জ্বলদর্চি

দূর দেশের লোকগল্প—কোরিয়া (এশিয়া)তিনটি প্রশ্নের উত্তর /চিন্ময় দাশ

দূর দেশের লোকগল্প—কোরিয়া (এশিয়া)
তিনটি প্রশ্নের উত্তর

চিন্ময় দাশ


এক গরীব মানুষ বাস করত এক গ্রামে। তিনটি ছেলেকে নিয়ে সংসার লোকটির। ভারি অভাব তাদের সংসারে। আসলে তারা চাষী। কিন্তু হেন ফসল নাই, যেটার চাষ করেনি তারা। কিন্তু সুবিধা করে উঠতে পারেনি কোনটাতেই। সুখের দিনের দেখাও মেলেনি তাদের। 
কিন্তু অভাব যেমন আছে, চার-চারটে পেটও তো আছে। কিছু একটা উপায় বের না করলে, পেট চলে কী করে? অনেক ভেবেচিন্তে, চারজনে মিলে জুতো তৈরি করা শুরু করল। জুতো, মানে খড়ের জুতো। (পূর্বকালে সে দেশে অভাবী মানুষদের মধ্যে খড়ের জুতো পরার চল ছিল খুব। এমনকি, জুতোর আয়ু দিয়ে, রাস্তার দূরত্ব মাপা হোত। মানে হোল, একটা নতুন জুতো পরে হাঁটা শুরুর পর, ছিঁড়ে যাওয়া পর্যন্ত, কতটা রাস্তা পার হওয়া গেল—তার মাপ।)
যাকগে, জুতো বানিয়ে অবস্থা যে তেমন কিছু বদলে গেল তাদের, তা কিন্তু নয়।  কোন রকমে পেট ভরাবার ব্যবস্থাটুকুই হয়েছে কেবল।
একদিন ছোট ছেলেটি বাবাকে বলল—এই দুরবস্থা আর মেনে নেওয়া যায় না। আমি যাচ্ছি। 
বাবা তো অবাক—যাচ্ছি মানে? কোথায় যাচ্ছো তুমি? 
ছেলে বলল—সোজা দেবরাজার কাছে যাবো আমি। আমাদের দুর্দশার কারণটা কী, জানতে চাইব তাঁর কাছে। 
--তুমি কি পাগল হলে, না কি? বোকার মত কথা বোল না, বাছা। মর্তের মানুষ কখনও দেবতাদের স্বর্গে যেতে পারে না কি? রাস্তাটাই খুঁজে পাবে না তুমি। 
ছেলে বলল—চেষ্টা তো করি। পারবো না বলে, হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকলে, পারব কী করে? যেভাবেই হোক, সেখানে পৌঁছতেই হবে আমাকে। 
বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়ল ছেলে। চলতে চলতে, চলতে চলতে একদিন এক সমুদ্রের পাড়ে এসে হাজির। এদিকে দিনও শেষ হয়ে আসছে। মাথা গোঁজবার জন্য, কোথাও একটা ঠাঁই দরকার এখন।
এদিক ওদিক খুঁজে, হঠাৎই বিশাল এক প্রাসাদ চোখে পড়ে গেল ছেলেটার। ফটকের সামনে, বাইরে বড় মাপের একটা ঘন্টা ঝোলানো। তিন বার ঘা দিতে, একটি মেয়ে বেরিয়ে এলো ভেতর থেকে। 
--ভারি বিপদে পড়েছি। রাত কাটাবার মতো একটু আশ্রয় দরকার আমার। ছেলেটা বলল মেয়েটিকে। 
মেয়েটি বলল—ভেতরে এসো। ফটকের পাশেই একটা ঘর দিতে পারব তোমাকে। 
খানিক বাদে জলখাবার নিয়ে ফিরে এলো মেয়েটি। তার মুখেই ছেলেটি জানতে পারল, মেয়েটি ছাড়া, আর কেবল এ বাড়ির মালকিন থাকে এখানে। 
মেয়েটি বলল—আমার মালকিন তোমার সাথে আলাপ করতে খুব আগ্রহী। আসলে আমরা দুজনেই তো একা থাকি এখানে। এই সমুদ্রের ধারে, বাইরের কেউ তো আসেই না কখনও। তুমিই প্রথম এলে এখানে। কোন আপত্তি আছে তোমার?  
--আপত্তি কিসের? তাঁর সাথে আলাপ করতে পেলে, আমিও খুশি হবো। ছেলেটি খুশি মনে জবাব দিল। 
খাওয়া শেষ হোল ছেলের। মালকিন এলো ভেতর থেকে। সে মেয়েকে দেখে, ছেলের যেন ঘোর কাটে না। এতো সুন্দরী কোন মহিলা দেখেনি সে জীবনে। আলাপ শুরু হোল দুজনের। 
মেয়েটি জানতে চাইল, সে কোথা থেকে এসেছে। কেনই বা এসেছে এই নির্জন সমুদ্রের ধারে? যাবে কোথায়।
ছেলেটি বলল—ভারি গরীব মানুষ আমরা। বাবার ছোট ছেলে আমি। চার জন মিলে চাষ করেও পেট চলতো না। অগত্যা খড়ের জুতো বানিয়ে দু’মুঠো ভাতের জোগাড় হয় কেবল। কতো দিন চলবে এমন করে? তাই বেরিয়েছে বিধাতা পুরুষের দেখা করতে। আমাদের এমন দুর্দশার কারণটা কী, জানতে চাইব তাঁর কাছে। 
অবাক ব্যাপার। একথা শুনে, চোখমুখ আলো হয়ে উঠল মেয়েটির। বলল—একটা অনুরোধ করব তোমাকে?
ছেলেটা বলল—বলো, কী অনুরোধ?
মেয়েটি বলল—আমার হয়ে একটি প্রশ্ন করতে পারবে বিধাতাকে? 
--কেন করবো না? ছেলেটি বলল—তোমার প্রশ্ন কী, বলো আমাকে।
-- তুমি জানো না, আমি একজন বিধবা। শুধু তাই  নয় গো। যত বারই আমি বিয়ে করি, আমার স্বামী মারা যায়। বিধাতার কাছে এটুকু জেনে এসো, এর কারণটা কী? আর কথা দাও, জবাবটা নিয়ে এখানে একবার ফিরে আসবে তুমি। 
পরদিন সকালে আবার পথে নেমেছে ছেলেটি। সামনে তো সমুদ্র, এগোবে কী করে? সমুদ্রের তীর ধরে হেঁটে চলেছে। এমন সময় ছোট্ট একটা ডিঙি নৌকা দেখতে পেল সে। ভারি খুশি হয়ে ডিঙিতে চড়ে বসল। 
দাঁড়টা সবে হাতে নিয়েছে। অমনি এক ঝোড়ো বাতাস ধেয়ে এলো কোথা থেকে। নৌকা বাওয়া শুরু না হতেই, এক ঝটকায় একেবারে মাঝ সমুদ্রে এনে ফেলল ডিঙিটাকে। 
বাতাস বইছে শোঁ-শোঁ করে। নৌকা ছুটছে তার সাথে তাল মিলিয়ে। একেবারে একটা দ্বীপে এনে ফেলল ডিঙিটাকে। ছোট্ট একটা দ্বীপ। ভেজা নরম বালিতে নেমে হাঁটতে লাগল ছেলেটা। 
চারদিক শুনশান। জনমনিষ্যির চিহ্নটুকুও নাই কোথাও। গা ছমছম করে উঠল ছেলের। তখনই একটা গুরু গম্ভীর গলা ভেসে এলো—কেরে তুই? আমার জমিতে পা ফেলবার সাহস হোল কী করে তোর? 
ভয়াণক চমকে উঠে, এদিক ওদিক তাকাতে লাগল ছেলে। তখনই চোখে পড়ল একটা সাপকে। বিশাল লম্বা দেহ সাপের। খড়ের চাঁটাইর মতো খসখসে পিঠ। সত্যি সত্যি এক নাগরাজ যেন। 
ছেলেটা বলল--আমি স্বর্গরাজ্যে যাচ্ছি। একটা প্রশ্নের উত্তর জেনে নেবার আছে বিধাতা পুরুষের কাছে। বাতাসের তাড়ায় এই দ্বীপে এসে পড়েছি আমি। 
নাগরাজ বলল—তা যদি হয়, তাহলে তোমাকে সাহায্য করব আমি। তবে আমার হয়ে বিধাতাকে একটা প্রশ্ন করতে হবে তোমাকে। বিধাতাকে জানতে চাইবে, আমি কেন ড্রাগন হয়ে স্বর্গে গিয়ে থাকতে পারব না? কবেই তো আমার ড্রাগন হওয়ার সময় পার হয়ে গিয়েছে।
ছেলেটি জবাবে বলল—অবশ্যই আপনার প্রশ্ন রাখব আমি বিধাতার সামনে। 
নাগরাজ তার মুখ হাঁ করল। বিশাল হাঁ-খানা তার। একরাশ ঘন ধোঁয়া বেরিয়ে এলো সেই হাঁ-মুখ থেকে। ঘন মেঘ ছেয়ে গেল আকাশে। আর তখনই ঝকমকে একটা রামধনু জেগে উঠল আকাশ জুড়ে। সেই দ্বীপের মাটি থেকে একেবারে স্বর্গ পর্যন্ত ছড়ানো সেই রামধনু। 
নাগরাজ বলল—রামধনুর সেতু বানিয়ে দিয়েছি। এতে চড়ে সোজা স্বর্গপুরীতে পৌঁছে যেতে পারবে তুমি। 
ছেলেটার তো আনন্দ ধরে না। রামধনুতে চেপে বসল গিয়ে। এমনি এক লহমায় সোজা স্বুর্গপুরীতে বিধাতার দরবারে গিয়ে ঢুকে পড়ল ছেলেটা। ঢুকেই, লম্বা একটা পেন্নাম ঠুকে দিল বিধাতা পুরুষকে। 
একটা গরীব ছেলেকে নিজের দরবারে দেখে, বিধাতা তো অবাক। বললেন—আরে, কে তুমি? এখানেই বা এসেছ কেন?
--একজন গরীব চাষির ছেলে আমি। আমরা বাবা-ছেলে মিলে চারজন। দু’মুঠো ভাতের জন্য, সারাজীবন কঠোর পরিশ্রম করি আমরা। হাজার চেষ্টা করেও মাঠে ফলন ভালো হয় না কেন আমাদের? সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খড়ের জুতো বানাতেই দিন কেটে যায় আমাদের। তবুও এমন দুর্দশা কেন আমাদের? আপনাকে এই প্রশ্নটা করতেই এই দরবারে এসেছি আমি। 
 --সেটা তোমাদের কপাল, বাছা। বিধাতা বললেন—আমি নিজেথেকে কিছু দিলেও, সেটা সইবে না তোমাদের। বলা যায় না, হয়তো অকালে মারাও পড়তে পারো তোমরা। 
ছেলেটা অবাক হয়ে বলল—কেন? অকালে মারা পড়তে পারি কেন আমরা?
--এর বেশি আমি কিছু বলতে পারব না তোমাকে। বিধাতা বললেন—তাছাড়া, নিয়তি বদল করা আমার সাধ্যে নেই। 
কী আর করা যায়? ছেলেটা বলল—ঠিক আছে, আমাদের ভাগ্য নিয়ে আর কিছু বলতে হবেনা আপনাকে। তবে, অন্য দুটি প্রশ্ন আছে আমার। বিধাতা বললেন—বলে ফেলো, কী তোমার প্রশ্ন?
ছেলেটি বলল—আজ্ঞে, প্রশ্ন দুটো আমার নয়। অন্যদের সমস্যা। প্রথম প্রশ্ন, সমুদ্দূরের তীরে যে মেয়েটি একলা বাস করে, সারা জীবন তাকে বিধবা হয়েই কাটাতে হচ্ছে কেন। বিয়ে করামাত্রই তার স্বামীদের মরে যেতে হয় কেন?
হাসি ফুটে উঠল বিধাতার মুখে—এটাই তার নিয়তি। যাদু-মুক্তো আছে একমাত্র এমন কেউ যদি তাকে বিয়ে করে, তাহলেই বদল হবে নিয়তির বিধান। সুখে শান্তিতে বাকি জীবন কাটাতে পারবে সে। অন্য কেউ যদি মেয়েটিকে বিয়ে করে, মারা পড়তে হবে তাকে। 
ছেলেটি বলল—আর একটি প্রশ্ন আছে আমার। সমুদ্রের মাঝখানে ছোট্ট দ্বীপটাতে যে নাগরাজ বাস করে, সে কেন ড্রাগন হয়ে স্বর্গে এসে বাস করতে পারছে না?
বিধাতার মুখের হাসি আরও চওড়া হোল--  নিজের লোভের ফল ভুগছে সে। একটা মাত্র যাদু-মুক্তার অধিকারী হতে পারে ড্রাগনেরা। এটাই হোল বিধির বিধান। কিন্তু ঐ হতভাগা যেমন অতি মুর্খ, তেমনি অতি লোভী। দুটো মুক্তো দখল করে বসে আছে। সে কারণেই স্বর্গের রাস্তা পরিষ্কার হচ্ছে না বেচারার।
বিধাতাকে আবার পেন্নাম ঠুকে, স্বর্গ ছেড়ে বেরিয়ে পড়ল ছেলেটি। নিজের পরিবারের উত্তর জানতে এত দূর এসেছিল সে। তার কোন বিহিতই হয়নি। মনে কষ্ট নাই সেজন্য। তবে, অন্য দুজনের প্রশ্নের উত্তর আদায় করতে পেরেছে, এতেই ভারি খুসি হয়েছে ছেলেটি। 
বিধাতার দরবার থেকে বেরিয়েছে, সামনে দেখল আবার সেই রামধনু হাজির। তাতে চড়ে দ্বীপে এসে নেমে পড়ল।
নাগরাজ উদ্গ্রীব হয়ে অপেক্ষা করে ছিল ছেলেটার জন্য। প্রশ্ন করল—কী বাছা, কোন উত্তর পেয়েছ? 
মাথা ঝুঁকিয়ে সাপকে অভিভবাদন জানালো ছেলে। বলল—হ্যাঁ, নাগরাজ। আপনার প্রশ্নের উত্তর এনেছি আমি। লোভ হোল বড় বিষম বস্তু। বিধাতা বলেছেন, দুটো যাদু-মুক্তো আঁকড়ে রেখেছেন। যতদিন আপনি একটা মুক্তোর লোভ ছাড়তে না পারবেন, ততদিন সাপ হয়েই এই দ্বীপে জীবন কাটাতে হবে আপনাকে। দুটো মুক্তোর মালিকের স্বর্গে থাকবার আইন নাই। 
নাগরাজ তো ভারি খুশি একথা শুনে। বলল—এ তো ভারি ভালো কথা। সব সমস্যা তো মিটেই গেল তাহলে।এবার আমি ড্রাগন হতে পারব। স্বর্গে গিয়ে থাকতে কোন বাধাই রইলো না আর আমার। 
ছেলেটিকে নাগরাজ বলল—শোন, বাছা। অনেক উপকার করলে তুমি আমার। একটা যাদু-মুক্তো তুমিই নিয়ে নাও। 
যেই না একটা মুক্তো ছেলেটার হাতে তুলে দিয়েছে, অমনি একটা আলোর ঝলকানি। কোথায় গেল কদাকার সেই বুড়ো নাগরাজ! সেখানে সুমহান এক ড্রাগন উপস্থিত। কী ঝলমলে চেহারা তার!  
ড্রাগন হাসি মুখে বলল—ভারি ভালো মানুষ তুমি। নিজের পথে এগিয়ে যাও, বাছা। লাভবান হবেই। আর, একটা কথা জেনে রেখো, বন্ধু! তোমার উপকার আমি কোনদিন ভুলবো না।
তখনই আবার এক রামধ্নু ফুটে উঠল আকাশ জুড়ে। সেই দ্বীপ থেকে আকাশ ফুঁড়ে উঠে গেছে রামধনুর মাথা। তাতে চড়ে, স্বর্গের পথে রওণা হয়ে গেল ড্রাগন।
এবার সেই ছোট্ট ডিঙি নৌকাখানা চোখে পড়ে গেল ছেলের। তাতে চড়ে, সোজা সেই প্রাসাদে এসে হাজির। তাকে দেখতে পেয়ে, মেয়েটি বেরিয়ে এলো। হাসিভরা চোখমুখ। মেয়েটি বলল—তুমি নিশ্চয় আসবে, এই আশায় বসেছিলাম পথ চেয়ে। 
ছেলেটি বলল—আমি তো কথা দিয়েই গিয়েছিলাম। দেখাও করেছি বিধাতার সাথে। কথার খেলাপ করি না আমি।
--তাঁকে বলেছ আমার কথা?
--হ্যাঁগো হ্যাঁ, বলেছি। 
--কী বললেন তিনি? কপাল ফিরবে আমার কোনদিন? 
ছেলেটি বলল—তোমার স্বামীরা মারা যায়, তার কারণ, তাদের কাছে যাদু-মুক্তো থাকে না। যাদু-মুক্তো আছে, এমন কেউ যদি তোমাকে বিয়ে করে, তখন আর এমনটা ঘটবে না। সুখে শান্তিতে বাকি জীবনটা কাটাতে পারবে তুমি। 


জ্বলদর্চি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন। 👇


জ্বলদর্চি তিরিশ পেরিয়ে... 
ঝপ করে নিভে গেল মেয়েটির মুখের আলো। হতাশার গলায় বলল— কার আছে যাদু-মুক্তো? কোথায় খুঁজে পাবো আমি এমন কাউকে। আসলে, এই দুর্দশার জীবনই বয়ে যেতে হবে আমাকে। 
এবার ছেলেটির মুখ উজ্বল হয়ে উঠল। মুঠো খুলে যাদু-মুক্তো দেখাল মেয়েকে। বলল—একটু আগেই এক ড্রাগনের এই সম্পত্তি পেলাম আমি। আপত্তি না থাকলে, আমাকে বিয়ে করতে পারো তুমি। 
এবার আনন্দে একেবারে বোবা হয়ে গেল মেয়েটি। লজ্জায় মুখ রাঙা। 
ছেলেটি বলল—আমি কিন্তু ভারি গরীব। আরও তিন-তিনটে পেট রয়েছে বাড়িতে। আমার ভাগ্য ফেরার কোন ব্যবস্থা করে দেননি বিধাতা। 
মেয়েটি বলল—কে বলল, করে দেননি? করে দিয়েছেন তো। তুমি জানো না, এই প্রাসাদে কত সম্পদ রয়েছে আমার। তোমরা চারজন চার পুরুষ ধরে খেয়েও শেষ করতে পারবে না। বাড়ি যাও। সবাইকে নিয়ে ফিরে এসো। বাকি জীবন নিশ্চিন্তে কেটে যাবে আমাদের সকলেরই।
বাড়ি থেকে বাবা আর ভাইদের নিয়ে এসেছে ছেলেটি। সুখে শান্তিতে দিন কেটে যায় তাদের।


Post a Comment

1 Comments

  1. খুব ভাল লাগল। তবে গল্পটি অনেকটা বাংলার একটি ব্রতকথার মত লাগল। আসলে, মূল বক্তব্য সব জায়গাতেই এক ... অন্যের ভাল করো, নিজের দিকে তাকিও না। আখেরে সবারই ভাল হবে।

    ReplyDelete