চিত্রা ভট্টাচার্য্য ও সালেহা খাতুন-এর কবিতা
মুখোশের আড়ালে
চিত্রা ভট্টাচার্য্য
বিদায়ী বাঁশির তীব্র ধ্বনির ইঙ্গিত বাজে নিশুতি রাতে
ক্ষুদ্র নীচ ভেক ধারী পাপী দুরাত্মার অঙ্গুলী হেলনে। সমগ্র পৃথিবী দেখেছিল পঙ্কিল দুর্গন্ধময় আঁধার।মহাভারতের দুঃশাসনের বর্বরতা, সগর্বে বিরাজিত,
প্রাসংগিক রয়েছে মিথ্যাচারের নির্মম কুটিলতা!
প্রবাহমান সভ্যতার মুখোশ ঢাকা আধুনিকতা।
অদৃশ্য পর্দার আড়াল থেকে ছুটে আসে
ছদ্মবেশী মুখোশ ধারী রক্তচোষা সমাজ সেবক--
রক্ষক সব বিবেক হারানো দলদাস।
ভক্ষক হয়ে ছদ্ম আবরণে ঘুরে বেড়ায়
রক্ত লোলুপ খুনী ভোগী নরখাদক ।
উন্মত্ত কামনায় পিশাচেরা মাতে উল্লাসে অট্টহাসিতে
শতছিন্ন করেছিল প্রতিবাদী নারীর স্বাধীনতা।
এক আকাশনীল স্বপ্নময় তর তাজা প্রাণ,
নিবেদিত হলো স্বৈরাচারীর নিরলাজ মিথ্যাচারে।
পশ্চিমসায়রে অস্তমিত জ্বলন্ত সূর্যের অগ্নিশিখা।
বাদানুবাদ
সালেহা খাতুন
কেরামন কাতেবিন দুকাঁধ জুড়ে বসে
বাদানুবাদে আছেন লিপ্ত,
পুণ্যের বোঝা জমা হলে
পাপের ভার করবেন অবলুপ্ত।
অনুবাদের দায়িত্ব সঁপেছি তাঁদের,
অভিধানও করেছি জড়ো ;
তর্জমাতে জমা নেই কিছু
অনুবাদেও বাদ গিয়েছে সব।
কেরামন কাতেবিন বাংলা জানেন?
আমার মাতৃভাষা?
অন্তরেতে তারেই করি ধারন
আমার যোগাযোগের একমাত্র বাহন!!
কেরামন কাতেবিন অনুবাদে দেন না ফাঁকি ...
শ্রেষ্ঠ ভাষা নীরবতার,তাই নীরব হয়েই থাকি।
🍂
0 Comments