জ্বলদর্চি

বেল /ভাস্করব্রত পতি

বাংলার ঘাস পাতা ফুল ফল, পর্ব -- ৩৪
বেল

ভাস্করব্রত পতি

'চৈতে গিমা (শাক) তিতা, বৈশাখে নালিতা (শাক) মিঠা,
জ্যৈষ্ঠে অমৃত ফল (আম)।
আষাঢ়ে খই, শাওনে দই,
ভাদরে তালের পিঠা, আশ্বিনে শশা মিঠা,
কার্তিকে খসের ঝোল।
আগনে ওল, পৌষে কাঞ্জি, মাঘে তেল, 
ফাল্গুনে চূড়ান্ত বেল'। 

বাংলা প্রবাদে এই বেলগাছকে নিয়ে অসংখ্য উদাহরণ মেলে। আমরা পরের দোষ দেখতে বেশি পছন্দ করি, নিজের হাজার দোষ থাকলেও। তা নিয়ে সুন্দর প্রবাদ রয়েছে -- 'পরের ছিদ্র বেল, নিজের ছিদ্র সরষে'। আর 'রাই কুড়িয়ে বেল' তো প্রায়শই কথায় কথায় বলি আমরা। প্যারীচাঁদ মিত্রের  'আলালের ঘরে দুলাল'তে আছে -- 'অনেক তেলা মাথায় তেল পড়িল, কিন্তু শুখনা মাথা বিনা তেলে ফেটে গেল'। তেমনি 'কমলাকান্তের দপ্তর' এ পাই -- 'তেলা মাথায় তেল দেওয়া মনুষ্য জাতির রোগ'। প্রকৃত প্রবাদটি ছিল -- 'তেলা মাথায় ঢাল তেল, রুক্ষ মাথায় ভাঙ বেল'। গ্রামেগঞ্জে শোনা যায় -- 'দক্ষিণে ঢেঁকি, উত্তরে বেল লক্ষ্মী বলে, এই বাড়ি গেল'। কখনও বাড়িতে কোনো অবাঞ্ছিত ব্যক্তির আগমন ঘটলে তাঁকে বিদায় করার পদ্ধতিকে কথ্যভাষায় বলে 'বেলপাতা শোঁকানো'। আসলে যাত্রাকালে বেলপাতা আঘ্রাণ করানোর প্রথা আমাদের সমাজে অনেক আগে থেকেই প্রচলিত রয়েছে। আরেকটি প্রবাদে পাই --
'তিন নাড়ায় সুপারি সোনা, তিন নাড়ায় নারকল টেনা
তিন নাড়ায় শ্রীফল বেল, তিন নাড়ায় গেরস্থ গেল'। 
পাতা সহ কাঁচা বেল

বেলগাছ দুর্গাপূজার একটি অতি প্রয়োজনীয় গাছ। সপ্তমীর আগে একটি বেলগাছের ডাল সিঁদুর দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। এই ডালে ঝুলবে দুটি বেল ফল। তবে ঐ ডালটি বায়ু ও নৈঋত কোণে হলে চলবে না। এই চিহ্নিত শাখাটি কাটা হয় সকালে। এবার পুরোহিত এবং তন্ত্রধারক পূজা শুরু করে। প্রথমে বাদ্যযন্ত্র সহকারে ঐ বেলতলায় যাওয়া হয়। সেখানে গিয়ে চিহ্নিত শাখাটি ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে কেটে নেওয়া হয়। যদিও তার আগে রয়েছে পূজাপদ্ধতি এবং প্রার্থনা মন্ত্রোচ্চারণ। তখন যা বলা হয় তার মর্মার্থ হল— হে বিল্ববৃক্ষ, তোমার দেহ থেকে একটি অংশ কেটে নেওয়া হল দুর্গাপূজার জন্য। এই শাখা ছেদনের কষ্ট এবং দুঃখ তোমাকে উপেক্ষা করতে হবে। দেবী দুর্গা এই ছেদন অংশ গ্রহণ করবেন। এরপর অস্ত্রধারণ করে 'ওঁ ছিন্ধি ছিন্ধি হুঁ ফট্ স্বাহা' উচ্চারণে ডাল কাটা হয়। নিয়ে যাওয়া হয় চণ্ডিকালয়ে। উচ্চারিত হয় মন্ত্র 'বিল্ববৃক্ষং সমাশ্রিত্য লক্ষ্মীরাজ্যং প্রযচ্ছ যে, আগচ্ছ চণ্ডিকে দেবী সর্বকল্যাণহেতবে..... বিশ্বশাখাং সমাশ্রিত্য তিষ্ঠ দেবি গণৈঃসহ'। 
তিন পাতাযুক্ত বেলপাতাকে বলে -- ত্রিপর্ণা

দুর্গাপূজার বেলতলা হিন্দু বাঙালিদের কাছে অত্যন্ত নস্টালজিক স্থান। দেবী দুর্গার সঙ্গে সম্পৃক্ত এই বেলতলা। যদিও সুকুমার রায় 'ন্যাড়া বেলতলায় যায় ক'বার' কবিতায় যে বেলতলা নিয়ে লিখেছিলেন, তা অন্য বেলতলা -- 
"হেসে বলে, আজ্ঞে সে কি? এতে আর গোল হবে কি?নেড়াকে তো নিত্যি দেখি আপন চোখে পরিষ্কার
আমাদেরি বেলতলা যে, নেড়া সেথা খেলতে আসে
হরে দরে হয়তো মাসে নিদেন পক্ষে পঁচিশ বার”।
গাছে ঝুলছে কাঁচা বেল

বেলকে সংস্কৃতে বলে বিল্ব। হিন্দিতে শ্রীফল, বেল, মারাঠীতে বেল্, বার্মিজে উসিট্রেল, গুজরাটীতে বিলু, তেলুগুতে মারডু, পাটির, মলুরামু, তামিলে ভিলভ পজম, কন্নড়ে বেল্লবন, অসমীয়াতে বেল এবং ইংরাজীতে বলে BENGAL QUINCE। এর বিজ্ঞানসম্মত নাম AEGLE MARMELOS। এটি RUTACEAE পরিবার ভুক্ত। হিন্দুরা এই বেলগাছকে অত্যন্ত পবিত্র গাছ বলে মনে করে। তিনটি পাতা সমন্বিত বেলপাতা পূজার অন্যতম উপকরণ। এইজন্য একে বলে 'ত্রিপর্ণা'। খুলনা অঞ্চলের মানুষের মুখে এই তিনপাতা সমন্বিত গাছটির সম্পর্কে শোনা যায় --
'তিন তিরিক্কা পাতা সর্বডালে কাঁটা
খাতি লাগে মজা, মুহি (মুখে) নাগে আঁঠা'। 
গ্রীষ্মকালে অবশ্য সব পাতা ঝরে যায়। তিনটি পাতাযুক্ত বেলপাতাই দেবতার চরণে দেওয়া হয়। কবি কঙ্কন মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর 'চণ্ডী' কাব্যে পাওয়া যায় 'শঙ্কর পূজিতে রাখিল বিল্ববন'। কথায় বলে, 'এই বরতের (ব্রতের) এই কথা, ঘটে দাও বেলপাতা'। 
বর্ষাস্নাত ফল সহ বেলগাছ

ভারতের প্রায় সর্বত্র এই গাছটির দেখা মেলে। বেলের নামের নানা পর্যায় আছে। সেগুলি হল – ত্রিপর্ণা, শ্রীফল, বিল্ব, হৃদাগন্ধ, শল্য, বিনবেষ্ট, সদাফল, সৎফলদ, কর্কটার, গন্ধপত্র, দুরারুহ, পত্রশেষ্ঠ, শৈল্য, শান্তিল্য, শলাটু, ত্রিশিখ, ত্রিশাকপত্র, শিবদ্রুম, সমীরসার, সুভূতিক, শৈবপত্র ইত্যাদি। সাহিত্যিকদের বহু লেখায় এই বেলের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। অক্ষয়চন্দ্র সরকার সম্পাদিত 'চণ্ডীদাস' এ আছে -- 'সখি, কে বলে কুচযুগ বেল..'। ঘনরাম চক্রবর্তীর 'শ্রীধর্মমঙ্গল' কাব্যে পাই 'সোদরবচনে মোর পেটে হ'ল বেল...'। রামাই পণ্ডিতের 'শূণ্যপুরাণ' কাব্যে রয়েছে, 'চামলী গন্ধলি তুলিলা শ্রীফল দুইবটী'। আবার 'ময়মনসিংহ গীতিকা'-র একটি অংশে আছে -- 'বৈর শ্রীফল সদাফল কলা জাম'।

দুর্গাপূজায় বহু ধরনের গাছের কথা বলা হলেও সেগুলির মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য বৃক্ষ হল বেলগাছ বা বিল্ববৃক্ষ। এই বেলগাছের তলাতেই দেবীর বোধন হয়ে থাকে। ‘সদাফল' বলা হয় থাকে। শাস্ত্র অনুসারে প্রজাপতি ব্রহ্মা সর্বপ্রথম বিশ্বতলে দেবী দুর্গার বোধন করেছিলেন। একসময় শিব দুর্গাকে বলেছিলেন, 'অতস্তং বৃক্ষমাশ্রিত্য তিষ্ঠামি চ দিবানিশম / সর্বতীর্থময়ো দেবী সর্বদেবময়ঃ সদা / শ্রীবৃক্ষঃ পরমেশানি অতএব ন সংশয়ঃ'। এর অর্থ হ'ল বিল্ববৃক্ষের তলায় দেবাদিদেব মহাদেব দিবানিশি অবস্থানের জন্য এই বিল্ববৃক্ষ বা শ্রীবৃক্ষ হয়ে উঠেছে সর্বদেবময় এবং সর্বতীর্থময়। এতে দুর্গার সংশয়ের কোনও কারণ নেই।

বিল্ববৃক্ষতল যখন শিবের আবাসস্থল, সেখানে তাঁর পত্নীরও বাসস্থান হওয়াটাই স্বাভাবিক। স্বামী যেখানে অধিষ্ঠান করবেন, পত্নীরও তা পরমপ্রিয় হওয়া দরকার। তাই বলা হয়— 'শ্রীবৃক্ষে বোধয়ামি ত্বাং যাবৎ পূজাং করোমহাম'। শিবের অধীষ্ঠান ক্ষেত্র কেন বিল্বতল সে সম্পর্কে মত পাওয়া যায় যোগিনীতন্ত্রের কাহিনীতে। সুদর্শনচক্রধারী নারায়ণের প্রিয় পত্নী হওয়ার বাসনায় এই বিল্বতলে শিবের আরাধণা করে তাঁকে সন্তুষ্ট করে নারায়ণের বক্ষলগ্না হয়েছিলেন দেবী লক্ষ্মী। তাই বিশ্বতলকে মহাদেবের অধীষ্ঠানক্ষেত্র বলে মনে করা হয়। আবার বিল্বপত্রের তিনটি পাতার মধ্যে স্বয়ং শিবরূপে বন্দিত হন উপপত্রটি। সেজন্য বিল্বতলে শিবকে পূজা করলে তিনি সন্তুষ্ট হন চূড়ান্তভাবে। সেজন্য দেবী দুর্গার বোধনে বিল্ববৃক্ষকে বলা হয় 'মহাদেব প্রিয় করো বাসুদেব প্রিয়ঃ সদা, / উমা প্রীতি করো যস্মাদ্বিল্ববৃক্ষ নমোহস্তুতে'।

দেবীর বোধন বিল্ববৃক্ষতলে হওয়ার পিছনে আর একটি কারণ পরিলক্ষিত হয়। একসময় কাঠে কাঠে ঘর্ষণ করে আগুন জ্বালান হত। এইসব কাষ্ঠকে বলা হ'ত 'অরণি'। বৈদিক যুগে এই অরণি রূপে ব্যবহৃত হ'ত শমী গাছ। একে বলা হয় শিবাফলা, শাপাপশমনী, শিবেশা, শঙ্করী, শঙ্কফলিকা, মঙ্গল্যা, তনুনষ্ঠা, শুভকরী, সুপত্রা, শুখদা, শান্তা, তুন্দা, নৌ, সুভদ্রা, সুরভিরস ইত্যাদি। কিন্তু এই শমী গাছ (বিজ্ঞানসম্মত নাম Prosopis specigers Linn) -এর কাঠ খুব কম পাওয়া যেত। তাই 'অরণি' হিসেবে শমী গাছের কাঠের পরিবর্তে ব্যবহৃত হল বেল কাঠ। যেহেতু বেল কাঠে অগ্নি অবস্থান করত, আবার স্বয়ং দেবী দুর্গাও অগ্নিস্বরূপা, তাই বিল্বতলে দেবীকে বোধনের কদর বেশি। মানুষ মারা গেলে শ্রাদ্ধের সময় যে বৃষকাঠ দেওয়ার নিদান ছিল, এই বৃষকাঠ বানানোর জন্য ব্যবহৃত হত বেলকাঠ। আর নতুন পুকুর খননের পর সেই পুকুর প্রতিষ্ঠা করা হয় পুকুরের মাঝখানে বেলগাছের বড় ডাল পুঁতে। 

বেল অত্যন্ত উপকারী উদ্ভিদ। পেটের নানা রোগের উপশমে এর জুড়ি মেলা ভার। চরক এই বেলগাছ সম্পর্কে বলেছেন, 'দুর্জরং বিশ্বসিদ্ধন্তু দোষলং পূতি মারুতম্। / স্নিগ্ধোষ্ণ তীক্ষ্ণং তদ্বালং দীপনং কফবাতজিৎ'। পাকা বেলের তুলনায় কাঁচা বেল বেশি উপকারী। শুশ্রুত সহ অন্যান্যদের মতামতও সেরকমই। তাঁরা লিখেছেন— 'ফলেষু পরিপকেষু যে গুণা সমুদাহৃতাঃ বিশ্বাদন্যত্র বিজ্ঞেয়া বিশ্বং আমং গুণোত্তয়ম্'। অথর্ববেদের উপবর্তন সংহিতাতে বেলের গুণাবলি করা হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে— 'মা ত্বানি বৰ্দ্ধনীয়াৎ মালুরঃ ধূমসন্ধিঃ যঃ / ইষ্টং বীত মভিগতং বারং বিগাহতু'। অর্থাৎ তুমি মালুর, ধূমগন্ধি, সেজন্য তুমি শ্রীকে নষ্ট করে দাও। আবার বাতিকর হয়ে অগ্নিকে বাড়িয়ে দাও। যে মঙ্গলস্পর্ষ দূরে সরে যায়— তা তুমি পুনরায় স্থাপন করে দাও। 

বেলের বড় বড় ফল হয়। এই গোলাকৃতি ফলকে রাজশাহীর লোকছড়াকাররা তুলনা করেছেন 'মড়ার মাথা'র সাথে। তাঁরা ধাঁধার ছড়ায় লিখেছেন --
'কোন গাছে মড়ার মাথা? 
একথা যে বলতে না পারে
তাঁর সবশুদ্ধ গাধা'। 
বেলগাছের ডালে মারাত্মক শক্ত কাঁটা থাকে। তাই বেলগাছে ওঠা বেশ কষ্টকর কাজ। বেল পেকে গেলেও পাখিদের সাধ্যি থাকেনা তা খাওয়ার। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য পাকা বেল খুব উপকারী। গ্রীষ্মে বেলের সরবত তো উপাদেয় খাদ্য। তবে যখন তখন বেল খাওয়া চলে না। এই নিয়ে একটি ছড়ায় রয়েছে --
'অভুক্তা বড়ুই (কুল), ভুক্তা বেল
ডাক বলে পরাণ গেল'। 
অর্থাৎ খালি পেটে কূল ও ভরা পেটে বেল খাওয়া শরীরের পক্ষে খারাপ। বেলের শাঁসের সাথে দুধ এবং কাবাব চিনি মিশিয়ে খেলে গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তি মেলে। লোককবিদের কাছে বেলের মধ্যের এই শাঁস অংশটি হল মাংস, আর বাইরের শক্ত খোলকটি হল হাড়।  ছড়ায় আছে --
'এ মোর ও মোর তো মোর ঘর
ভিতরে মাংস উপরে হাড়'। 
পাকা বেল তো অসাধারণ খেতে। এই পাকা বেল নিয়ে সাহিত্যের অঙ্গনে অনেক খোঁজ মেলে -- 'বেল পাকলে কাকের কি, ঠোকরালে আর পাবে কি'। আসলে পাকা বেল এমনই শক্ত যে, কাক তা ঠুকরেও খেতে পারেনা। শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে রয়েছে -- 'দেখিল পাকিল বেল গাছের উপর, আরভিল কাক তাক ভখিতে না পারে'! দাশু রায়ের লেখায় আছে -- 'বেল পাকিলে কাকের কিবা সুখ'। আর 'আলালের ঘরে দুলাল'তে আছে -- 'তিনি ভালো জানেন বেল পাকলে কাকের কি'। 

বেলপাতা ঘিয়ে ভেজে মিছরির গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। সেইসাথে বীর্য ঠিক থাকে। বেল গাছের ফুল গোলমরিচের সাথে বেটে খেলে বমি এবং ডায়রিয়া ভালো হয়। আসলে বেলের মধ্যে রয়েছে ইম্পারেটরিন, ডিক্টামিন, মারমিসিন, বেটাসিটোস্টেরল, অ্যামবেলিফেরন, গামাসিটোস্টেরল, গামাফাগারিন, মারমিন, স্কিমিয়ানিন, অ্যাজেলিন, টাম্বামাইড, হ্যাপলোপিন, জেরানিল নামের নানা উপকারী রাসায়নিক পদার্থ। তাই বেলের মতো অত্যন্ত উপকারী ফলকে নিয়ে ছড়ায় আছে -- 
'নিম নিশিন্দা বেলের পাত
আমঘোড়স আর কল্পনাথ
বজ্রদন্ত ইসবগুল
এ থাকতে কেন রোগী যায় গঙ্গার কূল'। 

বেলগাছ মোটামুটি ২৫ থেকে ৩০ ফুট উচ্চতার হয়। মে মাস নাগাদ সবুজাভ হলুদ ফুল হয়, এবং সবুজ ফল হয়। পরবর্তী চৈত্র বৈশাখ মাসে ফল পেকে হলুদ হয়ে যায়। এই গাছের ডালে শক্ত ও সরু কাঁটা থাকে। যা গায়ে ফুটে গেলে খুব যন্ত্রনাদায়ক হয়। সবুজ ফলের মধ্যে সাদা আঠার মধ্যে বীজ থাকে। এই আঁঠা ঘুড়ি তৈরিতে কাজে লাগায় ছোটরা। ডাকের বচনে পাই ---
'কার্তিকে ওল, মার্গে বেল, পৌষে কাঞ্জি, মাঘে তেল।
ফাগুনে আদা, চৈত্রে তিতা, বৈশাখেতে নিম নালিতা।
জ্যৈষ্ঠে ঘোল, আষাঢ়ে দই, শ্রাবণে চূড়ান্ত খই।
ভাদ্রে তাল, আশ্বিনে শশা, ডাক বলে এই বারোমাসা'।

🍂

Post a Comment

0 Comments