জ্বলদর্চি

বার্লিনের ডায়েরি-৭০পর্ব/ চিত্রা ভট্টাচার্য্য (পম্পেই নগরীর পরবর্তী অংশ )

পম্পেই নগরীর পথে

বার্লিনের ডায়েরি    ৭০পর্ব    চিত্রা ভট্টাচার্য্য 
(পম্পেই নগরীর পরবর্তী অংশ )

অলিভ , ইউক্যালিপ্টাসে ঘেরা বন তলের পথ ধরে যাবার সময় পাতার ফাঁক দিয়ে আলো এসে পড়লো বুনো পথে।  রবাহুত কালচে মেঘেরা দল বেঁধে উড়ে চলেছে কোন দেশে! মেঘলা কাটিয়ে মধ্যাহ্নের সূর্য চোখ মেলাতে অদ্ভুত এক গোলাপী রাঙা আলোর আভা ছড়িয়ে আছে তামাটে পাহাড়ের রুক্ষ পদতলে।  আকাশ ছোঁয়া পর্ণমোচী বিশাল গাছেদের শাখা প্রশাখা, ডালপালা থেকে হলদে হয়ে যাওয়া পাতা উড়ে এসে পড়ছে গায়ে মাথায়। সাগরের তীর থেকে ভেসে আসা  উদ্ভ্রান্ত  শীতলতম বাতাস ক্ষণেক্ষণে বিভ্রান্ত করছে শ্রীময়ী কে। ওর শাড়ির আঁচল আঁটোসাঁটো ভাবে গলায় জড়ানো মাফলারের মত ,তবুও বিরামহীন শৈত্য প্রবাহ সোয়েটার ওভার কোটের ভিতরে প্রবেশ করে ত্বকে রীতিমত হুল ফুঁটিয়ে চলেছে। অসহ্য তার দংশনের বেয়াদবি। শান্তিতে বেড়াবে কার সাধ্য?  তবু ও কোনো প্রতিকূলতাতেই ওরা কাবু নয়। চলার পথে যা দেখছে অবাক চোখে তাকিয়ে দেখে। শতশত প্রশ্ন মনের মাঝে ঘুরে বেড়ায়। ওদের সঙ্গের ভ্রমণার্থীর দল যে যার খেয়াল খুশি মত মৃত নগরীর বিভিন্ন প্রান্তে গভীর অনুসন্ধিৎসায় টহল দিয়ে বেড়াচ্ছিল।

 অদ্রিজার মনে হয় ওদের সাথে চলা ট্যুরিস্টদের সবাই যেন দেশ আবিস্কারক। সব মাটি খুঁড়ে আলোয় আনবে যত অপ্রকাশিত না বলা কথার বাণী। মাটিতে মিশে  যাওয়া জীবনের সরল উপাখ্যান।  শ্রী বলে প্রত্নতাত্বিকদের কাছে পম্পেই নগর এখন গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ এক বিশেষ কেন্দ্র। প্রায় ২হাজার বছর আগের  প্রাচীন গ্রীক সভ্যতার ছবির মত নাগরিক জীবন। সেযুগে তাদের ঘরবাড়ি রহন সহন,আদব কায়দা, সংস্কৃতি আচার আচরণ-- জীবনধারা ,পশুপাখি সব ফসিলে রূপান্তরিত হয়ে প্রাণহীন নগরী আত্মপ্রকাশ করেছে স্বমহীমায়। 

🍂

শ্রী বলে ভাবতে পারিস তিতির ,মাটির বুকে কান পেতে থাকলে হয়তো আজ ও শোনা যাবে, ঐ যে কালো পাথরের লম্বা সড়ক চলে গিয়েছে --সেই অনন্তকাল আগে সর্বদা ওর ওপর দিয়ে চলাচল করতো সৈনিকদের মহামিছিল। ওদের পায়ে ভারী বুটের শব্দের গুমগুম আওয়াজ, শরীরে বর্ম জড়ানো। ঘোড়া নিয়ে টগবগ ছুটছে, দূরদূরান্ত থেকে শোনা যেত  ঢাল তরোয়াল অস্ত্রের ঝনঝনানি।  সাজা প্রাপ্ত শৃঙ্খলিত বন্দীদের শিকলের ঝঙ্কার। গাধা,ঘোড়ায় টানা গাড়ির চাকার ঘরঘর শব্দ। গেরুয়া রঙের আলখাল্লার মত আজানুলম্বিত পোষাকের সাজে সাধারণ জনমানবেরা ঘুরছে পথে ঘাটে। 
দর্শকের দল

যদিও সেই জীবন্ত নগর বাসী মানুষগুলো নেই, কিন্তু তাদের ধ্বংসাবশেষ রয়ে গিয়েছে মহাকালের স্বাক্ষী হয়ে। প্রাচীন ইতিহাসের অন্তরালে নিদ্রিত মানুষগুলো আজকের দিনেও বর্তমানের পৃথিবীকে অনবরত এক সীমাহীন বিস্তর জ্ঞানের সন্ধান দিয়ে চলেছে। ওদের জীবনবোধ সমৃদ্ধি ,নৈতিকতা ,কামনা বাসনা -সুখ দুঃখের গাঁথা মালার জ্বলন্ত প্রতীক আজ ভাববার সুযোগ খোঁজে এই মৃত্যুপুরী কে নিয়ে। 

ইরিনা এড্রিক চলেছে লুপানারের বাড়িগুলোর খোঁজে নতুন কোনো তথ্যের সন্ধানে। বিশেষ করে প্রত্নতত্ত্ব নিয়ে গবেষণারত ইরিনার সাবজেক্ট সেই প্রাচীন সময়ের সোসিওলজি। পম্পেই ,হারকুলেনিয়ামের মত  শহর দুটির আশেপাশে ঘুরে শুধুই তথ্য সংগ্রহে ও মরীয়া। শ্রী পথের ধারে উঁচুমত লম্বা পাথরের রোয়াকে বসেছিল।  অভ্যাস মত সুযোগ পেলেই ঝোলা থেকে বারকরা নোটবুকেরর ওপর দ্রুত কলম চালিয়ে লিখছিল লুপানার ও সমাধি ভূমির মর্মান্তিক অভিজ্ঞতার সংক্ষিপ্ত বিবরণী। খানিক পরে ইরিনা এসে পাশে বসে নোটপ্যাড নিয়ে কীবোর্ডে নিজের ভাষায় কতকিছু শব্দ টাইপ করে সাজাচ্ছিল।ওর একাগ্রতায় শ্রী ও বেশ  উৎসাহিত। ভাঙাভাঙা ইংলিশে শ্রী কে বলে প্রাচীন যুগের ইতিহাস ও অভিশপ্ত নগরী যেন সামনে আরো হাজার বছর ধরে মানুষ কে কত রহস্যের সন্ধান দিয়ে যাবে।  
ব্যাসিলিকা

"পম্পেই নগরীর ইতিহাস আমাদের ভাবতে বাধ্য করে অর্থ বৃত্তে ভরপুর একটি সভ্যতা ধুলোয় মিশে গিয়েছিলো কয়েক ঘন্টা মিনিট সেকেন্ডের ব্যাবধানে। পাপাচার ও অহংকারে অন্ধ একটি জাতির বিপুল অর্থের বিনিময়ে ও শেষ রক্ষা হয়নি। সৃষ্টি কর্তার খেয়ালী প্রকৃতির মর্জির কাছে মানুষ নিতান্তই তুচ্ছ নগন্য এক অসহায় প্রাণী । ওরা ঈশ্বর মানে নি। মানব ধর্ম মানেনি বরং ভোগ বিলাসে উশৃঙ্খল জাতির সমূলে সর্বনাশ। পম্পেইয়ের ধ্বংসাবশেষ অন্তত সে কথাই চোখে আঙ্গুল দিয়ে বোঝায়। " 

 বেলা বয়ে যায়, অদ্রিজার তাড়ায় শ্রীর আর বসে থাকার উপায় নেই , আবার শুরু হলো পথ চলা। ওরা লুপনারের পাড়ার  অন্ধগলি পেরিয়ে হাইস্ট্রীট নামে একটি জনপ্রিয় বাণিজ্যিক কর্মব্যস্ত রাস্তায় চলে এসেছিল। ঋষভের মন ভারী চঞ্চল অনেকক্ষণ ধরেই ঘুণপোকার মত এক প্রশ্ন ঘুরছে ওর মাথায় । পম্পেই নগরীর হাজার কুড়ির মত বাসীন্দা সেই সময়ে সবাই যদি  নিমেষে ছাই হয়ে গিয়েছিল তবে সেই ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের বিবরণ কোথায় পাওয়া গেল ? কেই বা লিখলো এত কথা ? মিস ব্রানটা বলেছিল সন্দেহ নেই , নির্ভুল প্রশ্ন তোমার। এই ঘটনার প্রসঙ্গে  যে ঐতিহাসিক সত্য প্রচলিত আছে সে সত্যের বিশ্লেষণ  দেওয়া আমার শুরুতেই  উচিত ছিল। 

 শুনলে অবাক হবে, এই বিশাল ঘটনার একমাত্র চাক্ষুস বিবরণ ঐতিহাসিকরা যা পেয়েছেন তা লিখেছিলেন  প্লিনি দ্য ইয়ঙ্গার। তার লেখা সেই মুহূর্তে  একটি চিঠি ছিল ঐতিহাসিক প্রমান।  সেইসময়ে প্লিনি দ্য ইয়ঙ্গারের আঙ্কেল , প্রকৃতিবিদ প্লিনি দ্য এল্ডার ছিলেন নৌ সেনাপতি। সেই এলাকার যুদ্ধ জাহাজের দায়িত্বে ছিলেন। তারা সেই মুহূর্তে প্রায় ১৮ মাইল দূরে মাইসেনাম বন্দরে অবস্থান করছিলেন ।  সেখান থেকে বন্ধুর বিপদের আশঙ্কার কথা জানতে পেরে নৌ সেনাপতি প্লিনি দ্য এল্ডার তার নৌবহরকে নিয়ে পম্পেই বাসিন্দাদের উদ্ধারের কার্য  নিয়োজিত করে এগিয়ে যেতেই ভিসুভিয়াসের ঘন ছাই আর লাভার বর্ষণে সামনে এগোনোই দায় হয়ে পড়লো। কিন্তু প্লিনি সাহসী কমান্ডার। তার রক্তে তখন শোণিত ধারা বইছিল--‘Fortune Favors the Brave’। প্লিনি হার মানলেন না। বন্ধুর ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে তার   যাত্রার শুরুটাই হয়ে ছিল, শেষ আর হয়নি।

প্লিনি আর ফিরে আসেননি। একরাত প্রতিকূলতার সাথে লড়াই করে বিষাক্ত ছাই আর গ্যাসের প্রভাবে সেখানেই মৃতুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন।  গন্ধক ধূমে শ্বাস-প্রশ্বাস রুদ্ধ হয়ে তিনি মারা গিয়েছিলেন। প্লিনি দ্য ইয়ঙ্গার অত দূর থেকে অগ্ন্যুৎপাত দেখতে পেয়েছিলেন  এবং পূর্ববর্তী ভূমিকম্পগুলি অনুভব করতে পেরেছিলেন।  প্লিনি প্রথম আগ্নেয়গিরির দৃশ্য এবং শব্দ বিস্তারিতভাবে লিপিবদ্ধ করেছিলেন পাশাপাশি, পম্পেই এবং হারকিউলেনিয়ামের আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ধংস্বের কাহিনী তার মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করেছিলেন ।    

দ্বিতীয় চিঠিতে তিনি লিখলেন ,''অন্ধকার আমাদের গ্রাস করে ফেলেছে। সে অন্ধকার চন্দ্রহীন কিংবা মেঘাচ্ছন্ন রাত্রির অন্ধকার নয় সে যেন দরোজা-জানালা বন্ধ করা বাতি নেভানো ঘরের সূচিভেদ্য অন্ধকার। শোনা গেল নারীর করুণ আর্তনাদ, শিশুর মর্মভেদী কান্না। কেউ খুঁজছে তার ছেলেমেয়েদের, ছেলেমেয়েরা ডাকছে তার মাতাপিতাকে। কেউবা তার স্ত্রীকে, স্ত্রী স্বামীকে । শুধু গলার স্বরে পরস্পরকে চিনতে পারছে। আবার কেউ নিজের পরিবার-পরিজনদের দুর্ভাগ্যে কাঁদছে। কেউ কামনা করছে মৃত্যু। অনেকেই হাত তুলে দেব-দেবীর সাহায্য প্রার্থনা করছে বেশির ভাগ লোকেই আফসোস করছে। কেউবা দেবদেবী কে দোষারোপ করে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছে। পৃথিবীর বুকে নেমে এসেছে শেষ অনন্ত রাত্রি’। '' --- 

শ্রী লিখতে বসে কলম নিয়ে ভাবছিল তারপর ! তার ও পরে --  ঋষভ ড্রইংরুম থেকে চেঁচিয়ে বলে এক্ষুনি এসো টিভিতে ডিসকভারি চ্যানেলে -- সেইসময়ের  ভিসুভিয়াসের ইন্টারেস্টিং নিউজ দেখাচ্ছে -- ''প্রকৃতিবিদ প্লিনির নামানুসারে, ভিসুভিয়াস পর্বতের অগ্ন্যুৎপাতের ধরণটিকে "প্লিনিয়ান" বলা হয়। এই ধরনের অগ্ন্যুৎপাতের সময় বিভিন্ন পদার্থের একটি স্তম্ভ যা  টেফ্রা নামে পরিচিত তা বায়ুমণ্ডলে নির্গত হয়, সে অগ্নিবলয় থেকে সৃষ্টি ধুঁয়ার কুন্ডলী বিশাল এক পাইন গাছের চেহারার সাথে তুলনীয় বলা যায়। ভিসুভিয়াস পর্বতের স্তম্ভটি প্রায় ৬৬,০০০ ফুট উচ্চতায় পৌঁছেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাতাসের কারণে ছাই এবং পিউমিস ছড়িয়ে পড়ে প্রায় ১৮ ঘন্টা ধরে বৃষ্টিপাত হয়। ভবনগুলি ধ্বসে পড়তে শুরু করে এবং মানুষ পালিয়ে যেতে শুরু করে ও পরিত্রান পায়না ,বীভৎস ভাবে মৃত্যু বরণ করে। তারপরে উচ্চ-তাপমাত্রা, উচ্চ-বেগের গ্যাস এবং ধুলো এবং আরও ভূমিকম্পের কার্যকলাপ শুরু হওয়ার ফলে চোখের পলকে ধ্বংস্বের মাত্রা বেড়ে গিয়ে ভস্ম স্তুপে শহর দুটি পরিণত হয়। ''

শ্রী বলে ঋষভ , পম্পেইয়ের গল্পের শুরুতেই  সে বিবরণ কিছুটা আমি লিখেছিলাম।  কিন্তু পম্পেই এবং হারকুলেনিয়ামের অধিবাসীরা যে মহাপ্রলয়ের অভিজ্ঞতা লাভ করছিল তার স্বাক্ষর পাওয়া যায় এ দুটো শহরের রাস্তায়, বাড়িঘরে, দালানকোঠায়। সেই সব নিদর্শনগুলো পর্যবেক্ষণ করে ভয়ঙ্কর ধ্বংসলীলার যে চিত্র পাওয়া গেছে তা থেকে  জানতে পারি যে, কী প্রলয়ঙ্করী ঘটনা সেদিন ঘটেছিল। কী ভয়াবহ পরিস্থিতি ছিল সেই মুহূর্তটির। প্রকৃতির শক্তির কাছে মানুষ যে কত বড় অসহায় তার বাস্তবতা সেদিন স্পষ্ট হয়েছিল। কী নির্মম, কী করুণ, কী অসহায়ভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছিল তা ভাষায় প্রকাশের  ক্ষমতা বোধহয় কারোর নেই।  
মৃত নগরীর --রূপকথা

পথে চলতে চলতে শ্রী লক্ষ্য করে দেখেছিল রাস্তাগুলো বেশ চওড়া  সুন্দর হলেও বৃষ্টির জল যাতে সহজে নেমে যায় তাই অনেকটা ঢাল দেওয়া পাথুরে পথে ভারী গাড়ির চাকার ঘর্ষণে কয়েক জায়গায় অগভীর গর্ত হয়ে আছে। এবং রাস্তার মাঝ বরাবর পড়ে থাকা বেশ বড় আকারের পাথর দেখে তিতির ও ইরিনা ভারী বিস্মিত হয়ে যায়। ঋষভ বলে যত দূর মনে হয় এই যে বড়োবড়ো পাথর গুলো পড়ে আছে দেখছো আসলে এই পাথর গুলো  সম্ভবতঃ রাস্তা পারাপারের জন্য ব্যবহার করা হতো। মিস ব্রানটা সে কথার সমর্থন করে বলে একদম ঠিক , কারণ সেই সময়ে পম্পেই নগরীতে বাড়ি ঘরের নোংরা আবর্জনা ফেলার কোনো নির্দিষ্ট স্থান ছিল না। সব আবর্জনা রাস্তায় ফেলা হতো। তাছাড়া নোংরা জল নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনের ব্যবস্থাও বিশেষ ছিল না। এই কারণে ঐ পাথরের ওপর পা দিয়েই মানুষ কে রাস্তা পারাপার করতে হতো যাতে রাস্তার নোংরা গায়ে জামা কাপড়ে জুতোয় না লাগে। তিতিরের প্রশ্ন তাহলে স্বাভাবিক যানবাহন  চলবে কি করে ?  শ্রীর বলে সেই প্রাচীন যুগে যানবাহন যেহেতু ছিল গরু ঘোড়া খচ্ছর জাতীয় পশুদের দ্বারা টানা বড়ো চাকার গাড়ি তাই এই পাথর টপকে জানোয়ারের  টানা সে সব গাড়ির  চলাচলের মোটেই অন্তরায় হতো  না।      

জনপ্রিয় কর্মব্যস্ত রাস্তা হাইস্ট্রিট এ এসে শ্রী দেখেছিল রাস্তার ধারে সারিসারি খাবারের দোকানের সামনে পোঁতা পাথরের খুঁটিতে ঘোড়া বা গর্ধবের কঙ্কাল শিকলে বাঁধা। সামনে জাবনায় ভরা গামলা ছাইয়ের আস্তরণ দিয়ে ঢাকা রয়েছে। তিতিরের সহজেই মনেহয়  যে সেকালে এখানে বহুদূরের দেশ থেকে বাণিজ্য করতে আসা বিদেশী বণিকসম্প্রদায় কে দুতিন রাত কাটাতে হলে তাদের বাহন ঘোড়া গাধা দের বেঁধে রাখার জন্য এই খুঁটিগুলি ব্যবহার করা হতো। ব্যবসা বাণিজ্য সংক্রান্ত বেঁচা কেনার কাজের জন্য কয়েক রাত থাকতে হলে বিশ্রাম খাওয়া দাওয়া মনোরঞ্জন এবং বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার জন্য গড়ে উঠেছিল বহু সরাইখানা।  এই রাস্তা টি পরিদর্শনে গিয়ে  অসংখ্য উনুন সমেত খাবার ঘর,রান্নার টেবিলের ওপর পাত্র রাখার উপযুক্ত ব্যবস্থা ,ও সেখানে নানা ধরণের রুটি তৈরী হওয়ার ওভেন মজুত রয়েছে দেখেছিল।
                                          ক্রমশঃ

Post a Comment

0 Comments