সুদর্শন নন্দী ও মিলি ঘোষ-এর অণুগল্প
দুনিয়া || মিলি ঘোষ
আধার কার্ড সংশোধনীর লাইনে মাতালের উপদ্রব। সে জাতে মাতাল তালে ঠিক। কাগজপত্র গুছিয়েই এনেছে। কিন্তু লাইন মানবে না। জড়ানো গলায় আগে দাঁড়ানোর দাবি জানাচ্ছে। পেছনেই দাঁড়িয়েছিল পার্থ। মদ্যপ লোকটিকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে জায়গা মতোই দাঁড় করালো।
তিনজন করে এক সঙ্গে ডাকা হচ্ছে। সারা গায় মদের গন্ধ নিয়ে লোকটি পার্থর সঙ্গেই যথা সময়ে ঘরে ঢুকল। সব নথি দেখাল। যা যা জানতে চাওয়া হলো সব বলল জড়িয়ে জড়িয়ে।
এবার পার্থর পালা। পার্থ প্রথমেই বলল, "আমি ট্রান্সজেন্ডার।"
চকিতে ঘরের মধ্যে বিদ্যুৎ খেলে গেল। কর্মীরা একে অপরের দিকে তাকালেন। হঠাৎ ঘরের স্তব্ধতা ভঙ্গ করে ওই মাতাল লোকটি অট্টহাসিতে ফেটে পড়ল। এবার আর পার্থ ওকে থামানোর চেষ্টা করল না। চোখ বন্ধ করে ওর হাসি সহ্য করে গেল।
ডাক্তারি || সুদর্শন নন্দী
কুনা টুডু হাঁক পেয়েই বাপ ব্যাটাতে ঢুকে গেল চেম্বারে। মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন ডাক্তারবাবু। পেটটা কদিন খুব ব্যাদনা বলতেই মোবাইলটা টেবিলে রেখে কুনাকে বেডে শুইয়ে পেটটা খানিক টিপেটুপে ডাক্তারবাবু বললেন রোগটা বাঁধিয়েছ ভালই। অপারেশন করতে হবেক। এপেন্ডিসটা বেড়েছে। কুনা ডাক্তারবাবুকে কিছু বলতে যাচ্ছিল, ডাক্তারবাবু ধমকে চুপ করিয়ে দিল। বললেন কবে কোথায় ভর্তি হতে হবে, কত খরচ সব বলে দেবে এটেনডেণ্ট।
ডাক্তারের কথা শুনে এটেনডেণ্ট কুনাকে সব বোঝাবে তখন কুনা বলল, ব্যাদনাটা হচ্ছে আমার এই ব্যাটা ধনার। ডাক্তার তো আমার কথা শুনলেক নাই। তা ডাগদর আমার পেট টিপে ব্যাটার রোগ বলে দিলেক। তা হ্যাঁ বাপ, আমার আপেনডাইস কাটলে ব্যাটার পেটের ব্যাদনাটা যাবেক তো ?
সংগ্রহ করতে পারেন 👇
0 Comments