দোলনচাঁপা তেওয়ারী দে
আজ বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ দিবস। ১লা আগস্ট বিশ্বজুড়ে এই দিনটি পালিত হয়, যার মূল উদ্দেশ্য হল, নবজাতক ও শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানোর গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এই দিনে স্তন্যপানের উপকারিতা এবং এর মাধ্যমে শিশুদের স্বাস্থ্যের উন্নতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
১লা থেকে ৭ই আগস্ট বিশ্বজুড়ে এই সপ্তাহটি পালিত হয়, যা মাতৃদুগ্ধ পানের গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করে।
১৯৯২ সাল থেকে প্রতি বছর ১লা আগস্ট বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ দিবস ও ১লা থেকে ৭ আগস্ট বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালিত হয়ে আসছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, জাতীয় পুষ্টিসেবা, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে সারাদেশে ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশন (বিবিএফ) ও অন্যান্য সহযোগী সংস্থার সহযোগিতায় দেশে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালন করা হয়ে থাকে।
চিকিৎসকদের মতে, শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর কোনো বিকল্প নেই। জন্মের ১ ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে মায়ের দুধ দিলে মায়ের গর্ভফুল তাড়াতাড়ি পড়ে, সহজে রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়, ফলে মা রক্তস্বল্পতা থেকে রক্ষা পান। এ ছাড়া দ্রুত দুগ্ধপানে মায়ের জন্ম বিরতিতে সাহায্য করে, স্তন ও জরায়ুর ক্যান্সার এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়।
মাতৃদুগ্ধ পান শিশুর সর্বোচ্চ শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশ নিশ্চিত করে। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়, ডায়রিয়ার ঝুঁকি কমায়, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ এবং কানের প্রদাহ কমায়। একইসঙ্গে দাঁত ও মাড়ি গঠনে সহায়তা করা ছাড়াও মায়ের দুধ শিশুর অনেক উপকার করে থাকে।
মায়ের দুধ না খাওয়ালে শিশুদের নানারকম রোগ হতে পারে। যেমন শিশুর নিউমোনিয়াজনিত মত্যুর ঝুঁকি প্রায় ১৫ গুণ ও ডায়রিয়ায় মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ১১ গুণ বেড়ে যায়। শিশুদের অপুষ্টি ও অন্যান্য কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ১৪ গুণ বেড়ে যায়। শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও বুদ্ধির বিকাশ বাঁধাগ্রস্থ হয়।
🍂
0 Comments