জ্বলদর্চি

গুচ্ছ কবিতা /মেহবুব গায়েন


গুচ্ছ কবিতা
মেহবুব গায়েন

স্টেশনের সাথে

১.

পলাশ বেলুন ধুয়ে দেয় মায়ের অসুখ চোখ ,
গভীর শব্দের ভেতর রাতের স্টেশন হাঁটে..
মহানদীর বালিতে চা কাকু নীলগিরি ছেলে 
ভাইজ্যাক জানা নেই আমার-
পাহাড়ের হাঁটু পেরিয়ে চলেছি রাজমুন্ডি 
ইস্পাতের ফাঁকা জানালা ভরে গোদাবরী ঘাট

ওই পাতের উপরে ছুটে যাচ্ছি কাঠপাড়ি 
বিকেলের টিপু শহরের বুকে স্তব্ধ অটোওয়ালা 
উপচে ওঠা  ভাত ছবি
ও পাড়ে হেঁটে যায় আম্মার ফুল দোকান ও  ছেলে মাস্টার...
                             
                             
২.

সি এম সির প্রথম গেটে ঘুমন্ত উচ্চতা দাঁড়িয়ে
কিছু টা দূরত্ব পেরিয়ে MRO -1
গায়েন নাসিমা বেগম ,একটা ক্যানভাস থেকে বেরিয়ে আসা ফর্মের অভিনয়,
লাইট , ক্যামেরা
মায়ের ইজেকশন ভয় -
দুদিনের শহরে ভিজিয়ে রাখি কপাল- হলুদ আলপনা
আমি গ্যাসের আলোয় মার্চের দুপুর গড়িয়ে রাখি...


৩. 

সন্ধ্যার সমান্তরালে হেঁটে যাওয়া ঝিল
পাথর সাজানো টিপু,
মিলিয়ে যায় রঙ সূর্য,
বাতাস বেতারে ভায়োলিন রিড়ে উঠে আসা যিশু,
কোহাহল পা থামিয়ে
আমি দক্ষিণ জানালায় তামিল আলোর মধ্যেই ঢুকে গেলাম,
ছায়া ঘূর্ণি মুখ...


৪.

দক্ষিণ জলবায়ু রঙে ধুতুরা রোদ
সেদিন বিকেলের জামায় বৃষ্টির শরীর 
ভেসে ছিল,
আমিও ভাসলাম অর্ধেক উষ্ণ বিন্দু তে
শ্যাওলা ছাদের ভিজে ওঠা পিঠে 
নয়নতারা বিকেল,
সাড়ে পাঁচটার আকাশ  বেগুনি ছিল...

পেজে লাইক দিন👇


জ্বলদর্চি তিরিশ পেরিয়ে... 

৫.

ভোরের ঠাণ্ডা হাওয়ায় জড়িয়ে
নিলাম আজান ধ্বনি,
গভীর কষ্টে শান্ত পারাপার
আমি বেলুন- উড়ে যাচ্ছি 
স্বপ্ন  উৎসবে
আমাদের চারজনের শব্দ শূন্য
কেউ ডেকে গেলো 
সকাল ছয়টায়...


৬.

চিল্কা রোদে বৃষ্টির শরীর নেমে এলো
জানালার কাঁচে লেপ্টে গেছে জলের অংশ
পাহাড় ঠোঁটে তুমিও বাতাস ঢাকা শাড়ি,
স্বপ্নেও স্টেশন ছাড়ে বিজয়ওড়া
ক্রসিং ওভারের লাইটে কাগজ ফুলের রং ধুয়ে
ছুঁড়ছে যশবন্ত পুরম এক্সপ্রেস....


৭.
রুবেল কে চিনেছিলাম,
ফরিদপুর বাংলাদেশ
পলি বলেছিল,
ওদের কেউই হিন্দি জানেনা,
তবুও হিন্দি সিরিয়াল দেখে
সকালের অসুস্থ শহরে 
ডাক্তারও বন্ধু,
আমি প্রতিবেশী বাংলায় 
নদীর চোখ ঢেলে দিলাম...

Post a Comment

0 Comments