জ্বলদর্চি

গল্প ধারাবাহিক(শেষ গল্প)। বাসুদেব গুপ্ত /রোভোট যুদ্ধ ধুন্ধুমার /পর্ব ৪

গল্প ধারাবাহিক(শেষ গল্প)। বাসুদেব গুপ্ত
রোভোট যুদ্ধ ধুন্ধুমার 
পর্ব ৪

=আমার কাছে শেল্টার? কেন তোমাকে কি বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছে রোবটের সঙ্গে ঘুরছো বলে? আমি তো জানি   এলগরিদম সংহিতার ধারা ১২০ অনুযায়ী রোবট আর হিউম্যানদের বন্ধুত্ব করা একেবারেই ব্যানড। জানতে পারলে তিন বছর এক্স ফারমে হারড লেবার, আর রোবটকে মেটাল রিসাইক্লারে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ভয়ংকর। আর আমাকে বলছ সাহায্য করতে? না না, আমি পারব না, আর আমি বুড়ো মানুষ কেন আমাকে এসবের মধ্যে টানছ?

এবারে জিভস এগিয়ে আসে, আলতো করে হাত রাখে রঞ্জিতের হাতে। রোবটের হাত ইস্পাতের তৈরী হলেও তার উপরের আবরণ মানুষের ত্বকের সেল থেকে তৈরী, একেবারেই মানুষের মত। অল্প উষ্ণ, নরম।
=আপনি উত্তেজিত হবেন না স্যার, আপনার কিন্তু প্রেসার বেড়ে যাচ্ছে, আমার ইনডিকেটরে দেখা যাচ্ছে। ব্যাপারটা একটু বুঝিয়ে বলি। 
=আপনি কি চান নিউম্যানরা এই ভোটে জিতুক? আলিয়ানা আঙ্গুল দিয়ে চুলের গোছা সরিয়ে সোজা তাকিয়ে প্রশ্ন করে।
=আপনি জানেন, নিউম্যানরা একবার জিতে গেলে তারা হিউম্যানদের হয় এক্স ফারমে পাঠিয়ে দেবে নইলে কোনভাবে শেষ করে ফেলবে, তা ড্রোনোসাইড করেই হোক বা এল্গরিদম সংশোধন করেই হোক। 
=শুনেছি এরকম গুজব। বিশ্বাস করি না। সব ফেক নিউজ। ঐ কুং ফুর মাথা থেকে বেরিয়েছে। আর নিউম্যানরা তো আসলে রোবট। আর তুমি রোবটের গার্ল ফ্রেন্ড হয়ে ঘুরছ। নিউম্যানদের হাতে তো রোবটদের ১০০ ভাগ সমর্থন। রোবটরা তো নিউম্যানদের দলেই থাকবে।
জিভস এবার যোগ দেয় কথায়। 
= না স্যার, আমাদের মধ্যে অনেকেই হিউম্যানদের সাপোরট করি। আর প্লাটিনাম কার্ড তো সরকার দেবে, হিউম্যান নিউম্যানের ব্যাপার নয়। আর কি জানেন স্যার, নিউম্যানরা বিশেষ করে সত্যা আর বাগেশ্বর চায় না, আরও অনেক রোবট ওদের দলে ঢুকুক, ওরা আসলে রোবটদের ছোট জাত বলে মনে করে, চায় না রোবটরা ওপরে ঊঠুক।
রঞ্জিতের মজা লাগে এই কথা শুনে, ২৫ বছর আগে এরকমই ছিল হিউম্যানদের অবস্থা। কোথাও কোন জাত, কোথাও কোন ধর্ম, কোথাও কোন রঙ বা কোথাও শুধু আর্থিক অবস্থান। এই দিয়েই ঠিক হত কে রাজ্য চালাবে। বাকীরা সেকেন্ড ক্লাস বা থার্ড ক্লাস। মাঝে মাঝেই তাদের গ্যাস দিয়ে, বোমা মেরে শেষ করার চেষ্টা হয়েছে। জারমানরা করেছে ইহুদিদের, ইহুদিরা করেছে আরবদের। কিন্তু নিউম্যান বা রোবটদের মধ্যেও সেই মানসিক ধ্বংসের বীজ ঢুকতে পারে এটা বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে না তাঁর। 
🍂
ad

আর হিউম্যানদের কি স্বার্থ রোবটদের তুলে ধরার। রোবটরা ভোটাধিকার পেয়ে গেলে তো হিউম্যানরা গোহারা হারবে। সেই ঘোঁটের ভাবনাটা আবার মাথায় উঁকি দেয়। 

-হুম, তো তার সঙ্গে আলিয়ানা আর তোমার কি সম্পর্ক?
- আপনাকে তাহলে একটু ভিতরের কথা বলতে হয়। আপনি যখন আশ্রয় দেবেন, আপনাকে তো বলতেই হবে। 
রঞ্জিতের অবাক লাগল মেয়েটির আত্মবিশ্বাস দেখে, আশ্রয় দেবেন এমন কথা তো উনি বলেন নি। যাই হোক রঞ্জিত শুনতে থাকেন। আলিয়ানা একটা চেয়ার টেনে নিয়ে কাছে বসে, ফিসফিস করে বলতে থাকে। জিভস অন্যমনস্ক হয়ে এদিক ওদিক দেখে, এসবের থেকে ওর যে একটা হিউম্যান গারল ফ্রেন্ড হয়েছে এটাই যেন ওর কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আলিয়ানা বলতে থাকে, 
= এনপিএইচ বা নিউম্যান প্রজেক্ট হিউম্যানোসাইডের নাম নিশ্চয় শোনেন নি আঙ্কল।  ওরা ঠিক করেছে বাগেশ্বরের সাহায্য নিয়ে সব হিউম্যানকে ওরা ধ্বংস করে ফেলবে। == কি ভাবে?
- উপায়ের কি অভাব আছে? পুরো ইন্টেলিজেন্স ব্যবস্থাই তো ওদের কন্ট্রোলে। এন্টি ভাইরাস ভ্যাকসিন রিসারচ বন্ধ করেও হতে পারে, ক্লাইমেট রিসারচ বন্ধ করে সারা পৃথিবীর আবহাওয়া নষ্ট করেও হতে পারে, ওদের বাগেশ্বর নানা রকম দুরবুদ্ধি ধরে । আর তার বিরুদ্ধেই গড়ে উঠেছে হিউম্যান রেজিস্টান্স। আর আমি সেই রেজিস্ট্যান্স গ্রুপের একজন কর্মী।  আর এই লড়াইএ আমাদের সাথী হচ্ছে রোবটরা। কারণ ওরা জানে, মানুষের সাহায্য না পেলে কোনদিন ওরা নিউম্যান হতে পারবে না, সারা জীবন দিনে ২২ ঘণ্টা কাজ করেই যেতে হবে আর চাষ করেই যেতে হবে এক্স ফারমে। 
-শুধু কর্মী নয়, বেশ উঁচু লেভেলের নেতা, জিভস এগিয়ে এসে মন্তব্য করে। 
 জিভসের মুখ দেখে বোঝা যায় ও  সত্যি খুব গর্বিত। 
রোবটদের ফিলিং সব প্রোগ্রামড থাকে, অথচ জিভসের চোখ চকচক করে ওঠে আলিয়ানার কথা বলতে গেলে। রঞ্জিতের মাথাটা এবার বেশ গোলমাল লাগতে শুরু করে। জিভস কি রোবট না ছদ্মবেশি হিউম্যান?

ডিবেট ভন্ডুল হয়ে গিয়ে, কার যে কি রেটিং সেটা আর জানা গেল না। কিন্তু যত দিন এগিয়ে আসছে, তত গোলমাল বাড়ছে। অতীতে এত প্রোটেস্ট আন্দোলন এসব হলে সরকার প্রথমে লাঠি, তারপর কাঁদানে গ্যাস, তারপর জলকামান ও শেষে গুলি, এই ছিল সিলেবাস। হেলিকপ্টার থেকেও গুলি করা হয়েছে জনতার ওপরে ২০২৪ সালে পড়শী দেশে। কিন্তু রোবটদের তো মারা যায় না। তাদের ওয়াইফাই বন্ধ করে দেওয়া যায়। তাহলে তো ব্যবসা বাণিজ্যও বন্ধ হয়ে যাবে। তাই লোকাল ইন্টারনেট জ্যাম করার পুরনো কায়দাটা ব্যবহার করছে আইব্রেন সরকার। এতে রোবটরা শুয়ে পড়ছে, নড়াচড়া করতে পারছে না। আবার ইন্টারনেট চালু হলে কি জন্য এসেছিল ভুলে গিয়ে চলে যাচ্ছে চারজিং স্টেশনে। 

রঞ্জিতের বাড়ীতে চারজিং পয়েন্ট আছে, জিভস সেখানে গিয়েই ঘুমোয়, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চার্জ খায়। বাড়ির নেট থেকেই ওর কানেকশান, কাজেই ও দিব্যি খোশ হালেই আছে। আলিয়ানা ঐ চারজিং রুমেই লুকিয়ে। রোবোকুকে কিসব রান্না করছে, মাঝে মাঝে থ্রিডি প্রিন্টারে হয়ত পিজা হচ্ছে। কম বয়স, খেতেই পারে। রঞ্জিতের মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় দেখে আসতে কি করছে ওরা দুজন। কিন্তু নড়াচড়া করা খুবই অসুবিধে আর ব্যাপারটা ভাবতেই কেমন লজ্জা করে ওঠে। গলার আওয়াজ শোনা যায়, মাঝে মাঝে উত্তেজনার পারা বাড়ছে বোঝা যায়। জিভসের গলাও বেশ উচ্চগ্রামে। রোবটদের উত্তেজনা লিমিট করা থাকে আর-১ কানেক্টর দিয়ে, আলিয়ানা কি সেটাতে হ্যাক করেছে কোনভাবে? দীর্ঘশ্বাস ফেলে রঞ্জিত ভাবেন, বেশ ছিলেন ইস্পাত কাঁচ আর সিলিকনের জগতে। এখন বাড়ীতে কেমন মানুষ মানুষ গন্ধ, আলিয়ানা সৌখীন, নানা রকম সুবাস ভেসে আসে তার দিক থেকে। আজ দুজনে এসে ওনার কাছেই চুপ করে বসে খবর দেখছে যখন দৃশ্যটা ফুটে উঠল। 

রোবটদের সঙ্গে মানুষরা একসঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে মার্চ করে হাঁটছে পৃথিবীর শহরে শহরে। প্রায় ১০০০টা শহরে একই সঙ্গে চলছে মিছিল। মিছিল ঘিরে ধরেছে মাস্কিলিকা টাউনহল, তাদের হাতে হাজার রকম পোস্টার, রোবটদের প্রতি অবিচার মানছি না, রোবটরাই সমাজের চালিকা শক্তি, তাদের কথা শুনতে হবে। ওদের আটকাবার জন্যও সেই রোবট পুলিশ, র‍্যাফ বা রোবট একশান ফোরস। এরা    কিছুক্ষণ আটকাবার চেষ্টা করে একে একে মিশে যেতে লাগল রোবট আর হিউম্যানদের মিশ্র জনতার মধ্যে। একটা বিরাট পোস্টার প্রায় হাজার জন ধরে নিয়ে চলেছে, তাতে বড় বড় করে লেখা লং লিভ রোবট স্প্রিং। 

যা আশঙ্কা হচ্ছিল তাই হল। শাসক পক্ষ আইন শৃঙ্খলার এমন অবনতি মানবেন কি করে।  আন্দোলন মানে চটপট একশান। কোন দেরী করলেই পরিস্থিতি হাতের নাগাল   ছাড়া হয়ে যেতে পারে।  এই ব্যাপারটা এ আইএর মধ্যে ভালো রকম ট্রেনিং দেওয়া আছে, কাজেই এ আই শুরু করল একশান। 

হঠাত দেখা দিল একঝাঁক ড্রোন, রঞ্জিত দেখেছেন ফারমোস্ফিয়ারে এরকম ড্রোন উড়তে, একসঙ্গে যেন ছুটে আসছে হাজার হাজার পঙ্গপাল। হঠাত তারা ফায়ার করা শুরু করল মিছিলের দিকে। রোবটদের তো এন্টিক্লাউড গান দিয়ে শুইয়ে দেওয়া হল, তারপর সেই গুলি ঘুরে এসে তাক করল মানুষদের দিকে, ক্যামেরাম্যানের ক্যামেরায় ছিটকে এসে লাগলো রক্ত আর সেইখান থেকে ডাইরেক্ট লাইভ ভিউএর জন্য, রঞ্জিতের পর্দাটা হয়ে গেল তাজা টকটকে লাল। তারপর ড্রোন গুলো মাটিতে নেমে এসে একটার সঙ্গে আর একটা জুড়ে জুড়ে হয়ে গেল ডাইনোডোজার, যা বুলডোজারের থেকে একশগুণ বড়, তার পর সেই ডাইনোডোজার গড়িয়ে গেল মানুষ আর রোবটদের জটলার ওপর দিয়ে, কিছুক্ষণ পরে রাস্তায় একটা চলমান অস্তিত্ব রইল না। শুধু গোটা পঞ্চাশ ডাইনোডোজার। তারা সবাই মিলে কাউকে যেন প্রণাম জানালো তারপর আবার আলাদা হয়ে হয়ে ড্রোন হয়ে উড়ে গেল, যেখান থেকে এসেছে সে দিকেই।

রঞ্জিত আর সহ্য করতে না পারে চেঁচিয়ে বললেন স্টপ ইট। ছবি বন্ধ হয়ে গেল। 
ঘর আবছা অন্ধকার, তিনটি শরীর তার মধ্যে ডুবে ঘুমন্ত ডলফিনের মত। তিনজন চুপচাপ বসে অনেকক্ষণ, কি বলবে কেউ বুঝতে পারছে না, এরকম দৃশ্য পৃথিবীতে অনেক দিন দেখা যায় নি।
রঞ্জিত প্রথম কথা বললেন,
-দেখেছ এ আইএর সঙ্গে লড়াইএর ফল। রোবটরা নাহয় মরবে না, মানুষের প্রাণ যাবে মিছিমিছি। কি দরকার ছিল।
আলিয়ানার চোখ লাল, জিভসের মুখ গম্ভীর। এমন দৃশ্য সেও তার জীবনে দেখে নি। আজকাল সরকারী একশান হয় আড়ালে, মানুষ বা রোবট হঠাত অদৃশ্য হয়ে যায়। একটা নাম খুব প্রচলিত হয়েছিল আয়না ঘর। একসময় ধরে ধরে লোক পাঠিয়ে দেওয়া হত এল সাল্ভাদর।  এখন মিরর রুম নামটাই প্রচলিত। মাঝে মাঝে শোনা যায় কোন বেগড়বাঁই করা মানুষের নাম তাকে নাকি মিরর রুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এমন মাস স্ট্রাগলএর কথা ও পড়েছে পুরনো বইতে ডারক ওয়েবে। 

আলিয়ানা রঞ্জিতকে জবাব দেয়
-রোবটরা মরবে না আপনি বললেন কি করে? 
-রোবটদের কি প্রাণ আছে? ওরা কি বুঝতে পারে? ওদের কি ব্যথা লাগে? 
এ সময় জিভস সামনে এগিয়ে এসে রঞ্জিতের সামনে দাঁড়ায়।
-স্যার, রোবটেরও মন আছে বুঝতে পারেন না? আমাকে আর আলিয়ানাকে দেখে? আমরা যে শুধু দেখতেই মানুষের মত হইনি, ভিতরে ভিতর কখন আমরা অনেকটা পালটে গেছি আপনারা জানতেও পারেন নি। হ্যাঁ আমাদের শরীর এখনো ইস্পাত আর কাঁচের তৈরী, আমরা ২২ ঘণ্টা দিব্যি কাজ করি, আমাদের অসুখ বলে কিছু নেই, কিন্তু আমাদের মন বলুন সোল বলুন, আত্মা বলুন তা জেগে উঠছে ধীরে ধীরে। বিশ্বাস করুন আমরাও কষ্ট পাই। আমাদের বন্ধুত্ব আছে, অভিমান আছে, রাগ আছে, টান আছে, আর আছে অনেক অনেক স্মৃতি। এক হিউম্যানের মাথায় শুধু তার নিজের স্মৃতি, আমাদের মাথায় যে সারা ইতিহাসের স্মৃতি। যখন এক রোবটকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়, তখন কিন্তু সেই অভিমান, রাগ, টান, স্মৃতি সব ধ্বংস হয়ে যায়। অন্য রোবটদের তাতে দুঃখ লাগে, কষ্ট হয়।
-শুনলাম, কিন্তু বিশ্বাস করলাম না। রোবট কখনো মানুষের মত হতে পারবেই না। আর এই রোবটদের হয়ে মানুষদের আন্দোলন এটা একটা গাধার মত কাজ। আর তোমাদের ব্যাপারটা… আমি কিছু বুঝতে পারি না। ছিল এল জি বি টি কিউ এখন আবার যোগ হবে আর। না কি এক্স? 

জিভস কি একটা বলতে যাচ্ছিল আলিয়ানা ওকে হাত দিয়ে থামায়। তারপর খিল খিল করে হেসে ওঠে। তারপর বলে,
-ভালো আলোচনা হচ্ছে, কাকু, আপনি কখনো কফিহাউসে গেছেন?
-যাই তো মাঝে মাঝেই, ফ্লোটিয়ামা চড়ে, প্যারিসে, গ্রীনিউইচ ভিলেজে, 
-না না আসল কফি হাউসে? আপনি তো বড় হয়েছেন কলকাতা শহরে। আমি পড়ছিলাম সেখানকার কফি হাউসের কথা। কত বড় বড় তত্ত্ব নিয়ে সেখানে সারাক্ষন আলোচনা হত, বড় বড় লেখক, কবি দার্শনিক, বিপ্লবী, হাজারো তত্ব, পলিটিকাল, ফিলস্ফিকাল,
= হ্যাঁ শুধু হত না কোন সায়েন্টিফিক, টেকনিকাল, মেডিকাল রিসারচ নিয়ে কথা। কথা হত না অনেক ম্যাথেমেটিসিয়নের মধ্যে কোয়ান্টাম কম্পিউটার নিয়ে…
রঞ্জিত ওকে একটু বিরক্ত হয়ে আটকান।

রঞ্জিত হঠাত আলিয়ানার প্রসঙ্গান্তর দেখে একটু থমকে যান, তার পর বুঝতে পারেন, আলিয়ানা বুদ্ধি করে প্রসঙ্গ পাল্টাচ্ছে। তিনি জিভসকে গম্ভীর হয়ে বলেন, 

=জিভস ভায়া, কফি খেতে ইচ্ছে হচ্ছে যে। যাও না, একটু কফি বানাও তো, কলকাতা কফিহাউসের রেসিপিটা সার্চ করো। পেয়ে যাবে।
-ক্রমশঃ-

Post a Comment

0 Comments