বাগদি চরিত ( ত্রয়োবিংশ পর্ব)
শ্রীজিৎ জানা
ঢোলের কালীপূজা এলেই খগেনের মনে ভেসে উঠে সেদিনের দৃশ্য। এত বছর পেরিয়ে এসেও কিছুতেই ভুলতে পারে না সে। গ্রামের অনেকের মন থেকে হয়তো কবেই মুছে গ্যাছে তাদের ঘটনা। শিলাই দিয়ে কত জল বয়ে গেছে আজ অব্দি। বছর বছর আরো কত ঘটনার পলিবালির স্তরে চাপা পড়ে গ্যছে খগেনের সালিসি সভার কথা। তবে পূজা আসা মানেই লোখা ঠিক জেনে যাবে তাদের খগেন মাস্টারের মন ভালো নেই। কিন্তু বাইরে থেকে তা বুঝতে পারা কারোর সাধ্য নয়। লোখা তো আগে কয়েকবার খগেন মাস্টারকে চেপে ধরেছিল,
—-তুমি কি বল দিখি মাস্টার? সুদু মেইয়া মানুষদের মতো মন খারাপ করে থাক! তমার ত কুনু দোষ থাকেনি। উ মেইছেনা যেদি গিরগিটির মতো রঙ বদলায,থাইলে তমার কি করার আছে,বল?
— সেটা নয়। আসলে কি জানু, উ আমাকে ওরকম করে হেনস্তা করেছে তাতে কিছে এসে যায় নি মোর।সুদু মোর জন্নে বাপ মা'টাকে সবার সামনে ছোট হতে হইচে সেটাই মোকে কুরেকুরে খায়। তাবাদে উ কেনে এরকম কোল্ল সেটা মোর জানা হোল নি কুনু দিন।
—- জেনেই বা কি কত্তে তুমি? তমাকে মোর চিনা আছে। লোকে পায়ে করে মাড়ি দিলেও তুমি কিচ্ছুটি কোরবেনি। অত সাদাসিদা মেদামারা হলে চলবেনি। মাজেমাজে ভাবি কি জান, মাস্টার, তমার গায়ে বাগদির রক্ত নাই। নাইলে অতসব ঘটার পরেও তুমি শান্ত থাকলে কি করে। আমি হলে ত লিকুিচি করেচি তোর মেইছেনাকে,হাতের কাছে যা পেতম তা দিয়েই অকে চটিয়ে কাটতম নি। নাইলে মোর নাম লিখে মুতে দিতে।
তমার কি কুনু রাগ ধরেনি?
—রাগ মোরও হইছিল রে। তবে অর উবরে নয়। নিজের উবরে। আগে জানতম চোখ দেখে মনের কথা বুজা যায়।কিন্তু আমি ত অর মনের কথা বুজতে পারিনি। উ হয়ত মোকে ভালই বাসেনি কুনু দিন।জোর করে কি কারো মন পাওয়া যায় রে!
—- তা যায় নি ঠিকই। তাবাদে তমার মত ছেনা অর যে কপালে নাই, তা ত দেকলেই বুজা যায়। কেমন দশা হইচে এখন দেকেছ! তমাকে কাঁদিয়ে উ যে কুনু দিন সুখি হোত নি তা আমি আগেই জানতম।
— কেন বোলচু ইসব কথা বল দিখি। আমি কুনু দিন অর খারাব চাইনি রে। কুনু অভিশাপ অকে দিইনি কখনো। মা যখন অকে গাল পাড়ত,শাপশাপান্ত কোরত, সজ্জ করতে পারতম নি। সরে পালি যেতম।
—-তুমি কি ধাতু দিয়ে যে তয়রি, মাস্টার!
—- তোদের মতই রে। সুদু বুজি মোদেরদিকে লোকে ছোট জাত বলে, মনে মনে ঘিনা করে,তা কোরু। জন খাটে,রাখালি বাগালি করে মোদের জাত। মাল খেয়ে হেড্ডাং বেড্ডাং করে। আনাড়ির মতো কুঁদুল করে কিন্তু যাকে ভালবাসে, মনপ্রাণ দিয়েই বাসে। জগা দিন দু'বেলা হেড়া খেয়ে বউকে মারে কিন্তু ঢোলের সবাই জানে উ বউকে চোখ ছাড়া করেনি। মোদের জাতে ডিভোস নাই রে লোখা। আমরা বউকে ডিভোস দিতে শিকিনি,ছেড়ে যেতে শিকিনি,ভালবাসতে শিকেচি। সেই ভালবাসায় টাকাপয়সার গুমার নাই,ধনসম্পত্তির লোভ নাই,রুপযৌবনের চটকদারি নাই,যা আছে সুদু মনের টান। ভাল কথায় বলে বাগদি হৃদয়ের ঐশ্বর্যে ধনী,ধনের ধনী নয়।
— কিছু যেদি না মনে কর একটা কথা বোলব। আসলে তমাকে বোলতে সাহস পাইনি। সমবয়স্ক হলেও তুমি ত মাস্টার। তমার ত একটা সম্মান আছে গেরামে।
— অত ভেজভেজ না করে বল দিখি, কি বলবি?
— খাবে তুমি এক ঢোক। মনটা তমার বড্ড খারাব হয়ে গেছে, দেখিঠি। লিয়ে লাউ এক ঢোক। দেকবে মনটা এটটু হাল্কা হবে।
—- তরা গলায় তুলসির মালা পরেচু। নামের দলে গান কোরু। তোদের ত ইসব কুনুভাবেই ত চলবেনি রে।
— তা তুমি অনাজ্জ কিছু বোলনি। তবে কি জান, খাটাখাটনিতে গাগতর বেথা হই যায়। অকে এট্টু খেলে গায়ে, মনে জুত পাই। কেষ্ট ঠাকুরকে ত আর মাটি চটাতে হইনি আর পচা টবার জলে নেমে হাতা মেরে পাট কাচতে হয়নি।কত্তে হলে বুজত, কত ধানে কত চাল। তবে বোলব কি মাস্টার, কিষ্ট অধিকারীও লুকিছাপি এক দু ঢোক লেয়। গেলাস কপালে ঠেকিয়ে বলে গোবিন্দ খমা কর। তাবাদে জগাইমাধাই ত মাতাল ছিল। তাদের ত উদ্ধার করেছে মহাপ্পোভু।
—- তার মানে তরা ভেবে রেখেচু মহাপ্পোভু তোদের দিকে উদ্ধার কত্তে আরেকবার এসবে।
— উ কথা ছাড় দিখি। এখন খাবে নাকি বল। থাইলে লদী ঘাটকে চল, আমি ঘর থিকে লিযাইঠি। বাগদি ছেনার মুখে এট্টু ভাকুতেলের গন্দ না ছাড়লে জাতটার মান ইজ্জত থাকবে!
— থাইলে তোদের কাছে বাগদি জাতের মান বাড়ে মালের বোতুলে! দারুণ কথা শুনালু ত রে। অই জন্নে কানাসি ফুলি লিয়ে ঘুরেঠে জগা। ঝোড়ু ছাতিকের ত পঁদ মালার মতো হই গেছে। পা দুটা রিকেট লাগা রুগীর মতো রলা রলা। ঝোন্টা কটালের শুনি নাকি লিভার চুঁয়ে গেছে মদের জ্বালে।
— বাদ দও মাস্টার,বুুজে গেছি। তোমাকে খাবানা যাবে নি। তমার মাস্টারি মুখ, সুদু গেন দিবে। এখন পালি যাইঠি। তবে মোর একটা কথা শুন, মন মরা হয়ে থাকবেনি একদম। পুরুষ মানুষের মেইয়ার জন্নে কাঁদতে নাই,বুজেচ?
সময় কত কথা ভুলিয়ে দেয়। কত ঘটনার গায়ে লেগে থাকা গাঢ় রঙ ক্রমে ফিকে হয়ে যায়। দগদগে ঘা শুকিয়ে যায়। শুধু রয়ে যায় ঘায়ের চিহ্ন টুকু। সেই অমোচনীয় ক্ষতের দাগ জীবনভর বারবার মনে করিয়ে দেয় অতীত। সুখস্মৃতির গায়ে যদিবা শ্যাওলা জমে কখনো সখনো, যন্ত্রণাময় অতীত তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায় সারাজীবন । খগেন মনে করে মাধু তার জীবনে একদিকে শ্রাবণের ভরভরন্ত শিলাইয়ের জলোচ্ছ্বাস। তার দু'চোখেকে একমাত্র মাধুই প্রথম সৌন্দর্য চিনিয়েছে। চামড়ায় ঢাকা একটা খাঁচার অন্দরে আশ্চর্য এক ভাললাগার অনুভূতি বুঝতে শিখিয়েছে মাধু। তার নাম যদি প্রেম হয়, তবে সেই প্রথম প্রেমের মাধুর্য আস্বাদনের সৌভাগ্য করে দিয়েছে মাধু। তার নাম যদি তীব্র টান হয়,তবে সেই তুরীয় টানের অভিমুখ মাধু। তার নাম যদি মায়া হয় তবে সেই মায়ামৃগও মাধবী নামের শ্যামলা বরণ এক কিশোরী। অন্যদিকে মাধু তার জীবনে চৈত্রের রোদে পোড়া কালসাপাটি মাঠের শূন্যতা। ছায়াহীণ, মায়াহীণ বিস্তীর্ণ শুকনো খটখটে মরুপ্রায় একটা মাঠের একাকীত্ব। যার শূন্য বুকে একাকী বাতাসের কান্না আর্তনাদ করে। সেই আর্ত চিৎকারের ভিতর কান পাতলে শোনা যাবে রিনরিন করে বাজছে প্রিয়জন বিচ্ছেদের আর্তনাদ।
সেই রাতে সালিশি সভার পর মাধুর ঠাঁই হয় তার এক মাসির বাড়িতে। সুবল পিয়ন কথা বলে স্কুলের হেডমাস্টারের সাথে। স্কুলে ক্লাস না করে মাধু যাতে ফাইনাল পরীক্ষায় বসতে পারে তার পারমিশন করিয়ে নেয় সে। গ্রামের আনাচেকানাচে তখনো খগেনের কীর্তির কথা বেশ সরগরম রয়েছে। খগেন আগের মতো সহজ ভাবে বেরোতে পারে না। সেই সময়েও বারবার মাধুর সামনাসামনি দাঁড়াতে চেয়েছে খগেন। কিন্তু অত সহজ ছিল না তার পক্ষে ওই ঝুঁকি নেওয়ার। একই সেন্টারে দুজনের সিট পড়লেও তাদের দুজনের চারপাশে ছিল কড়া পাহারা। অনেক চোখের তাচ্ছিল্য আর শাসানি।তারপর হঠাৎ খবর আসে পরীক্ষার শেষে মাধুর বিয়ে হয়ে গেছে। মাধুর মাসি দেখাশুনা করে ধরাচটকার বিয়ে দিয়ে দেয়। ছেলে দিল্লিতে সোনার কাজ করে। খবরটা পাওয়া মাত্রই এক ছুটে চলে যায় শিলাই পাড়ের শিমূলতলায়। নদী বাঁধের নির্জন সেই গাছতলায় চিৎকার করে কেঁদে ওঠে। শিমূল গাছে গায়ে হাত চাপড়াতে চাপড়াতে ক্ষত বিক্ষত করে ফেলে। বিকেল গড়িয়ে সন্ধে নামে কালসাবার মাঠে,শিলাইয়ের কোলে। উদভ্রান্তের মতো বিড়বিড় করতে থাকে খগেন,
—- কেনে তুই মোর সঙে এমন কল্লি মাধু? তোর ত কুনু ক্ষতি করিনি! তোকে খুব ভালবাসতম। এখনো ভালবাসি। যাবার আগে মোর দোষ টুকুন বলে গেলিনি কেনে! তোর সাথে আর কুনু দিন কি দেখা হবে নি! তুই কি আর কুনু দিন কথা বোলবিনি মোর সঙে! আমি যে কাউকে কিছু বলতে পারিঠি নি। ভিতরটা আমার আইটাই করেঠে। তুই কোথায় চলে গেলি মাধু?
প্রচন্ড মানসিক অবসাদে কান্ত হয়ে পড়ে খগেন। লুটিযে পড়ে শিমূল গাছের গায়ে। ক্রমে ঘুমের গভীরে তলিয়ে যায়। সেইদিন লোখাই শিমূল তলা থেকে তুলে আনে খগেনকে। আর সেই থেকেই জানতে পারে খগেন মাস্টার কতটা ভালবাসে মাধুকে। লোখা তারপর থেকে কখনো খগেনের সঙ্গ ছাড়েনি। লোখার মাথায খুন চেপে যায়। দাঁত কিড়মিড় করে গলার স্বর চেপে বলে,
— লিকুচি করি তোর মেইয়া জাতকে। শালা চোখের সামনে একটা ছেনা মিনা দোষে জ্বলে পুড়ে মোরবে আর উ বাবু ভাতার লিয়ে সংসার করবে! অকে ছাড়বোনি। এর হেস্তনেস্ত করে ছাড়বো। যত দিনে হলেও এর উত্তর অকে দিতেই হবে।
রাতে খগেনকে একা ছেড়ে যেতে মন টানেনা লোখার। আবার খগেনের মা- বাপ যাতে বুঝতে না পারে সেটাও মাথায় রাখে সে। দাদাদের ভয়ে খগেনকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যেতে সাহস পায় না লোখা। অগত্যা মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয় তাকে। খগেনের মাকে বলে,
— বোড়ো মা, আজকে আমি খগেনের সঙে রাতে থাকব। পরীক্ষা শেষ হোই গেছে,কুথাও ঘুত্তে যাইনি।তাই ভাবলম অর সঙে এট্টু গল্পগুজব করে কাটাব আজকের রাতটা। আসলে উই আমাকে ডেকে এনেছে। কিন্তু তমরা বোকবে বলে ভয়ে বোলতে পাচ্চে নি। মোকে রাস্তায এসতে এসতে বলে,তুই মোর মাকে বলবি। তাই…
মায়েদের চোখের তারায় আলাদা একটা মণি থাকে। সেই মণিতে সন্তানের মনের সব গতিপ্রকৃতির ছবি ধরা পড়ে যায়। সংসারে মায়েদের মতো এমন নিপুন অভিনেতা সমাজ সংসারে খুঁজে পাওয়া ভার। সন্তানের সংলাপের সাথে মিলিয়ে তারা বলতে পারে সংলাপ। সন্তানের সুখ দুখের অভিব্যক্তির সাথে জুড়ে দিতে পারে নিজের শরীরী অভিরূপ। মায়েদের এই অভিনয় কুশলতার ভিতর লুকিয়ে থাকে সন্তানের মুখে হাসি ফোটাবার অভিপ্রায়। তাদের মন ভালো করে দেওয়ার আকুতি। লোখার কথা শোনার সাথে সাথেই মায়ের মন জেনে যায় কথার পেছনে লুকানো ব্যাথা। ছেলেকে নিয়ে অজানা ভয়। সহাস্য সম্মতি আসে মায়ের দিক থেকে। সেই রাতে লোখা সাক্ষী থাকে খগেনের কান্নার। মাধুর জন্য খগেনের আকুলিবিকুলির।
🍂
মাধ্যমিক পাশের পর খগেন পড়তে চলে যায় কাঁসাই পারের স্কুলে। সেখানে হস্টেলে থাকে। দু'চার মাস ছাড়া এক আধবেলার জন্য আসে। লোখার সাথে সব বারে দেখা হয় না। দেখা হলেও কথা হয় একটুআধটু। লোখা বুঝতে পারে ওইটুকু সময়ের মধ্যেই যদি সে তাকে মাধুর কোন খবর শোনায়। কিন্তু বিয়ের পর একবারই নাকি এসেছিল মাধু তার বাপের বাড়িতে। তাও রাতে এসে ভোরেই আবার শ্বশুর বাড়ি চলে যায়। তবে লোখা তার প্রতিজ্ঞার কথা ভোলে না সহজে। তক্কেতক্কে থাকে সে। এর ওর মুখে কায়দা করে মাধুর খোঁজ খবর নেয়। মাঝে একবার তাদের পাড়ার বেলি কাকি বলে,
— হে গ ভাসুর পো! তমার সেই বন্ধুটি এখন কুথায় থাকে?
— কেনে বল দিখি?
— না, অই দিগারদের মেইছেনাটার সঙে ত অর ভাবভালবাসা ছিল। তার ত বিয়া হোই গেছে। মোর বোনের শ্বশুর ঘরের পাড়ায় ত তাকে দিছে। সেদিনে মোর বোনের ঘর জিয়ে মেইছেনাটাকে দেখেই ত আমি চিনতে পেরে গেছি। উ মোকে চিনতে পারে নি। আর চিনবেই বা কি কোরে উ ত বেশি গেরামে বেরাত নি। আমিই যেঁচে পরিচয় দিলম।
প্রথমে কিছুটা রাগের উদয় হলেও পরের কথাতে লোখা নিজেকে শান্ত করে। এতদিন পর ভগবান তাকে সুযোগ দিয়েছে। এই সূত্র ধরেই তাকে পৌঁছাতে হবে মাধুর কাছে। গলার স্বর স্বাভাবিক রেখে লোখা কৌতুহলী হয়,
—- থাইলে পরিচয় দিতে কি বোল্ল তমাকে, কাকি?
— কি আর বোলবে। তেমন কথা বোল্ল নি। হয়তো ভেবেচে অর ঘটনা যেদি আমি মোর বোনকে বলি। আর তাপর জানাজানি হই যায়। উ ভাবলে ভাবু। মোর অমন লাগানাবাজানা সভাব নাই কুনু দিন।
— ছাড় ত উসব। তমার দেখে কি মনে হল বল দিখি।
— দেখে কি আর মনে হবে। সনাবালার বউ। বর নাকি দিল্লি লিয়ে পালি যাবে, বলে শুনলম। তবে কি জান দেখে মনে হবেনি লোতন বউ বলে। এইলাপইলা বিয়া হইচে, কুন্তু কুনু সাজাগুজা নাই। সনাবালার বউ বলে কথা,গা ভত্তি গয়না থাকবে! জরির কাপড় পরবি! তা না, দেখলম ত একটা মেড়মেড়া কাপড় পরেই বরের সঙে কুথা চলে গেল। আসলে অর সতল মা'টাই যত কালনিমা। উই ত জোর করে বিয়া দিছে বলে শুনলম।
লোখা নিসপিস করে আরো আরো কথা শুনার। কিন্তু যাতে তার কাকির সন্দেহ হয় তাই নিজেকে সংযত করে সেই মুহুর্তে। একটা কাজের অছিলায় মিথ্যা তাড়া দেখিয়ে চলে আসে লোখা, তার বেলি কাকির কাছ থেকে।
0 Comments