জ্বলদর্চি

তথ্য ও তত্ত্বে কালীকথা : নানা রূপে মা কালী /সুবর্ণা নাগ

তথ্য ও তত্ত্বে কালীকথা : নানা রূপে মা কালী

সুবর্ণা নাগ 


'আমি মন্ত্র তন্ত্র কিছুই জানি নে মা
আমি মন্ত্র তন্ত্র কিছুই জানি নে মা,
শুধু যা জেনেছি সেটুক হলো এই,
তোরে ডাকার মতো ডাকতে যদি পারি
তোরে ডাকার মতো ডাকতে যদি পারি,
তবে আসবি নে তোর এমন সাধ্য নেই,
আমি মন্ত্র-তন্ত্র কিছুই জানি নে মা।'

শ্রী কমলাকান্তের কলমে ধরা পড়েছিল আপামর বাঙালীর অন্তরের কথা। কালী যেন দেবী রূপে বাড়ির মেয়ে, মন্ত্র তন্ত্রের উর্দ্ধে উঠে হৃদয়ের সমর্পনেই আমরা ভক্তি ও মুক্তির পথ খুঁজি। 
   তবু মা কালীর নানান রূপ, তাঁর ব্যাখ্যা এক গভীর কৌতূহলের জায়গা। বিভিন্ন সাধন পথে ও কামনা - বাসনা ভেদে তার বিভিন্ন রূপ ও পূজা পদ্ধতি। আজ এই নিয়েই আলোচনা হোক।

শিব পুরুষের প্রতীক, আর কালী প্রকৃতি বা বস্তুর প্রতীক। এই দুই গুণের একত্রীকরণ চূড়ান্ত বাস্তবতার প্রতীক। শিবকে চেতনা এবং কালীকে শক্তি বা শক্তি হিসেবে দেখা হয়। শিব সৃষ্টি, সংরক্ষণ, এবং ধ্বংসে তার ভূমিকা পালন করার জন্য শক্তির উপর নির্ভরশীল। শিবের উপর দাঁড়িয়ে থাকা কালীর মূর্তি জীবনের প্রক্রিয়ার উপর সম্পূর্ণ কর্তৃত্বের প্রতীক। কালী হলেন শিবের শক্তি, এবং তিনি তার সাহায্য ছাড়া কাজ করতে পারতেন না। কালী হলেন হিন্দুধর্মের একজন পরম আরাধ্য দেবী। তিনি মৃত্যু, সময়, ও পরিবর্তনের কর্তা বলে মনে করা হয়। তন্ত্র অনুসারে কালী দশমহাবিদ্যার প্রথম দেবী। কালীকে ভগবান শিবের স্ত্রী পার্বতীর রূপ হিসেবে বিশ্বাস করা হয়।

‘ওঁ খড়্গং চক্রগদেষুচাপপরিঘান শূলং ভুশুণ্ডীং শিরঃ| শঙ্খং সন্দধতীং করৈস্ত্রিনয়নাং সর্বাঙ্গভূষাবৃতাম্ || নীলাশ্মদ্যুতিমাস্যপাদদশকাং সেবে মহাকালিকাম্ | যামস্তৌৎ স্বপিতে হরৌ কমলজো হন্তুং মধুং কৈটভম্ ||’ – মার্কণ্ডেয় চণ্ডীর শ্রী শ্রী মহাকালীর ধ্যানমন্ত্রে পাওয়া যায়। তিনি দশমহাবিদ্যার প্রথম দেবী। শাক্ত মতে, কালীই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টি করেছেন। কালী সেই আদি শক্তিরই মূর্ত রূপ। কিন্তু আজকের এই কালী বা শ্যামা মূর্তি কিন্তু খুব প্রাচীন নয়। কথিত আছে, ষোড়শ শতকের তন্ত্র সাধক কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশই প্রথম কালীর রূপ কল্পনা করেছিলেন। তার আগে দেবী পূজিতা হতেন ‘যন্ত্রে’। এছাড়াও গুহ্য মূর্তি শবশিবা বা অন্য কল্পে দেবী পূজিতা হতেন। দেবীর সেই রূপ গৃহী ভক্তদের উপযোগী নয় ভেবে কৃষ্ণানন্দ সেই রূপে বদল আনেন। আবার ভিন্ন মতে ঊষা এবং নিশার উপাসনা প্রাচীন কাল থেকে প্ৰচলিত ছিল। হরপ্পা সভ্যতার ঊষা ও নিশা থেকে আজকের দুর্গা ও কালী এসেছেন। ঋগ্বেদে রাত্রিসূক্তে এই নিশার ছায়া আছে। এছাড়া দেবীসূক্তে মায়ের সর্বময়ী কর্তৃত্বের আভা পরিস্ফুট।

দেবীপুরাণ, দেবীমাহাত্ম্য, কালিকাপুরাণ ও তন্ত্র গ্রন্থগুলিতে কালীর বিভিন্ন রূপের বর্ণনা পাওয়া যায়। সাধারণভাবে দেবী চতুর্ভুজা, তাঁর মূর্তিতে চারটি হাতে খড়্গ, অসুরের ছিন্নমুণ্ড, বর ও অভয়মুদ্রা, গলায় মুণ্ডমালা, লোলজ্বিহা, বক্রনয়না, ঘোর কৃষ্ণবর্ণ (মতান্তরে নীল), এলোকেশ দেখা যায়। মহাদেবের বুকের উপর দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। নানা রূপে দেবীর আরাধনা করা হয়।

   তোড়লতন্ত্র অনুসারে, কালীর নয়টি রূপ হল: দক্ষিণাকালী, কৃষ্ণকালী, সিদ্ধকালী, গুহ্যকালী, শ্রীকালী, ভদ্রকালী, চামুণ্ডাকালী, শ্মশানকালী, ও মহাকালী। 
 
মহাকাল সংহিতার অনুস্মৃতিপ্রকরণে কালীর নয়টি রূপ হল: দক্ষিণাকালী, ভদ্রকালী, শ্মশানকালী, কালকালী, গুহ্যকালী, কামকলাকালী, ধনকালী, সিদ্ধিকালী, ও চণ্ডিকালিকা। 
 
বাংলায় জনপ্রিয় কালীর রূপগুলির মধ্যে রয়েছে রক্ষা কালী, ভাদ্র কালী, ও গুহ্য কালী। 
 
বিভিন্ন ঐতিহ্য অনুসারে কালীর ৮, ১২  বা ২১টি ভিন্ন রূপ আছে। 
 
বিভিন্ন মন্দিরে 'ব্রহ্মময়ী', 'ভবতারিণী', 'আনন্দময়ী', 'করুণাময়ী' ইত্যাদি নামে কালীপ্রতিমা প্রতিষ্ঠা ও পূজা করা হয়।

🍂

বিভিন্ন রূপে মা কালী

1. দক্ষিণাকালী

দক্ষিণাকালী দেবী তান্ত্রিক সাধনার জন্য অন্যতম প্রধান রূপ। এই রূপে তিনি দক্ষিণ দিকে মুখ করে শিবের বুকে দাঁড়িয়ে থাকেন। তাঁর গাত্রবর্ণ ঘনমেঘের ন্যায়, তিনি মহাভীমা,ভয়াল হাস্যযুক্তা ও মুহুর্মুহু রক্তপানকারিনী। দেবীর দক্ষিণপদ মহাদেবের বক্ষে স্থাপিত।দেবীর চার হাতে খড়্গ, কাটা মুণ্ড, আশীর্বাদ ও অভয় মুদ্রা থাকে। দক্ষিণাকালী দেবী সময়ের প্রতীক, মৃত্যুকে নিয়ন্ত্রণকারী, এবং ভক্তদের মুক্তির পথে সহায়ক।

2. সিদ্ধকালী

সিদ্ধকালী দেবী আধ্যাত্মিক সিদ্ধি বা জ্ঞান লাভের প্রতীক। সাধনার মাধ্যমে সিদ্ধকালী দেবী ভক্তদের অন্তর্দৃষ্টি, জ্ঞান, এবং আধ্যাত্মিক শক্তি অর্জনে সহায়তা করেন। এই রূপে দেবী শুদ্ধি ও শক্তির মাধ্যমে ভক্তদের আধ্যাত্মিক মুক্তির পথ দেখান।

3. শ্মশানকালী

শ্মশানকালী দেবী শ্মশানে অবস্থান করেন এবং নগ্ন দেহে ভস্ম মেখে থাকেন। তিনি মৃত্যুর প্রতীক এবং অশুভ শক্তিকে নির্মূল করেন। শ্মশানকালী উপাসনার মাধ্যমে ভক্তরা সমস্ত ভয়, মায়া, এবং মোহ থেকে মুক্তি লাভ করেন। সাধকরা এই রূপে কালীকে পূজা করেন বিশেষ করে তন্ত্র সাধনায়।

4. ভদ্রকালী

ভদ্রকালী দেবী শান্তির প্রতীক এবং সাধারণত মঙ্গল কামনায় পূজিত হন। এই রূপে তিনি কোমল এবং করুণাময়ী। ভদ্রকালী মূলত সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধি এবং পরিবারের মঙ্গল কামনায় পূজিত হন। ভক্তরা তাঁর কাছে কৃপা ও রক্ষার জন্য প্রার্থনা করেন।

5. মহাকালী

মহাকালী দেবী সময় এবং মহাশক্তির অধিষ্ঠাত্রী। এই রূপে তিনি কাল বা সময়কে নিয়ন্ত্রণ করেন এবং ব্রহ্মাণ্ডের সমস্ত সৃষ্টিকে ধ্বংস ও পুনর্সৃষ্টি করার ক্ষমতা রাখেন। মহাকালী দেবী অত্যন্ত শক্তিশালী এবং ভক্তদের আধ্যাত্মিক শক্তির জন্য সাধকরা তাঁকে পূজা করেন।

6. রক্ষাকালী

রক্ষাকালী দেবী ভক্তদের সুরক্ষার জন্য পূজিত হন। যুদ্ধে, বিপদে, বা কঠিন পরিস্থিতিতে ভক্তরা তাঁর সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করেন। এই রূপে তিনি শত্রুদের বিনাশ করেন এবং তাঁর ভক্তদের রক্ষা করেন। রক্ষাকালীর উপাসনা বিশেষত যুদ্ধের সময় বা বিপদে রক্ষার জন্য করা হয়।

7. চামুণ্ডাকালী

চামুণ্ডাকালী দেবী চন্ড এবং মুণ্ড নামক দুই অসুরকে বধ করেন, তাই তাঁর নাম চামুণ্ডা। এই রূপে তিনি ভয়ঙ্কর এবং শক্তিশালী, এবং সমস্ত অশুভ শক্তিকে নির্মূল করেন। সাধকরা এই রূপে কালী দেবীকে পূজা করেন যাতে তাঁরা নিজের জীবন থেকে সমস্ত অশুভতা দূর করতে পারেন।

8. ভৈরবী কালী

ভৈরবী কালী দেবী অজ্ঞানতার অন্ধকার থেকে মুক্তি দান করেন। এই রূপে তিনি ভক্তদের জন্য করুণাময়ী হলেও শত্রুদের জন্য রুদ্র। ভৈরবী রূপে কালী দেবী শত্রুদের বিনাশ করেন এবং ভক্তদের জীবনে আলো এনে দেন। সাধকেরা তাঁর কাছে আধ্যাত্মিক শক্তি এবং জ্ঞান লাভের জন্য প্রার্থনা করেন।

9. গুহ্যকালী

গুহ্যকালী দেবী গোপন শক্তির অধিষ্ঠাত্রী। তাঁকে সাধারণত গোপনে পূজা করা হয়, এবং ভক্তদের গোপন ইচ্ছা পূরণের জন্য প্রার্থনা করা হয়। গুহ্যকালী ভক্তদের আধ্যাত্মিক উন্নতি এবং ব্যক্তিগত লক্ষ্য পূরণে সহায়ক।

10. বৈষ্ণবী কালী

বৈষ্ণবী কালী দেবী বৈষ্ণব তত্ত্বের সাথে সম্পর্কিত, যেখানে তিনি শান্তিপূর্ণ এবং করুণাময়ী রূপে পূজিত হন। এই রূপে তিনি কম রুদ্র এবং ভক্তদের প্রতি কৃপাময়ী। সংসারী ভক্তরা বৈষ্ণবী কালীকে আরাধনা করেন মঙ্গল, সমৃদ্ধি, এবং শান্তির জন্য।

১১. আদ্যাকালী 

 মহানির্বাণ তন্ত্রে এই দেবীর উল্লেখ পাওয়া যায়। আদ্যাকালীর রং মেঘের মতো ঘন নীল, কপালে চন্দ্ররেখা, ত্রিনেত্রা, রক্তবস্ত্র পরিধানে থাকে। প্রস্ফুটিত রক্তপদ্মে দেবী আসীনা, পুষ্পের মিষ্টি সুধা পান করে সম্মুখে নৃত্যরত মহাকালের নৃত্য দর্শন করে আনন্দিতা তিনি।

মহাকাল সংহিতায় দেবী কালিকার নয়টি রূপের উল্লেখ পাওয়া যায়। আবার তন্ত্রালোক ও তন্ত্রসার গ্রন্থে দেবীর ১৩টি রূপের সন্ধান মেলে। সৃষ্টিকালী, স্থিতিকালী, সংহারকালী, রক্তকালী, যমকালী, মৃত্যুকালী, রুদ্রকালী, পরমার্ককালী, মার্তণ্ডকালী, কালাগ্নি রুদ্রকালী, মহাকালী, ঘোরচণ্ডকালী, মহাভৈরবকালী। এছাড়াও আছেন, ডম্বরকালী, ইন্দিবরকালী, বামাকালী, হংসকালী, শ্যামাকালী, পার্বতীকালী, রটন্তীকালী, ফলহারিণী কালী, নিত্যকালী, ঈশানকালী, জীবকালী, বীর্যকালী, প্রজ্ঞাকালী ইত্যাদি। ‘কাল’ অর্থাৎ সময়ের জন্মদাত্রী পালনকর্ত্রী এবং প্রলয়কারিণী বলেই দেবীর নাম কালী। তিনি শিব বা শব, অর্থাৎ মৃত্যুর ওপর দাঁড়িয়ে জীবনের প্রতীক। তিনিই চেতনার প্রকাশ।

আশ্বিন মাসের অমাবস্যা তিথিতে দীপান্বিতা কালীপূজা বিশেষ জাঁকজমক সহকারে পালিত হয়। এছাড়া মাঘ মাসে রটন্তী কালীপূজা ও জ্যৈষ্ঠ মাসে ফলহারিণী কালীপূজাও বিশেষ জনপ্রিয়। অনেক জায়গায় প্রতি অমাবস্যা এবং প্রতি মঙ্গলবার ও শনিবারে কালীপূজা হয়ে থাকে।

পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় অনেক কালীমন্দির আছে। তাই ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে কালীকে "কলকাত্তাওয়ালি" (কলকাতানিবাসী) বলা হয়। কলকাতার সবচেয়ে বিখ্যাত কালীমন্দিরটি হল কালীঘাট মন্দির। এটি একটি সতীপীঠ। এছাড়া দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি, আদ্যাপীঠ, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি, ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি ইত্যাদি কলকাতা অঞ্চলের বিখ্যাত কয়েকটি কালী মন্দির। এছাড়া লালনার সিদ্ধেশ্বরী কালীবাড়ি, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ময়দা কালীবাড়ি, উত্তর চব্বিশ পরগনার হালিশহরের রামপ্রসাদী কালী মন্দির ইত্যাদি পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত কয়েকটি কালীমন্দির। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের অধুনা ধ্বংসপ্রাপ্ত রমনা কালীমন্দির ছিল খুবই প্রাচীন একটি কালীমন্দির। ভারতের রাজধানী নতুন দিল্লির নতুন দিল্লি কালীবাড়ি একটি ঐতিহ্যপূর্ণ কালীমন্দির।
   এছাড়াও শনি ও মঙ্গলবারে, অন্যান্য অমাবস্যায় বা বিশেষ কোনো কামনাপূরণের উদ্দেশ্যেও কালীর পূজা করা হয়। দীপান্বিতা কালীপূজা বিশেষ জনপ্রিয়। এই উৎসব সাড়ম্বরে আলোকসজ্জা সহকারে পালিত হয়। তবে এই পূজা প্রাচীন নয়। ১৭৭৭ খ্রিস্টাব্দে কাশীনাথ রচিত শ্যামাসপর্যাবিধি গ্রন্থে এই পূজার সর্বপ্রথম উল্লেখ পাওয়া যায়। কথিত আছে, নদিয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় অষ্টাদশ শতকে তাঁর সকল প্রজাকে শাস্তির ভীতিপ্রদর্শন করে কালীপূজা করতে বাধ্য করেন। সেই থেকে নদিয়ায় কালীপূজা বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করে। কৃষ্ণচন্দ্রের পৌত্র ঈশানচন্দ্রও বহু অর্থব্যয় করে কালীপূজার আয়োজন করতেন।

‘কালী’ শব্দটি ‘কাল’ শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ রূপ, যার অর্থ “কৃষ্ণ, ঘোর বর্ণ” (পাণিনি ৪।১।৪২)। মহাভারত অনুসারে, এটি দুর্গার একটি রূপ (মহাভারত, ৪।১৯৫)। আবার হরিবংশ গ্রন্থে কালী একটি দানবীর নাম (হরিবংশ, ১১৫৫২)।

‘কাল’, যার অর্থ ‘নির্ধারিত সময়’, তা প্রসঙ্গক্রমে ‘মৃত্যু’ অর্থেও ব্যবহৃত হয়। এর সমোচ্চারিত শব্দ ‘কালো’র সঙ্গে এর কোনও প্রত্যক্ষ সম্পর্ক নেই। কিন্তু লৌকিক ব্যুৎপত্তির দৌলতে এরা পরস্পর সংযুক্ত হয়ে গেছে। মহাভারত-এ এক দেবীর উল্লেখ আছে যিনি হত যোদ্ধা ও পশুদের আত্মাকে বহন করেন। তাঁর নাম কালরাত্রি বা কালী। সংস্কৃত সাহিত্যের বিশিষ্ট গবেষক টমাস কবার্নের মতে, এই শব্দটি নাম হিসাবে ব্যবহার করা হতে পারে আবার ‘কৃষ্ণবর্ণা’ বোঝাতেও ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে। 
    তবে আমাদের কাছে কালী যেন রামপ্রসাদের গানের মধ্য দিয়ে দেখা পরম দয়াময়ী, শ্রী রামকৃষ্ণের অপার ভক্তিতে করুণাময়ী ভবতারিণীর মাতৃরূপ, যিনি সন্তানের দুঃখে অশ্রুবিগলিত হন, আবার জ্ঞানেশ্বরী, সকল কালো মুছে দীপান্বিতা!

শেষ করবো, ঘরে ঘরে প্রচলিত এক ছড়া দিয়ে,

'জয় মা কালী জয় মা কালী
জ্ঞানের আলো দাও মা জ্বালি
আত্মাহুতি তাতে ঢালি
করিস নে মা হৃদয় খালি
কলিযুগের গতি কালী
তাই তো বলি জয় মা কালী।।'

তথ্যসূত্র :

১)কালী নানারূপে’, কালীপুজোর নিয়মকানুন ও জোগাড়, নবকুমার ভট্টাচার্য, পশ্চিমবঙ্গ বৈদিক আকাদেমি, কলকাতা
২) কালী নানারূপে, কালীপুজোর নিয়মকানুন ও জোগাড়, নবকুমার ভট্টাচার্য,
পশ্চিমবঙ্গ বৈদিক আকাদেমি, কলকাতা 
৩) ইন্টারনেট ও নানান আলোচনা

Post a Comment

0 Comments