জ্বলদর্চি

কোনো কবি এরকম ব্যথায় ভোগেনি /মলয় রায় চৌধুরী


আমার জীবনের ঘটনা- ২৪

কোনো কবি এরকম ব্যথায় ভোগেনি

মলয় রায় চৌধুরী 

ইমলিতলা পাড়ায়, পাটনা শহরের মহাদলিতদের পাড়া, যেখানে ছোটবেলা কেটেছে, চোর-পুলিশ খেলার সময়ে যে কোনো বাড়ির যে কোনো ঘরে গিয়ে লুকিয়ে থাকার অবাধ অনুমতি ছিল, দড়ির খাটের তলায়, আলকাতরা-লাগানো দরোজার পেছনে, উঠোনের জংলি-গাঁজার ঝোপে, কেউ কোনো প্রশ্ন তুলতেন না। আমাদের বাড়ি ছাড়া  সব কয়টাই ছিল খড়ের চালের, আর আমাদের বাড়ির বাঁদিকের গলিটা ছিল কানাগলি, পাঁক আর সকালের গুয়ে ওপচানো। আমার সমবয়সীরা, যাদের সঙ্গে  খেলতুম, তারা সকলেই এই সমস্ত চালাবাড়ির ছেলে-মেয়ে।

একদিন বিকেলে খেলার সময়ে কালুটুয়াদের বাড়িতে লুকোবার জন্য একটা ঘরে ঢুকে দেখি কালুটুয়ার চাচি দড়ির খাটিয়ায় শুয়ে ঘুমোচ্ছে। ঢুকে গেলুম খাটের তলায়।  চাচির শোয়ার দরুন খাটটা একটু নেমে এসেছিল বলে সুবিধাই হলো, সহজে আমাকে  খুঁজে পাওয়া যাবে না, দেখতেই পাবে না আমাকে অন্ধকার ঘরে, তার ওপর দড়ির খাটের তলায়।

আমার খোঁজে  কেউ এলো না বটে, ঢুকলেন কালুটুয়ার হোঁৎকা বিশালবপু চাচা, দরোজা বন্ধ করে দিলেন। ভাবলুম, ভালোই হলো, এই ঘরে আর কেউ খোঁজ করতে  পারবে না আমার। চাচা শুয়ে পড়লেন খাটে। বুঝতে পারলুম, উনি লুঙ্গি খুলে মেঝেয়  ফেলে দিলেন আর খাটে শুয়ে পড়লেন।

একটু পরেই খাটের ওপর চাচা-চাচির মুখ দিয়ে নানা আওয়াজ বেরোতে শুনলুম। বুঝতে পারলুম না কী করছেন ওনারা। খাটের খসখসে দড়ি মাঝে-মাঝে আমার পিঠে  এসে ঠেকছিল। একবার অনেক জোরে দড়ির ধাক্কা এসে লাগল পিঠের ওপর, প্রায়  কেঁদে ফেলার অবস্হা। কান্না চেপে চুপচাপ পড়ে রইলুম, চাচা-চাচির ঘর থেকে  বেরোবার অপেক্ষায়। অন্তত শেকল খুললেই খাটের তলা থেকে বেরিয়ে পালাবো।   পিঠে অসহ্য ব্যথা আরম্ভ হয়েছে, বাড়ি গিয়ে চুন-হলুদ লাগিয়ে দিতে বলতে হবে জেঠিমাকে। জিগ্যেস করলে বলব পড়ে গিসলুম।

চাচাকে খাট থেকে নামতে দেখলুম, মেঝে থেকে লুঙ্গি তুলে পরে নিলেন। শেকল খুলে বেরিয়ে যেতে, চাচিও খাট থেকে নামলেন, হদিশ পেলুম না উনি কেন ব্লাউজ খুলে ছিলেন, চাচা-চাচি কীই বা করছিলেন জানি না। চাচি যখন শাড়ি সামলে ব্লাউজ  পরতে ব্যস্ত, আমি খাটের তলা থেকে কাতরিয়ে বেরোলুম, এক পলক ওনার দিকে চাইতে, মাই দেখিয়ে বললেন, কি রে খাবি না? ছোটবেলায় তো খেতিস! শৈশবে  আমার মায়ের বুকে দুধ হতো না বলে ছোড়দি পাড়ার নার্সিং মাদারদের বাড়ি আমাকে নিয়ে গিয়ে দুধ খাইয়ে আনতেন। চাচির দুধও খেয়ে থাকবো।

আমি কথার উত্তর না দিয়ে বাইরে পোঁ-পাঁ।

 বুড়ো বয়সে ব্যথাটা ফিরে-ফিরে আসে। ডাক্তারকে বলতে পারি না ছোটবেলায় কী ভাবে চোট লেগেছিল। চাচির ব্লাউজ খোলা তামাটে ঢাউস মাই এখনও চোখে ভাসে।  ব্যথা যায় না।

🍂



Post a Comment

0 Comments