গুচ্ছ কবিতা
বিমান কুমার মৈত্র
অসমাপতন
তুমি চলে গেলে মনে হয়
এই থামলো ঝড় জল
তোমার পায়ের শব্দ নয়
কড় গুনে গেল কতদিন
বহু দেখেছি কাঠি মেপে
বুঝিনি তোমার কত ঋণ
পাতা থেকে অযাচিত জল
পড়েছিল তোমার উঠোনে
ভিজেছিল ফলেনি ফসল
ক্রিয়াহীন
বিপ্রতীপ অস্থিকোণে অধিষ্ঠিত
সম্রাটের মুখোমুখি
আমাদের মুল্যবোধগুলি
আতঙ্কিত, দ্বিধান্বিত
এঁটুলি পোকা কিংবা ইস্পাত, স্ক্রু
পাইপ, জড়িবুটি এব্ং সফ্টওয়ার চীপ
ইত্যাদি...............
প্রত্যঙ্গ আর রিপুদের কাছে জনপ্রিয় প্রতিস্থাপন যোগ্য শব্দ
হোমোসেপিয়েনস থেকে হোমো
দাম্পত্যর দিকে ক্রম বিবর্তনমান
এই যুগকে গোলাপী শুভেচ্ছা
সুপ্রভাত
অর্ধেক তোমার অর্ধেক আমার কবিতা
দিয়ে একটি রাসায়নিক মুক্তগদ্য
বানাতে গেলে একই অক্ষরগুলো
নিজেদের ভেতর এক বিপরীতমুখী
বিভ্রান্তির অবতারনা ঘটিয়ে ফেলে
ফলে খেসারত হিসেবে জটিল মিশ্রাক্ষর
ঘটিত বিশৃ্ঙ্খলার কবলে পড়ে আমাদের
সোনার টুকরো ছেলে বিবাগী হয়ে যায়
আপাতত পেন রেখে বাজারের থলি নিয়ে কালুবাবুর লাল চায়ের গভীরাঙ্গে নিষিদ্ধ চিনি মিশিয়ে কম টাকায় কি ভাবে বেশি বাজার করা যায় তারই দার্শনিক তত্বের বিতর্কে মশগুল.....।।
অবিরল এক নদীর নাম
অবিরল শার্সির কুয়াশায় ভীড় করা
নদীর প্রবাহ থেকে ভেসে আসা তুমি এক সুগন্ধিত জলের বাতাস
ভিজে যাই আবহমানের ওই প্রভাতগুলিতে
'ফুল ফুটুক না ফুটুক' আলো ফোটা
শিশিরেই রাত জেগে থাকে ।।
সেন্ট ভ্যালেন্টাইন
অবিরল শরক্ষেপে বিক্ষত সময়
তোমার গোমুখ বক্ষে খরস্রোতা
উত্তরায়ণের তরল রক্তসিঁথি দীক্ষা
পূর্ণ অবগাহনের প্রতীক্ষারা
শিখন্ডীর বোধ হয়ে
ঘাটে ঘাটে ভীড় করে থাকে
এই প্রেম পরিণতি কে কবে
দেখেছিল আগে ?
0 Comments