জ্বলদর্চি

গুচ্ছ কবিতা /সমর গোস্বামী


গুচ্ছ কবিতা
 
সমর গোস্বামী 

সময় পাখি 

অবাক মুখে সবাক ছবি শব্দ কলরব
নাক্ষত্রিক ইশারা খোঁজে কল্প অবয়ব 

সময় পাখি মিলছে ডানা আগুন খেলা ঘর 
মনের ইথার তরঙ্গেতে শব্দ ভেদী ঝড় 

হৃদয় জুড়ে ঝাউ বনেতে তপ্ত অধর শিস্
শরীরী রস মেছো গন্ধ গল্প অহর্নিশ 

রক্তনদী স্বপ্নমোচন জল তরঙ্গ ছবি 
আঁচড় কাটা মধু যামিনী শেষ প্রহরের কবি।


আগুন ও মাছরাঙ্গা 

নদী হয় 
তখন নীলরঙা মাছরাঙা 
অনুসন্ধানী প্রজ্ঞার কাছে 
বাদামী কুয়াশার লেখচিত্র আঁকে। 

আগুন যখন সূর্য মাখা দুপুর 
মাছরাঙা তখন ইর্ষার আগুনে প্রতিহিংসার লেলিহান শিখা

আগুন যখন খামখেয়ালী 
মাছরাঙা হয় লুকিয়ে রাখা চোখের জলে কাটা ছেড়ার গোপন ইতিহাস।

🍂


রাতের নগর 

কুয়াশা যখন হাপুস  নয়নে কাঁদে 
মধ্যরাতের নগর তখন 
রক্তিম নগ্ন সুর

আবার যখন ইলশে গুঁড়ি কাঁদে 
তখন ফাইভ স্টার হোটেলের ডিভানে সুসজ্জিত শয্যায় অনাবৃতা অঙ্কশায়িনী

কুয়াশা যখন থমকে দাঁড়ায় 
নিয়ন আলো হয়ে উঠে 
খরস্রোতা শীৎকার ধ্বনি 

আবার যখন ভোরের কান্না কাঁদে তখন দুখিনী চাঁদ রাত ভর বৃষ্টির উপন্যাস লেখে।


ভাস্কর্য 

গোধূলি বেলার ভিখারী রোদ 
প্রত্যাশার চাহনি নিয়ে অপেক্ষমান 

বাইরের আলো হাওয়া সমুদ্রে ক্রীড়া রত শুশুকের মতো লম্ফ মেরে ঘরে ঢুকে আসে 

নোনতা আহ্বানের ইশারা মাখিয়ে 
আস্তে আস্তে তৈরি করছিল 
আমিষ আবহের রূপকথা 

শরীরের অনাবৃত খাজানা মহল 
শায়িতা নগ্নিকার কটি‌ দেশ
অনুভূতশীল স্পর্শ ময়তার ভরিয়ে নেয় 
ভাস্কর্য সুলভ ছন্দময় অবয়ব


শপথ গ্রহণ 

পৌঢ় বয়স নতুন উরুর অন্বেষণ করে 
মণি গোলকের নীল সায়রে কামার্ত পদ্ম খরিস
সুডল স্তনবৃন্তে বাঁদনা পরবের শুক বাঁধানো বাসী চাঁদ লিলি ফুলের কোমল পেলবতায় কামজ গন্ধ ছড়ায়।
নিতম্বের পাটাতনে ককটেল পার্টিতে ডলফিনের তুফান নৃত্য 
পেঁচানো শরীরে পদ্মখরিস পদ্মকোরকে ছোবল মারে 
গরম লাভা স্রোত শির দাঁড়া বেয়ে ইড়া পিঙ্গলা পেরিয়ে পেরিয়ে নিচে নেমে আসে 

কথারা বদল হয় 

পৌঢ় বয়স আতর মাখা ছুটন্ত ঘোড়ার রক্তক্ষরণের চিত্রনাট্য লেখে
দরজার পর্দা স্মৃতি রোমন্থনে  ব্যস্ত 
শেষ হয় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান

Post a Comment

0 Comments