জ্বলদর্চি

ছোটোবেলা বিশেষ সংখ্যা ১২৮

ছোটোবেলা বিশেষ সংখ্যা ১২৮

সম্পাদকীয়,
আমরা যখন ছোটো ছিলাম, যখন মোবাইল কেন টিভিও আসেনি ঘরে ঘরে তখন রেডিওতে গান, খবর, নাটক শুনতে শুনতে মন ভরাতাম, তখন রেডিওতে বিহারের ঝুমরিতালাইয়ার নাম শুনতাম। সেখানকার শ্রোতারা চিটি লিখতো। রেডিওতে ঝুমরিতালাইয়ার নাম শুনতে শুনতে জায়গাটা বেশ বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল আমাদের কাছে, এতই বিখ্যাত যে আজও ভুলিনি। এই প্রসঙ্গে বলি ১২৮ তম ছোটোবেলা প্রকাশ করার মুহূর্তে একথা বলতে দ্বিধা নেই, জ্বলদর্চি ছোটোবেলার সঙ্গে বেথুয়াডহরীর নামও সেই একই ভাবে উঠে এসেছে। তার সঙ্গে যাদের নাম জড়িয়ে আছে তার মধ্যে বানীয়া সাহা অন্যতম। বানীয়ার পরিচয় ছোটোবেলায় নতুন করে দেবার কিছু নেই। এবারো বানীয়া অপূর্ব পাঠপ্রতিক্রিয়া পাঠিয়ে ছোটোবেলার পাতা ভরিয়ে দিল। বানীয়া বানীয়ার জন্য রইল প্রিয় পাঠকের ভার্চুয়াল ফ্যান ব্যাচ। এবারের সংখ্যায় রিয়ার দেশ প্রেমের কবিতা শ্রীজা, আরিজ আর মানালীর আঁকা ছোটোদের মন কারবেই। বিহারের ঝুমরিতালাইয়া ছাড়াও বাংলাদেশের পদ্মাকে নিয়ে কবিতা লিখেছে রঞ্জনা পিসি। স্বাগতা পিসির স্কুলের রেজাল্ট নিয়ে গল্পটা এই সময়ে দারুণ লাগবে,  কারণ এই সবে স্কুলে স্কুলে ক্লাসে ওঠার রেজাল্ট বেরিয়েছে। এবারের সংখ্যায় প্রতিবেশী রাজ্য বিহার, প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ ছাড়াও আর দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপাল আর ভূটানের কথা লাচুঙের নেকড়েতে। শ্রীকান্ত আঙ্কেল নেপালী গানের কথাও বলেছেন। আর প্রতিবেশীদের গল্প শুনতে ছোটোবেলায় হাজির দুটো বেজী। সৌতি দিদি তাদের ছবি চুপি চুপি ক্যামেরায় তুলে পাঠিয়ে দিয়েছে দপ্তরে। চুপি চুপি কেনো? আরে সামান্য আওয়াজ পেলেই ওরা পালিয়ে যাবে যে! যেকথা বলে আজকের লেখা শেষ করব তাহলো, ছোটো বন্ধুরা ৭ এপ্রিল ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। এই নিয়ে দোলন আন্টির লেখা পড়ে নিও।   - মৌসুমী ঘোষ।

ধারাবাহিক উপন্যাস
লাচুঙের নেকড়ে
পর্ব ৭

শ্রীকান্ত অধিকারী
 

এমনিতে গাড়ি স্লো যাচ্ছে। মাঝে মাঝে আবার থমকে দাঁড়িয়েও পড়ছে। তার ওপর বিদঘুটে গাড়ি একটার পর একটা এসেই আছে। সঙ্গে নেপাল ভুটান অ্যাম্বেসির আলাদা গ্রাহ্যতা। আবার রাস্তা জুড়ে চেকিং। গ্যাটসো শুনিয়ে দেয়,আজ নাকি বেশিই চেকিং আছে। 
তা হোক। তাতে রামসির কোনো যায় আসে না। বরঞ্চ ধীরে ধীরে প্রকৃতির আকৃষ্ট করা আহ্বান ওর দেহ মন গলিয়ে দিচ্ছে। এই ঘন অরণ্যানীর ক্রোড়ে লুকিয়ে থাকা বৃহৎ বৃহৎ ঢেউখেলানো পাহাড়, মাঝে মাঝে ওপর থেকে নেমে আসা নৃত্যরতা গলন্ত প্রবাহের হাস্য কলরোল ওকে চার পাশে ঘিরে ধরছে। কি যেন এক মায়ার জগতে সে প্রবেশ করছে, বুঝতে পারছে কিন্তু প্রকাশ বা ব্যাখ্যা কোনোটাই করতে পারছে না। নিশ্চুপ হয়ে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। 
-গানের মানে কিছু বুঝলি রামসিং পোদ্দার? ছোটমামা মাঝে মাঝে মজা করে এই 
নামেই ডাকে।  
রামসি বোকার মত হাসে। তড়িঘড়ি শিঙি বলে,-কোন ভাষায় গানটা করল সেটাই বুঝতে পারলাম না। 
-হিন্দি নয়। নেপালিও নয়। কারণ এর আগেও আমি নেপালি গান শুনেছি। আমাদের স্কুলের গার্ড তো নেপালি। তার ছোট্ট ঘরে রেডিও শোনে। আমি শুনেছি ওর রেডিওতে বলে, ‘হাম্রো পাত্রোমা তপাইঁলাই স্বাগত ছ’। এই নিয়ে ওই নেপালি কাকুকে আমরা রাগায়ও। তবে কাকু রাগে না, হাসে। মাথা মুন্ডু কিছুই বুঝতে পারি না। তুমি কিছু বুঝলে ছোটমামা।
গ্যাটসো মুখ খোলে। বলে, নেপালি গানা ইধার নেহি গাতে। ই গানা ওনলি আমাদের। ই গানা আমাদের হার্টবিট। গাড়ি চালাতে চালাতে বলে,-ইস গানা মে এক কাহানি আছে। ই কাহানি বহু পুরানা। তখন ঘরের বহু’রা(বউরা) নাচতে নাচতে যুদ্ধের গানা গাইতো। রামসি কান খাড়া করে গ্যাটসোর কথা শুনছিল। পাহাড়ি রাস্তায় যেতে যেতে লেপচাদের এই গল্প ওদের জার্নিটায় পাল্টে দেবে। এমনিতেই গ্যাটসোর মাঝে মাঝে ফোন,লুকিয়ে কুকিয়ে দু’চার জনের সঙ্গে কথা বলা, হঠাৎ হঠাৎ গাড়িতে তুলে দেওয়া আর হঠাৎ করে গ্যাটসোর কথা বন্ধ করে দেওয়া সব মিলিয়ে রহস্যময় বনানীর মতই গম্ভীর হয়ে থাকছে পরিবেশ। তার ওপর বড় মামার গাড়ি নিয়ে সন্দেহ রামসির ভালো লাগছে না। কেমন যেন কোথাও গোপনীয়তা কাজ করছে। এই অবস্থায় হঠাৎ গ্যাটসোর লেপচাদের নিয়ে গল্প বলা রহস্য থাকলেও রামসির ভালোই লাগছে। হিন্দি বাংলা ইংরেজি মিশিয়ে যে গল্পটা বলল তার তর্জমা আরো একবার বড়মামা বড়মামিদের শুনিয়ে দিল।–এটা একটা গাথা। প্রাচীন যুদ্ধে যাওয়ার কাহিনী। যারা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যুদ্ধে যেত তাদের উৎসাহিত করত বাড়ির মহিলারা। বলত,--তীর ধনুক নিয়ে যুদ্ধে চল। শত্রুদের মেরে ফেল। আমরা তোমাদের অস্ত্র যোগাব। তোমার হাতের ধারালো অস্ত্র দিয়ে শত্রুর মাথা চিরে ফেল। আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি। গ্যাটসো আবার সেই গান শুরু করে। --রোঙ কপ সা ফেন আলোক...। 
শুনতে শুনতে রামসির শরীর শিউড়ে ওঠে। লোমগুলো খাড়া হয়ে যায়। এই পাহাড়েও যুদ্ধ হতো! ওর একটা কবিতা মনে পড়ছে—পাবলো নেরুদার –‘দ্যা আনহ্যাপী ওয়ান’। সেখানেও যুদ্ধে যাওয়া এক সৈনিকের জন্য এক মহিলা অপেক্ষা করেই থাকে। ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড ওয়ার, সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ার কিংবা ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধের কথা শুনেছে। এখানে এই হিমালয়ের চুড়োয় যুদ্ধ হয়েছে সে কোনো দিন শোনে নি। সে যেন হারিয়ে যায় এই পাহাড় প্রান্তরের এক যুদ্ধ ক্ষেত্রে। এইখানেই হয়তো এই পাহাড়চূড়ায় কিংবা কোনো কন্দরে কিংবা পাহাড়ের ঢালে অথবা ঘন অরণ্যের মাঝে...। 
চমকে ওঠে ছোটমামার কথায়–প্রাচীন আমলে আর্য মহিলারাও পুরুষদের এইভাবেই উৎসাহিত করে যুদ্ধে পাঠাত জানিস!রামায়ণ মহাভারতের কত যে নারী আছে—সত্যবতী, দ্রৌপদী,জনা,তারা, প্রমীলা কত...। 
ছোটমামার আবার ইতিহাস পুরাণ চর্চায় রামসির মা মামিমা দু’জনেই আগ্রহ দেখালেও রামসি কিছুতেই মনোসংযোগ তো দূরের কথা স্থির থাকতে পারছে না। ভিতর ভিতর ছটফট করছে। যেটা ওকে জ্বালিয়ে মারল সেটা হল গ্যাটসো কেন এক টাকা নয় দুটাকা নয়, দু হাজার টাকার একটা গোলাপি নোট ওই টুংবু বাজানো লোকটার কালো রঙের বোধহয় কোনো পশুর চামড়া দিয়ে তৈরি ব্যাগটার মধ্যে ফেলে দিল। গান ভালো লাগলে মানুষ দশ টাকা বা একশটাকা দিতে পারে, তাই বলে দু’হাজার টাকা! 
সে ভেবেছিল ওখানেই ছোটমামাকে ব্যাপারটা বলবে। কিন্তু গোল বেধে যাবে বা ওর কথা নিয়ে বড়মামা কিংবা বাবা সেভাবে পাত্তায় দেবে না, উপরন্তু সময় নষ্ট হবে, তাই কিছু বলে নি। তবে এখানে ছোট মামাকে চুপি চুপি বলতেই পারে, ওই টুংবু বাজানো লোকটাকে টাকা দেওয়ার কথা। কিন্তু তার আগেই বড়মামা ঝাঁঝিয়ে ওঠে,-জলদি চলো গ্যাটসো। সব জাগা মে রুকতা কিঁউ? 
গ্যাটসো যে কাজটা করছে তা বড়মামার ভালোলাগার কথা নয়। জুংথুং আসার পর থেকেই একটা ভাড়া গাড়িকে সঙ্গে নিয়ে চলছে। মাঝে মধ্যে গাড়ি থামিয়ে  পিছনে চলে যাচ্ছে। ওইগাড়ির ড্রাইভারের সঙ্গে কোনো বিষয় নিয়ে ফিসফাস করছে অথবা গাড়ির পিছনে গিয়ে ঠিলছে। 
জিজ্ঞাসা করলে বলে, গাড়ির ইঞ্জিনে খারাবি আছে। সাথ চলনা হ্যা সাব। ওপর এক সাথ যানা পরেগা। 
(ক্রমশ)
প্রাইজ ডে
স্বাগতা ভট্টাচার্য্য

গতকাল স্কুল থেকে ফেরার সময় অভিরূপ একটা কার্ড পেয়েছে। সে নিজেও খুব অবাক! এবছর কোনোরকমে সে 80%মার্কস পেয়েছে ।আগামীকাল প্রাইজ ডে।নীলাব্জ,উন্মেষ, শ্রেষ্ঠা, দেবমাল্য পড়াশোনার জন্য 90%এর উপরে নম্বর পাবার জন্য প্রাইজ পাবে।আরো দু চারজন অন্যন্য পারফরমেন্স এর সাথে 85%এর উপরে নম্বর পাবার জন্য পুরস্কার পাবে। প্রতি বছর এই দিনে মা খুব কষ্ট পায় ।কারণ এই স্কুলে ছোট বেলায় অভিরূপ পুরস্কার পেতো।বড় হবার সাথে সাথে সেসব বন্ধ হয়ে গেছে। মা আগে সেজেগুজে প্রাইজ আনতে যেতো এখন আর সেটা হয় না বলে মায়ের কষ্ট হয়।গতকাল যখন ম্যাম শেষে ডাকলেন -অভিরূপ মিত্র থ বনে গেছিলো সে! সে ম্যামকে বলেও ফেলে-আমার তো প্রাইজ পাবার কথা নয় ম্যাম! তোমার মনে হয় ভুল হচ্ছে। মিষ্টি হাসি উপহার দিয়ে শ্রেয়া ম্যাম কার্ডটা এগিয়ে দিয়েছিল। বাবা এবং মা দুজনকেই বলো আগামীকাল আসতে।
যাইহোক এবছর ক্লাস নাইনে একটা প্রাইজ আসবে মা একটু আনন্দ পাবে সেটাই রূপের আনন্দ ।প্রিন্সিপাল স্যার ব্যক্তিগতভাবে বাবা মাকে আসতে বলেছিলেন।অনুষ্টান নির্ধারিত সময়ে শুরু হলো ।উদ্বোধনী গান, বক্তৃতা, নাচ তারপর শুরু হয় প্রাইজ ডিস্ট্রিবিউশন।
পড়াশোনার প্রাইজ ক্লাস অনুযায়ী দেবার পর প্রিন্সিপাল স্যার এসে মাইক নিলেন এবং সমস্ত অভিভাবকদের একটু বসে যেতে অনুরোধ করলেন ।
-আমরা জানি এখন ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনায় মনোযোগ দেবার সময়। নিজেদের কেরিয়ার তৈরীর পথে এগোতে হবে। কিন্ত মানবিক মুখগুলো হারিয়ে গেলে আমরা কাদের নিয়ে এগিয়ে যাবো? আমার এক বন্ধু অধ্যাপক।সে হাভার্ড এ পড়ায় ।বাবা মৃত্যুর আগে বহুবার চাইলেন ছেলেকে দেখতে। কিন্ত ভিডিও কলিং আর স্কাইপ ছাড়া ছেলেকে তিনি দেখতে পান নি। এরকম ঘটনা ঘরে ঘরে আরো হবে। আমরা চাই আমাদের ছাত্র, ছাত্রীদের মধ্যে যেন একটা মানবিক মুখ যেন সযত্নে লালিত হয়। সেই মানবিক মুখ যেন ভবিষ্যৎ জীবনে হারিয়ে না ফেলে এটাই চাইবো। অভিরূপ এমনই একজন মানবিক ভাবী নাগরিক ।জুতোর বাক্স করে ফেলে যাওয়া পুঁচকে বিড়াল ছানাদের বড় যত্নে সে বাঁচিয়েছে, রাস্তার কুকুরগুলোর কোন রকম বিপদ এলেই অভিরূপকে দেখতে পাওয়া যায়, বয়স্ক বৃদ্ধ বা বৃদ্ধা দের রাস্তা পার করে দেওয়া আরো আরো অনেক কাজ নীরবে অভিরূপ করে। ক্লাসে প্রথম হতে না পারলেও অভিরূপের এসব কর্মকাণ্ড খুব নিঃশব্দে ...আমিও অনেক কষ্ট করে জেনেছি... সবাইকে হাততালি দিয়ে অভিবাদন করতে বলবো... অভিরূপ এসো এই সামান্য পুরস্কার নিয়ে আমাকে আরো গর্বিত করো। পড়াশোনাতে আরেকটু মন দাও... আমরা গোটা স্কুল তোমার জন্য গর্বিত ।
অভিরূপ অবাক হতেও ভুলে যায় ।সমস্ত ছাত্র, শিক্ষক, শিক্ষিকা এবং অভিভাবকরা হাততালি দিচ্ছে.. ঝাপসা হয় চোখ, বুকের মধ্যে কেমন যেন কষ্ট দলা পাকায় অভিরূপ দেখে,মা বাবার চোখেও জল আর ওরা খুব জোরে জোরে হাততালি দিচ্ছে ।

নদীর দেশে
 রঞ্জনা বসু


পদ্মা যখন নদীর নাম-ই
সখীর নামও বলতে পারি
বলতে পারি, ওগো নদী
তোমার পাড়েই তার যে বাড়ি। 

জলের নুপুর, অলস দুপুর
কোথায় এখন? হারিয়ে গেছে
বুকের মধ্যে দু:খ নদী
কেমন যেন শূন্য লাগে। 

এপার-ওপার দুই ধারেতেই
ফোটে যে ফুল, রঙ বাতাসে
সুর যেন তার নেয় ভাসিয়ে
 দিন রাত্রির এক আকাশে। 

বাংলা সে তো তোমার আমার
বুকের মধ্যে যখন তখন
এপার যখন কাব্যে ভরা
ওপার জুড়ে একখানি ভোর। 

ভাঙলে কেন সে আদলখানি
খোলামকুচির অবুঝ খেলায়
তার সাথে যে গল্প বাকি
হাজার তারার স্বপ্ন মায়ায়। 

দুই চোখে যার গঙ্গা-পদ্মা
চেনা নামে তাকেই ডাকে, 
এক জীবনের মাটি ছায়া
হৃদয় জুড়ে একই থাকে।
স্বাধীন ভারত
রিয়া মন্ডল
দশম শ্রেণী
জওহর নবোদয় বিদ্যালয়
পশ্চিম মেদিনীপুর

        মোদের ভারত - মোদের দেশ
       সুশৃঙ্খল এক পরিবেশ,
       শত চেষ্টা করার পরও
      পারবে না কেউ করতে শেষ
      
       কত সংগ্ৰাম করার পরে
          ভারত হলো স্বাধীন,
     সেই ভারতের বাসিন্দা আজ
          আর থাকব চিরদিন।
         
       দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন
          নানান শহীদ সংগ্ৰামী,
       আজ তারা আর নেই মোদের   
                      মাঝে
     তবুও হয়ে আছেন ভীষণ দামী
  
     মোদের ভারত-মোদের দেশ
  ‌  যার মধ্যে নেই ভেদ-বিভেদ,
     জাত-পাতটা মানেনা মোটেই
    সব বাধাকেই করবে সে ভেদ।।


স্মরণীয় দিবস
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস 
(৭ই এপ্রিল)
কলমে - দোলনচাঁপা তেওয়ারী দে

ভালো স্বাস্থ্যই সুস্থ ও সচেতন জীবনের চাবিকাঠি, এ কথা আমরা সেই ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি। আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে সাধারণ মানুষের ভালো স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান বাঁধা যেমন দারিদ্র তেমনই অন্য একটি প্রধান বাঁধা স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতার অভাব। 
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO যে আটটি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রচারমূলক কাজ করে থাকে তার মধ্যে অন্যতম হলো বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। 
স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রসার ও সকলকে সুন্দর স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের বিষয়টি সুনিশ্চিত করার জন্য "বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস"টি পালিত হয়ে আসছে।
প্রতিবছর ৭ই এপ্রিল দিনটিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস (World Health Day) পালিত হয়ে আসছে, স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যের সমস্যার নানান দিক নিয়ে আলোচনা করা এই দিনটি পালনের মূল উদ্দেশ্য। W.H.O. এর প্রতিষ্ঠা দিবসেই বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস টি পালিত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস কেন ও কবে থেকে পালিত হয় জানতে হলে আমাদের একটু আগের ইতিহাস জানতে হবে।
১৯৪৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘ অর্থনীতি ও সমাজ পরিষদ আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যক্ষেত্রের সম্মেলন ডাকার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৪৬ সালের জুন ও জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাংগঠনিক আইন গৃহীত হয়। এরপর ৭ই এপ্রিল ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় World health organisation (W.H.O.) প্রত্যেকটি সংস্থার মতো এই সংস্থাটিও একটি উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত হয়েছিল, সেই উদ্দেশ্যটি হল সমগ্ৰ বিশ্বের মানুষের স্বাস্থ্যের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করে তোলা।
যদিও ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় তবুও ১৯৫০ সাল থেকে এটি কার্যকরী হয় এবং তখন থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত হচ্ছে।
বিশ্বের প্রতিটি নাগরিকদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রসার ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি সাধন এই দিনটির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। 
প্রতিবছরের মতোই এ বছরেও বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের একটি বিশেষ থিম আছে। সমগ্র বিশ্ব যখন করোনা সংক্রমনে ধুঁকছে তখন প্রত্যেকটি ব্যক্তির উচিত নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন হওয়া। এই বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালনের থিম হলো এক পক্ষপাতহীন ও সুস্থ বিশ্বের নির্মাণ।



জ্বলদর্চি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন। 👇




পাঠ প্রতিক্রিয়া
( ছোটোবেলা ১২৭ পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী বেথুয়াডহরীর বানীয়া সাহা যা লিখল)

কিছুদিন পরেই আমার প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু। পড়াশোনার চাপ, টেনশন সবকিছুর মধ্যেও মনটাকে রিফ্রেশ রাখা ভীষণ প্রয়োজন। আর "জ্বলদর্চি" এই কাজটা যেন আরও সহজ করে দেয়। আজ সত্যিই যেন "ছোটোবেলা" র এই ১২৭ তম সংখ্যাটি আমায় এক পরম শান্তির ছোঁয়া এনে দিল।
ট্রেনের জানালার ধারে বসে থাকা ছোট্ট মেয়েটার মুখটা বড্ড মায়াময়! ওর চোখ দিয়েই যেন আমি দেখে নিলাম প্রকৃতির ছুটন্ত, গতিশীল রূপকে। ওর হাতের আড়ালে লুকানো হাসিটা মনে করিয়ে দিল আমার শৈশবকে। যখন ছোটোবেলায় ট্রেনে চেপে মামারবাড়ি যেতাম তখন ট্রেনে উঠেই জানলার ধারে বসবো বলে ছটফট করতাম। কখনো কখনো ওই সিটটা পেয়েও যেতাম। ছুটে যাওয়া ঘরবাড়ি, মাঠ, গাছ আর আকাশের গতিময় মেঘগুলোকে দেখার মজা সে কি ভোলা যায় কখনো! শ্রদ্ধেয় চিত্রগ্রাহক ঋপণ আর্যের এই দুর্দান্ত ক্লিক আমার হৃদয়ে একরাশ মুগ্ধতা ছড়িয়ে দিয়ে গেল। ধন্যবাদ জানাই এমন মায়াবী ফটোগ্রাফির সুদক্ষ ফটোগ্রাফারকে।
মনকে ভালো রাখার আরও একটি ওষুধ হলো ভ্রমণ। বাড়িতে বসেই নর্থ সিকিমের পাহাড়ি পরিবেশ, ঝর্ণা, এমনকি টুংবুক এর তালে তালে বেজে ওঠা ওই পাহাড়ি গানের অজানা সুর, 
"রোং কপ সা ফেন-আলোক
বান পয়োক বু লক দিঙ মো।" 
কোথায় যেন ভাসিয়ে নিয়ে গেল আমাকে। মাননীয় লেখক শ্রীকান্ত অধিকারী মহাশয়ের "লাচুঙের নেকড়ে" এই ধারাবাহিক উপন্যাসটিতে বর্ণিত প্রাকৃতিক শোভা চোখের সামনে যেন জীবন্ত হয়ে উঠলো। বিশেষ করে প্রতিটা চরিত্রের নামগুলো আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল গল্পের ছোটো ছোটো অংশ সমূহের দিকে। গল্পের শিঙি চরিত্রটা আমার খুবই ভালো লেগেছে। মাথায় লাল চুল, টুপি পরিহিত লম্বা নাকওয়ালা লোকগুলোকে দেখে ইংরেজ ভাবার বিষয়টি আমার খুব মজার লেগেছে। এর পাশাপাশি গল্পটা পড়ার সূত্রে ইতিহাসের অনেক খুঁটিনাটি তথ্যও জানা হয়ে গেল। কীভাবে বৌদ্ধরা বিভিন্ন দেশে নিজেদের ধর্মকে বাঁচিয়ে রেখেছে এবং কীভাবে ভারতের বাইরেও তাদের পরিধি বিস্তৃত হয়ে আছে সেই সংক্রান্ত তথ্য আমাকে অনেকখানি সমৃদ্ধ করলো। রামসি, ওর দুই মামা, ড্রাইভার গ্যাটসো, শিঙি এদের কথোপকথনের মধ্যে দিয়ে দারুণ উপভোগ করলাম সিকিমের অবর্ণনীয় শোভাকে। পরবর্তী অংশের অপেক্ষায় রইলাম। 
আমরা অনেকই আমাদের জীবনে যখনই কোনো না কোনো বিস্ময়ের সম্মুখীন হই তখনই তাকে হৃদয়ের অ্যালবামে রেখে দিতে চাই সময় অসময়ে স্মৃতিচারণের উদ্দেশ্যে। কারোর আবার কলমেও ফুটে ওঠে সেই বিস্ময়, লেখা হয়ে। কিছুদিন আগে চাঁদের নীচে শুক্র গ্রহের আবির্ভাবের ঘটনাটা যেভাবে সমগ্র বিশ্ববাসীকে তোলপাড় করে তুলেছিল তা সত্যিসত্যিই মনে রাখার মতো। আর এই ঘটনাকে ঘিরেই আস্ত একটা কবিতা লিখে ফেললেন শ্রদ্ধেয় কবি সুব্রত দেব মহাশয়। তার লেখা এই ছোট্ট কবিতা "অপরূপা", খুদে পাঠকের পাশাপাশি বড়োদের মনেও ভালোবাসার জায়গা করে নেবে সেকথা বলাই যায়। অল্প কথাতে, সীমিত শব্দ প্রয়োগে এই বিরল ঘটনাকে কবি যেভাবে উপস্থাপন করেছেন তা আমাকে মুগ্ধ করেছে। কবির এই কবিতা আরেকবার আমার চোখের সামনে ভাসিয়ে তুলল সেই মহাজাগতিক অপরূপ দৃশ্যটিকে। 
সত্যি কথা বলতে আমি সেদিনকে প্রথমে বুঝতেই পারিনি যে চাঁদের নীচের ছোট্ট ফুটকি টা আসলে শুক্র গ্রহ, পরে গুগল থেকে জানতে পারি পুরো বিষয়টা। বর্তমানে প্রযুক্তি আমাদের যেভাবে সবকিছু হাতের মুঠোয় এনে দিচ্ছে তাতে আমরা খুব সহজেই অজানা বিষয়কে বাড়িতে বসেই জেনে নিতে পারছি। কিন্তু ওই যে সবকিছুরই ভালো খারাপ দুইই থাকে! প্রযুক্তি আমাদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করছে ঠিকই কিন্তু এর ডার্ক সাইড যে কতটা ভয়ংকর হতে পারে তা শ্রদ্ধেয়া গল্পকার তপশ্রী পাল মহাশয়ার গল্পটা না পড়লে হয়তো জানতেই পারতাম না। এই বারের সংখ্যায় আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে লেখিকার "গুগুল ম্যাপের চক্করে" গল্পটা। কমপিটিটিভ পরীক্ষার সেন্টার খুঁজতে গিয়ে রায়ানের উবে বুক করা থেকে গুগুল ম্যাপে ভরসা করে সেন্টারে পৌঁছানো, সবকিছুর মধ্যে দিয়ে লেখিকা টেকনোলজির ওপর মানুষের অবাধ বিশ্বাস ও তার পরিণতিকে এত সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন যে আমি সত্যিই অভিভূত। এখানে শুধু প্রযুক্তি সচেতনতাই নয় ছোট্ট শিশু বিশেষ করে মেয়েদের আত্মসুরক্ষার প্রতি সচেতনতাকেও দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি ফুটে উঠেছে সমাজের নির্মম কামপিপাশী চরিত্রের একখণ্ড চিত্র। ভাবলেই খারাপ লাগে যে মেয়েরা এখনো নিরাপদে নেই সমাজে। এমনকি একটা বাচ্চা মেয়েকেও শিকার হতে হয় এমন অসামাজিক নির্মম ঘটনার। হয়তো রায়ান গুগুল ম্যাপে ভরসা করে রাস্তা ভুল করেছিল ঠিকই কিন্তু যদি সে ভুল পথে না এসে পড়তো তাহলে হয়তো মেয়েটার সাথে খারাপ কিছু ঘটে যেতে পারতো। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর রায়ান বাড়ির দিকে চলে যেতেই পারতো কিন্তু লেখিকা তার কলমে রায়ানকে পরিচালিত করে মেয়েটাকে উদ্ধারের দিকে। আর ঠিক এখানেই পাঠক মন পরিতৃপ্ত হয়। যাতে সর্বদা অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের অন্য কারোর সাথে বাইরে পাঠানোর আগে সতর্ক ও সচেতন থাকে সেই বার্তাও দিয়েছেন লেখিকা। গল্পটি আমাকে মুহূর্তের জন্য নির্বাক করে তুলেছিল। এই গল্পটি আমার কাছে অন্যতম সেরা একটি গল্প হয়ে থাকবে। লেখিকার কাছ থেকে এরকম আরও অনেক গল্প উপহার পাওয়ার জন্য আমার অনুরোধ রইলো।
সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে আমাদেরও এগিয়ে যেতে হয় নিজের লক্ষ্যের দিকে। স্কুল থেকে কলেজ, কলেজ থেকে ইউনিভার্সিটি,  সেখান থেকে নিজের নিজের কর্মজীবন..... এভাবেই মানুষ পাতা ওল্টাতে থাকে জীবন অধ্যায়ের, আর প্রতিটা অধ্যায়ে লেগে থাকে স্মৃতির ছাপ। আফরিনের বিদ্যালয় জীবন   কে নিয়ে লেখাটি আমার স্কুল জীবনের কথা মনে করিয়ে দিলো। লেখাটা পড়ার সময় চোখের কোণাটা যে চিকচিক করে উঠছিল তা বেশ অনুভব করছিলাম। সেই ক্লাসরুম, বন্ধুদের সাথে আড্ডা, স্যার মিসদের পড়ানো, বকা খাওয়া সব ঘটনাগুলো এক নিমেষে যেন ঝড় তুলে দিয়ে গেল আমার গোপন চিলেকোঠায়। স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে এখন  আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্কুলের সেই রঙিন দিনেরা এখন বন্দী আমার হৃদয়ের অ্যালবামে। আফরিন, তোমার লেখাটা যে ভীষণ নস্টালজিক করে তুলল আমায়!
অনেক অনেক শুভকামনা রইলো তোমার জন্য। লেখালেখিটা ছেড়ো না যেন! বেশ ভালো লেগেছে তোমার লেখাটা। ভবিষ্যতে তোমার রাইটিং স্কিল টা আরও অনেক বেশি সমৃদ্ধ হয়ে উঠুক এই আশা রাখি। 
মাননীয়া লেখিকা দোলনচাঁপা মহাশয়ার অটিজম দিবস নিয়ে রচিত লেখাটি আমাকে সচেতন হতে শেখালো এই রোগে আক্রান্ত শিশুদের প্রতি। অনেক অজানা তথ্য পেলাম লেখাটি থেকে। শিশু পাঠক সহ বড়োদেরও এই বিষয়ে জানা প্রয়োজন যাতে অটিস্টিক শিশুদের প্রতি সহমর্মিতা, সহযোগিতা, সহানুভূতি প্রভৃতি সামাজিক মূল্যবোধ আমাদের মধ্যে গড়ে ওঠে। অনেক সমৃদ্ধ হয়েছি লেখাটি পড়ে।
শ্রদ্ধেয় লেখক অসীম হালদার মহাশয়ের জ্বলদর্চি র ১২৬তম সংখ্যার পাঠপ্রতিক্রিয়াতেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে পত্রিকাটির জনপ্রিয়তা। লেখকের এই পাঠপ্রতিক্রিয়ার লেখনশৈলী আমার জ্ঞানের প্রকোষ্ঠকে অনেকটা বিকশিত করেছে।
এইবার আসি খুদে শিল্পীদের সৃষ্টি প্রসঙ্গে। প্রথম শ্রেণির বর্ষানির সূর্যমুখীটা আমার খুবই পছন্দ হয়েছে। মনে হচ্ছিল যে খাতা থেকে ফুলটা টুক করে তুলে নিয়ে আমার ফুলদানিতে রেখে দিই। কিন্তু...ফুলটা নিয়ে নিলে যে ছোট্ট বর্ষানির খাতাটা ফাঁকা হয়ে যাবে! কি করা যায়!  উম......বর্ষানি তুমি বরং আমার খাতায় এরকমই একটা মিষ্টি সূর্যমুখী এঁকে দিও, কেমন! দেবে তো?
অন্যদিকে ছোট্ট সোনা আয়ুস্মিতার খাতায় ছোটা ভীম, ঢলু, ভলু, রাজু, চুটকি, জগ্গু, কৃষ্ণা, কালিয়া সবাই দেখছি দারুণ মজা করছে। তোমার নামের মতোই মিষ্টি হয়েছে আঁকাটা। আমার খুব খুব ভালো লেগেছে তোমার ড্রয়িং। 
সুদীপ্তা আদিত্যের ডিজিটালি ড্র করা ধারাবাহিক উপন্যাসটির প্রচ্ছদটি সত্যিই নজরকাড়ার মতো। প্রতিটি জায়গায় আলো ছায়ার ব্যবহার এতটা নিখুঁত যে ছবিটা অনেকবেশি জীবন্ত হয়ে উঠেছে আমার কাছে। গল্পের বিষয় অনুসারে সুদীপ্তার চিত্রভাবনা যথেষ্ট প্রশংসার দাবি রাখে। তোমার এই দক্ষতা ভবিষ্যতে আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠুক এই কামনা করি। 
সবশেষে যাকে ধন্যবাদ না জানালেই নয়, তিনি হলেন পত্রিকার সম্পাদক মৌসুমী দিভাই। তিনি না থাকলে হয়তো নতুন নতুন প্রতিভার প্রকাশ অনেকাংশেই বাধাপ্রাপ্ত হতো। বাধাগ্রস্ত হতো স্কিমার ডেভেলপমেন্ট। এটুকুই বলার যে, এভাবেই সকলকে নিয়ে এগিয়ে চলুক জ্বলদর্চি। উঠে আসুক মৌলিক সৃষ্টি সমূহ।  জন্ম নিক সাহিত্যের এক নতুন প্ল্যাটফর্ম "ছোটোবেলা" র হাত ধরে।

Post a Comment

0 Comments