দীপঙ্কর সাঁতরা-র কবিতা
নৌকো
সামনে বা পেছনে শ্যাওলার সাথে ভেসে যাই
চিৎ হয়ে তোমাকেই ছুঁয়ে থাকি
তোমার গায়ের গন্ধ এলোমেলো উড়ে এলে
পাল তুলে দিই, ভরে নিই অসীম নিঃশ্বাস
কাছে থেকে না থাকার মত আলো জ্বলে
বাঁকে বাঁকে অজস্র নগরী পার করে এসে
ভুবন হারাই, ঢেউ ওঠে জোর
ডুবতে ডুবতে ভেসে উঠে স্নিগ্ধ স্নানে তোমাকে জড়িয়ে নিই
অন্ধকার চুল নামে বুকে, অন্ধকার গান
তখনই সহজিয়া মরণের সুরে দাঁড় তীব্র হয়
ছাব্বিশ হাজার
ভাঙা সাঁকো, ভাঙা নৌকা, ধ্বস্ত বালিপাড়ে দাঁড়িয়ে
ওরা বোধহয় একসাথে কিছু বলছে
শোনা যাচ্ছে না কিছুই
ওদের গলার শিরা ফুলে উঠছে, কপালে জলজ বুদবুদ,
বুকে পরাজিত পলাশের মালা
সমবেত ভাবেই কিছু বলছে ওরা
শোনা যাচ্ছে না কিছুই
এখন মাথার উপর, বনরেখায়, সিঁদুরে মেঘ অকথ্য অপার্থিব সৌন্দর্যে
সাতকাহন করে শোনানো হচ্ছে পড়শীদের পাড়ায় পাড়ায়
আর শোনা মাত্রই বালি উড়ছে পাখির মত
সন্ধ্যা নামার আগে কাকলি মুখরিত ত্রিভুবন
ওরা কিছু বলছে, বোধহয় চিৎকার করেই বলছে
শোনা যাচ্ছে না অথবা শুনতে চাইছে না কেউই
0 Comments