জ্বলদর্চি

গৌতম বাড়ই


গৌ ত ম  বা ড় ই


ঈশ্বর ও ভালোবাসা

পলাশ টগর বিছায় ঘুম
মাদারগাছ প্রকাণ্ড অধিকার বাস্তুর
টুকরো টুকরো মেঘ আর কাঁচ টুকরো আলো
বাতিঘরে আলাদীন হাসি
আকাশের হাতি শুঁড়ে গজাননে আলাদীন
মহাসাগর স্থির উপসাগরের লোনা হাওয়া
আমাদের কিছু কর্তব্য ছিল
এক-আমাদের মানুষ জন্ম।
দুই- আমাদের বড় হয়ে ওঠা এ পৃথিবীতে।
তাই  এখানে প্রতিটি মানুষ একবার করে 
ঈশ্বর হয়ে ওঠেন এ সোলার সিস্টেমে।

আর আমরা ঈশ্বরকে প্রতিরাতে একটু একটু করে মেরে আমাদের মানুষ জন্ম হারাই।ভয় পেয়োনা আমি তোমায় ছলচাতুরিতে আ‌‌জীবন ভালোবেসে যাবো।
দুই পারেতেই আমার দেশ

ছোটো বেলায় মনে হতো ডিঙিয়ে পাঁচিল মাঠঘাট,তারপর একটা আরও পাঁচিল
তারপরেতে কয়েকটা পাঁচিল এভাবেই,
ডিঙিয়ে ডিঙিয়ে মাঠঘাট গুটি কয়েক, তারপরেতে
একটি আরো দেশ----

উজানেতে যে গড়াই,ভাটিতে সেই মধুমতী
মা বলতো বাবা বলতো
দু'চোখ বেয়ে জল গড়াতো
ছোট্টো ছেলে অবাক হতো
যে ছেলেটি বুঝতোই না
কোথায় ফরিদপুর!
 মন উড়ানের পুর মাদারী বা  গোপালপুর।
রিক্সা তুমি যাবে?
গড়াই নদীর মস্তপারে আমার চৌদ্দোদাদার বাস।
জোনাই চোরের সত্যিকথা মায়ের মুখে শোলে।
রূপেদের ভিটে  ওলাওঠায় মৃত মানুষ স্তূপ। দিনদুপুরে ওদিকটা এখনও নিশ্চূপ।
কষ্ট ভীষণ কষ্ট!
বাবা বুক বোলাতো খালি।
সেই স্রোতটা আমার বুকেও,দেশ দেখিনি খালি।
এক বংশের এক নাগরিক একদেশেতে বাঁচে।
এক নাগরিক ভোজবাজীতে অন্যদেশে মরে।
ভোজবাজীটা কি?
ঐ বাজীটা রপ্ত হলে,খর্ব মানুষ বেজায় উচ্চতায়।
আমার ব্যথার ঢাকতো বাজেই
মুছে যাবে আর ঢেকে যাবে এই পুরুষটা গেলে।
উজানে যে গড়াই নদী,ভাটিতে মধুমতী।
চোদ্দো পুরুষ শেকড় বাকড় উপড়ে দিয়ে
শেষটা বেজায় এক  দেশপ্রেমের
কথাকলি শিখে ফেললে!

ও খোকা তুই আমার সাথে রিক্সা করে চল।
গড়াই পারে চলি।সেখানে আছে তোর ঠাকুর্দা গঙ্গাধর আর তোর পড়শী মকবুল আলী।


এসো মুণ্ডু চিবোই

জন্মান্তরে কৃষিদেশ আসে
হরপ্পা মহেঞ্জোদারোর হামামে ভেষজ সাবান
দিলখুশ ঘ্রাণপোকা নড়েচড়ে ছড়ায়
তামাম কাম 
সুন্দরীর উপোসী শরীরে
যেখানে হামাম সেখানে ভোগের রসোদ্গার
সারাদিন ক্ষয়ে শেষে সূর্য রক্তে নীল হয়ে যায়
সিন্ধু সভ্যতায় বিকিরণ উল্লাস সময়

জন্মান্তরে শিল্পদেশ আসে
দাসের বলদ টেনে জল বাষ্পীভূত হয়
মানুষ ধর্মের গরল মানুষ এক হিংস্র জন্তু
এত অভিনয় এত ভালথাকা মানুষের ঐ মাথায়
এখন রাতবিরেতে মানুষের মাথা চিবিয়ে খাই
কচমচ করে জন্তুর মত খাই থু থু ফেলি
ওয়াক ওয়াক যত ক্ষমতার নষ্ট ঘিলু

ভালবাসা বলে যে প্রদীপ জ্বলে সেটা অবোধ শেখানো লৌকিকতা।আর ক্যামোফ্লেজে ঢাকা থাকে নিপাতনে সন্ধির পরম জম্পেশ আত্মীয়তা।আমি এখন প্রতি রাতে নষ্ট ক্ষমতার মাথা খাই ওয়াক থু!


হাল বেহালের বাপান্ত

মারীচপুকুর তোলা থাক শুভ সজ্জায়
একদিন সে চাঁদ হতে পারিনি
অথচ চাঁদ বগলে পেয়ে গেল কত বার্তা
ঘর্মসেনের আয়ুশসোনা সব লোহাজালে বিদ্ধ
এখন লোহার হাতলে ছিটকিনি লাগায়
ছিটকিনি তে লাগায় চোরালেন্স
আম মনুদের কিছু ব্যাক্তিগত পারেনা থাকতে ওটা কিছু ব্যাক্তি কুক্ষি  ইস্পেশাল
দিন তো নয় ভয়ংকর কিছু ভঙ্গ
ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে রণভঙ্গ  চাদ্দেয়ালে রই
এত ক্যামেরা হাতে হাতে চোখগুলো সব কৈ
হিম ঝড়ে পড়লেই ভয় হিমায়িত হয়
কাঁটা চামচ দিয়ে হিম তুলে এনে নখের টোকায়
দুব্বেলা জঞ্জাল একটু উষ্ণ হতে শেখ

রোদ্দুরে হাত ধুয়ে যখন দাঁড়াবি ছিটকিনি তুলে
পৃথিবীর দুধ নিতম্ব শুকিয়ে নিঃস্ব রজকিনী

গুহাচিত্র

এখানে কথা শাদা
ওখানে পাল তোলে একগুচ্ছ অমর প্রেম
নীলজল নাকি যুদ্ধ?
একবুক হাঁটি হাঁটি পা
তরঙ্গ সীমায় তুমি মধুর বীণা
সব কিছু ছেড়ে চলে যেতে পারি
এক কামায়ন কসম জানো প্রিয়া--
ডুগডুগিকে বাজলে
মাউথঅর্গানের ওষ্ঠে একটু ফোর-প্লে
বসন্তসেনার বুকের বসন ওড়ে

এসো আমরা কোণার্ক খাজুরাহো কিংবা
অজন্তা ইলোরা গুহাচিত্র হই।

------

Post a Comment

0 Comments