাম নামের উৎস সন্ধানে

সূর্যকান্ত মাহাতো


সেদিন একটু বেশিই ঠান্ডা পড়েছিল। সন্ধ্যেবেলা দুই বন্ধু তাই একটু আগুন ধরিয়ে পোহাচ্ছিলাম। কথায় কথায় ছোটবেলার খেলাটা আবার শুরু করলাম। ছোটবেলায় খেলতাম গ্রামের নামের শেষ শব্দটি দিয়ে যেমন 'শোল' বা 'বনি' দিয়ে কে কতগুলো গ্রামের নাম বলতে পারবে সেই খেলা। বন্ধুকে বললাম, "'আড়া' যোগে কতগুলো নাম বলতে পারো দেখি।"

বন্ধু অনেক ভেবে বলল, "মৌলাড়া। আর মনে আসছে না।"

বললাম, "হুটমুড়া, লৌলাড়া, ঢেকবহড়া, হুড়া আরো বলব?"

"না। তবে ঐ 'আড়া' বলতে ঠিক কি বোঝানো হয়েছে?"

"'আড়া' বলতে আসলে উচ্চভূমিকে বোঝালেও এটি 'আড়' বা জমির 'আল' অর্থেই ব্যবহৃত হয়েছে। 'পুকুরের পাড়' হিসাবেও অনেক সময় ব্যবহৃত হয়।"

"পুকুরের পাড়! হতেই পারে না। যা হোক বললেই হল! কোন অভিধানে পেয়েছ নামটা বলো।"

"অভিধান নয়। 'চন্ডীমঙ্গল' কাব্যে পেয়েছি। কবিকঙ্কন মুকুন্দরাম বলেছেন,

"আশ্রয় পুখরি আড়া নৈবেদ্য শালুক নাড়া
পূজা কৈল কুমুদ প্রসন্নে।"


"এই 'আড়া' বা 'আড়' শব্দটি একটি অস্ট্রিক শব্দ। জঙ্গলমহলে এই 'আড়'-কে 'আইড়' বলা হয়। আইড় থেকে আসা (আ)হিড় শব্দও সমানভাবে প্রচলিত। সাঁওতালি ভাষায় 'হিড়' শব্দের অর্থ জমির 'আড়' বা 'আল'। এই 'আড়' থেকেই 'আড়া' যোগে গ্রামের নামগুলো হয়েছে।"

"জঙ্গলমহলের গ্রামের নামগুলোর অধিকাংশই অনার্য ভাষা থেকে এসেছে।(সীমান্ত বাংলার লোকযান, পৃষ্ঠা ১২) শুধু তাই নয়, তৎসম বা তদ্ভব শব্দের সঙ্গে দেশী শব্দ বা প্রত্যয় যুক্ত হয়েও অনেক গ্রামের নামে একটা সংস্কৃতি সমন্বয় রয়েছে।"

"যেমন..."

"যেমন, 'ড়া' প্রত্যয়ান্ত গ্রাম। জঙ্গলমহলে বোধ হয় সব থেকে বেশি গ্রামের নামের শেষে 'ড়া' আছে। যেমন কাদড়া,খাতড়া, দাবড়া, দুবড়া, চিংড়া, চাঁদড়া এমনকি খোদ বাঁকুড়া পর্যন্ত।"

"মানলাম। কিন্তু হাওড়া, চুঁচুড়া রিষড়া এগুলো তো জঙ্গলমহলের বাইরে তাহলে এই নামগুলোতে 'ড়া' শব্দটি কীভাবে এল?"

"সুধীর কুমার করন একটা কথা বলেছেন, বাংলাদেশের অনেক স্থান নামই তো প্রাচীন অস্ট্রিক বাসীদের অবস্থিতির অভিজ্ঞান( সীমান্তবাঙলার লোকযান, পৃষ্ঠা ১১)। সুতরাং প্রাচীনকালে হাওড়া কিংবা চুঁচুড়াতে অস্ট্রিক ভাষাভাষীদের অবস্থান বেশ ভাল রকমের ছিল নিশ্চয়ই। হাওড়া, চুঁচুড়া এই অস্ট্রিক নামগুলো তো অবিকৃত ভাবেই রয়ে গেছে বলে পন্ডিতদের অভিমত। 'ড়া' প্রত্যয়ান্ত গ্রামের নাম  জঙ্গলমহলে অসংখ্য আছে। আমি তো কয়েকটা বললাম। কোথাও আবার 'ড়া' প্রত্যয়ান্ত 'রা'-ও হয়েছে। যেমন আড়রা, কাড়রা, ছড়রা, তালডাংরা প্রভৃতি।"

"আমার মনে হয় জঙ্গলমহলের গ্রামের নামগুলোর বেশিরভাগই 'ভূমি' ভাগের অবস্থান অনুযায়ী গড়ে উঠেছে। এখানকার সিংহভাগ মানুষই হলেন কৃষক। তাই কৃষিকাজের সূচনা কাল থেকেই জমির অবস্থান অনুযায়ী, যে যে জনপদগুলো গড়ে উঠেছিল তাদের নামও সেই মতোই রাখা হয়েছে।" 

"এটা একটা দারুণ সত্য কথা। এবং যুক্তিপূর্ণও বটে। জমির একাধিক নামগুলো দেখো, 'কানালি', 'শোল', 'বাইদ', ডাঙা ইত্যাদি। এবার জঙ্গলমহলের কিছু কিছু গ্রামের নামগুলো দেখো, কেনকানালী, পোড়াকানালি, হলুদকানালি ইত্যাদি। এরকম আরো নাম আছে। এই 'কানালি' বা 'কানালী' শব্দের অর্থ কী? সেটা একবার দেখা যাক। 'কানালি' হল সমতল জমি যার মধ্যে ৩০ শতাংশ সমতল আর বাকিটা বহাল বা নিচু অংশ। জমির এই অবস্থান অনুযায়ী গ্রামগুলোর নামকরণও তাই যথাযথ।

জ্বলদর্চি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন। 👇


জ্বলদর্চি তিরিশ পেরিয়ে... 
আবার 'শোল' কথার অর্থ হল জল যুক্ত নিচু জমি। অর্থাৎ যে এলাকা বা জমিগুলো জলযুক্ত, সেখানে যে গ্রামগুলো গড়ে উঠেছে তাদের নামের শেষে 'শোল' কথাটি যুক্ত হয়েছে। সাঁওতালি ভাষায় 'শোল' শব্দটির অর্থ জলাভূমি বা নিম্নভূমি (সীমান্ত বাংলার লোকযান/সুধীর কুমার করণ, পৃষ্ঠা ১৫)। এরকম গ্রামের সংখ্যা বোধ হয় জঙ্গলমহলে সবথেকে বেশি। যেমন কাদোশোল, পাটাশোল, বাঁদরিশোল, কুন্দরীশোল, কাঁকড়িশোল, আনুশোল, জামশোল, ধবাশোল প্রভৃতি অসংখ্য গ্রাম আছে। এইসব গ্রামের নামগুলোকে একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায় 'শোল' শব্দটি শেষে বসে যেমন ভূমি ভাগকে চিহ্নিত করছে, তেমনি তার পূর্বে অবস্থিত 'বাঁদরি', 'কাঁকড়ি', 'কুন্দরী'র মতো পূর্ব ভাগটিও বেশ তাৎপর্যময়। এইগুলো কেমন ধরণের শোল বা ভূমিভাগ সেটাই নির্দেশ করছে। যেমন এই শোলগুলোতে একসময় পশু ও নানান বৃক্ষলতাদির প্রাদুর্ভাব ছিল। তাই পশু যুক্ত নামগুলো হল- নেকড়াশোল, বাঘুয়াশোল, ভালকিশোল, বাঁদরিশোল ইত্যাদি। বৃক্ষ ও লতাযুক্ত নামগুলো হল- জামশোল, আমড়াশোল, কুমড়াশোল, কুন্দরীশোল ইত্যাদি। সেরকমই 'উপজাতি' মূলক গ্রামের নামগুলো হল, ধবাশোল, খয়রাশোল ইত্যাদি। এইসব গ্রামে ধবা(রজক) ও খয়রা(বাগদি) উপজাতির বসবাস ও একাধিপত্য থেকেই এমন নামকরণ।"

"কিন্তু আমলাশুলি, আসনাশুলি, লোধাশুলি, খেমাশুলি নামগুলোর শেষে 'শুলি' শব্দটা তাহলে কী?

"'শুলি' শব্দটা 'শোলি' থেকে এসেছে। 'শোলি' শব্দটা আবার 'শোল' শব্দ থেকে এসেছে। 'শোলি' হল ছোট বা ক্ষুদ্র 'শোল'। সেরকমই 'বাইদ' শব্দের অর্থ হল, নিচু কৃষি জমি। এরকম জায়গার উপর গড়ে ওঠা গ্রামগুলো হল, চকবাইদ, বেড়াবাইদ, চামটুবাইদ ইত্যাদি। নিচু কৃষি জমিগুলো যেমন 'বাইদ' তেমনি উঁচু জমিগুলো আবার 'ডাঙা'। এইসব জমিতে জল থাকে না। এইসব জায়গায় গড়ে ওঠা গ্রামগুলো হল, আমডাঙা,জানডাঙা, চল্লাডাঙা, গুড়েডাঙা ইত্যাদি।"

"কিছু কিছু গ্রামের নামের শেষে 'ডি' থাকে। এটা কি 'ডিহি'র বিলুপ্ত আকার- 'ডি'?"

"একদমই। 'ডিহি' সংক্ষিপ্ত রূপে 'ডি' হয়েছে। যেমন 'নতুনডিহি' থেকে 'নতুনডি' আবার 'পোড়াডিহি' থেকে 'পোড়াডি' ইত্যাদি। 'ডিহি' বলতে পাশাপাশি কয়েকটি গ্রামের সমষ্টিকেও বোঝায়। আবার আঞ্চলিক ভাষায়  'ডিহি' বলতে উঁচু পাড় যুক্ত স্থানকেও বোঝায়।"

"'মারা' কিংবা 'মারি' যোগেও তো একাধিক গ্রামের নাম রয়েছে। যেমন 'কেড়ুমারা', 'শাবলমারা', 'জামাইমারি' ইত্যাদি। ছোট মোষ বা কাড়াকে আঞ্চলিক ভাষায় 'কেড়ু' বলে। তবে কি এই কেড়ুই ঢুঁ মারত বলে 'কেড়ুমারা' হয়েছে, নাকি কেড়ুদের মারা হত বলে তার আর সন্ধান মেলেনি। তবে গ্রামের নামে সর্বদা অস্ট্রিক শব্দটিই অক্ষুন্ন ভাবে বজায় থেকেছে এমনটা নয়, অনেকসময় কিছুটা বিকৃতভাবেও তো নামকরণ হয়ে উঠেছে। চাকরি সূত্রে বেশ কিছু বছর আমি বেলপাহাড়ীর একটি গ্রামের স্কুলে পড়াতাম। তার নামও 'ডাইনমারী'।অতীতে গ্রামবাসীদের প্রবল 'ডাইনি' বিশ্বাস থেকেই গ্রামের এমন নামকরণ হয়েছে।"

"হ্যাঁ। প্রতিটি গ্রামের নামের উৎসের পিছনে কোন না কোন কারণ অবশ্যই আছে। নামগুলো তো আর এমনি এমনি গড়ে ওঠেনি। এ বিষয়ে তেমন কোন গবেষণাও আজ পর্যন্ত হয়নি। হলে আরো অনেক অজানা ইতিহাস উঠে আসত। এই যেমন 'বনি' বা 'বনী' দিয়ে জঙ্গলমহলে তো গ্রামের সংখ্যা কম নেই।"

"ঠিক বলেছো। শালবনী, জামবনী, পিংবনী, ধবনী, তিলাবনী, চিতলবনী, আসনবনী, পলাশবনী, মহুলবনি এমন অসংখ্য গ্রামের নামের শেষে 'বনী' যুক্ত রয়েছে। কিন্তু এই 'বনি' বা 'বনী' কি অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?"

"ছোট 'শোল' থেকে যেমন 'শোলি' হয়েছে, তেমনি 'বন' থেকে 'বনি' হয়েছে। অর্থাৎ ছোট 'বন'কেই 'বনি' বলা হয়েছে। এই ধরনের গ্রামের নামগুলোর পূর্বভাগটা একটু লক্ষ্য করে দেখলেই বোঝা যাবে কোন না কোন গাছের নাম বা তার 'বন'কে চিহ্নিত করছে। যেমন শাল, মহুল, জাম, পলাশ প্রভৃতি বনের মধ্যে গড়ে ওঠা গ্রামগুলোই এমন নামে বিভুষিত হয়েছে।"

"বাহ! দারুন একটা যুক্তি তো! তাহলে একইরকম পাহাড়েরও কি ক্ষুদ্র রূপ তাহলে 'পাহাড়ি'! যেমন বেলপাহাড়ি, খয়েরপাহাড়ি, ঝাটিপাহাড়ি, বাঁশপাহাড়ি, টুরুপাহাড়ি ইত্যাদি গ্রামের নাম হয়েছে? কিন্তু পাহাড়ের উপর বা পাহাড় সংলগ্ন এদের বাসস্থান  বলেও তো 'পাহাড়ি' কথাটা যুক্ত হয়ে থাকতে পারে। কেবল 'ছোট পাহাড়' বলতেই 'পাহাড়ি' এমন যুক্তির  কোন প্রমাণ আছে কি?"

বললাম, "ওটা আমার যুক্তি নয়। বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক সুধীর কুমার করণ তার "সীমান্ত বাংলার লোকযান" গ্রন্থের ১৫ পৃষ্ঠাতেই উল্লেখ করেছেন। আরও একটা আশ্চর্যের বিষয় হল, 'তোড়', 'তোড়া', 'তড়িয়া' যুক্ত যে সব গ্রামের নামগুলো আমাদের জঙ্গলমহলে রয়েছে, যেমন- গোয়ালতোড়, চিলতোড়, বাথানতোড়, আমলাতোড়া, শালতোড়া প্রভৃতি নামের এই 'তোড়' বা 'তোড়া' অংশটুকু আসলে 'তল' অর্থেই ব্যবহৃত হয়েছে। 'তল' শব্দটি হল এদের আদিরূপ।(সীমান্ত বাংলার লোকযান, পৃষ্ঠা ১৬) যেমন বৃক্ষতল বা সমতল। এভাবেই 'তল' কথাটি ব্যবহৃত হয়।"

"'তল' থেকে 'তোড়' কীভাবে হল?"

"এ প্রসঙ্গে সুধীরবাবু একটা যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। 'তল'এর 'ল' হল দন্ত্য-বর্ণজ। কিন্তু মূর্ধন্য 'ল' থেকেই 'ড়' এসেছে। প্রাচীন বাংলায় মূর্ধন্য 'ল' থাকা অসম্ভব ছিল না। কারণ 'তাড়ি' ও 'খাড়ি'র মতো শব্দগুলো তখন ছিল। এই 'তাড়ি' এসেছে 'তাল' শব্দ থেকে এবং 'খাড়ি' এসেছে 'খাল' শব্দ থেকে। এই 'তাল' ও 'খাল' এর 'ল' হল মূর্ধন্য- 'ল'।"

"ধুর! যতসব গাঁজাখুরি যুক্তি। মূর্ধন্য 'ল'এর অস্তিত্ব কখনো কোন কালে শুনিনি।"

"না শুনলেই যে তার অস্তিত্ব নেই এমনটা তো কথা নয়। প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষায় না থাকলেও তার দ্বিতীয় বা তৃতীয় পর্যায়ে এর অস্তিত্ব ছিল বলে মনে করেছেন আচার্য সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়ও। সুতরাং সুধীরবাবু ভুল কিছু বলেননি। তার যুক্তি অনুযায়ী তল, তলা, তলিয়া থেকেই যে তোড়, তোড়া, তড়িয়া এসেছে এটা ভুল কিছু নয়।"

"তবে সব থেকে বেশি নাম বোধ হয় 'পুর' দিয়ে। এই 'পুর' কথার অর্থ তো নগর বা শহর। কারণ 'পুর' থেকেই তো এসেছে 'পৌর' কথাটি। যা একমাত্র শহর বা নগরকেই উল্লেখ করে। যেমন মেদিনীপুর, খড়্গপুর ইত্যাদি। তাহলে গ্রামের নামের শেষে কীভাবে 'পুর' কথাটি যুক্ত হল?"

"কে বলল 'পুর' কেবল নগর বা শহর অর্থেই ব্যবহৃত হয়! বহু গ্রামবাসীর ব্যবহৃত স্থানকেও 'পুর' বলা হয়।( বিশ্বকোষ/নগেন্দ্রনাথ বসু, পৃষ্ঠা ৫৩৭, একাদশ খন্ড) আবার জনপদ বা গ্রাম অর্থেও ব্যবহৃত হয় 'পুর' কথাটি। সেই অর্থেই জঙ্গলমহলে বুলানপুর, মধুপুর, লাজিমপুর, ধরমপুর সহ অসংখ্য 'পুর' যুক্ত গ্রামের নামকরণ হয়েছে। এমন কি 'নাজানিপুর' বলেও একটা গ্রাম আছে।"

'পাল' যোগেও একাধিক নাম রয়েছে। যেমন- গুড়গুড়িপাল, সিমলাপাল, মৌপাল ইত্যাদি। রয়েছে 'গোদা' যোগেও একাধিক নাম। যেমন মটগোদা, এড়গোদা প্রভৃতি। কোন বড় বাঁধের তীরে গড়ে ওঠা জনবসতিও 'বাঁধ'যুক্ত নামে পরিচিত। যেমন ভাঙাবাঁধ, রায়বাঁধ, রাজবাঁধ ইত্যাদি। একদা রাজ পরিবারের অবস্থান অনুযায়ী নামকরণ হয়েছে রামগড়, লালগড়। শুধু কী এটুকুই। 'লিয়া' শব্দ যোগেও একাধিক গ্রামের নাম রয়েছে। যেমন আমলিয়া, বড় পেলিয়া, ছাগুলিয়া ইত্যাদি।"

সুতরাং বসতি স্থাপনের সময় সেই স্থানের ভূমির অবস্থান, বিশেষ মানুষ বা দেবতার নাম,  অরণ্য, বৃক্ষ, পশু - পক্ষী, নদী নালা প্রভৃতি অনুযায়ী একাধিক গ্রামের নামকরণ হয়েছে।

তথ্যসূত্র: সীমান্তবাঙলার লোকযান/ সুধীর কুমার করণ
২) বিশ্বকোষ/ নগেন্দ্রনাথ বসু।


Post a Comment

0 Comments