জ্বলদর্চি

প্রশ্ন চিহ্ন/সুব্রত মাইতি

প্রশ্ন চিহ্ন

সুব্রত মাইতি

  আমাদের সাত পুরুষ  মাথায় বয়ে বেড়াচ্ছে সত্য নামক অভিধানের একটি আপেক্ষিক শব্দ। কারো সাধ্য ছিল না তাকে আলাদা করবে। এমনি এক বিশ্বাস আমাদের আগলে রেখেছিল। কোন অসংলগ্ন কথা বলার অধিকার কারো ছিল না,  সে স্পর্ধা কখনো কেউ দেখাতে পারেনি। সময় বদলানোর সাথে সাথে,আমাদের জীবনেরও কানা বোতল ঘটেছে।হঠাৎ মানুষ গুলো এক একজন রাজা, অহংকারী ভীষণ অহংকারী। কেউ কারো ধার ধারে নাসবাই এক একজন মাতব্বর, ভীষণ বেপরোয়া। বাড়ির পুরনো যারা তাদের কথায় পুরনো সুর খুঁজে পাওয়া যায়কিছুটা।তবে কাজে-কর্মে অনেক অমিল দেখা যায় ও সত্যি। 


জ্বলদর্চি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন। 👇



  এই মুখ আর মুখোশের ঘেরাটোপে আমি কেমন অবাক হয়ে যাই।মনে হয় এই আমাদের বোধ এই আমাদের বুদ্ধি এই আমাদের চেতনা। এগুলোকে মাথায় নিয়েই আমাদের বাঁচতে হয়। এক একজন কেমন বেনামী সিংহাসন দখল করে বসে আছে। যদিও তাদের এ সিংহাসনে থাকার অধিকার নেই। মাঝে মাঝে এই জটিল আবর্ত ছেড়ে বেরোতে ইচ্ছে হয়। কিন্তু এখানেও কি এক অন্য শক্তি কাজ করে, এই বর্বর মানুষগুলোর প্রতিও পিছুটান থাকে যায়। কি কারনে যে পিছুটান থাকে তা জানেন ঈশ্বর।আসলে যার কোন সদুত্তর নেই। 
  একটু বাইরে বেরোলে বোবা সমাজটাও এই জটিল  আবর্তে আবদ্ধ। সমাজের কালে কালে তার প্রতিচ্ছবি ছত্রছত্রে। এইতো জীবন এভাবেও বেঁচে থাকতে হচ্ছে আমাদের।আলো আঁধারের গোলকধাঁধায় ঘুরপাক খাচ্ছি আমি আপনি সবাই। শ্রীমান শ্রীমতি বলে যাদের আমরা সম্মোধন করি শ্রী ভিশন আকাল।অথচ আমরা অবলীলায় হাততালি দিচ্ছি। প্রত্যেকেই আমরা শুকনো ঢোক গিলছি, হয়তোবা এরাই আমাদের অভিভাবক এরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। 
  এত অহংকার কেন আমাদের।কি আছে এখানে? 
আমি তো ছাড়া কিছু নেই, আমি আকাশ আমি মাটি আমি পৃথিবী।এমন কি কখনো হয়। প্রত্যেকের নিজস্ব একটা আকাশ আছে।এ বিশ্বাসটুকু আজও সমাজের অন্দরমহলে এলোনা। হয়তোবা সকলেই আকাশ ধরতে চাইছে। তবে সকলে জ্যোৎস্নার সন্ধান পাবে না এ বিষয়ে নিশ্চিত থাকাই ভালো। আসল সমস্যা কোথায় জানেন, নিজেকে নিয়ে একটা প্রশ্ন আজ করিনি। তাই সত্য মিথ্যা ভালো-মন্দের উত্তর পাওয়া প্রশ্নাতীত।ফলে ক্রমশ আমরা পেছনের দিকে যাচ্ছি।এও সত্য আমরা পিছনের দিকের অতি তার ইতিহাসকে তাকাইনি। সুতরাং যা হওয়ার তাই হচ্ছে। তাই আজও আমাদের বোধ হলো না।জানিনা এ পথের শেষ কোথায়?

Post a Comment

1 Comments

  1. প্রশ্ন করার সংখ্যা আজ খুব কম, তাই উত্তর খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।খমতার অপব্যবহার, হিমালয় পর্বতে ওঠার কাহিনী না সুনে, টাকার পাহাড়ে ওঠার কাহিনী হুনছি। প্রাকৃতিক পরিবেশের সমুদ্রের জলে স্নানের আনন্দ ভুলে রিসটের জলে আনন্দ উপভোগ। পর্বতের চূড়ায় উঠে প্রকৃতির রূপ না দেখে টুইন টাওয়ারের উপর থেকে আনন্দ নিতে গিয়ে, নিজেকে নিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ নেই। ভোগবিলাসের খেলা খেলতে খেলতে ভুলে গেছি "সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে" এই সাসত
    চিরন্তন বাণীর অবলুপ্ত প্রায় একে সংরক্ষণ করার জরুরি নয় কি?

    ReplyDelete