জ্বলদর্চি

ছোটোবেলা বিশেষ সংখ্যা -২২

সম্পাদকীয়

ছোট্টবন্ধুরা, তোমরা যত বড়ো হবে তোমাদেরও বড়োদের মতো মনে হবে, "ইস্, এই সুন্দর মুহূর্তটা যদি চিরদিন ধরে রাখতে পারতাম!" আর তখনই তোমরাও তোমাদের মোবাইল ক্যামেরায় 'খ্যাচ' করে সেই মুহূর্তটার ছবি তুলে নেবে। ঠিক যেমন ফটোগ্রাফার অপু পাল এমন একটা সুন্দর মুহূর্তের ছবি তুলে আমাদের প্রচ্ছদ সাজাতে দিয়েছেন। কৃতজ্ঞতা জানাই অপু পাল মহাশয়কে। স্কুল তো এখনো পুরোপুরি খোলেনি, তাই বাড়িতে বেশি বেশি মজা আর কম কম দুষ্টুমি করছ তো! তারসাথে পড়ে ফেলো সুকুমার রায়ের ছড়াগুলো।  অমিয় বিশ্বাসের  'খাই খাই' পড়ে কেমন লেগেছে এবারের সংখ্যা পড়ে ঝটপট জেনে নাও আর শিখে নাও কিভাবে ছোটোবেলাটাকে আচারের বয়ামে পুরে রাখা যাবে। এমন একটা ট্রিকস শেখানোর  জন্য অমিয় বিশ্বাসের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। অবশ্যই চোখ রাখ ছোটোবেলা সংখ্যায়, যে কেউ তোমাদের দুষ্টুমির ছবি তুলে বা ছড়া/ গল্প লিখে পাঠিয়ে দিতে পারে আমাদের জ্বলদর্চির পাতায়। জানো, তথাগত বন্দ্যোপাধ্যায় তোমাদের একজনের দুষ্টুমি নিয়ে ছড়া লিখে ভরিয়ে তুলেছেন ছোটোবেলা সংখ্যা? ধন্যবাদ তথাগত মহাশয়কেও। আর গল্পকার অসিত বরণ বেরা নিজের হোস্টেল জীবনের গল্প বলেছেন তোমাদের। তাকে আমাদের তরফে শ্রদ্ধা। কমিকস স্রষ্টা নারায়ণ দেবনাথ পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হলেন। তাকে নিয়ে ছড়া লিখে সম্মান জানিয়েছেন বলে মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ। যে সমস্ত ছোট্ট বন্ধুরা লিখে ও এঁকে ভরিয়ে তুলেছ ছোটোবেলা সংখ্যা তাদের চুপি চুপি জানাই, খুব শীঘ্র সেদিন আসছে যখন আমিও অমিয়র মতো 'খাই খাই' পড়ে লিখব, 
“ফিরলো সবাই ইস্কুলেতে সাঙ্গ হলো ছুটি–
আবারো চলে বই বগলে সবাই গুটি গুটি।“
 -- মৌসুমী


হারিয়ে যাওয়া ছোটোবেলাকে ফিরে পেতে 'খাই খাই'  

অমিয় বিশ্বাস

প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক সুকুমার রায় রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ হলো “খাই খাই”। ছোটবেলায় সন্ধে হলেই যখন খিদের বাতিক জাগতো তখন চেঁচিয়ে উঠতাম ‘মা খিদে পেয়েছে’ বলে। হারিয়েছে ছোটোবেলা তবে হারায়নি তার রেশ। আজ “খাই খাই” কাব্যের মাধ্যমেই আমরা সবাই খুঁজব সেই হারিয়ে ফেলা ছোটবেলাটিকে। তোমাদের যাদের ছেলেবেলা এখনও হারিয়ে যায়নি,তারা শিগগির ছেলেবেলাটাকে আমের আচারের বয়ামে পুড়ে রেখে দাও। নইলে কিন্তু বড়োবেলা খেয়ে নেবে তাকে।
তবে শুরু করি ছেলেবেলার গল্প, মিষ্টি কিছু কবিতা দিয়ে। দেখ তো কিছু মিল খুঁজে পাও নাকি?

“মান্দ্রাজী ঝাল খেলে জ্বলে যায় কন্ঠ,
জাপানেতে খায় নাকি ফড়িংয়ের ঘন্ট।
আরশোলা মুখে দিয়ে খায় চীনারা,
কত কি যে খায় লোকে নাহি তার কিনারা।“

কি বন্ধুরা আজব সব খাবারের নাম শুনে নাক সিটকাচ্ছ, তবে চল ভাবি অন্য কোনো কিছু। আচ্ছা,

“কেউ কি জানে দিনের বেলায় কোথায় পালায় ঘুমের ঘোর?
বর্ষা হলেই ব্যাঙের গলায় কোত্থেকে হয় এমন জোর?
গাধার কেন সিং থাকেনা হাতির কেন পালক নেই?
গরম তেলে ফোড়ন দিলে লাফায় কেন তাধেই ধেই?”
                                                      (বিষম চিন্তা)

উত্তর কি পেলে কেউ? না আমিও তো পেলাম না ঠিক। আরেকটু মন দিয়ে পড়াশোনা করলে হয়ত পেয়ে যাব। কিন্তু স্কুল তো এখন বন্ধ! আর যখন স্কুল খুলবে,তখন কিন্তু আবার দুষ্টুমি শুরু হবে আমাদের তাই না?
গেটম্যান কাকু বলে উঠবে–
“ফিরলো সবাই ইস্কুলেতে সাঙ্গ হলো ছুটি–
আবারো চলে বই বগলে সবাই গুটি গুটি।“
                                                   (পড়ার হিসেব)

আবার শুরু হবে ক্লাস আর সাথে চলবে ছেলে-মেয়েদের ঝগড়া।মেয়েরা একপর্যায়ে বলে উঠবে–
“আমরা ভালো লক্ষ্মী সবাই তোমরা ভারি বিশ্রী,
তোমরা খাবে নিমের পাঁচন আমরা খাব মিশ্রী।
আমরা পাব খেলনা পুতুল আমরা পাবো চম্ চম্ ,
তোমরা ত তা পাচ্ছ না কেউ পেলেও পাবে কম্ কম্ ।“

নাহ,আর ঝগড়া নয়। আমরা তো সবাই বন্ধু,তাই না? তবে ঝগড়াঝাঁটি ছেড়ে কিছু মজার লাইন শুনি।
চলে হন্ হন্          ছোটে পন্ পন্
ঘোরে বন্ বন্      কাজে ঠন্ ঠন্
ব‍্যয় শন্ শন্         শীতে কন্ কন্
কাশি খন্ খন্       ফোড়া টন্ টন্

“বয়স হলে অষ্টআশি, চিমসে গায়ে ঠুনকো হাড়,
নাচছে বুড়ো উল্টোমাথায়–ভাঙলে বুঝি মুন্ডু ঘাড়!”
                                                     (নাচের বাতিক)

হাসি পাচ্ছেনা? পাবেই তো। যদি এরকম আরো মজার মজার ছড়া শুনতে চাও তবে অবশ্যই পরে ফেলো “খাই খাই”। উপরে উল্লিখিত ছড়াগুলি ছাড়াও রয়েছে আরো বেশ কিছু ছড়া যেমন– সাধে কি বলে গাধা, হিতে বিপরীত, নন্দ গুপি, জীবনের হিসাব, মূর্খ মাছি, বর্ষ গেল বর্ষ এলো, গ্রীষ্ম ইত্যাদি। মোট  ৩০টি কবিতা রয়েছে বইটিতে। হাসতে চাইলে, ছেলেবেলাকে বয়ামে বন্দী করতে চাইলে অবশ্যই পড়তে হবে বইটি।আমার তো পড়া শেষ, তাই আমি চললুম। এক আকাশ ভালোবাসা রইল সকলের জন্য।

বেত

অসিতবরণ বেরা
 
ছোটবেলায় আমি খুব দুষ্টু ছিলাম। আমার দুষ্টুমিতে অতিষ্ঠ হত আমার মা ও দাদারা। বড়দা ঠিক করলেন বড়মোহনপুর স্কুলে ফাইবে ভর্তি করে দিবেন। ওখানে জ্যেঠতুত দাদা সুধাংশুদা শিক্ষকতা করেন। তিনি আমার দেখভাল করতে পারবেন। ফলে ঐ স্কুলে ভর্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বোর্ডিং- এ বন্দি রাখাও পাকাপোক্ত হয়ে গেল।  
    দাদা কাম শিক্ষক সুধাংশুদার পাশের সিটে থাকার বন্দোবস্ত হল। কিছুদিন পরে সুধাংশুদা বড়দাকে জানালেন, অসিত মোটেই দুষ্টু নয়। আসলে বোর্ডিং সুপার প্রেমচাঁদবাবু সকাল সন্ধে যেভাবে বেত নিয়ে রুমে রুমে টহলদারি করতেন তাতে পড়ায় ফাঁকি বা দুষ্টুমি কোনটাই ছেলেরা করার সুযোগ পেত না।  
    সেদিন বিশেষ কাজে প্রেমচাঁদবাবু বাড়ি গেলেন 
 যাওয়ার সময় বলে গেলেন , সেদিন নাও ফিরতে পারেন। ফলে সেদিন আমি হাঁফ ছেড়ে বাঁচি। পড়তে পড়তে কখন যেন ঘুমিয়ে পড়ি। পিতৃহারা সন্তান বলে সুধাংশুদা স্নেহ করতেন। তাই তিনি আমার ঘুম ভাঙাননি। 
    নিজের পড়াশুনায় সুধাংশুদা ব্যস্ত ছিলেন। পরের ঘটনা একসময় তাঁর মুখ থেকে শুনেছিলাম। তিনি দেখেন, আমি ঘুমের মধ্যে বিছানা ছেড়ে উঠে হাতড়াতে হাতড়াতে বাইরে বেরিয়ে যাই। সুধাংশুদা আমাকে অনুসরণ করতে থাকেন। পাশের রুমে থাকতেন প্রেমচাঁদবাবু। সেই রুমেই ঢুকে একদিকে গিয়ে হাতড়াতে থাকি। এমন সময় প্রেমচাঁদবাবু বাড়ি থেকে এসে পড়েন। সুধাংশুদা ইশারায় প্রেমচাঁদবাবুকে ঘটনাটিকে লক্ষ করতে বলেন। ইতিমধ্যে সন্ধে থেকে আমি কি কি করেছি তা সংক্ষেপে প্রেমচাঁদবাবুকে জানিয়ে দেন।  
    গাম্ভীর্যের মুখোশ ত্যাগ করে প্রেমচাঁদবাবু হেসে বলেন ,”আসলে কি জানো , অসিত ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ভাবছিল , ও বুঝি আমার রুমেই ঘুমাচ্ছিল আর তাই আমার রুমকে তোমার রুম ভেবে এখানে তার বিছানাটা খুঁজছে।"
    সুধাংশুদা বলেন ,” তাহলে তুমি ওর আতঙ্ক ভঞ্জন করো ।“  
    প্রেমচাঁদবাবু আমাকে নাড়া দিয়ে বলেন ,” কী রে অসিত ! এখানে কী করছিস? যা নিজের রুমে গিয়ে ঘুমাবি যা।”  
    প্রেমচাঁদবাবুর কণ্ঠস্বরে আমার নিদ্রা যায় টুটে। চোখ খুলে প্রেমচাঁদবাবুকে দেখে এক দৌড়ে নিজের রুমে। পিছন থেকে ভেসে আসে প্রেমচাঁদবাবু আর সুধাংশুদার প্রাণখোলা হাসি। 

বিরক্তিকর ছেলে

তথাগত বন্দ্যোপাধ্যায়

সাড়ে চার বছরের সাড়ে চার ফুট সে,
 চোখের আড়াল হলে আলসেয় উঠছে।
মৌচাকে ঢিল ছোঁড়ে, বোলতাও রুষ্ট,
টাকে ঝাঁপতাল তুলে হয় সন্তুষ্ট।
আয়নায় কাচ নেই, কাজ নেই নালিশে,
উড়ো-উড়ি খেলা করে মুড়ি আর বালিশে।
হঠাৎ আড়াল ছেড়ে মুখোমুখি চমকায়!
পুলিশে ধরাবে বলে, যদি কেউ ধমকায়।
কার কল খুলে আসে, কার ডালে লংকা,
কারো পাকা ধানে মই, কারো অভিশঙ্কা।
কারো ক্ষতে পুনরায় ঘুষি মারে সজোরে,
সন্ত্রাসে, উৎপ্রাসে কম্পন পাঁজরে।

আধমনি কৈলাস, ঘুমন্ত কুমিরের-
খোলা চোখে আলো মেরে গবেষণা তিমিরে।
বিছুটির পাতা ছাড়ে লুঙ্গির ভেতরে,
আরেকটু হলে মায়া হারিয়েই যেতোরে!
নাস্তানাবুদ হয় যত পাড়া পড়শি,
রাশভারি রাঙাদাদু তবু দূরদর্শী। 
এ ছেলে দেখিস হবে বড় হয়ে ঠাণ্ডা,
তাই বলি গেলা ওকে বরফের ডাণ্ডা।


বাঁটুলদা আজ ভীষণ খুশি

মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় দাস

বাঁটুলদাদা বলল ডেকে, শোন রে ভোঁদা হাঁদা,
চটপট যা, কেক কিনে আন, কর না বাঁধা ছাঁদা৷
নন্টেকে ডাক, ফন্টেকে হাঁক, বল না তাড়াতাড়ি,
আসার সময় কিনতে বলিস মিঠাই কয়েক হাঁড়ি৷
বাহাদুরকে বলিস যেন ছিপ ফেলে এক জলায়
কাতলা কিম্বা ভেটকি পেলে নেয় ভরে ওর ঝোলায়৷
এমন সময় কেল্টু এসে বাজিয়ে জোরে বেল
বলল, আমি ভোজের মওকা করব না ভাই ফেল৷
সুপারিনটেন স্যার দেখি যে আসেন হেঁটে জোরে,
বলল, বাঁটুল ফোন পেয়েছি আজকে খুবই ভোরে৷
বাচ্চু এবং বিচ্চু দুজন ঘুমের থেকে জেগে
দেখল সবাই দারুণ খুশি, কেউ নেই তো রেগে৷
ব্যাপারটা কি, বল না বোঁচা, আজকে কিসের মেলা?
বলল বোঁচা, তাও জানা নেই? মারবে ভূতে ঢেলা৷
শোন, আমাদের সবার স্রষ্টা দেবনাথ নারায়ন
পদ্মশ্রী জিতে নিলেন ভরিয়ে সবার মন৷
তিন প্রজন্ম ভক্ত যাদের, আমরা ভাগ্যবান,
ওঁর কাছে চল যাই রে সবাই জানাতে সম্মান৷

স্বপ্নপূরণ

স্বস্তিকা চট্টোপাধ্যায়
একাদশ শ্রেণি, বিজ্ঞান বিভাগ, চন্দননগর বঙ্গ বিদ্যালয়

‘মনটা কোথায়?’
চমকে উঠে তাড়াতাড়ি ফিজিক্স বইটা খোলে রজতাভ। চশমার কাচটা ঝাপসা। কিছুই পড়তে পারছে না সে। শব্দগুলো অচেনা জঙ্গলের মত ঠেকছে তার।মাথায় ঘুরছে একটা গান,যেটা লিখে ফেলতেই হবে।রজতাভ উঁকি-দিয়ে দেখে মা এখন রান্নাঘরে। তারপর বইয়ের মাঝে লুকিয়ে রাখা গান-লেখা পাতাটা খোঁজে সে।
আজ মনটা ভারী রজতাভর।কারণদু’টো সে জানে। একটা গান লিখছে কিন্তু গানের শেষ লাইনটা কিছুতেই লিখতে পারছে না । দ্বিতীয় কারণ, তিন দিন আগে বাবা-মা জানতে পেরে গেছে যে, সে পড়ার  নাম ক’রে গান লেখে। গানের নেশায় বুঁদ আসলে।পড়ার বইয়ের থেকে বেশি সময় কাটছে তার গিটারের সঙ্গে,অডিও সেটের সঙ্গে।স্বাভাবিক ভাবেই বাবা-মায়ের যে স্বপ্নের কথা সে নিজেও জানে সেই স্বপ্নীয় ডাক্তার বাবু রজতাভ থেকে বাস্তবের রকস্টার রজতাভ হিসেবে মেনে নিতে রাজি নন তারা ।
কিছুদিন আগেই তার একটা গিটার প্রতিবন্ধী হয়েছিল। যে গানের ডায়ারিতে তার অনেক দিনের স্বপ্ন, দুঃখ, আশা, বেদনা জমা হতো তার পাতাগুলো তাকেই ছিন্নপত্রের মত বাড়ির নানা দিক থেকে খুঁজে নিতে হয়েছিল।তবুও, রজতাভর স্বপ্ন আসে স্বপ্ন যায় তার চেনা ছন্দে।
  দুরন্ত হাততালি, হাজার হাজার উদ্দাম দর্শকের মাঝে এক বিশাল মঞ্চে রজতাভ গাইছে গান। সেই গান, যে গানের শেষ লাইনটা সে লিখে উঠতে পারেনি। শেষ লাইনটাতে দর্শকেরাও গলা মেলাচ্ছে তার সঙ্গে— ‘ ঘুম ভেঙে ওঠো তবে/ যেতে হবে বহুদূরে’।মঞ্চ কেঁপে উঠছে গিটারের ঝঙ্কারে,ড্রামস্টিকের তুমুল শব্দে।রজতাভর কোঁকড়ানো এলোচুল উড়ছে হাওয়ায়। মঞ্চের এদিক থেকে ওদিক পাগলের মত ছুটছে যেন।বহুদূর দর্শকদের কালো কালো মাথায় লাল নীল হলুদ আলোর রেশমি জাল গিয়ে পড়ছে।ঠিক সে সময় হাজার দর্শকের মধ্যে এক আধোচেনা মুখ ভেসে ওঠে রজতাভর ।একমাত্র এই এগিয়ে আসা দর্শকটির গলায় নেই কথা বা সুর। নেই হাততালি বা শরীরে দোলা। বাকি সবার চোখ মুখ সুরে সুরে উজ্জ্বল। আধোচেনা মুখটা এগিয়ে আসছে তার মঞ্চের দিকে। মানুষটা কাছে এসে রজতাভকে জিজ্ঞাসা করে ‘এটা সেই ভাঙা গিটারটা না?’ রজতাভ তার দু’গাল বেয়ে গড়ানো ঘাম মুছতে মুছতে চশমার ঝাপসা কাচের ভেতর দিয়ে তাকিয়ে দেখে মুখটা অনেকখানি তার মায়ের মত।উত্তর দেবার চেষ্টা করছে সে। পারছে না। আবার কানে এলো- ‘কি রে, কথা কানে যাচ্ছে না? দু দু’বার চেষ্টা করেও-তো নিট ক্র্যাক করতে পারলি না, এবারও কি তাই হবে?’ 

  রজতাভ ঘেমে নেয়ে বিছানাতে উঠে বসল।             
                                                                              
ছোট্ট ছানার কারসাজি

অস্মিতা ঘোষ
দ্বিতীয় শ্রেণি,সেন্ট জেভিয়ার্স ইনস্টিটিউশান
পাণিহাটি, উত্তর ২৪ পরগণা

গভীর বনে একটা হরিণ তার ছোট্ট তিন ছানাকে নিয়ে বাস করত। মা হরিণ টার দুটো ছানা সব বিষয়ে পারদর্শী হয়ে উঠেছিল। যত চিন্তা ঐ ছোট্ট ছানাটাকে নিয়ে। সে না পারে একা খেতে, না পারে বাঘের হাত থেকে বাঁচার কৌশল রপ্ত করতে। সব সময় মা আর মা।দাদা দিদির সাথেও একা বেরোতে চায় না। যদি বনে পথ হারিয়ে ফেলে অন্য পথে চলে যায়। তাহলে মার কাছে যাবে কি করে? মা দাদা দিদি দের নিয়ে বেরোবার সময় কত বার বলল ' চল্ চল্ ' কিন্তু ছোট্ট ছানাটা কিছুতেই বেরবে না। তখন মা বলল ' ঠিক আছে আমি তোর জন্য ফেরার পথে খাবার নিয়ে আসব।' বিকেলে দাদা দিদিরা ফিরে এল, কিন্তু মা তো আর এল না। ছোট্ট ছানা টা কেঁদে কেঁদে চোখ ফুলিয়ে ফেলল। দাদা  বলল "এখন তো তুই বড় হয়ে গেছিস মা ছাড়া থাকতে পাড়বি না!" দিদি ও দাদার কথায় সায় দিল। কে শোনে কার কথা। ছানা টা 'মা মা' করে কাঁদতে কাঁদতে গুহার থেকে বেরিয়ে গভীর বনের পথে এগিয়ে চলল। পথে দেখা হল খরগোশ দাদার সাথে। খরগোশ দাদা ছানার কাঁদ কাঁদ মুখ দেখে বলল - 'কী হয়েছে?' ছানা টা কাঁদতে কাঁদতে বলল 'আমার মা হারিয়ে গেছে।'  'তোমার মা হারিয়ে গেছে!তোমার মা কি খুব সুন্দরী? মাথায় বড় বড় শিং, সে গুলো দারুণ। গায়ে ফুল ফুল ছাপ?' ছোট্ট ছানা বলল 'হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ ওটাই তো আমার মা। তুমি দেখেছ খরগোশ দাদা? হ্যাঁ দেখেছি তো। কয়েক জন শিকারি তোমার মাকে জাল দিয়ে ধরে নদীর উত্তর দিকে বেঁধে রেখেছে। কাল সকালে ওরা অন্য জায়গায় চলে যাবে।তুমি তোমার মাকে আর বাঁচাতে পারবে না।' 
ছোট্ট ছানাটা হাউ মাউ করে কেঁদে উঠল। 'আমি কি করে মার কাছে যাব? কি করে মাকে বাঁচাব? আমি তো পথ চিনি না।' 
   ছোট্ট ছানার কান্না শুনে ইঁদুর ভায়া আর জোনাকি দিদির মনে কষ্ট হল। তারা আলোচনা করে ঠিক করল যে, তারা ছোট্ট ছানার মাকে বাঁচাতে সাহায্য করবে।ইঁদুর ভায়ার দলকে খরগোশ দাদা পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবে, আর জোনাকি দিদিরা সারা পথ আলো দেবে।অবশেষে তারা নদীর তীরে এসে পৌঁছাল।
ইঁদুরের দল চুপিচুপি মা হরিণ টার জাল কেটে ফেলল। যে ই না মা হরিণটা ছাড়া পেল অমনি  ছোট্ট ছানাটা তার মার হাত ধরে দে ছুট গভীর বনে।শিকারিরা বোঝার আগেই সবাই গভীর বনে নিরাপদে চলে গেল। এর পর থেকে ছানা রোজ মার সাথেই ঘাস খেতে যেত।
  এখন তার সাহস আরও বেড়ে গেছে। সে তার মা কে পাহারা দিয়ে রাখে যাতে তার মাকে শিকারিরা আর ধরতে না পারে।
সাঁতরাইচেঙ্গার রহস্যময় সাতকাহন
পর্ব- ১২

গৌতম বাড়ই

(আজ পর্ব পড়ল এক- ডজনে)
বাইরে মুহূর্তে সব লন্ডভন্ড হয়ে গেল। হঠাৎ দমকা হাওয়া আর হ্যাজাক বাতি উল্টে সে এক সাংঘাতিক কাণ্ড। অন্ধকার হয়ে গেল আচমকা। লোকজন ভয় পেয়ে ছুটছে। আর বাবা চীৎকার করে সবাইকে বলছেন এক জায়গায় স্থির হয়ে বসে থাকতে, নইলে পদপিষ্ট হবার সম্ভাবনা। তারপর কিছু সময় পরে আবার আশপাশের বাড়িঘর থেকে, আমাদের ঘর থেকে আলোর ব্যবস্থা হতেই দেখা গেল পদপিষ্ট না হলেও অনেকের ঐ হুটহাট দৌড়ঝাঁপে কিছু কিছু চোট আঘাত সবাই পেয়েছে। তখন মারকিউরোক্রোম বলে একধরনের তরল লাল-কালো ঔষধ এন্টিসেপ্টিক হিসেবে ব্যবহার হত, তা এলো আর ডেটল ও এসে হাজির হল সেইসব চোট আঘাত পাওয়া মিটিং এর লোকজনের কাছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই বোঝা গেল সবাই খুব ভীত এই মুহূর্তের দমকা হাওয়ার ঝড়ে। অবাক কাণ্ড, কেউ এক সেকেন্ড আগেও তা টের পায়নি। আমি বুঝে গেলাম এর পেছনে কারা? তবে তারপরে আবার সেইরাতে সভা শুরু হল। কতক্ষণ চলেছিল জানিনা, কারণ আমরা ভাই- বোনেরা সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। 
বিপদের আরও আগাম সম্ভাবনা জিইয়ে রাখল আজকের ঘটনা,  তাই  গ্রামের লোকজন কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল। 

সব বাড়ি থেকেই পালা করে একজন জাগবে। রাত পাহারার জন্য। বাড়ির মহিলাদের বাদ দিয়ে। ছোট- ছোট দলে ভাগ হয়ে পুরো গ্রামের পাহারা দেবে। বিপদের আঁচ পেলেই কাঁসর ঘন্টা বাজাবে। আর থানা থেকে চারজন পুলিশ দেবে রাইফেল সমেত। তারা নিজেদের মতন করে গ্রামের এ মাথা আর ও মাথা পায়চারি করবে। 

আমি এতসব শুনে অপেক্ষায় আছি কখন আমার ঐ তিনবন্ধু সব খবর দেবে? কেন তারা লণ্ডভণ্ড  করল আজকের সভার শুরুতে। নিছক ভয় দেখানো? না মজা করা? আর প্রশ্ন করতে চাই ওদের--  তাদের এই মজার জেরে যদি বড়সড় কোন অঘটন ঘটে যেত? 

আজ সাঁতরাইচেঙ্গার সেই চৌহদ্দী ছেড়ে কবেই চলে এসেছি।  মহানগরের বাসিন্দা, নাগরিক জীবন আমার তোমাদের মতন। আজ ভাল করে এই ব্যস্ত জীবনে নীল আকাশটাও দেখা হয়না। তবে এখনও আমার নাকে লেগে আছে জান সেই আমার গ্রামের গন্ধ। সব জায়গার একটা নিজস্ব গন্ধ থাকে। যেমন আমার মায়ের গায়ের গন্ধ। তিলু- বিলু- ইলুর সাথে বন্ধুত্ব হওয়ার পরে ওরা আমায় অনেক গল্প শুনিয়েছিল। আজ যখন তাদের সেই গল্পকথাগুলো বিজ্ঞানী ড. এলিস সিলভারের কথায় জানতে পারি, অবাক হতে হয় তিন ভিনগ্রহী বন্ধু সেদিন আমায় বলেছিল---

তোমরা মানুষেরা গ্রহের সবচেয়ে উন্নত প্রাণী বলে মনে কর। তাই না? আশ্চর্যের কথা, মানুষই হচ্ছে গ্রহের সবচেয়ে খাপছাড়া ও পৃথিবীর জলবায়ুতে টিকে থাকার জন্য সবচেয়ে অনুপযুক্ত প্রাণী।
বেশিরভাগ প্রাণী সারাদিন, যতক্ষণ খুশি, দিনের পর দিন রৌদ্রস্নান করতে পারে। কিন্তু তোমরা কয়েক ঘণ্টার বেশি রোদে থাকতে পার না কেন?
সূর্যের আলোয় তোমাদের চোখ ধাঁধিয়ে যায়। অন্য প্রাণীদের ধাঁধায় না কেন?

প্রকৃতিতে স্বাভাবিকভাবে পাওয়া বা গজিয়ে ওঠা খাবার মানুষ খেতে অপছন্দ করে কেন!

অদ্ভুতভাবে মানুষের মধ্যেই  প্রচুর ক্রনিক রোগ দেখা দেয় কেন!

ঘাড়ে, পিঠে,কোমরে ব্যাথা কি অন্য প্রাণীর হয়! যাকে ব্যাক- পেইন বলে। কারণ তারা পৃথিবীর অনান্য প্রাণীর মতন হাঁটা চলা ও বিভিন্ন কাজে মাধ্যাকর্ষণের সাহায্য পায় না। এই রোগটিই একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ, যেটা আমাদের বুঝিয়ে দেয় আমাদের দেহ অন্য কোনো গ্রহে বসবাসের উপযুক্ত হয়ে সৃষ্টি হয়েছিল যেখানে মাধ্যাকর্ষণ কম। পৃথিবীর কোনো মানুষই পুরোপুরি সুস্থ নয়। প্রত্যেকেই এক বা একাধিক রোগে ভোগে।

সত্যিই তো পৃথিবীর অনান্য প্রজাতির জীবের চেয়ে আমরাই কেন আলাদা হলাম। দেখা যাক বিজ্ঞান আগামী দিনে তাঁর প্রশ্নের কী উত্তর দেয়।

আমার মনে পড়তে থাকে সেইসব পুরোনো কথা। সেইসব ফেলে আসা দিনের কথা। রাত গভীর হতে চলল। ঘনিয়ে এলো ঘুমের ঘোর। আমার নগরের জীবনে খোলা জানলায় অট্টালিকার সারি দেখতে পাই শুধু। জানলা দিয়ে সেই লালচে ক্ষয়াটে চাঁদ বা আলোয় ভাসা চাঁদ ও দেখতে পাই না আর। তোমাদেরও যদি কখনও ভিনগ্রহী বন্ধু হয় তাদের সাথে গল্প করে দেখবে কী মজা! ভিনগ্রহের কত অজানা গল্প শুনবে।

তোমরা পড়ে জানাও কেমন লাগছে এ কিশোর রহস্য উপন্যাস? আবার আগামী সংখ্যায়  "ছোটোবেলা"-- তে আমার বন্ধুদের নিয়ে।

প্রকাশিত 
পাঠপ্রতিক্রিয়া

অনামিকা ঘোষ 
পোষ্ট গ্র‍্যাজুয়েট (ইংরেজি) 
পাটিকাবাড়ি, নদিয়া

সকালে খোলা জানালায় বসে চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিতেই মনে পড়লো নিজের ছোটোবেলার ছবি। অবশ্য এই মনে হওয়াতে সাহায্য করলো "জ্বলদর্চি" পত্রিকার 'ছোটোবেলার বিশেষ সংখ্যা'টা। দিন কয়েক আগে ঘটে যাওয়া একটু অন্যরকমের শ্রীপঞ্চমীর কথা তুলে ধরা হয়েছে এখানে। সত্যিই এবারের শ্রীপঞ্চমী যেন ঘরবন্দী। ছোট্ট শিশুদের সরস্বতী পুজোর আনন্দকে গ্রাস করেছে কোভিড ব্যাধি। তবে দেবী আরাধনায় ঘরে ঘরে বিভিন্ন রকমের আলপনা ছিল মনোহরা। 
        আর এই অন্যরকম বসন্ত পঞ্চমীর কথা ভাবতেই চোখে পড়ল মাণ্ডালা চিত্রকলা (বিশেষ ধরনের আলপনা) সম্পর্কিত এক অনবদ্য তথ্য। লেখিকা তৃষ্ণা বসাকের 'মাণ্ডালা চিত্রকলা' সম্পর্কে তুলে ধরা কিছু তথ্য সত্যিই যেন অস্থির মনকে আনন্দের সন্ধান দেয়। 
        ছোট্ট পাপুনের একাকীত্বে গ্রাস করা ঘরবন্দী জীবন চোখে জল এনেছিল। 'ঘরে বসে অনলাইন ক্লাস' এর মনোটনাস দিকগুলিকে ফুটিয়ে চলেছেন লেখিকা স্বাগতা ভট্টাচার্য। মারণ ব্যাধি করোনা কচিকাচাদের স্কুলে যাওয়ার আনন্দটাকে কেড়ে নিয়েছে যেমন তেমনই কেড়ে নিয়েছে রুজিরোজগার, হারুকাকুর মতো অনেকের। আর কেড়ে নিয়েছে ছোট শিশুদের শৈশবের অনেকগুলো দিন। 
        প্রচণ্ড কনকনে শীতে ফুটপাতে শুয়ে থাকা মানুষের নিদারুণ অবস্থার কথা তুলে তুলে ধরেছেন লেখক বিপ্লব চক্রবর্তী, তাঁর শীতকাতুরে ভূতের উপমার মাধ্যমে যা সত্যিই হৃদয় বিদীর্ণকারী। 
        শিক্ষাকে 'বহন না বাহন' করা উচিত এটা একটা বড় প্রশ্ন। ছোট্ট শিশুরা যখন তাদের নিজেদের থেকে বেশী ভরের ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যেতে গিয়ে হাফিয়ে ওঠে তখন তাদের দেখে এ প্রশ্নটাই মনে আসে। ঠিক এমনই একটা হৃদয়বিদীর্ণকারী দৃশ্য তুলে ধরেছেন কবি বানীয়া সাহা তার 'ভাল লাগে না' কবিতায়। যেখানে আমরা দেখেছি কিভাবে শিশুদের আকাশে ডানা মেলে ওড়ার স্বপ্নকে কেড়ে নিয়েছে বিদ্যালয়ের ওই ভারি ব্যাগ। 
        আমাদের জীবনে এত ব্যস্ততার মাঝেও বন্ধুদের জন্য সময় ঠিক হয়েই যায়। আর হবেই বা না কেনো আমাদের বন্ধুরা আমাদের জীবনের একটা বড় অংশ দখল করে থাকে। আর থাকে তাদের দুষ্টু মিষ্টি খুনসুটি আর অভিমান। এমনই দুই বন্ধুর কথা আমরা দেখেছি অনন্যা মৈত্রের 'আড়ি' কবিতায় যা পাঠককে তার স্কুল জীবনের কথা মনে করিয়ে আনন্দ দেয়। ঠিক তেমনই আবার মিস্টিরিয়াস ধারাবাহিক লেখা গৌতম বাড়ইয়ের 'সাতরাইচেঙ্গার রহস্যময় সাতকাহন' আমাদের রহস্য উদঘাটনের কৌতূহল যেন বাড়িয়ে তুলেছে। 
        আচ্ছা ভোরের স্বপ্ন কি সত্যি হয় ? কি জানি হবে হয়তো। এই ভোরের স্বপ্ন সত্যি হওয়া নিয়ে ক্ষুদে শিল্পী প্রীতিজ্যোতির লেখা 'সুধার স্বপ্ন' সত্যিই স্বপ্ন ও বাস্তবতার এক মেলবন্ধন ঘটিয়েছে যা পাঠকের মন কেড়েছে। 
        এমনভাবে নানা রঙের চিত্র, গল্প, কবিতা, ধারাবাহিক লেখা, মন কেড়েছে পাঠকের। বিশেষত ক্ষুদে শিল্পীদের উপস্থাপন। রিপন আর্য, তুলি রায়, সৌতি বসাক প্রত্যেকের চিত্রগুলিই সামঞ্জস্যপূর্ণ। সকল লেখক লেখিকা শিল্পীদের উপস্থাপন কখনও পাঠকের অশান্ত মনকে শান্ত করেছে আবার কখনো এক রহস্যময় জগতে নিয়ে গিয়েছে আবার কখনো মনে করিয়েছে ছোটবেলার স্মৃতি। সব মিলিয়ে পাঠক হৃদয়কে ভাসিয়েছে আনন্দ জোয়ারে। তাই ফুত হোক এই পত্রিকার যাত্রাপথ। শুভকামনা রইল সকলের জন্য। 

আজকের বিষয়: বিশ্বের দীর্ঘতম কিছু স্থান।

১. বিশ্বের দীর্ঘতম পর্বতমালার নাম কি?
২. বিশ্বের দীর্ঘতম বারান্দা কোথায় দেখা যায়?
৩. বিশ্বের দীর্ঘতম রেলপথ কোনটি?
৪. পৃথিবীর দীর্ঘতম বন্দরের নাম বলো।
৫. পৃথিবীর দীর্ঘতম নদী কোনটি ?
৬.  বলোতো বিশ্বের দীর্ঘতম রাস্তা কোথায় দেখা যায়।
৭. পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রাচীর কোন দেশে দেখা যায়?
৮. বিশ্বের দীর্ঘতম রেলওয়ে সুড়ঙ্গ কোনটি?
৯. পৃথিবী বিখ্যাত দীর্ঘতম সেতু কোন দেশে আছে ? 
১০. পৃথিবী বিখ্যাত সবচেয়ে দীর্ঘতম মনুষ্য সৃষ্ট খাল কোনটি?

গত সপ্তাহের উত্তর:
১.লাদাকে ২.গারসোপ্পা ৩.মধ্যপ্রদেশে ৪.মিনাক্ষী মন্দির ৫.পাঞ্জাব ৬.কর্ণাটকের গোমতেস্বর ৭.দার্জিলিং এর ঘুম ৮.জম্বু ও কাশ্মীরে ৯. জলনধরের টি.বি. টাওয়ার।

পেজ-এ লাইক দিন👇
আরও পড়ুন 

Post a Comment

1 Comments

  1. চমৎকার আয়োজন। ভালো লাগলো। যাদের জন্য এতকিছু তারা পড়লেই সার্থকতা।

    ReplyDelete