জঙ্গলমহলের জীবন ও প্রকৃতি
পর্ব - ৭৮
বগড়ি রাজবংশ ও বাংলার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন
সূর্যকান্ত মাহাতো
গড়বেতার 'গনগনি'। একে 'বাংলার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন' বলে আনন্দবাজার পত্রিকাও উল্লেখ করেছেন(১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২)। আমেরিকার 'অ্যরাইজোনা'-য় যেমন 'কলোরাডো' নদীর জলে ক্ষয়ীভূত হয়ে এক আশ্চর্য ভূমিরূপ 'গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন' গড়ে উঠেছে। ঠিক সেভাবেই গড়বেতার 'গনগনি'-র মাঠও 'শিলাবতী' নদীর জলে ক্ষয়ীভূত হয়ে এক অত্যাশ্চর্য লাল ও গেরুয়া রঙের ভূমিরূপ গড়ে উঠেছে। যাকে 'বাংলার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন' বলে মনে করা হয়। এই 'গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন' গনগনিকে কেউ বলেন গনগনির মাঠ, কেউ কেউ বলেন গনগনির ডাঙা, আবার কেউ বলেন গনগনির খুল্যা(খাল বা গর্ত)।
আশ্চর্য সুন্দর এই ভূমিরূপ কেবল ভৌগোলিক দিক থেকেই অত্যাশ্চর্য নয়, পুরাণ ও ইতিহাসেও যেন মাখামাখি। বিনয় ঘোষ কি আর এমনি এমনি বলেছেন, "গনগনির মাঠ মেদিনীপুরের অনেক অলিখিত উপন্যাসের নায়ক। কিংবদন্তির অন্ত নেই।... অনেক লোককথা, লোকগাথা ও লোককল্পনার প্রধান নায়ক এই ঐতিহাসিক গনগনির মাঠ।"(পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি, দ্বিতীয় খন্ড, পৃষ্ঠা- ৩৩) এইসব কিংবদন্তির মধ্যে মহাভারতের প্রচলিত একটি পৌরাণিক কাহিনীই সব থেকে বেশি জনপ্রিয়। কাহিনীটি হল, মহাভারতে উল্লেখিত 'বক' রাক্ষসের সঙ্গে ভীমের যে বিপুল যুদ্ধ হয়েছিল তা নাকি এই মাঠেই ঘটেছিল। এবং বকের পঞ্চত্বপ্রাপ্তিও এখানেই হয়েছিল। এমনকি বহু বছর আগে ওই স্থান থেকে সাদা অস্থির মতো কিছু পদার্থ পাওয়া গেছিল। অনেকেরই ধারণা সেগুলো নাকি 'বক' রাক্ষসের হাড়গোড় ছিল। (মেদিনীপুরের ইতিহাস/যোগেশচন্দ্র বসু, পৃষ্ঠা- ৬৫) কিন্তু আসলেই কি এমন কিছু পাওয়া গিয়েছিল? বোধহয় না। কারণ যে পদার্থ বা বস্তুগুলো পাওয়া গিয়েছিল সে সম্পর্কে লেখক 'যোগেশচন্দ্র বসু' বলেছেন, "ঐ বস্তুগুলোর সঙ্গে বক রাক্ষস কেন কোন প্রানীরই কিছু সম্বন্ধ নেই।"(মেদিনীপুরের ইতিহাস, পৃষ্ঠা- ৬৫)
এখন প্রশ্ন হল যোগেশবাবু কিসের ভিত্তিতে নিশ্চিত হয়ে বলেছেন যে, ওগুলো কোন হাড়গোড় ছিল না? ওগুলো যে হাড়গোড় ছিল না, সেকথা এতটা জোর দিয়ে বলার কারন হল, রাসায়নিক পরীক্ষার দ্বারা নাকি জানা গেছিল যে সেগুলো আসলে অস্মিভূত বৃক্ষকান্ড(Fossilized wood) ছাড়া আর কিছুই ছিল না।(মেদিনীপুরের ইতিহাস, পৃষ্ঠা- ৬৫)
তবে এই জনশ্রুতি গড়ে ওঠার পিছনে বরং উনি অন্য একটা কারনের কথা উল্লেখ করেছেন। আসলে গনগনির এই মাঠ 'বগড়ি' রাজ্য বা পরগণার অন্তর্ভুক্ত। আর এই 'বগড়ি' নামকরণটি 'বকদ্বীপ' বা 'বকডিহি' থেকে এসেছে বলে মনে করা হয়।(পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি/ বিনয় ঘোষ, পৃষ্ঠা- ৩৪) আবার 'বাগদি'(জাতি বিশেষ) শব্দটাও নাকি ওই 'বকডিহি' শব্দ থেকেই এসেছে। 'যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি'ও তাই মনে করেন। তিনি বলেছেন, 'বকডিহি' থেকে 'বগ-ডি' এবং 'বগ-ডি' থেকে 'বাগদী' কথার উৎপত্তি ঘটেছে।(পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি, পৃষ্ঠা- ৩৪) গনগনির পাশে একাধিক গ্রামে বাগদিদের বসবাস বেশ ভালোরকমের দেখা যায়। যোগেশবাবুর মতে 'বক' রাক্ষস বলে অনার্য বাগদিদের কোন এক রাজা থাকলেও থাকতে পারেন, যাকে আর্যরা হারিয়েছিলেন। কারণ আর্যরা তো অনার্যদেরকে 'রাক্ষস' বা 'অসুর' নামেও ডাকতেন। (মেদিনীপুরের ইতিহাস, পৃষ্ঠা- ৬৬) তবে এমন অনুমানের কোন ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই। তাই পৌরাণিক মতকে আমরা অত বেশি গুরুত্ব দেব না। তারচেয়ে বরং এর ঐতিহাসিক দিকটি অনেক বেশি উজ্জ্বল তথ্য ও প্রমাণে।
গনগনির মাঠ আসলে বরাবরই এক যুদ্ধক্ষেত্র। কি পৌরাণিক কালে। কি ঐতিহাসিক কালে। পৌরাণিক কালে বকাসুর ও ভীমসেনের যুদ্ধের কথা ছেড়ে দিলে পড়ে রইল এর ঐতিহাসিক রণক্ষেত্রের চেহারাটা। ইংরেজদের বিরুদ্ধে 'বগড়ি'-র রাজা ছত্র সিংহের আমলে গর্জে উঠেছিল এখানকার নায়েকরা। যা 'বগড়ির নায়েক বিদ্রোহ' নামে পরিচিত(মেদিনীপুরের স্বাধীনতা সংগ্রাম/বসন্ত কুমার দাস, পৃষ্ঠা- ৫৪) বগড়ি রাজ সরকারের অধীনে কর্মরত এক সৈনিক নাম 'অচল সিংহ' এই বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। অস্ত্র বলতে তীর, ধনুক, বর্শা ও তরবারি ছিল তাদের একমাত্র হাতিয়ার। ইংরেজদের গুলি ও বন্ধুকের কাছে তাদের লড়াই করার মূল কৌশল ছিল তাই 'গেরিলা যুদ্ধ'। বিদ্রোহীরা জঙ্গলে আত্মগোপন করে থাকতেন। তারপর অতর্কিতে ব্রিটিশদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তেন। এটাই ছিল তাদের রণ কৌশল। আজকের গনগনিতে কোন শাল জঙ্গল প্রায় দেখাই যায় না। কেবল কাজুবাদামের একটি ছোট জঙ্গল এখন বর্তমান আছে। অথচ আগে এখানে নাকি বিশাল বড় শাল জঙ্গল ছিল। বিদ্রোহী নায়েকরা এই জঙ্গলেই আত্মগোপন করে থাকতেন। বিদ্রোহ প্রবলভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে 'ও'কেলি' নামক এক ইংরেজ সেনাপতির নেতৃত্বে একদিন ব্রিটিশরা প্রবল গোলাবর্ষনে সেই বনভূমিকে একেবারে পুড়িয়ে বিধ্বস্ত করে দিয়েছিল। তবে সেই যুদ্ধে অচল সিংহকে তারা ধরতে পারেনি। অন্যত্র পালিয়ে গিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে বগড়ির এক রাজ্যচ্যুত রাজা 'ছত্র সিংহ' ইংরেজদের প্রলোভনে পা দিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করে অচল সিংহকে ধরিয়ে দিয়েছিলেন। 'অচল সিংহ' সেই সময় ছত্র সিংহকে বলেছিলেন, তার সঙ্গে যেভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করা হল, একদিন ব্রিটিশরাও তার সঙ্গে অনুরূপ বিশ্বাসঘাতকতা করবে। পরবর্তীকালে নাকি সেটাই হয়েছিল। ব্রিটিশরা ধৃত 'অচল সিংহ'কে গুলি করে হত্যা করেছিল। (মেদিনীপুরের স্বাধীনতা সংগ্রাম/ বসন্ত কুমার দাস, পৃষ্ঠা- ৫৭)
ইংরেজরা ভেবেছিল অচল সিংহের মৃত্যুর পর হয়তো বিদ্রোহ থেমে যাবে। কিন্তু না, বরং তার উল্টোটা ঘটেছিল। 'বিশ্বনাথ নায়ক' এর মতো আরো দুর্ধর্ষ সব বিদ্রোহী নেতা উঠে এসেছিল। হ্যামিলটন সাহেব নায়েকদের এই বিদ্রোহের প্রকৃতি কেমন ছিল তার কথা উল্লেখ করেছেন, ১৮২০ সালে রচিত তার 'Description of Hindustan' (ডেসক্রিপশন অফ হিন্দুস্থান) গ্রন্থে। ঐ গ্রন্থের এক জায়গায় বলেছেন, "...সে দেশে অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে কারো সাক্ষ্য দেওয়ার বিন্দুমাত্র সাহস নেই; তাহলে বিদ্রোহীরা সঙ্গে সঙ্গে তাকে হত্যা করে প্রতিশোধ নেবে--- চারিদিকেই অরাজকতার একটা ঘন অন্ধকার ছায়া সমস্ত অঞ্চলটাকেই যেন গ্রাস করেছিল। সামান্য কোন কারনে প্রাণনাশ করতে তাদের হাত বিন্দুমাত্র কম্পিত হোত না।" (মেদিনীপুরের স্বাধীনতা সংগ্রাম/বসন্ত কুমার দাস, পৃষ্ঠা- ৫৮)
যে ছত্র সিংহের নাম আমরা বিশ্বাসঘাতক রূপে পেলাম, সেই ছত্র সিংহ আসলে কে ছিলেন? তার সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের 'বগড়ি' রাজবংশের ইতিহাস জানতে হবে। না হলে গনগনি ও তার আসল পরিচয় জানা যাবে না।
বগড়ি রাজবংশ। আকবরের রাজস্ব সচিব টোডরমল রাজস্ব বিভাগের সুবিধার্থে বিভাগ অনুযায়ী যে মহাল বা পরগনাগুলো মেদিনীপুর জেলায় বিভক্ত করেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম হল এই 'বগড়ি পরগনা'। যা গড়বেতা থানায় অবস্থিত। ১৮৭২-৭৮ খ্রিস্টাব্দে রেভিনিউ সার্ভেতে বগড়ির আয়তন ছিল ৪৪৫'৮৩ বর্গমাইল।(মেদিনীপুর/ তরুণ দেব ভট্টাচার্য, পৃষ্ঠা- ১৮৩) এই বগড়ি রাজবংশের প্রথম রাজা কে ছিলেন তা অবশ্য জানা যায় না। তবে যোগেশচন্দ্র বসু তার 'মেদিনীপুরের ইতিহাস' গ্রন্থে বলেছেন বিষ্ণুপুরের অষ্টম মল্ল রাজা 'শূরমল্ল'(৭৭৫-৭৯৫) নাকি 'বগড়ি' রাজ্য অধিকারের সময় পর্যন্ত এখানে কোন রাজার পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে একাদশ শতাব্দীতে 'লক্ষ্মীশূর' নামে একজন রাজার নাম তিনি উল্লেখ করেছেন। (মেদিনীপুরের ইতিহাস, পৃষ্ঠা- ৪৯৮) কিন্তু 'পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি' দ্বিতীয় খন্ডে 'বিনয় ঘোষ' আমলাগুড়ার মতিলাল বিশ্বাসের লেখা 'বকদ্বীপ' নামে এক গ্রন্থিকার কথা উল্লেখ করেছেন। ওই গ্রন্থিকায় লেখক বলেছেন যে, "রাজা গজপতি সিংহের পূর্বে বকদ্বীপে কেহ রাজা ছিলেন না।"(বকদ্বীপ, ১৩২১ সন, পৃষ্ঠা- ৪,৭)
এই গজপতি সিংহের সময়কাল নিয়েও নানান মতভেদ আছে। মেদিনীপুর গেজেটিয়ারে 'ও ম্যালী' জানাচ্ছেন, গজগতি সিংহের সময়কাল ১১৬৫ থেকে ১২২২ খ্রিস্টাব্দ। (Midnapore district gazetteer, page- 164) এদিকে আবার মেদিনীপুরের ভূতপূর্ব এক কালেক্টর 'হ্যারিসন সাহেব' অন্য কথা বলেছেন। তিনি মনে করেন গজপতি মারা যান ১৪২০ খ্রিস্টাব্দে।(Harrisons Archaeologycal Report of the District of Midnapore, number 207, dated 20th August, 1878) সুতরাং গজপতি সিংহের সঠিক সময়কাল কখন ছিল তা সুনিশ্চিত করে বলা যায় না। তবে 'মেদিনীপুরের ইতিহাস' গ্রন্থের লেখক যোগেশ চন্দ্র বসু হেরিসন সাহেবের মতকেই সঠিক বলে মনে করেছেন।
যাইহোক আসলে গজপতি সিংহের সময়কাল থেকেই 'বগড়ি' রাজবংশের প্রকৃত পরিচয় পাওয়া যায়। তাই হয়তো মতিলালবাবু তাঁর 'বকদ্বীপ' গ্রন্থে এমন কথা বলেছেন যে 'গজপতি'র আগে বগড়িতে কোন রাজা ছিল না।
'বগড়ি' রাজবংশের রাজাদের যে পরিচয় পাই তা হল,
১) প্রথম রাজা গজপতি সিংহ।
২) পরে তিনি তার দুই পুত্রকে বগড়ি রাজ্য সমান দুভাগে ভাগ করে দিয়েছিলেন। এক পুত্র 'ধনপতি' গড়বেতার দায়িত্ব পান এবং অন্য পুত্র 'গণপতি' গোয়ালতোড়ের দায়িত্ব পান এবং সেখানে রাজধানী প্রতিষ্ঠা করেন। এই 'গণপতি' ছিলেন আবার অপুত্রক।
৩) ধনপতির পুত্র ছিলেন হামির সিংহ। তাঁর রাজত্ব কাল ১৪৪০ থেকে ১৫০০ খ্রিস্টাব্দ।
৪) হামিরের পুত্র রঘুনাথ সিংহ জঙ্গলমহলের বহু স্থান দখল করেছিলেন। যেমন লালগড়, রাইপুর, তুঙ্গভূম, অম্বিকানগর ইত্যাদি। তার বিশেষ অবদান ছিল, তিনি দুটি বিশেষ মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। একটি গোয়ালতোড়ে, অন্যটি চন্দ্রকোনায়। গোয়ালতোড়ের মন্দিরটি হল 'সনকা মায়ের মন্দির'। লক্ষীন্দরের মাতা 'সনকা'-র নামেই এই মন্দিরের নামকরণ। অন্যটি চন্দ্রকোনায় 'লালজির মন্দির'।( পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি, দ্বিতীয় খণ্ড, বিনয় ঘোষ, পৃষ্ঠা-৩৫)
৫) রঘুনাথের পুত্র চিত্র সিংহ পরে রাজা হন। ইনি অত্যাচারী ও উৎপীড়ক রাজা ছিলেন। বিষ্ণুপুরের রাজার সঙ্গে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে আত্মহত্যা করেন।
৬) এরপর চৌহান সিংহ ১৫৫৫ সালে বগড়ি দখল করেন এবং বগড়িতে চৌহান রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেন।
৭) চৌহান সিংহের পুত্র আউচ সিংহ পরবর্তীকালে রাজা হন।
৮) ১৬৬০ সালে আউচ সিংহের মৃত্যুর পর 'চন্দ্রকোনা' প্রদেশের ছত্র সিংহ বগড়ি দখল করেন।
৯) ছত্র সিংহের মৃত্যুর পর তিলকচন্দ্র রাজা হয়েছিলেন।
১০) এরপর তেজচন্দ্র বগড়ি রাজ্যের অধিকার লাভ করেছিলেন।
১১) পরে বিষ্ণুপুরের মল্লরাজা তেজচন্দ্রকে পরাজিত করে তাদের নির্বাচিত 'দুর্জন মল্ল' বা দুর্জন সিংহকে রাজা করেন।
১২) এরপর খয়রা মল্ল (১৭১০) রাজা হন
১২) শামসের সিংহ (১৭২০)
১৩) বৈষ্ণবচরণ মতান্তরে (বৈষ্ণবচন্দ্র)
১৪) এরপর বগড়ির শেষ স্বাধীন রাজা হয়েছিলে যাদব চন্দ্র (১৭৯০ সাল)। তিনিও আত্মহত্যা করেছিলেন।
১৫) অবশেষে রাজা হন 'ছত্র সিংহ'। এর আমলেই 'নায়েক বিদ্রোহ' গড়ে উঠেছিল। উনিই বিশ্বাসঘাতকতা করে নায়েক বিদ্রোহের নেতা 'অচল সিংহকে' ধরিয়ে দিয়েছিলেন। যদিও ইংরেজরা এই ছত্র সিংহকেও ছেড়ে দেননি। তাকেও দশ বছরের কারাদণ্ডে দন্ডিত করেছিলেন।
পরবর্তীকালে অবশ্য পুরো বগড়ি অংশটি 'মেদিনীপুর জমিদারী কোম্পানির' অধীনে চলে যায়।(মেদিনীপুর/ তরুণদেব ভট্টাচার্য, পৃষ্ঠা - ১৮৪)
তথ্যসূত্র-
১) পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি, দ্বিতীয় খণ্ড/ বিনয় ঘোষ
২) মেদিনীপুর/ তরুণ দেব ভট্টাচার্য
৩) মেদিনীপুরের ইতিহাস/ যোগেশ চন্দ্র বসু
৪) মেদিনীপুরের স্বাধীনতা সংগ্রাম/ বসন্ত কুমার দাস
0 Comments