জ্বলদর্চি

কবিতা গুচ্ছ /মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় দাস

কবিতা গুচ্ছ 

মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় দাস

চিন্তারা আজ 

টলমলে

ভারসাম্যের পাথর টলমল করছে,
হোটেলে রিসর্টে ট্রেকিংয়ে ভ্রমণে,
সাজানো গুছানো পর্যটনে
গলনশীল তুষারপিন্ড
মরণশীল বালিয়ারি।

ধুয়ে যাওয়া আদিমতা 
চুঁয়ে পড়া রৌপ্যনেশা
টাগ অফ ওয়ারে নেমেছে।

অম্বরনীল আর ফেনিল নীল
দুই বিপন্নতা মানুষের‌ই দরজা ধাক্কাতে
মানুষ মুখ ঘুরিয়ে না নিয়ে
আরও অনভিপ্রেত অন্তরঙ্গতায় 
প্রকৃতিকে পণ্য করছে।

জ্বলদর্চি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন। 👇


জ্বলদর্চি তিরিশ পেরিয়ে... 
পাওয়ার কাট

উল-পশম হাতমোজা গালচে তোর মোজার নিচ,
ঘুরছে চাঁদ আঁধার মন ছন্দহীন অহর্নীশ।
চোখ ভেজা কান্নাকে ঠোঁট চেপে আটকানো,
খেইহারা প্রেমলিপি, নেই কোনো সঙ্গোপন।
শীত আসে, তাপ বাড়ে, বেকার পার্স গড়ের মাঠ,
সব বিকেল আম্ফান আর সব রাতে পাওয়ার কাট।


শরণার্থী

পেটকাটিটা দূর আকাশে একাই পাক খাচ্ছিল৷
শরনার্থী শিবিরের শেষপ্রান্তে একটা ইঁটে পেছন দিয়ে
জ্বর গায়ে ফাটা প্যান্ট বাচ্ছাটা ভাবছিল—
কাঁটাতারের এধার ওধার হলে 
ঘুড়িটার কি শিবিরে ঠাঁই হবে?


ওঁত পেতে থাকে

টুকরো টাকরা ছবি পড়ে আছে,
শরতের মেঘের মতো পেঁজা পেঁজা ছবি।
যে কোলবালিশে ঠেস দেশ বাড়ির সর্ব চিন্তাহর
তা সুসজ্জিত বা়ংলোতে শান্তি দিতে ব্যর্থ হয়।
সময় যদিও প্রবাহী 
তবু ক্লিশে নদী উপমায় বিরত হলাম।
বালি দালাল আর প্রোমোটার নদীকে হত্যা করে।
সময়কে?
টুকরো টাকরা ছবি বিবর্ণ হতে হতেও হয় না।
পড়ার টেবিলে রোদ, উপনয়নের টোপর, দাদুর চশমা
থেকে থেকে হাত ছোঁয়ানোর ত্রিমাত্রিকতায় উন্নীত হয়।
গহীন মনে সময়-কুমীর ওঁত পেতে থাকে।‍


Post a Comment

0 Comments