জ্বলদর্চি

সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কবি তথাগত বন্দ্যোপাধ্যায়

সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কবি তথাগত বন্দ্যোপাধ্যায় 


তথাগত বন্দ্যোপাধ্যায় : শুনেছি অনেক কম বয়সেই সুর করা শুরু করেছিলেন। আপনি মূলত খালি গলায় গান করেন। পরে আপনার অনেক গানের ক্ষেত্রে বাজনা সহকারে শব্দগ্রহণ করা হয়েছে। বাদ্যযন্ত্র ছাড়া সুরারোপ কতোটা কঠিন বা সহজ? 

প্রতুল মুখোপাধ্যায় : আমি বাদ্যযন্ত্র সহকারে কোনোদিন সুর করিনি। ফলে তুলনামূলক আলোচনা করার কোনও প্রশ্ন নেই। আমি গেয়ে গেয়ে সুর করেছি। হয়তো কেউ একটা সিন্হেসাইজার উপহার দিয়েছে। আমি যে খুব ভালো বাজাতে পারি- তা নয়। তখন আমি কি সুর দিয়েছি সেটা বাজিয়ে দেখি। মাঝে মাঝে মনে হয় যে খুব শক্ত সুর দিয়েছি, বাজাতে পারছিনা। পরের দিকের অনেক গানে আমায় স্বাধীনভাবে গাইতে দেওয়া হয়েছে। তারপর ওটাকে সামনে রেখে সিন্থেসাইজার, সেতার, তবলা, এসরাজ - এসবের বাজনা যোগ করা হয়েছে।

তথাগত : “আমি এই বাংলার মায়াভরা পথে হেঁটেছি এতোটা দূর”- ১৪০০ সালে যতোটা দূর হেঁটেছিলেন, আর আজ যতোটা দূর এসেছেন, বাংলা গানের কেমন পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে হয়?

প্রতুল : এই ব্যাপারে আমার মতামত দেওয়াটা ঠিক নয়। আমি কোনও ব্যাকরণের মাধ্যমে গান শিখিনি। অনেক গান শুনেছি। ওই যে ওস্তাদ বড়ে গুলাম আলী খান বলেছিলেন “গান শেখার ৮০ শতাংশই শোনা”। এটা আমার ভেতর থেকে আসা ব্যাপার। অন্যরা যেভাবে গায় তার সঙ্গে আমার প্রকরণগত, প্রক্রিয়াগত -অনেক তফাৎ। ফলে অন্যেরটা কিছু না জেনে, 'এটা আমার ভালো লাগছেনা' - বলাটা আমার সমীচীন হবে বলে মনে হয়না। আমি আলপথ ধরে যাই, রাজপথ ধরে চলি না। আমি কিছু কিছু গলিপথও চিনে ফেলেছি, যেগুলো সরাসরি রাজপথ দিয়ে যারা যায় তারা চেনেনা। গুরুরা ওই রাস্তাগুলো দেখান না। আমি গানটা প্রাণ দিয়ে ভালোবাসতাম। ছোটবেলায় আমাদের অভাবের কোনও অভাব ছিলোনা। পড়ানোটাই অনেক বড় ব্যাপার ছিলো। হারমোনিয়াম, তবলা নিয়ে গান শেখানোর প্রশ্নই ওঠেনি। তার ফলে ওই অভাবের মধ্য দিয়ে কিভাবে গানটাকে ছোঁয়া যায়, এই প্রয়াসটা আমার মধ্যে ছিল। 

তথাগত : “দুইজনাই বাঙালি ছিলাম; দেখো দেখি কাণ্ডখান; তুমি এখন বাংলাদেশি, আমারে কও ইন্ডিয়ান” – জোড়া লাগবে বলে মনে হয়?

প্রতুল : নাহ্! আমি কোনওরকম সম্ভাবনা দেখছিনা। ভাগ হওয়াতে ক্ষতি তো হয়েইছে। অনেকের কাছে তা খানিকটা বাঞ্ছিত ছিলো বলেই মনে হয়। একদল নিজেদের মনে করতো- 'আমরা সংখ্যাগুরু বটে, কিন্তু মানলঘু হয়ে আছি।' এই সম্মানের ব্যাপার একটা ছিল মনে হয়। নেতারা তখন নেতৃত্বের মোহে অন্য কোনও বিকল্প ভাবেননি। মেনে নিয়েছেন। খুব খারাপ ব্যাপার হয়েছে সন্দেহ নেই। শেষ পর্যন্ত যদি শরৎ বসুর সূত্রে একটা বাংলা হতো, কিন্তু তাহলেও তো যারা হিন্দুত্ববাদী তারাও বলতো যে-  তাহলে মুসলিম সংখ্যাগুরু হবে....এটাও চলবেনা। এইরকম নানা ব্যাপার... এবং বামপন্থীরাও সমর্থন করেছেন- মানে বুঝতে পারছেন...

তথাগত : “ডিঙ্গা ভাসাও সাগরে” গানে দুরকম ভাবেবলা লক্ষ্য করেছি- একবার গম্ভীর ভাবে আহ্বান, আরেকবার নরমভাবে আকুতিও আছে। তা কি শুধুই গানে বৈচিত্র্য আনতে না অন্য কোনও দ্যোতনা আছে?

প্রতুল : না, না.. সুরের মধ্যে একটা নাট্যকৃতি আছে। আমি কাব্যটাকে বিরাট গুরুত্ব দিই। এর মধ্যে আমি একটা দ্বৈততা আনার চেষ্টা করেছি। মা যেমন ছেলেকে বলে। শুনতে কিরকম লাগবে সেই ভেবে নয়। শুনতে যেরকম লাগবে - ওটাই বাঞ্ছিত আমার কাছে।

তথাগত : আপনি অনেক বাঙালি, অবাঙালি কবির কবিতায় সুর করেছেন। আপনার বাবার কোনও লেখা বা সুরের ওপর কাজ করার সুযোগ হয়েছে কখনো?

প্রতুল : আমি বাংলার বাইরের কবির অনুবাদ থেকে ১৭ জন কবির, বাংলার ভেতরের আমাকে বাদ দিয়ে ৪৩ জন কবির কবিতা নিয়ে কাজ করেছি...এটা একদিন আমি গুণে দেখলাম। বাবার লেখা, দিদির সুরে করেছি - “চলার পথে তব বাঁশি, রহি রহি শুধু বাজে/
সংসারে শত কোলাহলে মম শ্রবণে পশে না যে।"

তথাগত :“আমি বাংলায় গান গাই” – গানটি “ক্রান্তি” চলচ্চিত্রের মধ্যে রাখা হয়েছিলো। গানের পুনর্নির্মাণ কতদূর গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন? গানের পুনর্নির্মাণ, সংযোজন, বিয়োজনের ক্ষেত্রে মূল গীতিকার, সুরকার ও গায়ক জীবিত থাকলে তাঁদেরকে দিয়েই করানোকে সমর্থন করেন নাকি নতুন কাউকে দিয়ে?

জ্বলদর্চি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন। 👇


জ্বলদর্চি তিরিশ পেরিয়ে... 

প্রতুল : আমাকে না জানিয়ে বেআইনিভাবে রাখা হয়েছিলো। আমার কোনও সম্মতি ছিলোনা। দ্বিজেন্দ্রলাল রায় এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই নিয়ে মতান্তর ছিল তা আপনারা জানেন। বলতেন – “তোমরা আমার মতন করে গেও”। দ্বিজেন্দ্রলাল রায় কিছু স্বাধীনতা চেয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথ দিতে চাননি। আমি যে গানটা নির্মাণ করি, সেটা খালি একটা স্বরলিপির কাঠামো নয়। সুচিত্রা মিত্র যেটা বলেছিলেন- “স্বরলিপিটা একটা কাঠামো, তারপরে একমেটে, দোমেটে, তারপর প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হয়”। এই যে প্রাণপ্রতিষ্ঠা -প্রত্যেকটা শব্দের সম্মান বুঝে, গানটার আবেদনটা কোন দিকে, মূল ভাবটা কি - তা দেখে গানটা করা। এটা শুধু নয় যে –কিছু শব্দ আছে, এটা কাহারবা তালে আছে, এটা এইরকম রাগের ঢঙে আছে, একটু কণ্ঠকৃতি দেখিয়ে দিই –তাহলে লোকে খাবে – এটা তা নয়। আমাকে একজন বলেছিলো, “আপনার গানের স্বাদ আমাদের ঠাকুমা, পিসিমার খুব কম মশলায় করা রান্নার অদ্ভুত সুন্দর স্বাদের মতো -যা কোনও বড় রেস্তোরাঁয় পাওয়া যায়না।” আমি যদি সেই স্বাদটা কাউকে দিতে চাই, আর কেউ যদি সেখানে বেশি করে গরম মশলা দিয়ে দেয় - তাহলে তো পুরো ব্যাপারটাই শেষ হয়ে গেলো। আমার গলাটা একরকম, একটু ‘টেনা’ ধরনের। যদি কোনও বেস, ব্যারিটোন স্বর আসে, স্বাভাবিকভাবেই গানের আবেদন বদলে যাবে। অন্যকে দিয়ে করালে মূল গায়কের কণ্ঠক্ষেপনের মধ্যে থাকা নিজস্বতা বাদ দিতে হবে, স্ফূর্তি বাদ দিতে হবে। ইচ্ছাকৃত বিকৃতি – একেবারেই আমি মানিনা। 

তথাগত : আপনি আলাপ নেওয়ার সময় কখনো কখনো পশ্চিমি ছোঁয়া লক্ষ্য করি। “পাথরে পাথরে নাচে আগুন”, “ফিরিয়ে দাও” গানে জাপানি ছোঁয়া, “ওভাবে নয়, এভাবে চলো” তে মাদলের সুর, “কর্ণফুলী নদী তীরে”-র শুরুটা ভারতীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের মতো এবং তারপর তা লোকগানের হাত ধরলো। এইসব বৈচিত্র্যপূর্ণ গানের মাধ্যমে আপনার অনুরাগী এবং শ্রোতাদের বিশ্বসঙ্গীতের ভ্রমণ করানোর ভাবনা কি কম বয়স থেকেই, পূর্ব পরিকল্পিত?

প্রতুল : আমি মনে করি গান একমুখী নয়। নানা ধরনের স্তর আছে। চলচ্চিত্রের সঙ্গে একটা সাযুজ্য আছে। গানের অন্তর্নিহিত কাব্যকে সঠিক অবয়ব প্রদানের জন্য বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকমে অলংকার এমনভাবে ব্যবহার করেছি যাতে সেলাইয়ের দাগ না দেখা যায়, একবারে তাপ্পি মারা নয়। 

তথাগত : জটায়ু চরিত্রের প্রতি কি আপনার আলাদা ভালোবাসা তৈরি হয়েছিলো?

প্রতুল : অবশ্যই। ফেলুদার তিরিশ বছর পালন করার সময় আমার কাছে একটা অনুরোধ এসেছিলো ফেলুদাকে নিয়ে একটা গান লেখার। আমি বললাম যে আমি লিখবোনা। ফেলুদাকে আমার খুব একটা পছন্দ নয়। এমনিতে ভালো – উনি বুদ্ধিমান, তীক্ষ্ণ- ঠিক আছে। কিন্তু তাঁর চালচলনের মধ্যে একটা আত্মম্ভরিতা আছে বলে মনে হয়। তাছাড়া তপসের সামনে জটায়ুকে নিয়ে এমন হাসি-ঠাট্টা করেন, যা আমার খুব একটা ভালো লাগেনি। তাঁকে নিয়ে গান লেখার মতো আমার ভেতর থেকে কিছু আসছেনা। তখন ওনারা বললেন যে - “আপনি তাহলে জটায়ুকে নিয়েই লিখুন।”

তথাগত :“চারপাশে বায়ুর বলয় হয়ে আছো, তোমাতেই বেজে উঠি” – এখানে তুমি কে?

প্রতুল : জনতাকে বলা হচ্ছে। এটা আমার লেখা নয়। রঞ্জিত গুপ্তর লেখা। তবে এটা আমার মনে কথাও। পরে বলাও আছে-  “মানুষ, ব্যাপ্ত মানুষ।” মানে তুমি যদি আমাকে না বাজাও, কিকোরে বাজবো! এটা আমার সুর করতেও ভালো লেগেছিল। জানিনা আপনাদের কেমন লেগেছে! আমার কি মনে হয় জানেন তো...মানে গান করার পরে, আমি ওই গানের সবচেয়ে কড়া বিচারক। পরে আবার শুনি। আবার শুনে আমার পরীক্ষায় পাশ করাটা খুবই শক্ত। শুনে যদি মনে করি হয়েছে, তখনই আমি বাইরের লোকের কাছে শোনাই, তা নইলে গান শোনাই না।


তথাগত : “দেওয়ালের সে ক্ষত, লাগছে ফুলের মতো”- আলাদা করে জানতে ইচ্ছে হয়- আপনার নিজের জীবনের কোনো ক্ষত এখন ফুলের মতো লাগে কিনা?

প্রতুল : মাও সে তুঙের কবিতার ইংরেজি থেকে আমিই অনুবাদ করেছিলাম। 'তাপতি' বলে এক জায়গার ওপরে এই কবিতাটি ছিলো। সেখানে সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচারী শাসকরা আক্রমণ করেছিলো। সেখানে দেওয়ালে গুলির দাগ ছিল – সেই ক্ষত তাঁর কাছে পুরনো ইতিহাসকে ফিরিয়ে দিচ্ছে – তা তাঁর কাছে পবিত্র মনে হচ্ছে।

তথাগত : কবিতায় সুরারোপ এবং বাজনা ছাড়া গান গাওয়ার মতো অভিনব সাঙ্গীতিক উপস্থাপনা আপনার লোকসঙ্গীত, গণসঙ্গীত ধারার গানজীবনে কতোটা সুবিধা করেছে?

প্রতুল : সুবিধে যে খুব একটা...আমি কখনই বলবোনা...যে যারা বাজনা দিয়ে করছে তাঁদেরকে পিছনে ফেললাম। লোকে যখন কথা বলে, তখন তো বাজনা বাজেনা। কথার মাঝে মাঝে...তার অন্তর্লীন ছন্দটাকে বজায় রেখে – গান বলার চেষ্টা করেছি। আমি বলি “আমি গান গাইনা, আমি গান বলি।”

তথাগত : শিক্ষক, আধিকারিক, গীতিকার, সুরকার, গায়ক প্রতুল মুখোপাধ্যায় – কে আপনার খুব কাছের?

প্রতুল : মুখ্যতঃ সুরকার। তবে আমার একটা অসুবিধে হচ্ছে যে আমার সুরে কাউকে গাওয়ানো খুব শক্ত। গান গাওয়ালেই সে তার ফর্মুলায় চলবে।

তথাগত : “স্বপনপুরে কে যাবি রে, স্বপনপুরে কে যাবি আয়” – বাংলা ও বাঙালির ভবিষ্যৎ নিয়ে কি স্বপ্ন দেখেন?

প্রতুল : আমরা তো অতীতকাল হয়ে গেলাম। অতীতের আবার একটা হিন্দি আছে, সেটা হচ্ছে –‘ভূত’ (হাসি)। সেক্ষেত্রে আমাদের স্বপ্ন দেখা, না দেখা প্রায় এক। তবে যারা স্বপ্ন দেখে -সেটাও একটা রোগের মতো। সে স্বপ্ন দেখা ছাড়া তারা থাকতে পারেনা, এবং স্বপ্ন দেখেই যায়...দেখেই যায়। ছোটবেলায় প্রথম যে গান মঙ্গলাচরণ চট্টোপাধ্যায় এর কবিতায় ‘ধান কাটার গান গাই’ করেছিলাম......সাধারণ মানুষ যেখানে সম্মান পাবে, তারা পদদলিত হবেনা, হাত ধরাধরি করে চলবে- এই স্বপ্ন। এই স্বপ্ন নিয়েই আমি গান করেছি। সবসময় যে রাগত স্বরে হাতুড়ি বাজিয়ে বাজিয়ে গেয়েছি তা নয়...গণসঙ্গীত মানেই এটা করো, সেটা করো –তা নয়। আমার স্বাভাবিক সত্ত্বার সঙ্গে হয়তো যায় সেটা। গণসঙ্গীতের নরম গান, মরমি গান -এরকম করে আগে তেমন ছিলোনা।

তথাগত : বাংলা সাহিত্যে ছোটো পত্রিকার বা লিটল ম্যাগাজিনের গুরুত্ত্ব কতোখানি বলে আপনার মনে হয়?

প্রতুল : বাংলা সাহিত্যের অবয়বের একটা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। ওটাকে বাদ দিলে – মরে যাবে, শুকিয়ে যাবে। আমি তো বলতাম – “তোমাদের যেমন লিটল ম্যাগাজিনের আন্দোলন আছে, আমি একটা লিটল মিউজিকের আন্দোলন করবো। কে বলে করা যায়না...দেখো এমনভাবে করা যায়। আমি তাই করারই চেষ্টা করেছি”।   

তথাগত : জ্বলদর্চি পত্রিকা ৩০ বছরে পড়লো। আপনার পরামর্শ বা শুভেচ্ছা বার্তা যদি কিছু থাকে...

প্রতুল : আমি সেটা লিখে জানাবো। তবে একটা কথা বলি, আমি যে কারো কারো কাছে গদ্য লেখক – এর পেছনে ঋত্বিক ত্রিপাঠী বাবুর অবদান আছে। গদ্য লেখার ব্যাপারে আমি অত্যন্ত অলস। উনি যদি না লেখাতেন, হতোনা। গদ্য লেখাটা মনের দিক থেকে একটা বড় ব্যায়াম। শরীর যেমন ব্যায়ামে পুষ্ট হয়, একটা গদ্য লিখে ফেললে মনটা পুষ্ট হয়। গদ্য লিখবার সময় বোঝা যায় যে আমাদের চিন্তার মধ্যে কোথায় কোথায় খামতি আছে। কোন খামতিগুলো পূরণ না করলে আমার কথাগুলো দাঁড়ায় না। বলা আর লেখার মধ্যে অনেকটা তফাত আছে। আমি মোটামুটি ব্যক্তিগত প্রবন্ধ লিখি। আমার সব লেখাই – রবীন্দ্রনাথের ভাষায় বললে- ‘অবন্ধ’ (মানে যাতে কোনও বাঁধন নেই)। ‘অবন্ধ’ কথাটা যেহেতু ‘কবন্ধ’র কাছাকাছি –তাই ভয়ানক রসের জন্য শব্দটা গৃহীত হয়নি (হাসি)। ছড়া লিখতে পারি। কবিতা লিখতে পারিনা। পারিনা বলেই কবিতায় সুর দিয়ে, কবিতাকে আরেকটা রূপ দিয়ে ‘অনুসৃজন’ করার চেষ্টা করি।


Post a Comment

0 Comments