ছোটোবেলা বিশেষ সংখ্যা ১৩০
সম্পাদকীয়,
আজ বিশ্ব বই দিবস। এ নিয়ে মাতামাতি করার একটাই কারণ, বই আমাদের বন্ধু। দোলনচাঁপা আন্টির লেখা পড়ো বইএর কথা আরো জানতে পারবে। বন্ধুদের জন্মদিনে যেমন তোমরা মজা করো, তেমন এসো বই দিবসে বই পড়ি। বই কিনি। বইএর তূল্য মিত্র নেই। গাছও আমাদের পরম বন্ধু। এই বন্ধু গাছের সঙ্গে ছোট্ট টুংকুরি খেলা করছে। সেই ছবি ঋপণ আঙ্কেল ছোট্যবেলার প্রচ্ছদের জন্য পাঠিয়েছে। শুধু বন্ধু নয় শত্রুকেও চিনতে হবে। টিপুর গল্পে মায়া রাক্ষুসীটা শত্রু অর্থাৎ অরি। হ্যাঁ গো অরি মানে শত্রু। কৌশিক আঙ্কেলের গল্পের টিপু কিন্তু ইতিহাসের টিপু নয়, এ হল তোমাদের বন্ধু টিপু। টিপুর একটা বন্ধু বিড়াল আছে, আর সুমিত্রা পিসি একটা মেনি পুষির ছড়া লিখেছে। তোমাদের আর এক বন্ধু ভানুপ্রিয়া দারুণ একটা কবিতা লিখেছে। শ্রীকান্ত আঙ্কেলের উপন্যাসে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে মেঘের মতো। গল্পে গল্পে লিলির কথা বলেছেন। কে এই লিলি? শত্রু না বন্ধু। পড়লেই জানতে পারবে। জানার এখানেই শেষ নয়। এবারের সংখ্যা রানি আর শ্রেয়ার আঁকায় সেজে উঠেছে। আর নতুন পাঠক বন্ধু রাজীব আঙ্কেলের পাঠ প্রতিক্রিয়া পেয়ে আনন্দ বেড়ে গেল। এসো বই পড়ি আর হয়ে যাই বইবন্ধু। -- মৌসুমী ঘোষ।
ধারাবাহিক উপন্যাস
লাচুঙের নেকড়ে
পর্ব ৯
শ্রীকান্ত অধিকারী
-বলতো হোয়াইট লিলি কোন দেশের প্রতীক?
তখন চারপাশের রোমাঞ্চকর প্রকৃতি ওদের সবাইকে আপ্লুত করে তোলে।-নাঃ ভেবেছিল নিশ্চিতভাবে লাচুঙ ওদের মনোহরণ করে নেবে, কিন্তু এতটা যে অভিভূত করবে ভাবতে পারেনি। ধীরে ধীরে দিনের আলো কমে আসছে। অদূরে পাহাড়ের মাথাগুলো সব কাটা কাটা। সাদা ধূলোর মত মেঘ এসে ঢেকে দিয়েছে। তারি মাঝে এক টুকরো বাসা–হোয়াইট লিলি।ওদের হোমস্টে।
--ছোটমামার কথা শুনে চমকে ওঠে রামসি। কেননা এখনো গাড়ি থেকে মালপত্র সব নামানো হয় নি। তার ওপর হঠাৎই তাপমাত্রার পারদ অনেকটা নেমে যাওয়ায় বুকের ভেতরটা গুর গুর করছে। হাতের আঙুলের ডগাগুলো শিরশির করছে। বয়ছে দাপুটে হিমেল হাওয়া। হাত মোজাগুলো আবার ব্যাগের ভেতরে। যতক্ষণ না পরা হচ্ছে ভেতরের শিরশিরানি কমবে না।
--সাদা শালুক!রামসি বলে। সে তো বাংলাদেশের জাতীয় ফুল।
এই লিলি নিয়ে কত দেশের কত আদিখ্যেতা। ‘লিলি অব দ্যা ভ্যালি’ ফিনল্যান্ড আর উগোস্লেভিয়া। জিম্বাবয়ের জাতীয় ফুল আগুনে লিলি। নীল লিলি শ্রীলঙ্কা এ ছাড়া ইতিহাস বলছে ইথিওপিয়া বা সেন্ট হেলেনা বা আফ্রিকায় বিভিন্ন এলাকায় এই লিলি চাষ শুরু হয়েছে প্রায় তিন হাজার বছর আগে থেকেই। কাজেই বুঝতে পারছিস কেন এই লিলিকে নিয়ে এত দেশ বিদেশে আদিখ্যেতা। আর এখানে এই অঞ্চলে তো আছেই।
কিন্তু ছোটমামা শুনেছিলাম এই পাহাড়ি এলাকার সবচেয়ে বেশি ফুল তো রডোডেনড্রন।
ছোট মামা কি ভাবল। তারপর-
হঠাৎ কখন সন্ধেবেলায়
নামহারা ফুল গন্ধ এলায়,
প্রভাতবেলায় হেলাভরে করে
অরুণ মেঘেরে তুচ্ছ
উদ্ধত যত শাখার শিখরে
রডোডেনড্রনগুচ্ছ।
সন্ধের অন্ধকারে পাহাড়ি উপত্যকায় খোলা আকাশে উচ্চস্বরে আবৃত্তি করে চলল। হয়তো থামত না যদি না শিঙি ছুটে এসে মুখ হা করে দেখায়,--দ্যাখ দাদা, কেমন ধোঁয়া বেরোচ্ছে।
তখনই দুটো লোক এসে ওদের কাছে হাসি মুখে দাঁড়ায়। হিন্দিতে বলে,-আইয়ে মাইজি। ইয়ে আপকা মকান!
মকান! বড় মামি ঝাঁঝিয়ে ওঠে। মকান কাঁহা হে, এ তো ঘর। কাঠকা ঘর। পের কাটকে বানা দিয়ে। চলো দেখি ভেতরে আবার কি রেখেছ তোমরা। কইরে শিঙি এদিকে আয়। আমার হাত ধরে থাকবি। দেখছিস না গোটা কতক ঘর রয়েছে। কোথায় যে নিয়ে আসে এরা, আগে বলল কি সুন্দর সুন্দর হোটেল আছে লাচুঙে। এখন দেখছি এখানে।
রামসির মা এসে বড়মামির হাত ধরে,--ভেতরে চলো বৌদি দেখবে কি সুন্দর সাইট সিন।
ততক্ষণে বড়মামা ওই লোক দুটোর নাম জেনে নিয়েছে। একজন যুবক। তাকেই ডাকে বড় মামা সাঙ্গ ভাই--। ইধার ইধার। ব্যাগগুলো এগিয়ে দেয়। ওদিকে গাড়ি পার্কিং করে গ্যাটসো মালপত্র গোছাতে লেগেছে।
ততক্ষণে গরম জলে হাত মুখ পরিষ্কার করে আরও একটা জ্যাকেট গায়ে দিয়ে বারান্দায় চেয়ারে ছোটমামা বসে পড়েছে। বেশি সময় লাগল না কফি আসতে। ঘরের এক কিশোরী এসে হাজির। এখানে মহিলারাই বেশিরভাগ কাজ করে। বিশেষ করে আতিথেয়তা হলে তো কথায় নয়। কফি মাগের সঙ্গে একটা পেপারও এনেছিলো।টেবিলের ওপর নামিয়ে দিয়ে হেসে দাঁড়ায়।
-পেপার!তা আবার বাংলা? রামসি অবাক। কি অদ্ভুত না?
-অদ্ভূত কী রে! বল আতিথেয়তা। দেখছি এরা ব্যবসাটা ভালই বোঝে।তা না হলে, আজ মানুষ বেড়াতে এসে হোটেল বাদ দিয়ে এই রকম ঘরোয়া পরিবেশ খোঁজে।
আসলে এটা ভিউ পয়েন্টও বটে। এখান থেকে বসে বসেই নিচে অদুরে রাস্তার কাছাকাছি যেখানে কিছু হোটেল রয়েছে অল্প বিস্তর ছবি ফুটে উঠছে। টিমটিম করে লাইট জ্বলছে।ওদের জ্বলছে তবে বেশ জমকালো নয়। কফি হাতে নিয়ে ছোটমামা বলে, আচ্ছা তোংবা পাওয়া যাবে না?
কিশোরীটি হেসে চলে যায়। খানিক্ষণ পরই একটা বুড়ি কাছে আসে। জিজ্ঞেস করে ঘর পছন্দ হয়েছে কিনা। যাওয়ার আগে শুধোয়,-ডিনার কি হবে? ছোটমামা কফিতে চুমুক দিয়ে বলে, ও সে সব…ও ঘরে লোক আছে যাইয়ে।
ডাইনিঙের টেবিলে সাজানো খাবার সব গরম। ভাঁপ ওঠা খাবার! তবে নিজেও নিতে পার আবার ওদের বললে দিয়েও দেবে। অনেক দূর জার্নি করাতে ওরা আর খাবার নেওয়ার আগ্রহ দেখায় না। বাড়ি আরেক জন মহিলা যে কিনা এই সব রান্না বান্না করছে সেই পরিবেশনে এগিয়ে আসে। একে খিদে তার ওপর ঠান্ডা, মনে হয় যেন রাজ্যের খিদে নিয়ে বসেছে। ছোটমামা আর বড় মামা খাবারের দিকে ধ্যান দেয়। ততক্ষণে আরেকটা পরিবার এসে হাজির। বলেছে বটে এখানে এই হোমে আরেকটা দল এসেছে। কিন্তু এই সন্ধে থেকে এতক্ষণ পর্যন্ত তাদের কাউকে বেরোতে দেখা যায় নি। কিন্তু হঠাৎ ওদের থেকে একজনকে খুব চেনা লাগল রামসির। কিন্তু ঠিক বুঝতে পারছিল না কোথায় দেখেছে।
কথাটা বলতেই ছোটমামা প্রায় ধমকের সুরে বলে,জানিস পৃথিবীতে কত মানুষ দেখতে একই রকম। জমজের কথা না হয় ছেড়েই দিলাম। কফিতে বিশাল চুমুক নিয়ে বাইরের বিষ্ময়কর জগতের দিকে চেয়ে বলে, কি জানিস!একই কোম্পানির প্রোডাক্ট কত আর ভ্যারাইটি থাকবে! এক দুটো সেম বেরিয়ে পড়বে। কখনো এমন চেহেরা থাকে যে একবার দেখলেই মনে হয় বড্ড চেনা । কোথায় যেন দেখেছি। কমন ফেস!
-বড়মামি আর রামসির মা তখন বেশ জমিয়ে গল্প জুড়ে দিয়েছে। ওদের গল্পে একটু কান পেতে শুনেই বোঝা গেল ওরা বাঙালি, মানে একবারেই খাঁটি বাঙালি। ফ্রম বাংলাদেশ। জিজ্ঞেস করলে বলে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙা থানার বেলগাছিতে। মা বাবা দুই ছেলে এক বৌমা আর ছোট্ট মেয়ে বিটলে।
-বিটলে! শিঙি ঠোট চেপে হেসেই ফেলে।
হঠাৎ কোত্থেকে ঊ ঊ করে কীসের যেন কান্নার মত আওয়াজ ভেসে আসে।
গ্যাটসো কাছেই ছিল। বলে।– রামকুত্তা।
রামকুত্তা! রামসি অদ্ভুতভাবে প্রশ্নটা করে।–মানে নেকড়ে!
দ্যাটস দ্যা ইন্ডিয়ান ঢোল!
মাঝে মাঝে অবশ্য ইন্ডিয়ান ঢোলও রাস্তায় নেমে আসে। একসঙ্গে ঝাঁক বেঁধে। এমনিতে এরা কিছু করে না, তবে টার্গেট নিলে বাঘ ভালুকের চেয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে।
( ক্রমশ)
শ্রেয়া চক্রবর্তী
একাদশ শ্রেণী, অশোক মেমোরিয়াল পাবলিক স্কুল, ফরিদাবাদ, নিউ দিল্লী
মেনি পুষি
সুমিত্রা ঘোষ
আয় রে মেনি আয় রে মেনি
মজা দেখে যা
খুকুর পুতুল দুধ দুয়েছে
খাবি যদি খা।
কালোবরণ গাই যে খুকুর
হলুদ বর্ণ চোখ
পা যেন তার লোহার মুগুর
দেখতে যেমন হোক।
রানি মণ্ডল
নাওভাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাকাশিপাড়া, নদীয়া, চতুর্থ শ্রেণি
টিপু ও সোনালী পরীর গল্প
কলমেঃ কৌশিক চট্টোপাধ্যায়
টিপুর মন কদিন ধরেই খুব খারাপ৷ মা এর মনেও খুব অশান্তি টিপু বুঝতে পারছে ৷বাবা প্রায় পনেরো দিন হল কর্মস্থল থেকে কোনও ফোন করেনি৷ স্বাভাবিক কারণেই মা এর চিন্তা তো হবেই৷
একে ইস্কুল বন্ধ ৷বন্ধুদের সাথে দেখা নেই ৷বাবা যে কবে ফোন করবে? টিপু আর মা হাঁ করে বসে থাকে৷
আদুরী মানে টিপুর পোষা মেনী বিড়ালটা যে শুধু গায়ে গায়ে থাকত সেও যেন কেমন মনমরা হয়ে থাকে৷ আসলে টিপু জানে বাড়ীর সবার দুঃখ আদুরীও টের পায় ৷বুঝতে পারে ৷ও তাই মনমরা হয়ে ঝিমায় ৷
ঠাম্মা গল্প বলে, টিপুর খুব ভালো লাগে দুপুরটা৷
ঠাম্মা কানে কিচ্ছু শুনতে পায় না ৷
তাই বুঝতে পারে না ছেলে ফোন করেনি অনেকদিন হল ৷মা ঠাম্মাকে বলেছে, বাবা ভালো আছে৷ ঠাম্মা ফোকলা দাঁতে একগাল হেসে টিপুকে গল্প শোনাতে বসে গেছে,—"তার পর দাদুভাই , রাজকুমার তো গভীর জঙ্গলে পথ হারিয়ে ফেলেছে৷ ঘোড়াটাও আর চলতে পারছেনা ৷দুজনেই খিদে আর তেষ্টাতে কাতর৷
রাজকুমার গাছের একটা ডালে উঠে নিজেকে বেঁধে নিল ৷দু চোখে দারুণ ঘুম নামছে৷ গাছের নীচে তো ঘোড়াটা বাঁধা ৷
এদিকে রাত্রে ঐ জঙ্গলে মায়া রাক্ষসী বলে এক রাক্ষসী থাকে৷ সে তো মানুষের গন্ধ পেয়েছে৷ সে বিরাট অজগরের রূপ নিয়ে প্রথমে ঘোড়াটাকে খেয়ে ফেলল ৷রাজপুত্রর তো ঘুম ভেঙে গেছে৷
হঠাৎ মনে এলো সেই প্রসাদী ফুল আর গুপ্তমন্ত্রর কথা ৷ রাজপুত্র সেই মন্ত্র মনে মনে জপছে
" ছুমন্তর গিলি গিলি
আমার কাছে আয়
সোনালী পরী বাঁচাও এসে
বিপদ আমার গায়
আসুক যে ঢাল,অস্ত্র আমার
লড়াই অরির সাথে
ভয় পাইনা আর কিছুতে
জাদু তরোয়াল হাতে৷"
-"ঠাম্মি 'অরি'মানে ?" জিজ্ঞেস করলো টিপু৷
"অরি মানে শত্রু, বুঝলে দাদুভাই "ফোকলা মুখে হেসে ফেললো ঠাম্মা৷
ঠাম্মা আবার গল্প বলতে শুরু করে ৷
"এবার ফুলটা কপালে ঠেকাতেই অন্ধকার জঙ্গল আলোয় ভরে গেল৷ সোনালী ডানার এক পরী হঠাৎ আবির্ভূত হল৷ সারা গা তার সোনায় মোড়া৷ ডানা দুটি ও সোনালী৷ সেই আলোর মধ্যে পরীর হাতে ঢাল আর তরোয়াল ৷
সেই অস্ত্র হাতে নিতেই রাজপুত্রর গায়ে প্রচুর শক্তি আর সাহস চলে এল৷
মায়া রাক্ষসী যেই না তেড়ে এসেছে রাজপুত্র তরোয়াল চালাল ৷মায়া রাক্ষসী রেগে মুখ দিয়ে আগুন বের করছে৷রাজপুত্র তা ঢাল দিয়ে ঠেকিয়ে জোরে তরোয়াল চালাতেই রাক্ষসীর মাথা কাটা গেল ৷রাজপুত্র দেখতে পেল সাদা ঘোড়া ,অজগরের পেট থেকে জলজ্যান্ত বের হয়ে এসেছে৷
রাজপুত্রর কাজ শেষ ৷
অস্ত্রকে প্রণাম করে রাজপুত্র বললো,
'হয়েছে যে কাজ শেষ
অস্ত্ররা সব চলে যাও
সোনালী পরীর দেশ৷'
রাজপুত্র ঘোড়ার পিঠে চেপে সকালে বের হলো ৷যেতে যেতে দেখে বিরাট একটা প্রাসাদ৷আসলে ওটাই মায়া রাক্ষসীর প্রাসাদ৷ সেখানেই বন্দী আছে রাজকন্যা৷ রাজপুত্র তখন গিয়ে সেই রাজকন্যাকে উদ্ধার করলো ৷এবার রাজকন্যাকে নিয়ে দেশে ফিরে এসে সুখে রাজত্ব করতে লাগলো৷
এই গল্প কতবার যে শুনেছে টিপু৷ যতবারই ঠাম্মার কাছে শোনে ততবারই খুব ভালো লাগে৷
টিপু খেয়ে নিয়ে জানলার পাশে বসে থাকে৷ মনে আশা যদি বাবার খবর আসে৷ মা এই সময় রান্নাঘরে থাকে৷ বাসন পরিস্কার করে আরো অনেক কাজ আছে৷
বাবাকে কোনও রাক্ষস বন্ধ করে রাখেনি তো?
টিপুর ক্লান্তি নামে৷
জানলার কাঁচের বাইরে রোদ খেলা করে ৷আকাশে নীল সাদা মেঘের খেলা ৷হলং পাহাড়ের ঠিক মাথার উপর সূর্যিমামা৷
পাইন গাছ গুলো হাওয়ায় মাথা নাড়ায় ৷একটা খরগোশ দেখতে পেলো টিপু ৷লাল চোখে পাটকিলে রঙের খরগোশটা টিপুকে যেন ডাকছে৷
"আয় , বাইরে আয় খেলবি না? " টিপুকে যেন বলতে চাইছে খরগোশটা৷
টিপু চটিটা পায়ে গলিয়ে ভাবলো বাইরে যাবে ৷শীতের দুপুরে রোদ নেমে যায় তাড়াতাড়ি ৷আকাশে দেখা যায় ঘরে ফেরা পাখীর ঝাঁক৷ কিচির মিচির করে বাড়ী ফিরতে থাকে৷
ওদেরও বাড়ীতে বোধহয় মা থাকে ,ঠাম্মি থাকে৷
টিপু দেখেছে আকাশে তারারা একে একে ফুটে ওঠে৷ মনে হয় যেন তারা ঝলমল আকাশটা মাটির কত কাছে নেমে এসেছে৷
টিপু দরজা খুলে আস্তে আস্তে বাইরে বের হল ৷
খরগোশটা একদম মাঠের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে৷ সবুজ মাঠ যেন গালিচা পাতা৷
হঠাৎ গাছটার পেছনে একটা বিদঘুটে লোককে দেখতে পেলো টিপু ৷ গায়ে রঙবেরঙের ঢোলা বেখাপ্পা জামা হাঁটু পর্যন্ত৷ মাথায় একটা টুপি ৷ কালো একটা পায়জামা আর পায়ে সোনালী জুতো৷ টিপু লোকটার দিকে এগিয়ে গেলো৷ লোকটা হঠাৎ হেসে উঠলো আর টিপুকে বললো
"ভালো লাগে না কোথাও ঘুরতে যেতে টিপু? একঘেয়ে বাড়ীর মধ্যে থাকতে ভালো লাগে তোমার?"
টিপু বুঝতে পারে না লোকটা তার নাম জানলো কি ভাবে?
এতো তার মনের কথা৷
লোকটা বললো "আমি ম্যাজিকে সব জেনে নিই৷ মনের কষ্ট ,তোমার মনের কথা সবকিছু!"
বলে দুবার বনবন করে ঘুরে একটা লাঠি বের করে বললো "এটা জাদু লাঠি ৷ঠাম্মার গল্পের মন্ত্রটা বলবে এই লাঠিটা ধরে, তারপর একটা মজার জিনিষ দেখবে ৷"
বলেই লাঠিটা টিপুর হাতে গুঁজে দিয়েই লোকটা ফুস করে যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো ৷
টিপুর অবাক হয়ে দেখলো তার হাতে এখন জাদুলাঠি ৷ সুন্দর আলপনা দেওয়া দেখতে ভারী সুন্দর ছোট্ট লাঠিটা৷
লাঠিটা হাতে নিয়ে ঠাম্মার বলা রাজপুত্রের মন্ত্রটা বলতে লাগলো টিপু৷ এই মন্ত্রতো তার মুখস্থ৷
"ছুমন্তর গিলি গিলি
আমার কাছে আয়
সোনালী পরী বাঁচাও এসে
বিপদ আমার গায়.."
যেই না বলেছে টিপু হঠাৎ যেন একটা ঝড় উঠলো ৷চারদিকে একটা সোনালী আলোয় ভরে গেলো৷ টিপু ভয়ে চোখ বুঁজে ফেলেছিলো ৷
"ভয় নেই, চোখ খোল ৷ আমি এসে গেছি ৷আর চিন্তা নেই ৷ "
টিপু চোখ খুলেই দেখে,
একী!
তার সামনে সোনালী পরী ৷যেরকম গল্প শুনে মনের কল্পনায় ভেবেছিলো ঠিক সেরকমই দেখতে সোনালী পরী৷ সারা গায়ে তার সোনার রঙ৷ ডানা দুটোও সোনার রঙের ৷
সোনালী ডানা দুপাশে নিয়ে পরী তার দিকে তাকিয়ে হাসছে৷
পরী এগিয়ে এসে টিপুর হাত ধরলো ৷
"বাবাকে দেখবে, তাহলে এসো আমার সাথে…"
তারপর যা হলো !
ভয়ে টিপু চোখ বুঁজে ফেললো৷
টিপু দেখলো সে উড়ছে ৷পরী তার হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছে উড়িয়ে৷
টিপু কোনওদিন প্লেন চড়েনি৷ পাইন গাছগুলো ছোট্ট হয়ে যাচ্ছে , পাখীরা গায়ের পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে৷ নিজেদের বাড়ীটাও কত ছোট্ট লাগছে ৷ টিপুর দারুণ আনন্দ হচ্ছে৷
নীল মেঘের উপর দিয়ে টিপু ভাসছে৷ হলং পাহাড়টা টপকে যাচ্ছে ৷
কত মানুষ দেখছে টিপু ৷ কিন্তু টিপু আর সোনালী পরীকে কিন্তু আর কেউ দেখতে পাচ্ছেনা৷
একটা সুন্দর দেশে এলো টিপু , পরীর হাত ধরে৷ সুন্দর ঝর্ণা,ছোটছোট পাহাড় ,সবুজ ক্ষেত ৷ বন টিয়ার দল তাকে দেখছে৷
টিপু এ দেশে নতুন কী না!
তাই অবাক হয়ে সবাই দেখছে টিপুকে৷ একটা ফুটফুটে বাচ্ছা এগিয়ে এসে টিপুর হাতে একটা লাল টুকটুকে ফল দিয়ে বললো, "খাও, ভালো লাগবে ৷তুমি আমাদের এখানে প্রথম এলে …"
টিপু ফলটা মুখে দিলো ৷
অপূর্ব স্বাদ ৷সোনালী পরীও হাসছে৷ টিপু দেখলো সুন্দর প্রজাপতির দল ৷ হঠাৎ পরী বললো
"বাবার জন্য মন খারাপ করছে ? দেখবে বাবাকে?"
পরী বুঝলো কিভাবে টিপুর মনের কথা ?
কদিন থেকেই বাবার জন্য ভীষণ মন খারাপ করছে টিপুর ৷
সোনালী পরী একটা দূরবীনের মত লম্বা যন্ত্র দিলো টিপুর হাতে ৷ টিপু যন্ত্রটাতে চোখ রাখল ৷
ঐ তো বাবা !
সামনে কত কাগজের পাহাড়৷ কাগজগুলো যেন বাবাকে আটকে রেখেছে চেয়ারে ৷বাবা যতবার উঠতে যাচ্ছে ততবার একটা করে কাগজ বাবার হাত ধরে জোর করে বসিয়ে রাখছে৷ বাবা উঠতে চাইছেন কিন্তু পারছেন না …
টিপু চিৎকার করে বললো, "বাবা ,চলে এস ৷আমি নিতে এসেছি ৷তুমি বলো তোমার টিপুকে দেখতে মন কেমন করছে…"
বাবা অসহায়ের মত মাথা তুললেন ৷ টিপু বুঝলো , বাবা ঠিক টিপুর কথা শুনতে পেয়েছেন৷
"বাবা " টিপু চিৎকার করে উঠলো ৷
মা বলে উঠলেন টিপুকে "আর কতক্ষণ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখবি টিপু? বাইরে গিয়ে দেখ কে এসেছে ? সন্ধ্যে হয়ে গেলো৷"
টিপু তাড়াতাড়ি উঠে বসল৷
এ মা !এতক্ষণ সে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখছিলো তাহলে ৷
বাইরে বের হতেই এক বিষ্ময় যেন টিপুর জন্য অপেক্ষা করছিলো৷ বাইরে বাবা ব্যাগটা রেখে সবে জুতোটা খুলছেন ৷
"তোদের কেমন সারপ্রাইজ দিলাম বল৷" বাবার কথা শুনে টিপু একদৌড়ে গিয়ে বাবার কোলে উঠে বাবাকে জড়িয়ে ধরেছে৷
মা বলছে "টিপু ,বাবা পরিশ্রম করে ফিরেছে৷ বাবাকে বিশ্রাম নিতে দাও৷"
ঠাম্মাও বলে উঠলেন ,"ওরে বাবাকে ছাড় এখন৷কতদূর থেকে বাবা এসেছে ৷"
টিপু শুনলে তো৷
বড়রা খুব বোকা হয় ৷একটুও বুদ্ধি নেই মা ঠাম্মাদের ৷
টিপুই তো নিয়ে এলো বাবাকে৷ ভাগ্যিস সোনালী পরী সঙ্গে ছিল৷ বড়রা কেন এত কাজ করে ৷বড়দের মাঝে মাঝে ছোট হওয়ার দরকার৷ ছোটদের সাথে সময় কাটানোর দরকার ৷তা নয়!শুধু কাজ আর কাজ !
ছোটদের কাজ, ইচ্ছেকে কে বড়রা কবে যে গুরুত্ব দেবে ? বড়রা আজও বুঝল না ছোটদের ৷
সমাপ্ত
শুকনা, হাড়হিড়া দুটা হাত
ভানুপ্রিয়া মাহাত
দশম শ্রেণী জওহর নবোদয় বিদ্যালয় পশ্চিম মেদিনীপুর
ধুলাই ভরআ হাত
শুকনা, হাড়হিড়া দুটআ হাত।
জন হাত ছুটরলে আইজ তক
মিটাইঞছে পেটের ভক,
মিটাইঞছে হামার আইতন
ভুলাইঞছে কাঁইদেছি যখন।
জুটাইঞছে ঘরের ভাত
দুটআ হাড়হিড়া, শুকনা হাত।
হাত দুটআ মাগে নাই, নিজের লাইনে কিছু
শুধু ঢাইলে ঢাইলে দিঞয়ে গেছে,
পাইরেছে যতটুকু।
করে নাই কামহাই একটাও কাজ
নিজের দায়িত্বরলে,
জীবন নিজের লুটাইঞ দিঞয়েছে
ছানার ভবিষ্যতে।
শক্তাই শুকনা হাতটা ধরেইঞ
পাইরাইঞছিলি চিনহাপ-এর দেশ ছাইড়ে
ঢুকয়েছিলি অচিনাহাপ-এর একগাদা লকের ভিড়ে।
ওই শুকনা হাতেই শিখাইঞছে
স্বপ্নের লাইগে দমকা খাঁতা
ওই হাড়হিড়া হাতেই পাইঞয়েছি
দমেএ দমেএ ভালবাসা।
জ্বলদর্চি অ্যাপ ডাউনলোড করে নিন।👇
স্মরণীয় দিবস
বিশ্ব বই দিবস
(২৩ শে এপ্রিল)
কলমে-দোলনচাঁপা তেওয়ারী দে
একটি ভালো বই মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে আসার একটি সুন্দর মাধ্যম। সারা বিশ্বে আজকের দিন অর্থাৎ ২৩শেএপ্রিল দিনটিকে "বিশ্ব বই দিবস" পালন করা হয়, কারণ প্রত্যেকের জীবনে কোনো না কোনো ভাবে বইয়ের একটা গুরুত্ব আছে।
যদিও বই দিবস যুক্তরাজ্যে ও আয়ারল্যান্ডে মার্চ মাসে পালিত হয়।
সর্ব প্রথম ইউনেস্কো ১৯৯৫ সালে বই দিবসের উদযাপন করে, এরপর থেকে বিশ্বের প্রতিটি দেশে ২৩শেএপ্রিল দিনটিতে বই দিবস পালিত হয়ে আসছে।
পাঠ, প্রকাশনা ও কপিরাইটের প্রচারে জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা এই রকম একটি দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রত্যেক দিবস পালনের পেছনে একটা উদ্দেশ্য থাকে বই দিবসেরও একটা উদ্দেশ্য আছে, তা হল-প্রত্যেক মানুষের মধ্যে বই পড়ার অভ্যেস গড়ে তোলা, বইয়ের কপিরাইট সংরক্ষণ ও বইয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষকে আরো সচেতন করে তোলা।
"বিশ্ব বই দিবসে"র মূল ধারণাটি আসে স্পেনের লেখক ভীসেন্ত ক্লাভেল আন্দ্রেসের কাছ থেকে, তিনি ছিলেন বিখ্যাত লেখক মিগেল দে থেরভান্তেসের ভাব শিষ্য। প্রিয় লেখক মিগেল দে থেরভান্তেসের মৃত্যু দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৯২৩ সালে স্পেনে বিশ্ব দিবস টি পালন করা শুরু করেন।
এই ২৩ শে এপ্রিল দিনটিতে লেখক মিগেল দে ছাড়াও অন্যান্য প্রখ্যাত কবি লেখক যেমন ইংরেজ লেখক উইলিয়াম শেক্সপিয়র ও বাংলার সত্যজিৎ রায় এঁদের জন্ম ও মৃত্যু দিবস হওয়ায় ইউনেস্কো এই দিনটিকেই "বিশ্ব বই দিবস" হিসেবে বেছে নেয়।
বিশ্ব বই দিবসের এই দিনটিতে জলদর্চি র ছোট বন্ধুরা বই পড়ে কিছু সময় নিজেদের মতো করে কাটাতেই পারো। শুধু তাই নয়, অন্যকে বই পড়ার উৎসাহিতও করতে পারো এবং কাছের বন্ধুদের বই উপহার হিসেবেও দেওয়া যেতে পারে।
পাঠপ্রতিক্রিয়া
(ছোটোবেলা ১২৯ পড়ে রাজীব তন্তুবায় যা লিখলেন)
কোনো কিছু পাঠ করলে অন্তরে একটা বিশেষ ভাব তথা প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ঘটনা হলো সেই প্রতিক্রিয়াকে কতটা ঠিকঠাক ভাষায় প্রকাশ করা গেল — বিশেষতঃ তা যদি চরম আনন্দ প্রদান করে মনের মধ্যে অনন্য অনুভূতির উদ্রেক ঘটায়। আনন্দ এমনি এক বিষয় যা অন্যের সাথে ভাগ করে নিলে দ্বিগুণ হয়ে যায়। "জ্বলদর্চি"-র ছোটোবেলা বিশেষ সংখ্যা ১২৯ পাঠ করে এমনি এক আনন্দময় অনুভূতি মনের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি করছে যা সত্যি সত্যি ভাষায় বর্ণনা করা দুরূহ। ছোট ছোট বন্ধুদের সাথে সেই আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ কি হাতছাড়া করা যায়?
প্রথমেই আসি প্রচ্ছদের কথায়। একটা বাচ্চা ছেলে গভীর মনোযোগ সহকারে বইয়ের দোকানে বই দেখছে, মুখে তার প্রশান্তির হাসি। মন ভালো করে দেওয়ার মতো ছবি। আজকের দিনে যেখানে সোশ্যাল মিডিয়া, ইন্টারনেট গেমস মানুষের বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের মনঃসংযোগ যেভাবে আকর্ষণ করছে, সেখানে বইয়ের প্রতি এমন দরদী আকর্ষণ আমাদের নতুন করে পুলক জাগায় বইকি। নতুন প্রজন্মের কাছে এ এক অনুপ্রেরণা। সেক্ষেত্রে চিত্রগ্রাহক মৃণাল ঘোষ ধন্যবাদের দাবিদার। সম্পাদকের নির্বাচন যথাযথ।
গল্পকার শ্রীকান্ত অধিকারী বর্তমান সাহিত্য জগতে এক পরিচিত নাম। বিভিন্নভাবে তার লেখা অনেক গল্প পড়ার সুযোগ হলেও উপন্যাস এই প্রথম। "লাচুঙের নেকড়ে" ধারাবাহিক ভাবে অষ্টম পর্ব টানটান উত্তেজনার সাথে টেনে নিয়ে চলেছেন। সিকিম ভ্রমণকে কেন্দ্র করে যেভাবে গল্পকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন, তা শুধুমাত্র শিশু-কিশোরদেরই নয় সমঝদার পাঠকের কাছেও উপভোগ্য। শুধু বর্ণনা নয়, সঙ্গে রয়েছে নানান তথ্য। কাছ থেকে দেখা নিজস্ব ভ্রমণ অভিজ্ঞতা ও রিতিমত পড়াশোনা ছাড়া এইরকম একটি উপন্যাস উপহার দেওয়া কল্পনাতীত। আশাকরি আসন্ন পর্বেও লেখক পাঠকের প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হবেন।
জ্বলদর্চি পত্রিকা যে শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠিত, সুনামধন্য লেখক লেখিকাদের দিয়েই পত্রিকার ডালি সাজান তা কিন্তু নয়, বহু আনকোরা কচিকাঁচাদের নিয়েও লিখিয়ে নেয় সাবলীল ভাবে। অস্মিতা ঘোষের "অদ্ভুত ফুল" গল্পটি পড়লেই তা বোঝা যায়। একটা চতুর্থ শ্রেণির মেয়ের ফুল নিয়ে এমন এক কল্পবিজ্ঞানের গল্প সত্যিই মন ছুঁয়ে যায়। মানুষ যে পৃথিবীর কত ক্ষতি করছে, তা নিয়ে প্রকৃতি যে কত রুষ্ট, এইরকম প্রকৃতি চেতনা অল্প কথায় খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছে অস্মিতা। ভবিষ্যতে তার কলম আরও পরিপক্ক হয়ে উঠবে তা নির্দ্বিধায় আশা করা যায়।
গৌতম বাড়ই এর "সবুজ কিশোর" ছড়াটিও বেশ সুখপাঠ্য। কিশোর মনস্তাত্ত্বিক দিকটকে খুব সুন্দর করে ছন্দে গেঁথেছেন। তবে আরও দু'চারটে ছড়া থাকলে খুব ভালো হতো। হয়তো ভবিষ্যতে সেই আবদার পূরণ হবে।
মানসী গাঙ্গুলীর "এর নামও ভালোবাসা" একটি মিষ্টি মধুর ছোটোগল্প। দীপেন ও পাপিয়া, দুই ভাই-বোনের দুষ্টুমি জনিত ভালোবাসা সেই ছোটবেলা থেকে বৃদ্ধকাল অব্দি খুব সুন্দরভাবে চিত্রায়িত হয়েছে গল্পটিতে।
স্মরণীয় বিভাগে দোলনচাঁপা তেওয়ারি দের "আন্তর্জাতিক স্পেস ফ্লাইট ডে (১২ই এপ্রিল)" রচনাটি পত্রিকার একটি বিশেষ সংযোজন। মানুষের তো অজানার শেষ নেই। এইরকম ছোটো ছোটো সংযোজন এবং সুচারু বিশ্লেষণ পাঠক-পাঠিকার জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত করে। বিশেষ করে বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের। আগামীতে এইরকম আরও আরও তথ্যসমৃদ্ধ রচনা আশা করছি।
অনুষ্কা মিত্র, রাণি মন্ডল ও সৌনকশৌর্য দাসের আঁকা প্রতিটি ছবিই দৃষ্টিনন্দন যা পত্রিকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। সবমিলিয়ে জমজমাট একটি সংখ্যা উপহার দিয়েছেন সম্পাদিকা মৌসুমী ঘোষ। পত্রিকার উত্তরোত্তর সাফল্য ও শ্রীবৃদ্ধি কামনা করি।
0 Comments