শ্যামলশুভা ভঞ্জ পণ্ডিত ও তুলসীদাস মাইতি-র কবিতা
ভাষাজন্ম
শ্যামলশুভা ভঞ্জ পণ্ডিত
আশ্চর্য সকালে অলৌকিক এক
চরাচর জেগে ওঠে। কুয়াশার মতো
কিছু পূর্বস্মৃতি বিরহবেদনা
নাকি মাতৃগর্ভটান। বুঝি না তো !
অমৃতের সন্তান এই মানব শরীর
তবু এত হলাহল! এত দ্বম্ভ এত লোভ
এত হাহাকার ! এত মিথ্যাচার!
অস্পষ্ট কুয়াশা বেয়ে ভেসে চলে
এ ভরা গাঙ, বিল, চরটুকু মেখে
ধু ধু বালিয়াড়ি। আধোরাত জুড়ে
শস্যগন্ধি মাঠ - কথা বলে আধোস্বরে
মাতৃস্তন্য যেন অমৃতকথন
'ফিরে এসো একবার ফিরে এসো'
শেষবার । বাঁচো ভাষাজন্ম নিয়ে।
চাঁদ ও গণিত
তুলসীদাস মাইতি
জোৎস্না রাতে ছাদে দাঁড়িয়ে ছেলেকে জিজ্ঞেস করেছিলাম-চাঁদ কিভাবে আকাশে ভাসে?
শব্দ না করে কিভাবে সে আলো দিয়ে যায়?
তার উত্তরহীন উত্তরে ছিল এক নিবিড় হাসি।
অপেক্ষার টানাপোড়েনে থেকেছি আরো কিছুকাল।
আর ব্যকরণ ও পুরাণ পড়ে জেনেছি পূর্ণচন্দ্র কখনো রাকা, কখনো বা এক কলাহীন অনুমতি-
এই জানা দিয়ে চাঁদ চেনা যায়, কিন্তু চলাফেরা বোঝা যায় না।
বছরকয়েক গভীর গণিত কষে ছেলে আজ বহুবিধ তত্ত্বের কথা বলে।
চাঁদের ঘোরাফেরার সাথে তার এখন মস্তিষ্কের যোগ।
আমাকে অপেক্ষায় রেখে সে আর কত আঁকবে আকাশের চাঁদ?
আরো শান্ত স্থির হয়ে এখনও সে হাসে।
মুখে চাঁদের ছায়া। মাথায় চাঁদের জ্যামিতি।
🍁
বাড়িতে বসেই রেজি.ডাক মাধ্যমে জ্বলদর্চির বিশেষ সংখ্যাগুলো সংগ্রহ করতে পারেন। যোগাযোগ হোয়াটসঅ্যাপ - ৯৭৩২৫৩৪৪৮৪
0 Comments