বাঁচলেই হোল
সুখের জ্বালায় অস্থির হয়ে
সে এক মানুষ,
এক গাছা দড়ি হাতে
গিয়েছিল অশত্থের কাছে।
তারাহীন রাতে
জোনাকির আলো দেখে
ঝুলেছিল শক্ত ডাল থেকে।
বউ নাকি সুন্দরী ছিল
ছেলেটি ও বেশ!
টাকা কড়ি সবই ছিল,
তবুও মরতে গেল।
সেই নিয়ে প্রবল হৈ চৈ,
বছর আষ্টেক পরে,
তাকে নিয়ে লেখা হোল
বিখ্যাত কবিতা।
সুখের জ্বালাই বুঝি, আসল জ্বালা।
তাই আজ চারদিকে দেখি,
অ-সুখ অসুখ নিয়ে,
কোটি কোটি শুকর শুকরী
শিশুর রক্ত চুষে
উল্লাসে মাতে।
অমৃতের সন্তান এরা,
মরবে না সহজে।
জোনাকিতে প্রবল ভয়,
অশত্থ এদের কাছে
বুদ্ধের আশ্রয়।
মিশাইল উড়ে এলে
গোপন গর্ত খোঁজে,
প্রবল বন্যার স্রোতে
পরিবার ভার মনে হয়।
অন্যায় অধর্ম, মনে
পিশাচের উল্লাস আনে।
" এই পথে নিতে হবে
জীবনের সঞ্চয়"।
অমৃতের পুত্রেরা সব,
বাঁচাটাই আসল কথা।
ভেবেছিলে বুঝি!
পাহাড়ের খাঁজে মুখ গুঁজে,
কোন কথা ভেবেছিলে তুমি?
মনে পড়েছিল বুঝি
কৈশোর প্রেম!
অনাবিল হাসি মুখ,
নরম চাহনি।
ভীরুতার মোড়কে
কোমল কোরক।
অজানা পরিণাম,
ভেবেছিলে বুঝি!
সরে এসেছিলে
বিষণ্ণ হৃদয়ে!!
মনে পড়েছিল
সেই করুণ কোমল মুখ??
মনে পড়েছিল বুঝি
বিস্তৃত যৌবন।
অমৃত সঞ্চয়ের
সুদীর্ঘ ইতিহাস।
নিজের প্রতিশ্রুতি,
" এ প্রেমের অধিকার,
শুধু তার, যে আমার।"
রক্তে প্রেমে ভিজে,
দেখেছিলে বুঝি,
প্রিয়তর হাত ধরে,
নিষ্ঠুর হাসি হেসে,
সুখের সন্ধানী
তোমার প্রেয়সী।
দেখেছিলে তুমি?
পাথরের খাঁজে শুয়ে
পাথর হওয়ার আগে,
কোন কথা ভেবেছিলে তুমি??
🍂
0 Comments