জ্বলদর্চি

কবিতাগুচ্ছ ৫ /অমিতাভ সরকার

কবিতাগুচ্ছ ৫
অমিতাভ সরকার 


মনের আনন্দে জীবনের ছবি আঁকছিলাম।
সাবধানে টানতে গিয়ে লাইনটা হঠাৎ বেঁকে গেল।
আমি ইচ্ছে করে হাত সরাইনি।

কবেকার সেই কারণ,
এখনও কিছু হলে দোষের ভাগীদার সেই আমিই। 


যখন বাড়ি ছিলাম, তখন বাবা রোজই মাছ কিনত, খেতে সবসময় যে খুবই ভালো লাগলো, এমনটা  নয়। 

এখন বাইরে থাকি, একদিন বাজার করি, সেটাই সারা সপ্তাহ ধরে খাই।

ফ্রিজের মাছ দু-এক দিন পরে আর স্বাদ লাগে না।

মনের ঋতু পরিবর্তনে সময়ের এত জলের অভাব!

জ্বলদর্চি অ্যাপ ডাউনলোড করে নিন।👇


কিছু কষ্ট নিজের কাছেই রাখার। এর কোনো শেষ বলে কিছু হয় না, এ বিষয় নিয়ে কিছু বলারও থাকে না। এ দুঃখ অন্তহীন। 


দিনটার পাঁচ বছর পরে আজও তাঁর কথা ভাবলে 
বুকটা সেই খালিই লাগে।


আপনি বৌদিকে ভয় পান!

মুখ আর মুঠো দুটোই বন্ধ রাখুন।

না বললে আগেভাগে যেমন দরজা খুলতে যাবেন না, 
তেমনি বারবার ডাকলে সাড়া না দিয়ে একদমই কিন্তু বসে থাকবেন না।

যদি একবার ব্যাপারটা জানাজানি হয়, স্মৃতির অনেক পরেও আপনার নামে মানুষ সাহিত্য রচনা করে চলবে।

মনে রাখবেন প্রযুক্তির এই এফ এর যুগেও কিন্তু রেডিওর দুপুরের অনুরোধের আসর কিন্তু আজও তেমনি জনপ্রিয়।


তিন ঘরে তিনটে ফ্যান চলছে।
একটায় আবার কেউ নেই। 
মিটার উঠছে হু হু করে।

মাঠ বিক্রির মেহগনি হাওয়ায় 
মনের দৈনিক গাছকাটা

কিন্তু আসল দোষটাই আসলে নিখোঁজ।


সময় দাঁড়িয়ে দাম বাড়ায়। 

জীবনের আস্তকাল গীতবিতানের কিশলয় ছায়ায় পেরিয়ে এ বয়সে এসে এ সি র গরমে গরীব হওয়া খুব কষ্টের।

Post a Comment

0 Comments