ঈশ্বরের কাছে লাইভ
গৌতম বাড়ই
বেথেলহেম তো কাঁদছে
দুহাজার বছর পেরিয়ে এসেও
ঈশ্বর এখনও ক্ষমতাবানদের থেকে কত কত ছোটো!
প্রশ্ন জাগে না মনে?
মানুষের শুভবোধ ভালো যা কিছু তাই কি ঈশ্বর!
তবে যীশু মানবশিশু হয়ে জন্মালেন কেন?
শিশুদের হত্যার বধ্যভূমিতে চোখ রেখে
বুক পেতে ইন্টারনেট খুলেছি
ভেসে আসছে সামাজিক মাধ্যম
তবুও
আমি কেমন অবলীলাক্রমে পেগ পেগ গিলে চলেছি
পার্ক স্ট্রিটের রেস্তোরাঁতে সঙ্গে চিকেন তন্দুরি
চারিদিকের মুখগুলো এত আনন্দমুখর!
ঈশ্বরের অভিধানে প্রতিরোধ বলে কোনো শব্দ নেই?
বেথেলহেমের আকাশে আজ ড্রোনের নজরদারি
তাই সমস্ত দেবশিশুদের জন্ম আর জন্মান্তরে
এখন বিশ্বাস করাও কঠিন।
মাথাটা গুলিয়ে যাচ্ছে
অনন্ত ঠান্ডা- ঠান্ডা কুল-কুল তেল কিছু মগজে ঢালো
দূর্নিবার বিপাকে পরে সাধারণ মানুষ
যারা প্রতিদিন দেবালয় গির্জা মসজিদে যায়
ধর্ম-ধর্ম-ধর্ম মিশ্রণে এখন আরও বিষ
বিষাক্ত নলের মুখে হা করে উদাসীন সমস্ত রাষ্ট্র
বহে চলে সময়ের ঘর্ঘরা
পিতা মাতার পিন্ডদান করে ছুঁড়ে ছিলাম
অব্যর্থ নিশানায় নিমগাছে বসা কাকের মুখে
কোনো ভুল ছিল না ----
বাবা এবং মা একান্ত ভাবেই নিজের বলে
একদিকে দেখো উদযাপন আর একদিকে স্বভূমিতে
তীব্র বেদনাদায়ক মুহূর্ত!
কিছু নাম দিতে হবে আমাদের
আমাদের চিন্তাশীলতা আজ আর বেঁচে নেই
আজ শরীরের সাথে মৃতবেশে আমরা
এ সমগ্র বিশ্বের দিকে তাকিয়ে দেখো রাতআকাশ
সব তারারা চুপিচুপি সাথীহারা একা এবং একা
পাশাপাশি অথচ তাদের ভৌগলিক দূরত্ব অনেক বেশি
বাস্তবিক এই ,
আন্তর্জাতিক মেঘ আর সূর্যের বর্ণনা ধর্মগ্রন্থে আছে?
উদ্দেশ্য আর ছল
তোমায় ধিক!
স্বদেশী- বিদেশি মিডিয়া ভালো করেই জানে
ঘটে চলা যুদ্ধে এখনও শতাধিক সহকর্মী মারা গিয়েছেন।
এই পর্যন্ত আমরাও বুঝেছি,
সূর্যের সৃষ্টি প্রদেশে ভালোবাসা বলে কিছুই ছিল না
কোনোদিন কোনোখানেও
তেজের নির্মমভাবে শাসনে শোষণে অত্যাচারে
যা কিছু ঘটে গিয়েছে পরপর
বেথেলহেমের পথ প্রান্তর তাই আজ অন্ধকার
আমরা ক্রিসমাসের উদযাপনে
মদ সহযোগে মাংস গিলি
পার্কস্ট্রিটে কিংবা পিকাডিলি সার্কাসে।
বেথেলহেম কাঁদছে
দুহাজার বছর পেরিয়ে এসেও
ঈশ্বর এখনও কত ক্ষুদ্র থেকে গেল?
আমরা শুধুমুধু ঈশ্বরের নির্মাণ করি, গড়ি,
গল্পকথা বানাই আর সাজাই চেতনা অনুভবে উদ্দেশ্যে
একক থেকে বৃহত্তর না হলে
ঈশ্বর চিরটাকাল অসাড় থেকে যাবেন---
0 Comments