প্রতিমা
দিলীপ মহান্তী
বেগুনি শাড়ির ভাঁজে নীলরাত্রি নীরবে ঘুমায়
পিছনের দেওয়ালে প্রস্তর যুগের কারুকাজ;
তবে কেন চশমায় ভেসে ওঠে নদী
সে সব আলোর রেখা নষ্ট হওয়া স্মৃতি!
তিলফুল ভেসে ওঠে হ্রদে, চরাচরে কান্নার মাধুরী
সমস্ত বেদনাগুলি বালি হয়ে ওড়ে, চরও মাখে জলছবি;
আমরা পৃথিবী গড়ি, ভেঙে ফেলি প্রতিমার বেদী
বিসর্জন দূরে নেই, চারদিকে বন্যার আকুতি!
বিশ্বাসে
মায়া দে
এতো বাতাস । দম বন্ধ হৃদ-গ্ৰাফ। শ্বাসরুদ্ধ স্থিতধী মন তবু ----
আমি তো বিশ্বাস করেছিলাম।
খুলেছি চুলের বাঁধন ।
আমি বিশ্বাসে করেছি রোপন।
দিয়েছি ডুব ধরবো বলে।
যে আশ্রয়ে লতা তরুর বুকে,
যে প্রশ্রয়ে, পাখি আকাশের বুকে অনন্তে ডানা মেলে।
শ্রী সম্পদে নয়। জীবন তো তুচ্ছ।
আমি বিশ্বাস করেছিলাম পরম বিশ্বাসকে ভালোবাসায়।
এখনো নদীর দুধার ঘেঁষে জলোচ্ছ্বল ।
এখনো সারি বাঁধা নারকেল চূড়োয় পাতার কলরব ।
সন্ধ্যাতারা আকাশে নক্সী আঁকে ।
সব পাখি ঘরে ফেরে।
ঘর তো আর কিছু নয়, ঘর মানে আশ্রয়। বিছানায় পড়ে জ্যোৎস্নার চন্দন।
তুমুল বাতাস।
তবু, দম বন্ধ।
🍂
0 Comments