জ্বলদর্চি

বাংলা ব্যাকরণ ও বিতর্ক-২/অসীম ভুঁইয়া

Bengali grammar and debate
বাংলা ব্যাকরণ ও বিতর্ক

পর্ব ২

অসীম ভুঁইয়া

বাংলা লিঙ্গের (gender)ক্যাকটাস

এই ব্যাকরণ ধারাবাহিকের মূল লক্ষ্য পাশ্চাত্য বা সংস্কৃত ব্যাকরণের অন্ধ অনুকরণ থেকে বেরিয়ে এসে বিশুদ্ধ বাংলা ব্যাকরণ লেখার চেষ্টা... তবে ঐতিহ্যের যুক্তিগুলিকে অবশ্যই সম্মান দেওয়া।
  
  প্রথাগত ব্যাকরণে স্ত্রী বা পুরুষকে বোঝানোর জন্য কিছু চিহ্ন বা লক্ষণের আশ্রয়ে নেওয়া হয়। এই লক্ষণগুলি দেখে স্ত্রী-পুরুষ ভেদ যেমন বোঝা যায় তেমনি স্ত্রী-পুরুষ নয় এমন বস্তুর ভেদাভেদও বোঝা যায়। আবার অন্যদিকে এই চিহ্নগুলি স্ত্রী - পুরুষ উভয়কেও ইঙ্গিত করতে পারে। এ ধরনের চিহ্ন বা লক্ষণই লিঙ্গ। যেমন: বাবা, মা, দাদা, দিদি, চেয়ার, টেবিল, গাছ, নদ, নদী, শিশু, সন্তান প্রভৃতি। অর্থাৎ প্রথাগত ব্যাকরণে পুরুষ - বাচক শব্দ বোঝালে পুংলিঙ্গ, স্ত্রী বাচক শব্দে স্ত্রীলিঙ্গ, স্ত্রী ও পুরুষ উভয়কে বোঝালে উভয়লিঙ্গ এবং জড়বস্তু ক্লীবলিঙ্গ৷ 

  প্রথাগত ব্যাকরণে এই চারটি লিঙ্গের অস্তিত্ব থাকলেও আধুনিক বাংলায় দুটি লিঙ্গই যথেষ্ট ও  অধিকতর যুক্তিযুক্ত বলে আমরা মনে করি। তারা হল পুংলিঙ্গ ও স্ত্রীলিঙ্গ। ক্লীবলিঙ্গ ও উভয়লিঙ্গ যে একটি অন্তঃসারশূন্য ধারণা তা আমরা আলোচনার মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করছি। 

  প্রথমে ক্লীব লিঙ্গের ক্ষেত্রে বলি, জড়বস্তুকে কোনো লিঙ্গ দিয়ে বোঝানো ঠিক নয়। ধরা যাক, বই বা কলম: এ দুটি ক্লীবলিঙ্গ, কেননা এরা জড় পদার্থ। সেদিক থেকে নদ-নদীও তো জড় পদার্থ, তাহলে তাদের প্রথাগত ব্যাকরণে পুংলিঙ্গ ও স্ত্রীলিঙ্গ বলা হয় কেন? তাছাড়া জড় পদার্থকে লিঙ্গ হিসেবে দেখলে আলো বা তাপকে (বিজ্ঞানে যারা পদার্থ নয়) তবে কী বলা হবে? নিশ্চয়ই ক্লীবলিঙ্গ নয়। অন্যদিকে লিঙ্গ বিষয়টি প্রাণী বা জীবসূচক হওয়াই শ্রেয়। তাই  বাংলা ভাষায় ক্লীবলিঙ্গ প্রয়োজনীয় নয়। উভয়লিঙ্গের ধারণাটিও বেশ বিভ্রান্তিকর। প্রথাগত ব্যাকরণে সন্তান বা শিশুকে উভয়লিঙ্গ বলা হয়। কারণ, শিশু বা সন্তান বললে ছেলে - মেয়ে উভয়কেই বোঝায়। কিন্তু যদি বাক্য লিখি, "বাবা-মা তাদের শিশুটিকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেন।" এখানে ' শিশু ' কী লিঙ্গ হবে? যদি উভয়লিঙ্গ বলি তাহলে অর্থ স্পষ্ট হবে কি? বাবা-মা তাহলে প্রকৃতপক্ষে কাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে? হয় ছেলে অথবা মেয়ে। যদি ছেলে হয়, তো পুংলিঙ্গ আর মেয়ে হলে স্ত্রীলিঙ্গ। বাস্তবে ও অর্থের দিক থেকে তো একজন দুটি লিঙ্গ হতে পারে না। আর যদি ছেলেটি মেয়ের গুণসম্পন্ন বা মেয়েটি ছেলের গুণসম্পন্ন হয় (বৃহন্নলা) তাহলে যে বৈশিষ্ট্যটি (ছেলে বা মেয়ের) বেশি প্রকট তাকেই সাধারণভাবে মান্যতা দেওয়া হয়। তাই বাক্যে বাবা-মা যে শিশুটিকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে তাকে উভয়লিঙ্গ বললে আদৌ বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণ হবে কি? অর্থাৎ অনেক সময় বাক্য দেখেও লিঙ্গ নির্ধারণ করতে হয়। 

  আরেকটি বিষয়, 'গাছ'  শব্দটিকে প্রথাগতভাবে কোন লিঙ্গের মধ্যে ধরা হয় জানি না। তবে গাছের প্রাণ থাকায় তাকে ক্লীবলিঙ্গ বলা যাবেই না। গাছ সাধারণত তিন ধরনের হয়: ১. যে সমস্ত গাছের পুংকেশর থাকে তারা পুরুষ গাছ। ২. যে সমস্ত গাছের গর্ভকেশর থাকে তারা স্ত্রী গাছ।  আর ৩. যে সমস্ত গাছের পুংকেশর ও গর্ভকেশর দুটোই থাকে তারা উভয়লিঙ্গ বিশিষ্ট গাছ। তবে উভয়লিঙ্গ বিশিষ্ট গাছ ফল ও ফুল দুটোই দেয়। আর স্ত্রীগাছও  ফুল ও ফল দেয়। কিন্তু পুরুষগাছ, শুধু পুংকেশর যার আছে, সে ফুল দেয় কিন্তু ফল দেয় না। এক্ষেত্রে উভয়লিঙ্গ ও  স্ত্রীলিঙ্গ বিশিষ্ট গাছকে এক শ্রেণিতে ফেলে স্ত্রীলিঙ্গ বলা যেতেই পারে, কারণ মাতৃত্বের বিষয়টি এই দুই প্রকার গাছেই বিদ্যমান। 

 তাই আমাদের মনে হয় আধুনিক বাংলায় লিঙ্গ দুধরনের: পুং লিঙ্গ ও স্ত্রী লিঙ্গ।
  
  চরিত্র অনুযায়ী আবার লিঙ্গকে দু ভাবে দেখা হয়ে থাকে। এক, ব্যাকরণগত লিঙ্গ ও দুই, স্বভাবিক লিঙ্গ। ব্যাকরণগত লিঙ্গ হিন্দি, সংস্কৃত প্রভৃতি ভাষায় প্রচলিত। এখানে স্ত্রী পুরুষের উপর লিঙ্গভেদ নির্ভর করে না। যেমন: পুলিশ, গাড়ি, হিন্দিতে স্ত্রীলিঙ্গ। সূর্য, চন্দ্র সংস্কৃতে পুংলিঙ্গ। ইংরেজিতে জাহাজ, ভাষা, নদী, এগুলো স্ত্রীলিঙ্গ। জার্মান ভাষায় আবার "কুমারী মেয়ে" ক্লীবলিঙ্গ। অর্থাৎ এখানে অনুভূতি বা সংস্কারের ওপরই লিঙ্গভেদ নির্ভর করছে। 
   
  আর স্বাভাবিক লিঙ্গের ক্ষেত্রে সাধারণত স্ত্রী ও পুরুষের ভেদাভেদের উপরই লিঙ্গভেদ নির্ভর করে। যেমন: ছেলে পুংলিঙ্গ, মেয়ে স্ত্রীলিঙ্গ। একইভাবে  বাবা পুংলিঙ্গ, মা স্ত্রীলিঙ্গ। বাংলা আধুনিক ক্ষেত্রে স্বাভাবিক লিঙ্গই বেশি দেখা যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে ব্যাকরণগত লিঙ্গেরও দৃষ্টান্ত পাই । যেমন:  অচল - অচলা, নদ - নদী। 
আরো কয়েক ধরনের লিঙ্গ প্রথাগত বাংলায় রয়েছে। আমরা আধুনিক মান্য বাংলা অনুযায়ী এগুলোর বিচার করে নতুন দিক নির্দেশ করার চেষ্টা করব। 

  প্রথমত, মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, কবিরাজ, দারোগা, জমিদার ;  এদের প্রথাগত ব্যাকরণে নিত্য পুংলিঙ্গ বলা হয়, কারণ এদের লিঙ্গ পরিবর্তন হয় না। কিন্তু এই বিভাজন আমাদের কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয়নি। প্রচলিত নিয়মে এরা উভয়লিঙ্গ হওয়াই যুক্তিযুক্ত ছিল। কারণ নারী, পুরুষ নির্বিশেষে যে কেউ এই পদগুলি ( designation) গ্রহণ করতে পারে। 
    
    দ্বিতীয়ত, কবি, কেরানি, চিকিৎসক, ডাক্তার, পুলিশ, প্রতিনিধি, জেলে, গরু, গোয়েন্দা, দোকানদার প্রভৃতি শব্দগুলিকে প্রথাগত ব্যাকরণে উভয়লিঙ্গ বলা হয়। এদের আগে বা পরে নারী বা স্ত্রীবাচক শব্দ জুড়ে স্ত্রীলিঙ্গ করা হয়। যেমন: কবি- মহিলা কবি, বেনে- বেনে বউ, হাতি- মাদি হাতি, চিকিৎসক- মহিলা চিকিৎসক। এক্ষেত্রে অবশ্য প্রথাগত ব্যাকরণের নিয়মে উভয়লিঙ্গই হয়েছে। কিন্তু আমরা যেহেতু উভয়লিঙ্গের অস্তিত্ব স্বীকার করছি না, তাই এই শব্দগুলোকে নির্দিষ্ট কোনো লিঙ্গের মধ্যে জুড়ে দিয়ে বিচার করতে চাই। সাধারণত প্রথাগত নিয়মে স্ত্রীবাচক শব্দ দিয়ে লিঙ্গান্তর করা হয়। যেমন কবি -  মহিলা কবি। তাহলে কবিরাজ -  কবিরাজ পত্নী বা মহিলা কবিরাজ হওয়াই উচিত, বা দোকানদার - মহিলা দোকানদার। বাস্তবে কিন্তু তা হয় না। এখানে অনেকেরই মনে হতে পারে, যদি "মহিলা কবি" বলা হয় তাহলে "পুরুষ কবি" বলতে ক্ষতি কোথায়? 'কবি' শব্দটি শুধু পুরুষকেই বা কেন বোঝাবে? কথাটি অবশ্যই যুক্তিযুক্ত। আসলে বাংলা ব্যাকরণ অনেকটাই পুরুষকেন্দ্রিক, যেখান থেকে বেরিয়ে আসার সময় এসেছে। তাই আমাদের মতে স্ত্রী বা পুরুষবাচক শব্দ দিয়ে লিঙ্গ পরিবর্তন না করে বাক্য ও অর্থ দেখেই লিঙ্গভেদ করা উচিত। যেমন:  বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য পশ্চিমবঙ্গের 'মুখ্যমন্ত্রী' ছিলেন। এখানে 'মুখ্যমন্ত্রী' পুংলিঙ্গ। মমতা ব্যানার্জি বর্তমান 'মুখ্যমন্ত্রী।' এখানে 'মুখ্যমন্ত্রী ' স্ত্রীলিঙ্গ। 

  তৃতীয়ত, চালু নিয়মে সতীন, ধাত্রী, রূপসী, ললনা প্রভৃতি শব্দগুলো নিত্য স্ত্রীলিঙ্গ। কারণ এদের লিঙ্গ পরিবর্তন করে পুংলিঙ্গ করা যায় না। সত্যি সত্যিই তো, এদের পুংলিঙ্গ করা যাবেই না। বিশেষ করে শব্দ প্রয়োগের প্রেক্ষিতে। কারণ 'বন্ধ্যা' স্ত্রীলিঙ্গ  শব্দ। কিন্তু পুংলিঙ্গে 'বন্ধ' বা অন্য কিছু করলে হাস্যকর হবে। ললনা, রূপসী শব্দগুলোও অনুরূপ। তবে মনে রাখতে হবে শব্দের দিক থেকে এদের লিঙ্গ ভেদ করা না গেলেও বাস্তব ক্ষেত্রে কিন্তু এদের লিঙ্গভেদ হতেই পারে। যেমন ধাত্রীর কাজ যদি কোনো পুরুষ করে তাহলে তাকে তো স্ত্রীলিঙ্গ বলতে পারি না। তেমনি:  সতীন- স্ত্রীলিঙ্গ। একটি পুরুষের একাধিক স্ত্রী থাকলে তারা পরস্পরের সতীন। ভালো কথা, তাহলে একজন নারীর একাধিক স্বামী থাকলে তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক সতীনের বিপরীত কী হবে? এটিও একটি সমস্যা।  

  আরেকটি বিষয় বলে রাখি, বাংলায় সর্বনাম পদের স্ত্রীলিঙ্গ হয় না কিন্তু বিশেষণ পদের হয়। যেমন সুন্দর - সুন্দরী, চঞ্চল- চঞ্চলা। তবে বিশেষ্য পদ যদি স্ত্রীবাচক হয় তাহলে তার আগে স্ত্রীবাচক বিশেষণ না দেওয়াই ভালো, তাতে পুরো বিষয়টি সহজবোধ্য হয়। যেমন 'নারী'  স্ত্রীবাচক শব্দ এবং ওই নারী দেখতে খুবই সুন্দর। সেক্ষেত্রে তাকে "সুন্দরী নারী" না বলে "সুন্দর নারী" বলাই শ্রেয়। এখানেও প্রশ্ন আসতে পারে, সুন্দর তো পুরুষবাচক শব্দ, পুংলিঙ্গ। তাহলে স্ত্রী লিঙ্গের আগে কেন জুড়তে যাব?  আর যদি জুড়তেই   হয়, তাহলে সুন্দর ছেলের ক্ষেত্রে কেন "সুন্দরী ছেলে" বলবো না?  বিতর্কটি যুক্তিযুক্ত। এ প্রসঙ্গে আগেই বলেছি পুরুষকেন্দ্রিক ব্যাপারটি এখানেও কার্যকরী, যা একটা ট্র্যাডিশন হিসেবে চলে আসছে। তাই আমাদের মনে হয় শ্রুতিমধুরতা ও ভাষার চাহিদা অনুযায়ী দুটোকেই ক্ষেত্রবিশেষে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এই সুন্দর- সুন্দরী ভেদ যত দ্রুত ঘুঁচবে বাংলা ততই আধুনিক, সহজ- সরল ও জনপ্রিয় হবে। 

  আরেকটি কথা না বললেই নয়, "সুন্দর ছেলে" ব্যাকরণে ও বাস্তবে মান্য। "সুন্দর মেয়ে" বা "সুন্দরী মেয়ে"ও  বর্তমানে ব্যাকরণ স্বীকৃত। কিন্তু "সুন্দরী ছেলে" এখনো মান্যতা পায়নি। আমরা যদি বিশেষণ হিসেবে সুন্দর ও সুন্দরীর  যেকোনো একটি ব্যবহার করতে চাই তাহলে খুবই ভালো। সেক্ষেত্রে কোনো একটিকেই স্বীকৃতি দিতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা
 'সুন্দরকে' মান্যতা দিলে "সুন্দরী মেয়েদের"  একটু ত্যাগ স্বীকার করতে হয় আর কি!  প্রকারন্তরে হয়তো বা বাংলা ভাষাই লাভবান হবে। 

  অন্যদিকে, বিশেষ্য পদ গায়ক - গায়িকা, নায়ক-নায়িকা, লেখক-লেখিকা, পরিচালক- পরিচালিকা, প্রকাশক- প্রকাশিকা প্রভৃতি শব্দগুলোর লিঙ্গভেদ জরুরি নয়। যারা গান করেন তারা গায়ক বা গায়িকা। যারা লেখালেখি করেন তারা লেখক বা লেখিকা। নারী ও পুরুষ নির্বিশেষে এই পেশাগুলি যে কেউ গ্রহণ করতে পারে। নারী-পুরুষের ভেদ থাকতে পারে, কিন্তু তাদের পেশা, নেশা বা পদগুলির (designation) লিঙ্গভেদ কেন থাকবে?  তাই আমাদের মনে হয় অকারণ জটিলতা না বাড়িয়ে ভাষাকে সংক্ষিপ্ত ও সহজবোধ্য করার জন্য নারী পুরুষ নির্বিশেষে লেখক, পরিচালক, গায়ক, প্রকাশক, প্রভৃতি একটি শব্দই ব্যবহার করা উচিত।

   আর একটি কথা বলে আলোচনার ইতি টানব, তা হল লিঙ্গ নামকরণটি নিয়ে...  লিঙ্গ= লিন্ গ্  + অন। এটি ব্যুৎপত্তিগত বিশ্লেষণ। এই নামকরণ বা পরিভাষাটি নিয়েও একটি ঝামেলা তৈরি করা যায়। কারণ লিঙ্গ শব্দের একাধিক অর্থ। যেমন: চিহ্ন বা লক্ষণ, সূচক, জননেন্দ্রিয় প্রভৃতি। এখানে চিহ্ন বা লক্ষণ অর্থেই নামটি গৃহীত হয়েছে। তবে নারী-পুরুষের বিষয়টি মুখ্য হওয়ায় শব্দটি যেন যৌনাঙ্গ কেন্দ্রিক বিভাজনকেই মনে করিয়ে দেয়। আর নামটি এমনিতেও খুব একটা সুখশ্রাব্য নয়। তাছাড়া চিহ্ন বা লক্ষণ অর্থেই যখন নামটি ব্যবহৃত তখন শুধু শুধু লিঙ্গ বলতে যাব কেন? সরাসরি চিহ্নই বলব। অন্যদিকে স্ত্রীলিঙ্গের স্ত্রী কথাটি নিয়েও ঘোরতর আপত্তি আছে। কারণ পুং বা পুরুষের বিপরীত স্ত্রী নয়, নারী। স্বামীর বিপরীত স্ত্রী হয়। একদিকে বলছি পুং বা পুরুষ লিঙ্গ, আবার তার বিপরীত করছি স্ত্রীলিঙ্গ!  অদ্ভুত তো! খুব স্বাভাবিকভাবে "নারীলিঙ্গ" হওয়াই  উচিত। নারী মানেই তো আর স্ত্রী নয়। তাই আমাদের প্রস্তাবিত নতুন নাম-  লিঙ্গের পরিবর্তে চিহ্ন।  আর দুটি চিহ্ন হল "পুরুষচিহ্ন" এবং "নারীচিহ্ন।" পুংলিঙ্গ বা  স্ত্রীলিঙ্গ কখনোই না।
------------
আরও পড়ুন 

জ্বলদর্চি পেজ-এ লাইক দিন।👇



Post a Comment

0 Comments