একগুচ্ছ কবিতা
অমিত কুমার রায়
(১) প্রশ্ন
কোথায় বীজ ছড়াই বলো
একটা বৃক্ষ হবে?
যেখানে আজ বীজ পুঁতি
কালকে সেখানে ইমারত।
(২) বিদ্রোহ
বছর ছিঁড়ে নতুন বছর
তবুও কারা কাঁদে!
বিদ্রোহ আজ দিকে দিকে
পৃথিবী বিষম ফাঁদে।
(৩) দূর দৃষ্টি
আপনার পরিশ্রম আপনার ফসল
ফলনে ফলে সুফল,
আপনার শ্রম অন্যের ফসল
জাতি হবে দুর্বল।
(৪) সভ্য অসভ্য
অসভ্যের আচরণ করে করে
সভ্যকে বলে অসভ্য,
আসলে অসভ্যতাই তাদের সভ্যতা
এটাই সহজ লভ্য!!
(৫) নির্বাচন
কিছু জায়গায় কিছু ব্যক্তিকে
ঠিক মানায় না,
কাককে যেমনটি মানায় না
ময়ূর পুচ্ছ পরে!
(৬) গভীরতা
চোখের দৃষ্টি সমুখ দিকে
তবুও দেখা নয়,
দৃষ্টির গভীরে ভাবনার নদী
চিন্তার ধারা বয়।
(৭) দম্ভে
কপিবর লেজ দোলায় নাড়ে
স্বাভাবিক স্বভাব তার,
কেউ কেউ মহাকবি দম্ভে
অধঃপতন ছিন্ন হার।
(৮) নিষ্প্রভ
তরুণ তরুণীর জীবন আজকে
দাদের মতো চুলকোয়,
এক টুকরো আশার প্রদীপ
লুটিয়ে পথের ধুলোয়!!
(৯) রথ
সতের জীবন রথে বয়।
সুন্দর সেতু শিবময়।
অসৎ মার্গে পতন হয়।
সঠিক ঠিকানা জমালয়।
জ্বলদর্চি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন। 👇
(১০) নির্বোধ
পঠন পাঠন নামেই চলছে
গ্রামে এবং শহরে,
ছাড়লে পড়া ধরো ঝাণ্ডা
থাকো নেতার পোঁ-ধরে।
(১১) ভালোবেসেছি তোমাকে
দাঁড়িয়ে আছি নদীর এপারে
ওপারে শোনা যায় ঘুঙুরের শব্দ।
তোমার মুখ মনে পড়ে বারংবার।
ফিরে যাব নাকি সাঁতরে হবো পার।
বিষন্ন মন কখনো খুন্ন কখনো বা বিক্ষুব্ধ।
সূর্যের আলোর চাদরে মোড়া নক্ষত্রেরা ঘুমোয়।
সূর্য ঘুমালে নক্ষত্রেরা জাগে তোমার মতো!
তোমার নরম মুখ, নরম হৃদয়।
তোমাকে দেখতে পাবো চোখ বুজে যখন
তোমার চিন্তার অদ্রিজা ভাঁজে ভাঁজে,
মাটিতে মাটি হোয়ে ঘুমাই নীরব ঘাসে সংযত।
পৃথিবী পেলনা কোনো স্পর্শ দিকে দিকে আমার।
মানস মনে ঘুরেছি ইতিহাস ভূগোলের মানচিত্রে---
রাশিয়া জাপান আফ্রিকা ব্রিটেনে ক্যালিফোর্ণিয়া ভিয়েতনামে......
বিটোফেনে সুর বাজে তোমার কণ্ঠে।
তুমি প্রাচ্য পাশ্চাত্যের সভ্যতার সাঁকো,
মনে ভাস্কর্যে রাখো, হৃদয়ে ছবি আঁকো---
দা-ভিঞ্চি মোনালিসা।
স্বপ্নের শলতে উস্কে আলো জ্বালো।
রাত্রির গভীরে নীল নক্ষত্রের হাসি হাসো।
তোমাকে এখন হয় তো বা বুঝতে পারি
কেন যেতে কষ্ট বুকে?
ভালোবেসেছি তোমাকে।
অরণ্যের ঢেউ বোনা সবুজ পাতার চুলে
তোমার পারফিউমের মিষ্টি গন্ধ!
আমার শেষ নিদ্রায় রজনীগন্ধার মতো।
জ্বলদর্চি তিরিশ পেরিয়ে 👇
0 Comments