পর্ব -১৫
সৌমেন রায়
চিত্র – অসিত কুমার সেনাপতি
বিগ্রহ
এই যে ছেলেমেয়েরা আসছে না, পড়ছে না, শিখছে না এইসব সমস্যা বললে অনিবার্য ভাবে একটা কথা উঠে আসে। সেটা হল আনন্দপাঠ । শিক্ষক মহাশয়রা পড়াশোনাকে আনন্দ পাঠ করে তুলতে পারছেন না, অর্থাৎ শিক্ষার সঙ্গে আনন্দকে জুড়তে পারছেন না। আনন্দ শিক্ষার সঙ্গে স্বতই জড়িত। যারা শিখেছেন, শিখছেন তারা সেটা অনুভব করতে পারেন। এখানে সে আনন্দের কথা নয়, খানিক বাড়তি আনন্দের কথা বলা হয়। কেমন সে আনন্দ? বলা হয় খেলার ছলে, মজার ছলে শিখবে শিশু। পড়ছে বলে বুঝতেই পারবে না। হ্যাঁ কিছু জিনিস তো এভাবে শিক্ষা দেওয়া যায়। বিশেষত প্রাথমিক স্তরে দেওয়া উচিত। এতে শিক্ষার প্রতি প্রাথমিক আগ্রহ জেগে ওঠে। অনেকে তা করেনও। কেউ ছবি এঁকে আর্টিক্যাল , প্রিপোজিশন শেখান। কেউ নাচের ছন্দে ধারাপাত পড়ান। কেউ নদী এঁকে নদী সম্পর্কিত শব্দ খুঁজতে বলেন। ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন শব্দ ভান্ডারের সঙ্গে পরিচিত হয়। এরকম অনেক, অনেক, অনেক, অনেক উদাহরণ আছে। আজকাল ইন্টারনেটের যুগে সেই সমস্ত ছড়িয়েও পড়ছে। আরো অনেকের আগ্রহ জেগে উঠছে। অনেকে অনুকরণ করছে। এ অনুকরণ উত্তরণের অনুকরণ। এক একটি শেখানোর কৃতকৌশল দেখলে অবাক হয়ে যেতে হয়। উচ্চ প্রাথমিক পর্যন্ত এই ধরনের শিক্ষা খুব কার্যকর এবং দেওয়া উচিত। কিন্তু এর একটা সীমাবদ্ধতা আছে। যেমন নাচের ছন্দে উৎপাদকে বিশ্লেষণ শেখানো যায় না, কিংবা গান করে পিরিওডিক টেবিল। যদি দু-একটা গান বাঁধাও যায় তা সম্পূর্ণ জ্ঞান দিতে পারে না। তাই কিছুটা এগোনোর পর ‘নিরানন্দ পাঠ’ দিতেই হয়। কেউ যদি দেখিয়ে দেন সারা বছরই সব ক্লাসে, সব বিষয়ে শিশুকে আনন্দ পাঠ দান সম্ভব তাহলে অনেকেই বাধিত হবেন। শিক্ষার খোল, নলচে সব পাল্টে যাবে।
শিক্ষায় টি এল এম ব্যবহার এখন বহু চর্চিত বিষয়। টি এল এম মানে টিচিং লার্নিং মেটেরিয়াল। এ ব্যাপারে কিছু সরকারি টাকাও পাওয়া যায়। আগে হেডমাস্টর মশাইরা কিছু চক কিনে বাকি টাকা ফিনাইল ইত্যাদি কিনে নিতেন। ভাবতেন এসবও টি এল এম। এখন কিন্তু সচেতনতা বেড়েছে। কিছু কিছু টি এল এম সব স্কুলেই আছে। অনেক শিক্ষক তা ব্যবহার করেন। অনেকে আবার একটু বিরক্ত হন। বলেন টি এল এম নিয়ে ক্লাসে গেলে ক্লাসের মধ্যে গোলমাল যেন বেশি হয়। তাই তারা টি এল এম খানিক অ্যাভয়েড করেন। তারা ভেবে দেখতে পারেন যে এটা অনাগ্রহের গোলমাল, না শিক্ষাকে ছুঁয়ে দেখার আনন্দের গোলমাল। টি এল এম এর কার্যকারিতা নিয়ে দ্বিমত থাকা উচিত না। তবে ওই যে বলছিলাম এরও একটা সীমাবদ্ধতা আছে। বি এডে Piaget এর Cognitive Development এর উপর একটা বিখ্যাত তত্ত্ব পড়তে হয়। তত্ত্বটি পেঁয়াজের তত্ব হিসেবে অধিক খ্যাত । যদিও ওটা পড়াশোনা করলে সকলে হাসাহাসি করে। ওখানেই ছিল যে উচ্চ প্রাথমিক স্তর থেকে শিশুর মনে বিমূর্ত ধারণার বিকাশ শুরু হয়। তাই যদি হয় তাহলে টি এল এম এর অযথা ব্যবহার এই ধারণাকে, এই বিকাশকে ব্যাহত করে। এখন আবার বাইজুসরা শিক্ষার জুস করে খাওয়ানো শুরু করেছে। সেখানে অ্যানিমেশন করে ইলেকট্রনের ঘোরা থেকে দেহে রক্ত সঞ্চালন সব দেখিয়ে দেওয়া হয়। অনেকেরই খুব পছন্দ। মনকথা টি বিতর্কিত। তবু সাহস করে বলেই ফেলি। আগেই তো বলেছি এ লেখা কোন কাজে আসবে না। ছাপা হলে তাও বাচ্চার পটি পরিষ্কার করতে পারতেন। ই -ম্যাগাজিন তাতেও জল ঢেলে দিয়েছে। কথাটা হচ্ছে এ সমস্ত বিষয় খুব একটা কার্যকর নয়। এগুলি দেখে স্টুডেন্টরা আনন্দ পায় ঠিকই কিন্তু এর থেকে বেশি কিছু শিখতে পারেনা। যেমন হৃৎপিণ্ডে রক্ত সঞ্চালন যদি পড়ে বোঝা না যায়, সেটা কল্পনা করে নিতে যদি অসুবিধা হয় তবে তার ছবি দেখিয়েও শেখানো যায় না। স্টুডেন্ট ওই ছায়াছবি দেখবে কিন্তু কাজ হবে না । প্রাথমিক স্তরে লসাগু, গসাগু একেবারে ছুঁয়ে দেখার পাঠ আছে প্রাথমিকের সরকারি বইয়ের মধ্যেই। বাঁকুড়া জেলার এক মাননীয় প্রাথমিক শিক্ষক তা বিভিন্ন জায়গায় করে করে দেখাচ্ছেন। প্রাথমিক স্তরে দেখানো ঠিক আছে। স্টুডেন্টরা উৎসাহী হবে। কিন্তু কিছুটা পরে ছাত্রছাত্রীরা লসাগু, গসাগু যদি বুঝতে না পারে তাহলে তাকে ছুঁয়ে দেখিয়েও কাজ হবে না । শিখতে গেলে বেশ কিছু লসাগু , গসাগুর অঙ্ক করতে হবে। আর বিকল্প কিছু নেই । তাছাড়া সবই এভাবে শেখানো যায় না। যেমন ধরুন টু রোডস ডাইভার্জড ইন ইয়েলো উড পড়াতে গিয়ে আবহটি অনুভব করতে যদি ঘোড়া নিয়ে জঙ্গলে যেতে হয় তাহলে তো মুশকিল। যদি অ্যানিমেশন করেও দেখানো যায় তাহলে শিশুর কল্পনা শক্তি ব্যাহত হয়। কল্পনা শক্তি পড়াতে তো বটেই বাস্তব জীবনেও অপরিহার্য। যেমন ধরুন একটা ফাঁকা জায়গায় বাড়ি করতে হবে। ফাঁকা জায়গার মাপ থেকে বাড়ির ঘর, রান্নাঘর, বাথরুম সব কল্পনা করতে হয়। বাড়ি করে ভেঙে,আবার করে দেখা হয় না। তাই সেই শক্তিটা বাড়ানো উচিত। সবকিছু দেখাতে গেলে সেটা সার্কাস হয়ে যাবে। একদিন হয়তো দেখা যাবে ইতিহাস শিক্ষক নেপোলিয়ন সেজে ক্লাসে ঢুকছেন। কোনদিন হয়তো দেখা যাবে হেডমা রাখতে স্টমশাইকে নিউক্লিয়াস করে শিক্ষকরা ইলেকট্রন হয়ে ঘুরে ঘুরে পরমাণুর গঠন দেখাচ্ছে। এক কিশোরের গল্প শুনুন । সে একবার পিরিয়ডিক টেবিলের একটা চার্ট পেয়ে লাগিয়ে রেখেছিল ঘরের দেওয়ালে। ভেবেছিল দেখে দেখে মুখস্ত হয়ে যাবে। তার বাবা একদিন ঘরে ঢুকে সটান চার্টটা ছিঁড়ে ফেলে দিলেন। বললেন চোখের সামনে থাকলে কোনদিনই মুখস্ত হবে না। মাথার মধ্যে পিরিয়ডিক টেবিলটি হবে তবেই মনে থাকবে এবং তার প্রয়োগ করা যাবে। কেউ হয়ত পিক্টোরিয়াল মেমোরির কথা বলবেন। মনে রাখতে হবে পিকটোরিয়াল মেমোরি খন্ডিত মেমোরি। ভিন্ন মত থাকতেই পারে।
হাতে-কলমে বিজ্ঞান শিক্ষা আর টি এল এম কাছাকাছি তবে একদম এক নয়। বিজ্ঞান শিক্ষা অসম্পূর্ণ থাকে হাতে-কলমে শিক্ষা ছাড়া । তাই সবাই বলেন হাতে-কলমে শিক্ষায় জোর দিতে। কার্যকর শিখন দিবস কিভাবে কমেছে আগেই দেখেছেন। তাই সে সময় পাওয়া দুষ্কর। তবু ধরে নিলাম যে সময়ের অভাব নেই। কিন্তু স্কুলে স্কুলে হাতে কলমে বিজ্ঞান শিক্ষার পরিকাঠামোর অবস্থা শোচনীয়। গ্রান্ট আছে, কোথাও কোথাও ল্যাবরেটরি আছে। কিন্তু সেটি সবার হাতে যন্ত্রপাতি তুলে দেওয়ার মত যথেষ্ট নয়। মাধ্যমিক স্তরের কথা বাদই দিন। উচ্চমাধ্যমিকে সিলেবাসের মধ্যেই যে প্র্যাকটিক্যাল আছে তাও অনেক স্কুলে করানো হয় না শিক্ষক ও স্টুডেন্টের অনীহার কারণে। শুধু প্র্যাকটিক্যাল খাতাটি কমপ্লিট করা হয়। মানে ফাইল ক্লিয়ার থাকে। আমাদের কাছে ‘মার্কসবাদ’ , মানে নম্বর এত গুরুত্বপূর্ণ যে প্র্যাকটিক্যাল কে ফালতু বলে মনে করি( ওটার নম্বর স্কুল এমনিতেই দেয়,না দিয়ে উপায় নেই)। কিছু পাগল শিক্ষক তার মধ্যেও চেষ্টা করেন। তার ফলও মিষ্টি নয়। এদের কথা নিয়ে একটি পৃথক পর্ব হবে। তবু একটু বলি। হাতে কলমে বিজ্ঞান শিক্ষার সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত আছেন এক ব্যাক্তি। তিনি শেষ বয়সে এসে বলছেন এতদিন পরিশ্রমের লাভ তেমন কিছু হয়নি। তার তত্ত্বাবধানে বিজ্ঞান কেন্দ্রের প্রায় দেড় হাজার বিজ্ঞান বিষয়ক পুস্তক আছে। বলছেন, বইগুলো ব্যবহারের অভাবে নষ্ট হয়ে গেল। ‘পাগল’ শিক্ষক আরো আছেন। তারা ক্লাসে করে দেখান। ছেলে মেয়েরা দেখে আনন্দ পায় কিন্তু ভেতরে ঢোকার জন্য যে অধ্যবসায়ের দরকার তার খুব অভাব। এক বিজ্ঞান শিক্ষক বলছেন তার এখনো আশ্চর্য লাগে যে স্ফুটনের সময় তাপমাত্রা স্থির থাকে। তিনি প্রতি বৎসর এইটের ছেলেমেয়েদের হাতেনাতে করে দেখান। দেখে সবাই আশ্চর্য হয়। তিনি পরীক্ষায় প্রশ্ন দেন স্ফুটনের সময় তাপমাত্রা, স্থির থাকে / কমে যায় / বাড়ে। ক্লাসের খুব বেশি হলে পনের শতাংশ ছাত্র ছাত্রী সঠিক উত্তর দেয়। তাও কয়েকজন আন্দাজে। রাজহাঁস সম্পর্কে একটা মিথ চালু আছে। মিথ্যে হলেও শুনতে ভালো । রাজহাঁস নাকি জল আর দুধের মিশ্রণ থেকে দুধ খেয়ে জল ফেলে রাখে। ছেলেরাও তেমনি আনন্দপাঠ থেকে আনন্দ নিয়ে পাঠ ফেলে রাখে। একবার কলকাতায় এক বেসরকারি শিক্ষা কনভেনশনে এক শখের শিক্ষাপ্রসারক বলছিলেন তিনি বহুবার ছেলেদের খেলনা গাড়িতে বেলুন লাগিয়ে নিউটনের তৃতীয় গতিসূত্র বুঝিয়েছেন। পরের দিন জিজ্ঞেস করলে তারা আনন্দের সঙ্গে গাড়ি আর বেলুনের গল্প বলেছে। অবধারিত ভাবে গতিসূত্রের কোন কথা উঠে আসেনি।
একবার অভিভাবক সভায় এক সম্মানীয় ব্যক্তি বলেছিলেন অভিভাবক হচ্ছে যজমান, শিক্ষক পুরোহিত এবং ছাত্রছাত্রীরা বিগ্রহ। যজমান, পুরোহিতের কাজ বিগ্রহের সেবা করা। শিক্ষকরা প্রতিপদে এটি অনুভব করেন যে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীরা বিগ্রহ। আরতির ঢঙ্গে পুরোহিত যতই আন্দোলিত হন বিগ্রহ কিন্তু অচঞ্চল। শিক্ষকের মন হাতেনাতে পরীক্ষা করে নেচে ওঠে, ছেলেমেয়েদের একটা বড় অংশের কোন ভাবান্তর হয় না।
অনেকে মনে করেন যে শুধুমাত্র হাতেনাতে বিজ্ঞান শিক্ষা হচ্ছে না বলেই ছেলেরা বিজ্ঞানে আগ্রহী হচ্ছে না। তার ফলে স্নাতক স্তরে বিজ্ঞানের স্টুডেন্ট কমে যাচ্ছে। আগে যে সব কলেজ সুযোগ পাওয়াই মুশকিল হতো, এখন সেখানে সিট ফাঁকা। বিজ্ঞান শিক্ষার অভাবে স্টুডেন্ট হচ্ছেনা কথাটা কিছুটা সত্য, পুরোপুরি নয়। হাতেনাতে করে দেখালে অবশ্যই আগ্রহ বাড়বে কিন্তু সেটা প্রাথমিক স্তরে। মানে যেমন ধরুন অনুনাদ অনেক রকম ভাবে সামান্য আয়োজনে দেখানো যায়। আগ্রহ তৈরি হবে। দেখানো উচিতও, তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু অনুনাদ, শব্দ বিজ্ঞান পড়তে গেলে তাকে বেশ খানিকটা গণিত জানতে হবে। সেই ভিত্তি তৈরি না হলে শুধুমাত্র আগ্রহ সৃষ্টি করে বেশি দূর যাওয়া যাবে না। এখন যারা হাতে কলমে বিজ্ঞান শিক্ষা নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছেন তাদের নিজেদের সময়ের কথা ভেবে দেখুন । চক আর ব্ল্যাকবোর্ড ছাড়া কোনো টিএলএম দেখেননি। তাও কলেজ গুলিতে উপছে পড়ত স্টুডেন্ট। এখন সেখানে প্রচুর সিট ফাঁকা পড়ে আছে। সুতরাং কারণটি শুধুমাত্র হাতেনাতে বিজ্ঞান শিক্ষা নয়, আরো অনেক কিছু। একটি সবচেয়ে বড় কারণ হলো চাকরির বাজার। পড়ে যদি খাওয়া , পরা না জোটে কেউ পড়বে?
অর্থাৎ পড়াশোনা সম্পর্কে সেই চিরন্তন কথাগুলি ‘ধৈর্য্য ‘, ‘অধ্যবসায় ‘, ‘পরিশ্রম’ সত্যি চিরন্তন। আনন্দ পাঠ, টি এল এম এসব সহায়ক, পরিপূরক। সবটা নয়। এই তিনটি বিষয়ের বিরাট বিরাট ঘাটতি শিক্ষকের পাঠদানের বিরাট বিরাট সমস্যা। সমাধান তো দূরের কথা, শোনার লোক পর্যন্ত নেই। পাঁচশো জন অভিভাবকের সভাতে আগে 60 -100 জন উপস্থিত থাকতেন । শোনা যাচ্ছে কমতে কমতে সেই সংখ্যা এখন এক অঙ্কে ঢুকে পড়েছে। কাকে কি শোনাবেন!!
6 Comments
আজকের নিবন্ধে সৌমেন খুঁজতে চেয়েছেন এমন এক আশ্চর্য রসায়ন যা শিক্ষার্থীদের শেখার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে পারে। কাজটা সত্যিই খুব কঠিন,
ReplyDeleteসেকথা জেনেই শিক্ষকদের পাঠ সঞ্চালন করতে হয়। শিক্ষক বা শিক্ষিকাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাঁরা সহজাত স্বাচ্ছন্দ্যে পাঠ্য বিষয়টিকে নিয়ে ড্রিবলিং করতে পারেন। তাঁরা তাঁদের উপস্থিতির ওজনেই কাঙ্ক্ষিত ফল লাভ করেন। কিন্তু বাকিরা?
🙏🙏
Deleteখুব ভালো লেখেন, পড়ে মজা পেলাম....
ReplyDeleteপরের লেখার জন্য অপেক্ষা করবো...১❤️💚🧡
গভীর চিন্তার বিষয়।🙏
Deleteআমি প্রত্যেক মঙ্গলবার লেখা গুলো মন দিয়ে পড়ি। আমার শিক্ষক জীবনের অভিজ্ঞতার সঙ্গে বেশ মিল খুজে পাই। এবারের প্রকাশনাটিও তার ব্যতিক্রম নয়। যজমান, পুরোহিত ও বিগ্রহের তুলনাটি বেশ উপযুক্ত ও উপভোগ্য। ভবিষ্যতে এরকম আরও লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।🙏
ReplyDeleteধন্যবাদ। এই সব যাতনার কথা পড়ছেন ,মিল পাচ্ছেন এইটুকুই ভালো লাগা ।🙏🙏
ReplyDelete