জ্বলদর্চি

অবসাদের উৎসমুখে /পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

অবসাদের উৎসমুখে
পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

১.
তোমায় আমি শুইয়ে দিলাম
টাকাকড়ির খাটে।
বিনিময়ে আমায় দিলে হাসি।
যেমনটা হয় রাধার কাছে
কৃষ্ণ-পোড়া-বাঁশি।
এসব দেখে অনুভূতি
হঠাৎ আচম্বিতে।
সকলই এক, কেবল চরিত্ররা
প্রকৃতিতে উল্টে গেছে,
হাঁটছে বিপরীতে।

২.
আমি তোমাকে সাথে নিই
নাকি তোমার সঙ্গে যাই।
এ বিবৃতি নিয়ে
বিশেষ ভাবার সময় নাই।
ব্যস্ততাতে ভরিয়ে ফেলে
ভাবনা ভাবার দাবি।
কোথায় যেন হারিয়ে গেছে
তলিয়ে দেখার চাবি।

৩.
রামের জন্য অযোধ্যা
না অযোধ্যা চায়, রাম।
এ কথা তো গোপন সুখে
কতই না খুঁজলাম!
শেষে মনের দশরথ,
সে বলল মনে মনে।
এই কারণেই রাম গেছিল
চোদ্দ বছর বনে।

৪.
এস আজকে সকালবেলা ভাবি।
কেমন করে পাড় পেয়েছি
জীবন জুড়ে তোমায় মিথ্যা বলে।
উল্টে তুমি কেমন ভাবে
আমায় বেবাক ঠকালে-
এমন করো দাবি।

দোষ দিচ্ছি কাকে?
মানুষ যারা এই বেনিয়ম
জীবন চলার রসদ বলে ডাকে।

৫.
আমার কাছে যেটা দাবি-দাওয়া।
তোমার কাছে সেটাই সহজপাঠ।
এ কারণেই আমার জীবন পোড়ে।
তোমার জীবন দাঁড় ভাঙে সপাট।
তবুও আমি এই বুঝেছি শেষে।
বিখ্যাত যায় কেন নিরুদ্দেশে।

৬.
কানাগলিতে এক বেচারা কানা।
উড়িয়ে মনের সবকটা দোটানা।
ল্যাংটো হয়ে বাটপারদের বলে।
আয় দেখে যা জীবন কেমন চলে।
বাটপারদের ভিন্ন উৎসমুখ।
তাদের কথা, যার যেখানে সুখ।
কানার জবাব, করোর দৃষ্টিপাতে।।
চোখ পুড়ে যায় বুঝবি হাতেনাতে।

মানুষ বলল, তবেই এ বুঝুন।
কোথাও কেন নেভেই না আগুন।

৭.
পানি থেকে কল পড়ে?
নাকি কল থেকে পড়ে পানি?
এই নিয়ে দুই কবিতে
করে শুধু কানাকানি।

কবিতা লেখার পণ্ডিতে,
ও দুই কবিকে দণ্ডিতে,
দ্রৌপদীর ছেঁড়া কাপড়কে নিয়ে
করে শুধু টানাটানি।

৮.
আমি খাচ্ছি ছোলাসিদ্ধ
তুমি খাচ্ছ মাংস।
তবুও তোমার খুশি
আমার একের দশমাংশ।
সার বুঝলে খোকা?
তুমি একটা বোকা।
প্রাপ্তিসুখটা এমন ভাবেই মরছে। অধিকাংশ।
জ্বলদর্চি অ্যাপ ডাউনলোড করে নিন।👇



Post a Comment

1 Comments