জ্বলদর্চি

ভবেশ মাহাতো


ভ বে শ  মা হা তো 


যেভাবে বেঁচে আছি

নতজানু হয়ে শিখর ছুঁয়েছি
পাহাড় কেটে বেঁধেছি ঘর 
অস্ত্র ছেড়ে আমি মন্ত্র রচেছি 
ব্যপ্তং যেন চরাচর। 

জীবনের সাথে আপোষ করেছি
হিসেব মিলিয়েছে ক্ষমা 
শত্রুর সাথে গলাগলি করে
পরেছি মৃত্যুর পাজামা।

জীবন্ত সার্কাস 

ছেলেটি নিত্যদিনই উপোস
মেয়েটারও তাই
মেয়েটি ভিক্ষে মাগে
ছেলেটি খেলা দেখায়।
খেলাটা রোজ জমে না 
টেক্স চাইছে মামা
ছেলেটির পকেট ফুটো
মেয়েটিরও ছেঁড়া জামা
বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা
মাও আছেন অন্ধ
ছেলেটার অভাব বেশি 
মেয়েটিরও পড়া বন্ধ।
ছেলেটি ঝুলছে তারে
মেয়েটি নাচনেবালি
তাছাড়া কীইবা করে
বাড়িতে চারটে পাকস্থলী। 


নিজের মত করে বেঁচে আছি

এভাবে তো বেঁচে থাকে পিঁপড়েরা
এভাবে বাঁচে মশা মাছিও,
যদি শোনো ভালো আছি হাসিখুশি 
তাহলে ভালো নেই বুঝে নিও।

এর চেয়ে ভলোভাবে বাঁচা যায়
ঠিক যেভাবে বেঁচে আছি, 
দূর থেকে যদি সুখী মনে হয়
একদিন জেনে যেও কতটা সুখে আছি!


মিথ্যা বলতে পারি না

তুমি বোধিবৃক্ষ হও
একদিন আমি সিদ্ধার্থ হয়ে যাবো ঠিক,
তুমি যত খুশি গোঁড়া হও
আমি আছি পেট্রিয়োটিক।

তুমি কুহক হও
পসরা সাজাও স্বপনের,
একদিন আমি প্রকাশিব 
যত রহস্য গোপনের।

তুমি বেদুইন হও 
একদিন আমিও হয়ে যাব যাযাবর,
কেউ পাশে থাক বা না থাক
দেরি করেই ফিরি ঘর।

তুমি বাল্মিকী হও
আমি পড়ে নেবো রামায়ণ
তুমি ভুল কর যত খুশি
তোমার জন্য কেবল অনুশাসন ।
 
এখন তো আর তেমন নেই 

এখন তো আর তেমন নেই
আগে যেমন যা যা ছিলো, 
জামার যেমন কলার নেই
স্লেট-খাতা আর পেন্সিলও।

এখন তো আর তেমন নেই 
আগে যা যা যেমন ছিলো, 
মদ-গাঁজা আর গোপন নেই
একটা ভারত দেশ ছিল।

এখন তো আর তেমন নেই 
আগে যেমন যা যা ছিলো, 
মনের গোপন হাসি নেই
বাসতে ভালো মন ছিল। 

এখন তো আর তেমন নেই 
আগে যা যা যেমন ছিলো, 
মানুষ তো আর মানুষ নেই
গল্প করার লোক ছিল।

........

Post a Comment

4 Comments

  1. বাস্তবতা আর পুরাণের মেলবন্ধন। ভালো লাগলো।

    ReplyDelete
  2. বা: বেশ ভালো।
    দ্বিতীয়বার পড়ার সুযোগ পেলাম।

    ReplyDelete