প্রকাশিত হল অরণ্যসভ্যতার বাস্তব দলিল: “অরণ্য সারাণ্ডা – আরণ্যক উপন্যাস ঔপন্যাসিক সমরেশ বসু ও বুদ্ধদেব গুহ”
বইটির বিষয় কি ?
সারাণ্ডা বনভূমির আদিম সভ্যতায় উপন্যাসের চরিত্র ও লেখকেরা যেভাবে প্রভাবিত হয়েছেন তার সংশ্লিষ্ট বর্ণন। সমরেশ বসু বা বুদ্ধদেব গুহ অরণ্যকে যেভাবে আপন করে নিয়েছেন লেখক নরেন হালদার সাহিত্যিকদ্বয়ের সেই অরণ্য-বন্ধনকে সারাণ্ডা অরণ্যে সশরীরে উপস্থিত থেকে চরিত্রের অনুসন্ধান করেছেন – উক্ত বইটি তার জ্বলন্ত প্রমাণ। লায়েক আলি খান বলেন - '‘বইয়ের নামের সাথে লেখকের প্রাণের বন্ধন স্থাপিত হয়েছে সুন্দরভাবে।" অরণ্যে যে কেবল আদিমতা রয়েছে তাইই নয়, রয়েছে সরলতা, রয়েছে ভয়, রয়েছে ভয়ানক সৌন্দর্য। বর্তমান যন্ত্রসভ্যতার মাঝে দাঁড়িয়েও মানুষ ভীষণভাবে অরণ্যকে কাছে পেতে চায়, অরণ্যের আদিমতা ও সরলতায় মিশে যেতে চায়। অধ্যাপক বাণীবাবুর বক্তব্যে উঠে এসেছে মানুষের মনের সেই দিকটি ‘'বর্তমান যন্ত্রসভ্যতার মাঝে দাঁড়িয়েও মানুষের মনের গভীরে স্থানদখল করে রয়েছে অরণ্যের আদিম সভ্যতার বিষয়টি।"
এ বই কেবলমাত্র মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করবে তাই-ই নয় অরণ্যকে নিয়ে ভবিষ্যৎ গবেষকদেরও নথি হয়ে থাকবে, এমন ধারণা শ্রুতিবাবুর। তিনি বলেন – ‘'এ বই গবেষণা ও আলোচনার একটি নতুন দিককে উন্মোচন করেছে।" লেখকের কলমে এ বিষয় নিয়ে আরো বিস্তৃত আলোচনা ও আরো নতুন দিক উঠে আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে রবিবারের অনুষ্ঠানটি জমে উঠেছিল বিকেলের মিঠে রোদ আর অরণ্য-প্রেমের আদিমতায়।
আশা করা যায় জ্বলদর্চি থেকে প্রকাশিত এই বইটি পাঠক সমাদর পাবে।
আরও পড়ুন
0 Comments