সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়-এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন
কমলিকা ভট্টাচার্য
কমলিকা ভট্টাচার্য : জীবনের এতটা বছর পার হয়ে আসার পর আপনার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্তটা কী এবং কেন?
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়: প্রকৃতির মধ্যে বসে থাকা আর নিজের চিন্তাকে মুক্ত করে দেওয়া—এই মুহূর্তগুলোই আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময়। বই পড়লে আমরা অন্যের ভাবনার জগতে ঢুকে পড়ি, কিন্তু নিজের ভাবনাকে চিনে নেওয়ার অবসর কোথায় মেলে। চাকরিজীবনে কাজের চাপে সে সময় বিশেষভাবে পাওয়া যায় না, মাঝেমধ্যে "আমি"-টা খালি উঁকি মেরে যায়। নিজের সঙ্গে একটু নির্জন সময় কাটানো, ধ্যানমগ্ন হওয়া খুব দরকার—সেখানে আমরা নিজেদের প্রশ্ন করতে পারি: ‘আমরা কে? কোথা থেকে এলাম? কোথায় যাচ্ছি?’এই ভাবনাগুলো জীবনের গভীরে নিয়ে যায়।
চিন্তা আমাদের ভেতরেই লুকিয়ে থাকে—যেমন বোতলে মধু ভরে যদি গঙ্গার জলে ভাসিয়ে দিই, তাহলে মধুটা ধীরে ধীরে মিশে যাবে আর হারিয়ে যাবে কোথাও। সময়ও ঠিক তেমনই, যেন কোনো রহস্য।
T.S. Eliot বলেছিলেন—
Time present and time past
Are both perhaps present in time future,
And time future contained in time past.
এই সময়ের ধারা অনির্বচনীয়। আমরা অনবরত সময়ের ভিতর দিয়ে সরে চলেছি, এবং ভাবনাও তার সঙ্গেই বদলে যাচ্ছে। একদিন সব শেষ, পড়ে থাকবে খালি একটা টেবিল, কেউ কোথাও নেই, শুধু থৈ থৈ করছে সময়। তাই একটু ভাবা দরকার, তারপরেই এগোনো—এটাই তো ধর্মের সার কথা। জীবনকে ঠিকভাবে ব্যালেন্স করে চলার জন্য, ভেবে চিন্তে চলার প্রয়োজন আছে।
এই সমাজের বাইরের কাঠামোটা বড় কঠিন এবং ভীষণভাবে বস্তুবাদী। আমাদের সব কাজই করতে হবে—কিন্তু কেবল ভাবনার আশায় বসে থাকলে, কেউ সময় দেবে না। তাই জীবনের ব্যস্ততার মধ্যেই আমাদের নিজের জন্য কিছু সময় বার করে নিতে হবে। তবে সে সময় বেশিক্ষণ থাকবে না, কারণ কেউ না কেউ এসে জীবনের ফর্দ খুলে বসবে। এভাবেই আমরা নিজের ভেতরের ‘আমি’-টাকে আবিষ্কার করার আগেই তাকে হারিয়ে ফেলি।
তাই নিজেদের খোঁজে কিছুটা সময় নিজের জন্য, একধরনের স্বার্থপরতার সঙ্গেই খুঁজে নিতে হবে। সেই ‘আমি’-টাকেই খুঁজতে হবে, যেটা চাপা পড়ে থাকে দায়িত্ব আর দৈনন্দিনতার ভিড়ে।
কমলিকা : আমাদের সবার মধ্যেই বিভিন্ন সত্তা থাকে, আপনি নিজেকে কোন সত্তায় সবচেয়ে বেশি সার্থক মনে করেন?
সঞ্জীব : যে সত্তায় আমি স্বার্থপর নই, কাউকে কষ্ট দিইনি, কারো সঙ্গে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করিনি, সেই সত্তায় নিজেকে সার্থক মনে হয়। যেখানে আমি শিকারী নই, বরং সহমর্মী। আমাদের উচিত প্রতিনিয়ত নিজের ভুল বুঝে নেওয়া, আর সেটা শুধরে নেওয়া।
‘Try and try for less error’—এই হোক জীবনদর্শন। নিজের সীমাবদ্ধতা বুঝে যতটা পারা যায় সমাজের জন্য পারফেক্ট একটা জীবন তৈরি করা, এটাই তো সাধনা।
কমলিকা: লেখককে তার লেখনীর থেকে আলাদা করা যায় কি? কোন লেখনী দেখে কি তার আত্মার সত্তাকে অনুভব করা যায়?
সঞ্জীব : আমরা যে সমাজে বাস করি, তার প্রভাব লেখকের উপর অবধারিত। তার চিন্তাভাবনা, লেখনীর ভিতর দিয়ে উঠে আসে সেই সমাজচিত্র।
রবীন্দ্রনাথের লেখনীতেই তো আমরা তার পরিবেশ, পারিপার্শ্বিকতার ছাপ পাই—তিনি গোধূলির আলো দেখেছেন, গ্রামবাংলার প্রকৃতিকে অনুভব করেছেন। তাই তো তাঁর ভাষা এত মাটির কাছাকাছি। এমন কি শেলী, কিটস, শেকসপিয়র তাদের লেখাতেও সেই প্রকৃতি পরিবেশ উঠে এসেছে যা আমাদের চারণকবিরাও গেয়েছেন। সব লেখকের ক্ষেত্রে না হলেও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লেখনীর মধ্যে লেখকের মনের অবস্থান ফুটে ওঠে। নিজস্ব ভাবনার প্রতিচ্ছবি ছাড়া লেখনী কখনোই সম্পূর্ণ হয় না।
কমলিকা: আপনি যখন লেখেন, তখন কি পরিকল্পনা করে লেখেন, নাকি আবেগ আপনাকে চালিত করে?
সঞ্জীব : পরিকল্পনার চেয়ে বেশি আবেগ। অনেক সময় তো মনে হয় আমি লিখিনি, কেউ একজন আমার ভেতরে লিখে গেছে। অনুভব থেকে উঠে আসে শব্দ, আর সেই শব্দগুলো নিজেই পথ খুঁজে নেয়। তবে একটা কথা—নির্জনতা চাই। লেখা যেন এক ধ্যান। চারপাশের কোলাহল থেমে গেলে, মনে তখন শব্দেরা কথা বলে। এই বারান্দাটা আমার খুব প্রিয়।রোজ সকালে কিছুটা সময় আমি ওখানে কাটাই।নিজের সঙ্গে নিজের কথা বলা খুব জরুরী।
কমলিকা : আপনার লেখার মধ্যে যে রস, যে হাস্যরসের ছটা—তা এত স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আসে কী করে?
সঞ্জীব : কারণ আমি মানুষকে খুব ভালোবাসি। মানুষ দেখলে তার ভেতরের ছোট ছোট বিচিত্রতা দেখে হাসি পায়—কিন্তু সে হাসির মধ্যে করুণা থাকে, তাচ্ছিল্য নয়। আমি ভাবি, মানুষ তো একেকটা গল্পের পাত্র। তার ভুলগুলো, দুর্বলতাগুলো মিলেই তো সে সুন্দর। সেই সৌন্দর্যকে আমি তুলে ধরতে চাই।
আর সবাই জীবনে একটু মিষ্টত্ব খোঁজে।
কমলিকা: আপনি যে আপনার লেখায় এত চরিত্র গড়ে তুলেছেন, এত সম্পর্ক ,জীবনে কোন সম্পর্ক খুব জরুরী?
সঞ্জীব : আমাদের সবার জীবনেই একজন ভালো বন্ধুর খুব দরকার।
ভালো বাবা মা পাওয়া যেতে পারে কিন্ত ভালো বন্ধু পাওয়া জীবনে বড় কঠিন।এমন বন্ধু যে ভালবাসবে নিরস্বার্থে,যার কাছে সব কিছু বলে হালকা হওয়া যেতে পারে,সব সময় কাজের কথা ছাড়াও কিছু অ-কাজের কথাও যার সাথে বলা যাবে।
কমলিকা : : আপনার লেখায় ধর্ম নিয়ে গভীর আলোচনা থাকে, কিন্তু কখনো গোঁড়ামি থাকে না। এই ভারসাম্য আপনি কীভাবে বজায় রাখেন?
সঞ্জীব : ধর্ম আমার কাছে কখনোই নিয়ম-কানুন নয়, এটা আসলে অনুভব। ঈশ্বর মানে কারো ওপর চিৎকার করা নয়, বরং চুপ করে মনটা খোলা রাখা। স্বামীজি, রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ—তাঁদের পাঠ করে আমি শিখেছি, ধর্ম আসলে নিজের ভিতরের আলো জ্বালানো। আমি চেষ্টা করি সেই আলোটা একটু পাঠকের ভেতরেও জ্বালাতে।
কমলিকা : বাংলা সাহিত্যের বর্তমান অবস্থান নিয়ে আপনি কী ভাবেন? যখন আমাদের পরবর্তী প্রজন্মে বাংলা ভাষায় শিক্ষিত ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা কমে আসছে?
সঞ্জীব : বাংলা ভাষা মরেনি, বরং তার মুখটা বদলেছে। এখনকার লেখকরা সাহসী, তারা সমাজ নিয়ে, নিজের জীবন নিয়ে সৎ কথা বলছে। তবে একটা কথা বলব—ভাষাকে অবহেলা করো না। ভাষা শুধু ভাব প্রকাশের মাধ্যম নয়, সে-ই আমাদের অস্তিত্বের ধারক। বাংলা ভাষায় লেখো, তাকে ভালবাসো, যত্ন করো। আমি বিভিন্ন দেশ ঘুরে বেড়িয়েছি কিন্তু নিজের দেশ নিজের ভাষা তার উপরে কিছু নেই।
কমলিকা : আজকের যুগে যে ডিজিটাল মিডিয়া এবং টেকনোলজি সাহিত্য প্রচার ও সৃষ্টিতে ব্যবহৃত হচ্ছে, আপনি সেটিকে কীভাবে দেখেন?
সঞ্জীব : সমাজমাধ্যম এখন জরুরি এক বাস্তবতা, তবে তার দুঃখজনক দিকও আছে—এটা অনেক সময়েই বাণিজ্যিক হয়ে পড়ছে। প্রচারের যন্ত্রণা এত বেশি, যে সাহিত্য হারিয়ে যায় মাঝে মাঝে। তবুও, কেউ যদি সত্যিকারভাবে সৃষ্টি করতে চায়, সে উপায় বের করেই নেবে।
কমলিকা : সাহিত্যজগতে পরিবর্তনে লেখকের ভূমিকা কি?
সঞ্জীব : এডজাস্টমেন্ট, পরিবর্তনই জীবন। আপনি যদি আগে একটি ছয় কামরার বাড়িতে থাকতেন,তারপর আপনকে কর্মসূত্রে একটি নতুন শহরে যেতে হয় সেখানে আপনাকে দু কামরার মধ্যেই সব এডজাস্ট করতে হবে।
কিছু পুরোনো ফার্নিচারকে হয়তো ফেলে দিতে হবে।
তাই সময়ের সাথে এডজাস্ট করে চলতে হবে, নিজেকেও প্রয়োজনে গড়ে নিতে হবে।
কমলিকা : আমরা যারা নতুন প্রজন্মের লেখক, আমাদের কী করণীয় বলে মনে করেন?
সঞ্জীব : করাটা যেন থেমে না যায়, এটাই আসল। লেখা—সে কবিতা হোক, গল্প হোক বা নিবন্ধ—চলতে থাকুক। কাজ করো, ঠিক পথ সে নিজেই খুঁজে নেবে। একবার থেমে গেলে আবার শুরু করাটা খুব কঠিন। তাই অভ্যাসটা টিকিয়ে রাখাটাই সবচেয়ে জরুরি।
কমলিকা: অনেক সময় সাফল্য আমাদের অহংকারী করে তোলে। আমরা কীভাবে সেই অহংকে নিয়ন্ত্রণ করব?
সঞ্জীব: এর ভিতরে একটা প্রচ্ছন্ন ব্যাপার আছে প্রতিটি মানুষই নিজের একটা আইডেন্টিটি খোঁজে।
এই যে একজন লেখক লেখেন,এমন তো নয় যে তিনি লেখেন আর পাতার মত উড়িয়ে দেন, তিনি লেখাগুলো সংঘবদ্ধ করেন, তারপর বই ছাপান ,আবার জানতে চান বইটি সবার কেমন লেগেছে এবং কখনো কটি বই বিক্রী হয়েছে ।
এই চাওয়ায় মধ্যে সবার মধ্যে মিশে মনের একটি ইচ্ছা ,একটা প্রচ্ছন্ন ইচ্ছা স্বার্থপরতা বলা যায় না কিন্তু সেই চাওয়া যদি মাত্রারিক্ত হয় তবে তা লোভ ,আর যার থাকে জন্ম নেই অহংকার। শ্রীমার কথায়—নিজের মনকে দুটি ভাগে ভাগ করে নাও। এক ভাগ হবে অভিভাবক-মনের, আর আরেক ভাগ হবে চঞ্চল মনের। যখনই চঞ্চল মন তোমাকে ভুল পথে নিয়ে যেতে চাইবে, তখন যেন অভিভাবক মন সেটিকে সংযত করে।
এই অভিভাবক মনই তোমাকে একটি ব্যালেন্সড জীবন যাপনের পথে উজ্জীবিত করবে। আত্মনিয়ন্ত্রণই সাফল্যের আসল চাবিকাঠি।
কমলিকা: আপনি কি মনে করেন লিটল ম্যাগাজিনের ভূমিকা কেমন?
সঞ্জীব : : লিটল ম্যাগাজিন সব সময় ছিল, আছে, এবং থাকবে। কারণ এর মধ্যে একটা অন্তরাত্মার চাহিদা আছে। এটা কেবল প্রকাশনা নয়—এটা ভাবনার প্রতিচ্ছবি, আত্মপ্রকাশের মাধ্যম। বড় পত্রিকাগুলোর অধিকাংশই এখন বাণিজ্যিক, আর তাতে প্রতিভার জায়গা কমে যায়। কিন্তু ছোট পত্রিকাগুলো হল যেন শহরের গলিপথ—ছোট ছোট বাড়ি, যার প্রতিটিতেই জীবন আছে, আবেগ আছে, ভালোবাসা আছে।
ছোট ছোট বাড়ির মতোই লিটল ম্যাগাজিন—তাদের বাদ দিলে শহরটা অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
কমলিকা: আমাদের সবার জন্য আপনার যদি কোনো বিশেষ বার্তা থাকে।
সঞ্জীব: আমরা সবাই নিরাকার ব্রহ্মর অংশ, এবং বেদান্তে একটিই কথা বলা হয়েছে: "Know Yourself"—নিজেকে জানাই সবচেয়ে বড় রহস্য। যে ব্যক্তি নিজেকে জানে, কিন্তু অন্যকে খুশি করার জন্য নিজেকে সাজিয়ে রাখে, সে আসলে নিজের সবচেয়ে বড় ক্ষতি করে। আমরা সবাই এক একজন অভিনেতা; আমরা যা করি, তা অনেক সময় অন্যের প্রিয় হওয়ার জন্যই করি।
আসল কাজ হলো—নিজেকে আবিষ্কার করা, নিজের ভেতরে লুকিয়ে থাকা 'আমি' কে খুঁজে বের করা এবং ঠিক যেমনটা আমরা, সেভাবেই বাঁচা।
এই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কাজ হলো—'দেওয়া'। ভগবান আমাদের মধ্যে সমস্ত গুণ ভরে দিয়েছেন। আমাদের নিজেদের মধ্যেই লুকিয়ে থাকা সেসব ভালো গুণ দিয়ে নিজেদের প্রস্ফুটিত করতে হবে। আমরা যখন এই পৃথিবীতে এসেছি, তখন একদিন এখান থেকে চলে যেতে হবেই। তবে যাওয়ার আগে যদি এই পৃথিবীকে নোংরা করে রেখে যাই, তাহলে সেটা পরিষ্কার করে যেতে হবে। আর যদি ফুল ফোটাতে পারি, তাহলে দরজাটা খুলে দিতে হবে, যাতে সেই সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ে, আর সকলে তা গ্রহণ করতে পারে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আত্মচিন্তন—নিজেকে জানার চেষ্টায় থাকা। জীবনকে ব্যালেন্স করে চলা খুব জরুরি; কোনো কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়। প্রতিটি মানুষই জন্মায় ভগবান হওয়ার জন্য। এমনকি স্বয়ং ভগবানকেও ভগবান হওয়ার আগে মানুষ হতে হয়। আমাদের ভেতরে থাকা ঐশ্বরিক গুণাবলি দিয়েই আমাদের জীবনকে সাজিয়ে তুলতে হবে, যাতে আমরা অন্যকে আনন্দ দিতে পারি।
কমলিকা : জ্বলদর্চি পত্রিকার ৩২ বছর পূর্তিতে আপনার কোনও বার্তা ?
সঞ্জীব : যেমন চলছে, তেমনই চলুক। যদি "জ্বলদর্চি" মতো পত্রিকা একদিন বিরাট কোনো কর্পোরেট পত্রিকা হয়ে যায়, তাহলে তা শেষ হয়ে যাবে। যদি আমার ছোট্ট বাগানটা একদিন বড় কোন ন্যাশনাল পার্কে পরিণত হয়ে যায়, তাহলে তো আমার অস্তিত্বই হারিয়ে যাবে।
এই ছোট্ট বাগানটাই ভালো—যেখানে একটি ছোট্ট টবে একটি ছোট্ট ফুল হাসছে, একটি গল্প ভেসে যাচ্ছে বাতাসে, নিরলস।
4 Comments
বাহ অপূর্ব খুব ভালো খুব আনন্দের খবর......দিদি (Bangalore)
ReplyDeleteযথাযথ প্রশ্নোত্তর। গতানুগতিক নয়। ভালো লাগল।
ReplyDeleteখুব সুন্দর লাগল। প্রশ্নগুলো খুবই প্রাসঙ্গিক ।
ReplyDeleteপড়লাম, কথোপকথন ভালো লেগেছে, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় নিজেইতো একজন ব্যতিক্রমী রস সাহিত্যিক, ওনার সাথে সাহিত্য, জীবন দর্শন নিয়ে আলোচনায় অনেক অজানা প্রেক্ষিত উঠে আসে, তাওতো ওনার লেখনি এখন অনেক নরম হয়ে গেছে, এক সময় তীব্র রসাঘাত লেখায় থাকতো, হাসির কশাঘাত, পরবর্তীকালে রামকৃষ্ণ ভাবধারায় লেখালেখি শুরু করলেন, লেখার সূচীমুখ পাল্টে গেল, হতেই পারে, পরিবর্তনই তো জীবন, যাইহোক খুব ভালো লেগেছে এই সাক্ষাৎকার।👌👌
ReplyDelete