প্র দী প্ত খা টু য়া
অনিয়ন্ত্রিত বাতাস
অথবা, এ-ও হতে পারে
অলিতে-গলিতে দুদ্দাড় দৌড়ঝাঁপ শেষে
ফাঁকা মাঠে গোল করে এইসব উদ্দাম উনিশ-কুড়ি।
সুখটানে কলেজবিড়ি শুন্যে কুণ্ডলী ওড়ায় ...
ঠুংঠাং শব্দে নাচে খালি বোতলের নিঃস্বন।
অসময়ে, নিঃশব্দে, পাতাবাকল ছেড়েছুড়ে,
বাজি ধরে প্রায়শই উচ্ছল আড্ডাঠেক।
এই-তো একুশ শতক, অত্যাধুনিক।
অনিয়ন্ত্রিত বাতাস কত সতর্কতায় বয়ে বেড়ায়
বিশ্বায়ন তরঙ্গ।
কখনো-বা ছবি, কখনো-বা গান
কখনো-বা প্রেমিকার নগ্ন বাথটব, চলমান ...
আত্মপ্রস্তুতি
আকাশ বিভুঁই। মেষপালকের দল ফিরে গেছে ঘরে।
সমস্ত দিনের ব্যর্থতায় আরো ক্লান্ত চরাচর।
একটা সাদা কাগজে কী-বিচিত্র আঁকিবুকি
কী-প্রচণ্ড পরিশ্রম
নিঃশ্বাসের আয়তন বাড়তে থাকে ক্রমশঃ
অনাহারে একযুগ কাটানোর পর
মেষপালকের ঘুম ভাঙে। বল্মীকের স্তুপ ভাাঙে না।
সিতরাং সিদ্ধিলাভ হলনা এ-জীবনে ...
তুমি হাসো
তুমি হাসো।
তোমাকে হাসতে দেখলে নামতে থাকে
বাজারসুচক। ধমনীপথে রক্ত দ্রুত সঞ্চালিত হয়
হৃদযন্ত্রে। মস্তিষ্কের কোষগুলি নীরবে নিভৃতে
কাজ করে চলে নিরন্তর। মুহুর্তের জন্যও
থেমে থাকেনা দৈনন্দিনের ফিরিস্তি।
তুমি হাসো।
তোমাকে হাসতে দেখলে গণতন্ত্র চেয়ার ছেড়ে
নেমে আসে ময়দানে। সাপ এবং বেজির অসম লড়াই-
সে হিংসা বা প্রতিহিংসা যাই হোক,
পাশে দাঁড়িয়ে থেকে তদারকি করে
শেষ কথা বলা মানুষই ...
এই অন্ধজন্ম
বাতাসে বাতাস উড়ছে। হাওয়াতে ধুলো।
আলোখুপী জ্বলে ওঠে ঝোড়োরাতে
ঘুটঘুটে অন্ধকার, ভারী সুন্দর।
পাতাকথা ওড়ে। ওড়ে কাগজের টুকরো।
এক-একটি বৃষ্টি দিন। এক-একটি বৃষ্টির রাত।
তোমাদের পাঠানো শুভেচ্ছাখাম
বাতাসে বাতাস উড়ছে। হাওয়াতে ধুলো।
এখানে রেশনে লাইন। দলছুট পরিযায়ী ডানা।
কথা দিকে কে আর কথা রাখে আজ!
দরজার কথা, দরজা খোলার কথা
কখন কোথায় -- কিচ্ছু ঠিক নেই।
শুধু মনে পড়ে, পাতাছায়ার ফাঁক দিয়ে
উঁকি দেওয়া তোমার দৃষ্টিভাষণ, অথবা--
ডালপালাহীন রোদ্দুরময় এই অন্ধজন্ম ।
অন্ধকার হলে
চারদিক অন্ধকার হলে
ঘন তমসার ভেতর দিয়ে হেঁটে যাই নির্দ্বিধায়।
সহস্র বছরের পুরণো হলেও
পদার্থ তেজস্ক্রিয়তায় আজও সমুজ্জ্বল।
সাড়া পাই। কুটকাচালি, কলরব।
আন্দোলনেও কম্পন কতখানি তীব্রতা পেয়ে যায়!
একদিন উৎপাটিত হতেই হবে। হতেই হবে।
নৈঃশব্দের নির্জনতায় গান যে কত বেদনাবহ
কত স্মৃতিকাতর হতে পারে
তুমিও ঠিক বুঝে যাবে
তোমার যে-কোনও আগামী মৃত্যুর পর...
----
1 Comments
বাহ, ভালো লাগলো
ReplyDelete