জ্বলদর্চি

বাংলা ব্যাকরণ ও বিতর্ক-১৯/অসীম ভুঁইয়া

Bengali grammar and debate
বাংলা ব্যাকরণ ও বিতর্ক
পর্ব ১৯
অসীম ভুঁইয়া

শব্দার্থ পরিবর্তন ও তার কারণ

অর্থপূর্ণ ধ্বনির সমন্বয়কেই শব্দ বলে। এই শব্দ বৈদ্যুতিক তারের বিদ্যুতের মতোই প্রবাহিত হয়। বৈদ্যুতিক তারে প্রবাহিত একই বিদ্যুৎ যেমন কখনো আলো জ্বালায়, কখনো পাখা ঘোরায় বা কখনো বিভিন্ন যন্ত্র চালনা করে। ঠিক তেমনি একই শব্দ ভাষাস্রোতে প্রবাহিত হয়ে ভিন্ন ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে থাকে। অর্থাৎ একটি শব্দ কালক্রমে তার প্রথম বা মূল উৎসগত অর্থ থেকে বেরিয়ে এসে আলাদা অর্থ প্রকাশ করতে পারে। একেই শব্দার্থ পরিবর্তন বলে।

 যেমন: "মহাজন" শব্দটির আদি অর্থ মহৎ ব্যক্তি বা বড় মনের মানুষ। কিন্তু বর্তমানে তার অর্থ পরিবর্তিত হয়ে এখন মহাজন বলতে সুদখোর ব্যক্তিকে বোঝায়। 
   একইভাবে প্রবীণ শব্দটির আদি অর্থ ছিল বীণা বাদনে দক্ষ যিনি। এখন শব্দটি তার উৎস অর্থ থেকে বেরিয়ে এসে বয়স্ক ব্যক্তিকে ইঙ্গিত করছে। 

   এভাবে সময়ের পরিবর্তনে মানুষের রুচি সংস্কৃতি অনুযায়ী শব্দের অর্থ পরিবর্তিত হয়ে যায়।
 
   তাহলে বলতেই পারি, সময়ের পরিবর্তনে কোনো শব্দ তার আদি উৎস অর্থ থেকে বদলে গিয়ে ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করলে তাকে শব্দার্থ পরিবর্তন বলে। 

শব্দার্থতত্ত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় শব্দার্থ পরিবর্তন।
ড. সুকুমার সেন থেকে শুরু করে অনেক বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানী শব্দার্থকে ব্যাকরণের অঙ্গ বলে মনে করেন না।
 কারণ তাদের মতে এটি একটি মানসিক প্রক্রিয়া এবং সময়ের পরিবর্তনে তা পরিবর্তিত হয়। বিজ্ঞানের সূত্র দিয়ে এর আলোচনা চলে না। তবে নোয়াম চমস্কির মতো প্রখ্যাত ভাষাবিজ্ঞানী শব্দার্থকে ভাষা বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বলেই মনে করেন। শব্দের অর্থের ওপর নির্ভর করেই ভাষার বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিশ্লেষণ করেন তিনি। 

   তবে অর্থই যেহেতু ভাব প্রকাশের মূলকথা, তাই আমাদের মতে শব্দার্থ ছাড়া ভাষার কোনো মূল্যই নেই। কারণ ভাব বিনিময় করতে গেলে শব্দের অর্থকেই সমধিক প্রাধান্য দিতে হয়। এ বিষয়ে অন্যত্র আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তাই আর কথা না বাড়িয়ে এখন আলোচনা করব, শব্দের অর্থ কীভাবে পরিবর্তিত হয়।

     সময়ের প্রেক্ষিতে শব্দের গঠনগত দিক মৌখিক উচ্চারণে যেমন পরিবর্তিত হয় (এ বিষয়টি অন্যত্র আলোচিত) তেমনি শব্দের অর্থও নানা কারণে পরিবর্তিত হতে পারে। অর্থ পরিবর্তনের কারণ সম্পর্কে ভাষাবিদদের মধ্যে বিতর্ক থাকলেও আমরা মোটামুটি সচেতনভাবেই এর কারণ সন্ধানে অগ্রসর হব। 
   
   কিন্তু তার আগে জেনে নিতে হবে, শব্দার্থের আবেদন সম্পর্কে।ভাষাবিজ্ঞানীদের  মতে শব্দার্থের তিন ধরনের আবেদন আছে।
 ১. বাচ্যার্থ ২. লক্ষণার্থ এবং ৩. ব্যঞ্জনার্থ বা ব্যঙ্গার্থ। 

 ১ বাচ্যার্থ: কোনো শব্দ তার মূল আভিধানিক বা ব্যুৎপত্তিগত অর্থ প্রকাশ করলেই তাকে বাচ্যার্থ বলে।
 অর্থাৎ সাধারণভাবে দেখলে শব্দের প্রচলিত অর্থই বাচ্যার্থ।  যেমন: এ "জীবন" পিছলে পড়া মায়া কক্ষ। 
   এখানে "জীবন" শব্দটির অর্থ জীবনই। অন্য কোনো অর্থ প্রকাশ করছে না।
" হাতের"  "আঙ্গুলটা"  খুব ব্যথা করছে।
 চিহ্নিত শব্দ দুটি প্রচলিত অর্থই প্রকাশ করছে ।

২. লক্ষনার্থ : কোনো শব্দ তার আভিধানিক অর্থ ছাড়িয়ে কিছুটা সামঞ্জস্যপূর্ণ অন্য একটি অর্থের ইঙ্গিত দিলে তাকে লক্ষনার্থ বলে।
 যেমন:  "তোমার "আকাশ" নেই/ তোমার "তাঁবু"  নেই।" এখানে "আকাশ" ও "তাঁবু" শব্দ দুটি আশ্রয়কে বোঝাচ্ছে। 
"মন মাঝি তোর বৈঠা নে রে" "মাঝি" বলতে এখানে মনকেই বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ মাঝি প্রচলিত অর্থ প্রকাশ করছে না । 
ওদের সঙ্গে তোমার কি কোনো "হাত" আছে?
 এখানে "হাত" শব্দটি প্রচলিত অর্থ থেকে বেরিয়ে এসে "যোগাযোগ" বা "জানাশোনা" ভাবের অর্থ প্রকাশ করছে।
 
  ৩. ব্যঞ্জানার্থ: কোনো শব্দ তার বাচ্যার্থ ও লক্ষনার্থকে  অতিক্রম করে গভীর কোনো অন্তর্নিহিত বা অনুভূতি নির্ভর অর্থ প্রকাশ করলে, তাকে ব্যঞ্জনার্থ বলে।
 যেমন: i. "নাভির ভিতর কালো জাতক কেঁদে উঠে।
কর্ণমলের নষ্ট মাঠে বসেছে বোধন; পোকার মতন 
জন্ম নিয়ে ঘুরে যা নৈবেদ্যের থালিতে।"

এখানে "নাভি" শব্দটির জন্মের এক বিশেষ অন্তর্নিহিত ভাবকে তুলে ধরেছে। "কেঁদে ওঠে" অংশটিতেও জীবনের গভীরতর শূন্যতারই প্রকাশ ঘটেছে। তা ছাড়া পুরো কবিতাংশটিও অদ্ভুত ব্যঞ্জনায় মোড়া।
 
ii. এভাবে দিনগুলি চলে যায়  বড় আনমনা হয়ে যাই নিজের ভেতর
অসংখ্য দ্বন্দ্বময় অনুভবে যেন ছড়ানো কাঁকর!
ছোট ছোট ঘা হয়ে যায় পথের ধুলোয়।

 এখানে "দিনগুলি" মানে চলমানতা। কাঁকর জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাত। ঘা সময় ও জীবনের বিচিত্র ক্ষতচিহ্ন। সমগ্র কবিতাটিও বাচ্যার্থ ও লক্ষণার্থকে  ছাড়িয়ে গেছে। 

একটি শব্দ নিয়ে বাচ্যার্থ, লক্ষণার্থ ও ব্যঞ্জনার্থের তুলনা করছি।

i. বাচ্যার্থ :  "বেতের ফলের মতো তার ম্লান চোখ মনে আসে।"
 এখানে চোখ প্রচলিত অর্থই প্রকাশ করছে।
ii. লক্ষণার্থ: মেয়েটিকে চোখে চোখে রাখবে।
চিহ্নিত শব্দদুটি "দেখে" বা "দেখে রাখা"কে বোঝাচ্ছে।
 iii. ব্যঞ্জনার্থ: " তোমার চোখে দেখেছিলেম আমার সর্বনাশ।" এখানে "চোখ" গভীরতর অর্থ প্রকাশ করছে।

শব্দার্থ পরিবর্তনের কারণ:

শব্দার্থ পরিবর্তনের নানা কারণ থাকে।
 যেমন: ১.ভৌগোলিক কারণ ২.ঐতিহাসিক কারণ ৩.মনস্তাত্ত্বিক কারণ ৪.উপকরণগত কারণ ৫.আলংকারিক কারণ ৬.সাদৃশ্যগত কারণ ৭.সামাজিক কারণ
৮.  প্রবাদ প্রবচন জনিত কারণ
৯. একই শব্দের ভিন্নার্থক প্রয়োগজনিত কারণ।

১. ভৌগোলিক কারণ সাধারণত তিন শ্রেণির : 
i. পরিবেশগত কারণ 
ii. ভিন্ন ভাষাগত কারণ ও
 iii.ভিন্ন মানব সম্প্রদায়গত কারণ।
 মনস্তাত্ত্বিক কারণ কয়েক  প্রকারের:
i.  সংস্কার জনিত কারণ।
ii. শোভনতা /নম্রতা / ক্রোধজনিত কারণ। 
iii. শৈথিল্য ও অলসতা জনিত কারণ।
iv.  অজ্ঞতা বা অসতর্কতা জনিত কারণ।
v.  প্রবাদ-প্রবচন ঘঠিত কারণ
 ও 
vi.  একই শব্দের ভিন্নার্থক প্রয়োগ জনিত কারণ।

১. ভৌগোলিক কারণ সাধারণত তিন ধরনের ভৌগলিক কারণে শব্দের অর্থ পরিবর্তিত হয়।
i.  ভিন্ন পরিবেশগত কারণ: ভৌগোলিক পরিবেশ পরিবর্তিত হলে কোনো শব্দের অর্থ পরিবর্তিত হতে পারে। যেমন বাংলার প্রাকৃতিক পরিবেশে অভিমান শব্দটি কিছুটা স্নেহ-মমতা মেশানো অনুযোগ অর্থে  ব্যবহৃত হয়। কিন্তু পশ্চিম ভারতে বিশেষ করে হিন্দিতে অভিমান শব্দটি অহংকার অর্থ প্রকাশ করে।
 "কলু" শব্দটি বাংলাতে একটি বিশেষ জাতি অর্থে ব্যবহৃত।(যারা ঘানি থেকে তেল উৎপাদন করে) কিন্তু উত্তরবঙ্গে, পাঞ্জাব বা বিহারে শব্দটি তৈল পেষণকারী যন্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয় ।

ii. ভিন্ন ভাষাগত কারণ: ভাষার পার্থক্যে শব্দের অর্থ পরিবর্তিত হতে পারে। যেমন:  দরিয়া শব্দটির ফারসি অর্থ নদী। কিন্তু বাংলা অর্থ সমুদ্র। 
মুর্গ শব্দটি বাংলা ভাষায় মোরগ অর্থ প্রকাশ করে কিন্তু ফারসিতে শব্দটি শুধু মোরগ নয়, যেকোনো পাখিকেই বোঝায়।

iii. ভিন্ন মানব সম্প্রদায়গত কারণ:
 বিভিন্ন মানব সম্প্রদায়ের কাছে একই শব্দ ভিন্ন ভিন্ন অর্থ নিয়ে উপস্থিত হয়। যেমন: নীল শব্দটি বাঙালিদের কাছে নীল রং। কিন্তু গুজরাটিরা নীল বলতে সবুজ রংকে বোঝে ।

২. ঐতিহাসিক কারণ ঐতিহাসিক কারণেও শব্দের অর্থ পরিবর্তিত হয়। যেমন আগে বিবাহযোগ্যা মেয়েকে পুরুষেরা হরণ করে বা বহন করে অশ্বপৃষ্ঠে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করত। এই বিশেষরূপে বহন করাকে বিবাহ বলা হত। কিন্তু বর্তমানে শব্দটি পরিণয় সূত্র হিসেবে প্রচলিত।

যজ্ঞের নিয়মে যজ্ঞকর্তা অগ্নিকে সামনে রেখেই যজ্ঞ কর্ম করতেন।  সেই অগ্নিকেই পুরোহিত বলা হত।
 কিন্তু এখন যজ্ঞকর্তা হয়ে যিনি যজ্ঞ করেন সেই ব্রাহ্মণকেই পুরোহিত বলা হয়।

৩.  মনস্তাত্ত্বিক কারণ:
 বিভিন্ন ধরনের মনস্তাত্ত্বিক কারণেও শব্দের অর্থ পরিবর্তিত হতে পারে।
 
i. মানুষের মনের বিভিন্ন সংস্কার শব্দার্থ পরিবর্তনের অন্যতম কারণ।
 যেমন: বাঘকে শেয়াল বলা। বাঘ বললে হয়তো বিপদ হতে পারে তাই শেয়াল নামে ডাকা। সাপকে লতা বলার ক্ষেত্রেও একই সংস্কার কাজ করে।
 বাড়িতে ভাত না থাকলে ভাত বাড়ন্ত বলা হয়।

ii.  শোভনতা/ নম্রতা: বড় মাপের মানুষ বা মহাপুরুষের মৃত্যুকে মৃত্যু না বলে বলা হয় গঙ্গা লাভ, দেহরাখা, পরলোকগমন প্রভৃতি।  
 
    বাড়িতে কাজ করা মেয়েকে ঝি না বলে এখন কাজের মেয়ে বলা হয়।
 সামাজিকভাবে নিম্নশ্রেণির জাতিকে হরিজন' বলা হয়। 

iii. শৈথিল্য বা অলসতা জনিত কারণ:
 অনেক সময় শৈথিল্যের কারণেও শব্দের অর্থ পরিবর্তিত হয়। কোনো কথাকে সংক্ষিপ্ত করতে গিয়ে সাধারণত এই পরিবর্তন ঘটে যায়।
 যেমন: সন্ধ্যার সময় প্রদীপ জ্বালানো বা প্রদীপ দেওয়াকে ছোট করে সন্ধ্যা দেওয়া বলা হয়।
 
 বাড়িতে অতিথি এসেছে জলটল দাও। এখানে টল মানে টিফিন খেতে দেওয়া।

iv.   অসতর্কতা অজ্ঞতা: বাউল শব্দটি একসময় বায়ু রোগগ্রস্ত ব্যক্তিকে বোঝাত। পরবর্তীকালে ঈশ্বর প্রেমে পাগল এই অর্থ প্রকাশ করে। এখন শব্দটি বিশেষ এক ধর্মীয় সম্প্রদায় হিসেবে ব্যবহৃত। 
মহাজন' শব্দটি মহৎ ব্যক্তিকে বোঝাত। এখন সুদখোরকে বোঝায়।
৪. উপকরণগত কারণ: উপকরণগত কারনেও শব্দার্থ পরিবর্তন হতে পারে। 
কোনো উপকরণে তৈরি বস্তুর নাম সাধারণত উপকরণটির সাধারণ গুণাবলী, নাম বা বিশেষ কোনো বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী হয়।
 পরবর্তীকালে বস্তুটির উপকরণ পরিবর্তিত হয়ে গেলেও নামটি থেকে যায়। যেমন: কালো রঙের উপকরণ দিয়ে তৈরি এক প্রকার তরলকেই ( সাধারণত লেখা বা আঁকাতে ব্যবহৃত)  কালি বলা হত । কিন্তু এখন সবুজকালি, নীলকালি প্রভৃতিকেই কালি বলা হয়।

   তুলো দিয়ে তৈরি আঁকার উপকরণকে তুলি বলা হত। কিন্তু এখন নাইলনের তুলি, পশুর লোমের তুলি  প্রভৃতিকেও তুলি বলা হয়।
 
৫. আলংকারিক কারণ:
অলংকার প্রয়োগও শব্দার্থ পরিবর্তনের অন্যতম কারণ। যেমন: সন্ধ্যার সময় ফোটা ফুলকে সন্ধ্যার মনি কল্পনা করে সন্ধ্যামণি বলা হত। কিন্তু এখন এটি সাধারণ একটি ফুলের নাম হিসেবে ব্যবহৃত।

 গুজরাটি হরতাল শব্দটি হাটেতালা অর্থে ব্যবহৃত হলেও এখন যে কোনো বনধ বা ধর্মঘট অর্থে শব্দটি ব্যবহৃত। 

  ৬. সাদৃশ্যজনিত কারণ:
সাদৃশ্য জনিত কারণেও শব্দের অর্থ পরিবর্তিত হতে পারে। এটি বস্তুর সাদৃশ্যেও হতে পারে আবার ধ্বনিগত সাদৃশ্যেও  হতে পারে।
 যেমন: রোদসী শব্দের সঙ্গে ক্রন্দসী শব্দটির ধ্বনিগত কিছুটা মিল থাকায় ক্রন্দসী শব্দটি রবীন্দ্রনাথের হাতে পরিবর্তিত হয়ে অর্থ হয়েছে অন্তরীক্ষ। কিন্তু ক্রন্দসী'র অর্থ প্রকৃতপক্ষে গর্জনকারী প্রতিদ্বন্দ্বী  সৈনদল। রোদসী মানে স্বর্গ ও পৃথিবী।
 
   শরীরের মধ্যে সেরা মাথা ।তাই মাথার বা সেরার সাদৃশ্যে গাঁয়ের মাথা, চোখের মাথা প্রভৃতি ব্যবহৃত হয়।

  বড় বা বৃহৎ অর্থে রাজপথ, রাজঘাট, রামপাঁঠা, রামনবমী প্রভৃতি শব্দ প্রচলিত। 

৭. সামাজিক কারণ:
 সামাজিক রীতিনীতি বা ধ্যান- ধারণার পরিবর্তনও শব্দার্থ পরিবর্তনের জন্য দায়ি। 

উদাহরণ : মন্দির শব্দটি একসময় গৃহ অর্থে ব্যবহৃত হলেও এখন দেবালয়কেই বোঝায়। যদিও এখনও ঐতিহ্যময় বা গৌরবময় কোনো ঘরকে মন্দির বলা হয়।
৮.  প্রবাদ-প্রবচন জনিত কারণ:
 প্রবাদ প্রবচনের ব্যবহারও শব্দের অর্থ পরিবর্তন করতে পারে।
 যেমন: অকালকুষ্মাণ্ড। (অকর্মণ্য ) ডুমুরের ফুল (অদৃশ্য বস্তু )। হাত পাকানো (অভ্যাস করা)।  মাটির মানুষ (সাধারণ ব্যক্তি)।
 
৯. একই শব্দের ভিন্নার্থক প্রয়োগ :
একই শব্দকে ভিন্ন ক্ষেত্রে ভিন্ন অর্থে প্রয়োগ করা যায়। যেমন: হাতটান -  অভাব।
 হাত পাকানো - অভ্যাস করা।
হাত আছে - যোগাযোগ থাকা  হাতছাড়া - বিচ্ছিন্ন হওয়া প্রভৃতি।
 আজ এটুকুই হোক। শব্দার্থ পরিবর্তনের ধারা পরের পর্বের জন্য।

মতামত জানাতে পারেন।
Mail id: ashim.bhunia1982@gmail.com
Whatsaap 7001888143
West Bengal, India
পেজ-এ লাইক দিন👇

Post a Comment

0 Comments