জ য় দে ব মা ই তি
শর্ত
অঙ্কুরিত হবে বলে, বারবার ছুটে যাই
তোমার কাছে।
নিরুত্তাপহীন আনমনা মেঘ-
বারবার ব্যর্থ হয় লীন তাপের অভাবে-
বৃষ্টিহীন শুষ্কতা - তখনও কুরকুরে খায়
আমার জীবন যৌবনের যাবতীয় রস।
তবুও, আশায় বুক বাঁধি,কবে তুমি
অঝোর ভাবে ঝরবে
শব্দ ক্যানভাস
আমার দোষগুণ, তাল লয়
বিচার করতে গিয়ে ক্রমান্বয়ে তুমি যে
অশান্ত হয়ে উঠছে, মুখ দেখে তা আমি বুঝি।
আর তাইতো 'আমার' ভালো মন্দের
কত ছবি এঁকে চল নিজের অজান্তে।
ঝড়ের আগমনে আমিও ঘর গোছাতে ব্যস্ত হই।
প্রতিরোধ! না ঝড়ে উড়ে যাওয়া?
ভাবতে ভাবতে বারবার সামলাই- নিজেকে।
পক্ষান্তরের ছবিও আমি আঁকি, নিজের মতো।
কেন মনে হয় -
ক্যানভাসটা এক হওয়ার চেষ্টা করে,
ছবিটা কখনোই এক হয় না
না রাখা কথা
তোমাকে ডেকে দেব বলে
কথা দিয়েছিলাম- প্রতিদিনের মতো।
ডাকা আর হয়নি --
কথাও রাখা হয়নি--দিনের পর দিন।
আসলে, আমাকে ডাকবে বলে-
আমার ঘুম ভাঙাবে বলে-
যে কথা দিয়েছিল--
সে-ও কথা না রেখে
ঘুমিয়ে পড়েছে কখন।
পথহীন
নিজেকে অপরাজেয় ভেবে,
একের পর এক
খারাপ কাজ করে চলি
নিজের উত্তরণের পথ ভেবে,
একের পর এক
সিঁড়ির ধাপ ভাঙতে থাকি -- নির্বিচারে
শেষ ধাপে পৌঁছানোর আগে
মনে হয়, এবার থামতে হবে-
পালানোর আর কোন পথ নেই
রোদ্দুরের রং
বিকেল এখন। কত সকাল-দুপুর
পেরিয়ে, হেঁটে এসেছি অনেক পথ
- রোদ্দুরের খোঁজে।
সঙ্গী হতে চেয়ে পিছু নিয়েছ তুমি।
সময় পেরিয়ে ক্লান্ত হই দুজনে।
হন্যে হয়ে তবু ছুটি-
শুধু, 'রোদ্দুর' ভালোবেসে।
অতীত ফিরে দেখি---
দুজনের ছবি এক করে
এঁকে ফেলি, রোদ্দুরের অবয়ব।
একদিন ফিকে হয় রঙ। ভাবনা ছবি হয়।
আর, 'তুমি' হারাও আমার চোখে -
আগের মতোই
------
0 Comments