জ্বলদর্চি

গুচ্ছ কবিতা /বিপ্লব ভূঞ্যা

গুচ্ছ কবিতা 
বিপ্লব ভূঞ্যা


১. যতটুকু কোপানো লাগে


মাটিতে মেশাতে যতটুকু কোপানো লাগে
খুঁড়ে দেখ আমায় 
পাঁকে এই ফুল জন্ম দিতে
যতটুকু পুঁতে দেওয়া যায় তাই করো

পেরিয়েছি কাদুর দেউলটিয়া গ্রাম
কাকু আসবাবে দেখছিনা উঠোন ভাগের
                                             ধাতু নখ
আঁধারেও বাতি নেভানো তেমন
                    পোষ্য বাতাস
কাকুর রক্তে উত্তম পুরুষের কোন গ্রুপ বসেনি
তবু রিনি বলে ডাকতেন তোমায়

তাঁর গ্রাম পেরোতে পদ্মপুকুর
ওরা দলবেঁধে প্রতিদিন শিশির কুড়োয়
তোমার ওড়না থেকে মায়াময়..


২. কান্নাও অরন্যের ফসল


বারান্দার কোলে মাথা রেখে
শুয়ে আছে অন্ধকার
ততটা আলোয় পড়ছি নারকেল
শিরিজ এবং কদম
কিছুটা হাওয়া নেড়ে নেড়ে
মাথা বদল- কারণ বর্ণনা
সব জীবনের সাথে আগুন জন্ম নেওয়া
তার উঠোনে অরণ্য সাজাও তুমি
আবার সেই সব পোড়োও তুমি
অভিশপ্ত গাছেরা জানে সৃষ্টিও
শেষের গানে বাঁশির সার- অসার
হাসো আরোও হাসো গান্ধার প্রদেশ
দেখে যাও কান্নাও অরন্যের
                  ফসল হয় কেমন...


৩. বিজ্ঞাপন পাড়ার বাতাস


পায়রা এসে বসে এ ঘরে
এ ডানা বড় ব্যথাতুর
তাও আসন সারে মন্দির ও ঘন্টা
রক্ত ছুটিয়ে অক্সিজেন
রক্তদানের বিজ্ঞাপন পাড়ার বাতাসে
রক্তে কি মিশালে মিথাইল কোভালাম
না কোন দূষণ নয় খানিকটা অভাব ভিটামিন
তবু নয় ব্যথা কম ,
তুমি অক্সিজেন দাও
তুমি অক্সিজেন দাও, না রেশন নয়
এখন সবই মজুত রেখেছি রেশন তৈজস
ব্যাথাময় ঘরে তবু ধমনীতে
সাদা পায়রা এসে বসুক...


৪. বিকলাঙ্গ জল


নিজেকে পেরলেই আঁধার ফুরিয়ে যায়
এই আলো শুধু পেরিয়ে যাওয়া লাগে
নিজেকে পেরতে পথে নামি
বিকলাঙ্গ জল আমাকে উপচে যায়
সে এক অন্ধ স্রোতের ধাক্কা
ডুবছে কোমর ,বুক ,নাক, চোখ
আর পেরতে পারিনা
চোখের কাছে কি এক শূন্য আয়োজন
কোনও এক কৌণিক দূরত্বে এলে
গণিত বুঝে কপাল
শুধু অপেক্ষা - অপেক্ষা মেশালেই
ও পথ পেরিয়ে আলোর কাছে
 সহজ পৌঁছে যাওয়া...

পেজে লাইক দিন👇


জ্বলদর্চি তিরিশ পেরিয়ে... 

৫.মিথ্যে উচ্চতা

একটু নিচু করে দাঁড়ালে সব মিথ্যে উচ্চতাগুলো 
আমাকে উপচে যায়
তার ভেতর সেই সত্যিটাকে
রক্ত দূর্বায় লালন করি
আধভাঙ্গা বাতাসার কীর্ত্তনে নেমে আসো
এরপর তুমি বোঝাবে একটু হেলে যাওয়া চাঁদ
এবং অরণ্য পোড়া গৃহবাস
আয়োজক সময় দাঁতে করে টেনে দেয় 
                                          দিন শেষ
প্রতি রাতে ওরা আমায় গঙ্গা ফড়িঙে
                                    উড়িয়ে দেয়...



৬.কুড়াই পলি রং


পাতা জন্ম গাছের কাছে প্রতীক্ষার নাম
আমায় শেখাতে ওরা ভেসে এলো
আমি কুড়াই লাল রং
লাল বড় সেবাপরায়ণ
আমার যে পিঠে তুমি
দাঁড়িয়ে আছো আলো দিন
তোমার ছায়ায় ঐদিন
 কালো হয়ে আছে
আমিতো একটু সবুজ চেয়েছি
পাতারা অঙ্গীকারে আবদ্ধ হোক
তোমার ছায়াদের কাছে 
কিছু লাল রং চেয়েছি...



৭. দূরত্বে যতটুকু ঢাল


পথও আমার দূরত্বে যতটুকু ঢাল
ওখানে সকাল হয়
এক কালো পাখি সূর্য চুরি করে
 আমার জন্য মেঘ ছিঁড়ে আনে - বিকেলের গা থেকে
সেও এক অন্য পালক
নিজের সামনে দাঁড়াতে এতটা বুক লাগে
পথও লাগে
পথের পাথর ও হোঁচটেরা
আমার বন্ধুবর্গ হয়ে আছে কবে থেকে...

Post a Comment

0 Comments