স্ব র্ণে ন্দু সে ন গু প্ত
কখন সন্ধে হবে
বিড়াল এরকম একটি ধারণা
সারাসকাল হয়ে সারাবিকাল
ধারণাটি একই ভাবে ঘুরেফিরে আসে
একটি পায়ের দিকে তাকানোর ইচ্ছে
যেভাবে একটি নখের দিকে
সেই ধারণাটি স্পষ্টতা পাচ্ছে , হেঁটে বেড়াচ্ছে ঘরময়
কখন সন্ধে হবে, সেই সন্তর্পণ
সারাবিকেল হেঁটে বেড়ানোর পদ্ধতি জুড়ে আছে
সারাবিকেলটিকে ছিঁড়ে ফেলবার পদ্ধতি জুড়ে ছিল
লোমশস্বভাব ঘুরে যায়, ঘটনাচক্রের চারপাশে ঘুরে যায় তবু
সন্ধে হবে বলে সেই সন্তর্পণ, সেই অলক্ষ্মণ টিঁকে আছে
বিড়াল এরকম একটি ধারণা, ধারণাটি ঘুরেফিরে আসে ...
স্তব্ধতার বাড়ি
যদি আসার কোনো প্রস্তাব থাকে
আসা থাকে
যাওয়ার নিয়ম থেকে চলে যাওয়া থাকে
একটিই রাস্তা, একটিই অপেক্ষা
সেখানেও থেকে যায়
ঘর নেই, শুধু স্মৃতিটুকু আছে
স্মৃতিকে অন্য করে রাখো
অপর করে রাখো
বাতাসকে যেভাবে রাখো গাছের পাতায়
এই রাস্তা স্তব্ধতার দিকে গেছে
স্তব্ধতার দিকে দেওয়াল উঠেছে
এই তার বাড়ি
স্তব্ধতার বাড়ি দেখা যায়
দর্পণের স্মৃতি
দর্পণের স্মৃতি সূর্যচাদরে ঢেকে যায়
এখানে পুরানো দালানজুড়ে প্রায়শ্চিত্যময় মৃদু হাওয়া
বসেছে একটি কাক আর তার প্রবল তাড়নামাখা ইহুদিপ্রতিমা
উড়ে যায়, উড়ে যাবে, শুক্রবার হলে
দূরের প্রবাস থেকে , ইহুদি পালকে তার আলো এসে পড়ে
কুয়াশাবিছানা ঘিরে, এই তার পিতৃভূমি, শুক্রবারের দেশ
আশ্চর্য প্রজাতি এরা, নাটকের পাঠ চুকে গেলে
হাসিমুখে উড়ে যায়, জান্তব পিতার আদেশে
দুখিয়ার দিকে
বিকেলের গন্ধ
তার সাবানে লেগেছে
শনিবারগুলি কারো একার নয় আর
এইভাবে
দুখিয়ার দিকে, দু’দণ্ড বসে থাকার দিকে
সেও তবে চলে যেতে পারে
বসে থাকা, ঘরের দক্ষিণজুড়ে বসে থাকা
মুহূর্তকে পাশে নিয়ে, যেইভাবে
বসে থাকে অনন্তসময়
তারপরও, শনিবার দিনগুলি
কেউ কেউ নিজের মতো খোঁজে
তারও তো মূহুর্তগুলি আছে
লিরিলের দিনগুলি
বিকেলের গন্ধ নিয়ে
তার পাশে আছে
তবু,
দুখিয়ার দিকে
দু’দণ্ড বসে থাকার দিকে
সেও তবে চলে যেতে পারে
চাঁদের গল্প
চাঁদের গল্প শুনে বেরিয়ে পড়ার আগে,
তার মুখ মনে পড়েছিল
এভাবে একটি তারার রাত্রিগুলি নিভে যায়
পাখির শরীর দেখে হ্রস্যতার কাহিনি মনে আসে
ঘরের চিহ্ন নেই, একটি পাখার নিচে ধরে যাওয়া জীবন যেমন
পায়ের ভিতর থেকে, পাখার ভিতর থেকে, একটি পাখির ছায়া বেরিয়ে এসেছে
রাত্রে ঘুমোতে যাওয়া, সে যাওয়ার শেষ নেই কোনো
শুধু চাঁদের ভিতর থেকে গল্প বেরিয়ে এলে,
জ্যোৎস্নার হাঁসগুলি ভিড় করে পুকুরের ঘাটে ...
------
6 Comments
কবিতাগুলিতে কবির ভাষার নিজস্বতা ফুটে উঠেছে ।ভাল লাগল
ReplyDeleteপড়লাম। ভালো লাগলো।
ReplyDeleteThis comment has been removed by the author.
ReplyDeleteবেশ ভালো।
ReplyDelete'স্তব্ধতার বাড়ি' কবিতাটি বেশ ভালো। 'আসা যাওয়ার' মধ্যে গভীর এক বেদনা খুঁজে পাওয়া যায়।
ReplyDeleteধন্যবাদ সবাইকে। আমার শুভেচ্ছা জানবেন।
ReplyDelete