জ্বলদর্চি

বাচিক শিল্পের প্রচার প্রসারে দায়বদ্ধ মেদিনীপুরের 'বাচিক'

বাচিক শিল্পের প্রচার প্রসারে দায়বদ্ধ মেদিনীপুরের 'বাচিক'


কবিতা কিংবা শ্রুতি নাটক কিংবা কোনও অনুষ্ঠানের সূত্রধরের কাজ শ্রোতাদের কাছে শ্রুতিমধুর ও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে বাচিকশিল্পীর বাচনভঙ্গিতে। তার জন্য চাই নিয়মিত সঠিক উচ্চারণের অনুশীলন, সাধনা। সেই কাজটাই একান্ত নিষ্ঠার সঙ্গে করে চলেছে মেদিনীপুরের 'বাচিক', যার কর্ণধার হলেন স্বনামধন্য বাচিকশিল্পী স্বাগতা পাণ্ডে।
রবিবার (৩০ মে,  ২০২৩) 'বাচিক'-এর বার্ষিক অনুষ্ঠান হল। ২০০৯ সালে এই প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়েছিল। এদিন অনুষ্ঠানে কৃতী ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কবি ও ছড়াকার দেবব্রত দত্ত। 

মহামারীর সময় যখন ডাক্তারের জন্য সাধারণ মানুষের হাহাকার চলছিল তখন প্রাণের মায়া ত্যাগ করে যে কয়েকজন ডাক্তার মানুষের মাঝে ভগবানের মতো নেমে এসেছিলেন, মেদিনীপুর শহরে  তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ডাঃ প্রবোধ পঞ্চাধ্যায়ী। এ বছর বাচিক-এর পক্ষ থেকে তাঁকে 'কোভিড যোদ্ধা' সম্মানে সম্মানিত করা হল। বিশেষ সম্মাননা জানানো হয় শহরের পুরপিতা  সৌমেন খান মহাশয়কে। এছাড়াও সম্মাননা জানানো হয় প্রাবন্ধিক, শিক্ষক বিবেকানন্দ চক্রবর্তী ও রাজ্য উপস্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ রবীন্দ্রনাথ প্রধানকে। কবি দেবব্রত দত্ত ও ডাক্তার প্রবোধ পঞ্চাধ্যায়ীর হাতে সংস্থার ছাত্রী, চিত্রশিল্পী সোমা রায় উপহার হিসাবে তুলে দেন  তাঁর হাতে আঁকা উনাদের প্রতিকৃতি।
এই বছরের অনুষ্ঠানেরর অন্যতম আকর্ষণ ছিল বাচিক কর্ণধার স্বাগতা পাণ্ডের সিডি উদ্বোধন। 'ইচ্ছে ছিল' নামে এই সিডিতে বিশিষ্ট কবি শুভ দাসগুপ্তের একটি কবিতা ও স্বাগতা পাণ্ডের নিজের লেখা তিনটি কবিতা আছে। উল্লেখ্য,  এখনও পর্যন্ত স্বাগতা পাণ্ডের মোট ১২ টি সিডি রিলিজ হয়েছে। প্রতিটি সিডিই কলকাতার নামী স্টুডিওতে রেকর্ডিং করা। কখনও ঐক্যতান স্টুডিও থেকে কল্যাণ সেন বরাটের পরিচালনাতে, কখনও ধুন স্টুডিও থেকে শুভ দাসগুপ্তর পরিচালনাতে রেকর্ড করা হয়েছে। নবতম সিডি :ইচ্ছে ছিল...' ধুন স্টুডিও থেকে শুভ দাসগুপ্ত মহাশয়ের পরিচালনাতে রেকর্ড করা।

অনুষ্ঠানে বাচিক-এর শিক্ষার্থীরা পরিবেশন করেন কবিতা, নাচ ও গান। এছাড়া ছিল বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী দেবারতি মুখার্জির নৃত্য। অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী অর্ণব সেন এর গান। অনুষ্ঠানেরর আবহ সঙ্গীত রচনা করেন সুনন্দন ভট্টাচার্য ও সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মৈথিলী ঘোষ।  

অনুষ্ঠান শেষে স্বাগতা পাণ্ডে জানান, " বর্তমান অনেক তরুণ তরুণী বাচিকশিল্পে আগ্রহ দেখাচ্ছেন, এই শিল্পকে পেশা হিসাবেও বেছে নিচ্ছেন। এটাই আমাদের সফলতা। আমাদেরও দায়িত্ব বাড়ছে ক্রমশ।" 
------------------------------------------------------
জ্বলদর্চি অ্যাপ ডাউনলোড করে নিন।👇

Post a Comment

0 Comments