জ্বলদর্চি

মেদিনীপুরের সিনেমা প্রসঙ্গ/ সিদ্ধার্থ সাঁতরা


সি দ্ধা র্থ  সাঁ ত রা


মেদিনীপুরের সিনেমা প্রসঙ্গ

এই শহরে মানুষের হলে বসে সিনেমা দেখার সুযোগ তৈরি হয় ১৯৪৬ সাল নাগাদ। তৎকালীন জেলাশাসক বিনয়রঞ্জন সেন (আই.সি.এস.) মহাশয়ের উদ্যোগে মেদিনীপুরের প্রথম সিনেমা হল অরোরা সিনেমা স্থাপিত হওয়ার ফলে। শোনা কথা, তারও আগে বিদ্যাসাগর ব্যাঙ্কের অলিগঞ্জে থাকা খালি জায়গায় তাবু খাঁটিয়ে মাঝে মাঝে সিনেমা দেখানো হতো। কথিত আছে কলকাতার দেবী ঘোষ ঐ সময় গ্রামোফোন আর বায়োস্কোপ মেশিন নিয়ে মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, হাওড়া, বর্ধমান সহ পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় ছবি দেখিয়ে ঘুরতেন। তখন স্বাধীনতা আন্দোলনে উত্তাল দেশ। শাসক-শ্রেণীর উদ্যোগে মেদিনীপুরের জেলাশাসক বিনয়রঞ্জন সেন যোগাযোগ করলেন অরোরা সিনেমা কোম্পানীর অনাদি বসু, বিজয় বসু (৪৭, কাশি মিত্র ঘাট রোড, কলকাতা) প্রমুখের সঙ্গে। শহরের কেন্দ্রস্থলে ১৯৩৮ সালে লীজে জমির ব্যবস্থা করে রাজি করালেন সিনেমা হল স্থাপনের। যাই হোক অরোরা সিনেমা স্থাপনের (১৯৪৬) মধ্য দিয়ে শুরু হলো মেদিনীপুরের মানুষের হলকেন্দ্রিক সিনেমা দেখার যাত্রাপথ। মূলত কলকাতায় তৈরি সিনেমাই দেখানো হতো। ঐ সময়ের উল্লেখযোগ্য ছবিগুলি হলো দুই পুরুষ, মানে না মানা, কলঙ্কিনী, বন্দিতা ইত্যাদি।
    এর অল্প কিছুদিন পরে সিনেমা শিল্পের জাঁক-জমকের দ্বারা আকৃষ্ট হয়ে মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা হরিচরণ সাউ শহরের বল্লভপুরে প্রতিষ্ঠা করেন হরি সিনেমার। ফেব্রুয়ারি মাসের চার তারিখ ১৯৪৭ সালে কৃষ্ণলীলা ছবি দিয়ে শুরু হয় হরি সিনেমার পথ চলা। হরি সিনেমায় চলা ঐ সময়ের উল্লেখযোগ্য ছবিগুলি হলো চন্দ্রলেখা (হিন্দি) যা প্রায় ৬ মাস একটানা চলেছিল। নাগিন ছবিটি ৪/৫ মাস চলেছিল এবং আনারকলি ছবিটিও চার মাস চলেছিল। অরোরা ও হরি এই দুটি সিনেমা হলের মধ্যে অরোরা সিনেমায় মূলত বাংলা ছবি দেখানো হতো আর হরি সিনেমায় হিন্দি ছবিই সাধারণত দেখানো হতো।
    এই ঘটনাগুলি ঘটে যাওয়ার অর্থাৎ অল্প ব্যবধানে দুটি সিনেমা হল এই শহরে খুলে যাওয়ার বেশ কয়েক বছর পর ৫ আগস্ট ১৯৬৩ সালে সেসময়ের জেলাশাসক শিবপ্রসাদ সমাদ্দারের বাংলোতে সের্গেই আইজেনস্টাইনের ব্যাটলশীপ পটেমকিন ছবি দেখিয়ে পথ চলা শুরু হলো মেদিনীপুর ফিল্ম সোসাইটির। শুরু হলো সংগঠিত সিনেমা দেখার এগিয়ে চলা। ভালো ছবি এবং দেশ-বিদেশের সর্বোৎকৃষ্ট ছবিগুলি দেখার প্রবল ইচ্ছে ও চলচ্চিত্র বুঝবার যে আন্দোলন তাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে এই শহরের কিছু মানুষের উদ্যোগে তৈরি হলো ফিল্ম সোসাইটি। উদ্যোগীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন অধ্যাপক অনিমেষকান্তি পাল, সৌরিন রায়, সুরঞ্জন ব্যানার্জ্জী, অনিলবন্ধু দাস, শ্যামলেন্দু মাইতি, বারীন হালদার, মানববন্ধু গোস্বামী প্রমুখ। দীর্ঘপথ চলার পর আজ শহরের কেন্দ্রস্থল রবীন্দ্রনগরে সোসাইটির নিজস্ব হল, প্রোজেক্টার, ফিল্ম লাইব্রেরি, চলচ্চিত্র বিষয়ক বই-এর লাইব্রেরি, চলচ্চিত্র বার্তা ফুটেজ এবং প্রতিবিম্ব পত্রিকা, সিনেমার শিল্পরূপ বইটি প্রকাশ, চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন সহ নানাবিধ কর্মকাণ্ড নিয়ে বিস্তৃত ব্যাপ্তির সাংস্কৃতিক কর্মসূচী পালনের মাধ্যমে মেদিনীপুর ফিল্ম সোসাইটি আজ অধ্যাপক শিবাংশু বসু, সত্যজ্যোতি অধিকারি, দেবকুমার পাল, পরাগ দত্ত, তপন পাল, ডাঃ বি.বি. মন্ডলদের সুযোগ্য নেতৃত্বে এক শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর শহরের রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয়ে অধ্যক্ষা ড.জয়শ্রী লাহা ও অধ্যাপিকা রূপা দাসগুপ্তার উদ্যোগে শহরের দ্বিতীয় ফিল্ম সোসাইটি চিত্রাঞ্জলি ক্যাম্পাস ফিল্ম সোসাইটি মহিলা কলেজে স্থাপিত হয়ে ছাত্রী ও কলেজ কমিউনিটির চলচ্চিত্র চর্চ্চার কেন্দ্র হিসেবে পথ চলা শুরু করেছে। শুরুর দিনে পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায়ের টুসকি ছবিটি কলেজের হলে ছাত্রীদের দেখানো হয় এবং এই উপলক্ষ্যে ঐদিন অভিনেত্রী কাঞ্চনা মৈত্র ও পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায় কলেজে উপস্থিত ছিলেন।
    ১৯৬৭ সালে মেদিনীপুর ফিল্ম সোসাইটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অনিলবন্ধু দাস বিধাননগরে মহুয়া সিনেমা হলটি তৈরি শুরু করেন। পরে বাঁকুড়ার কালিপদ দত্তকে হলটি বিক্রি করে দেন। কালিপদ দত্ত নির্মিয়মান হলটি কেনার পর তার নির্মাণ সম্পূর্ণ করেন। ১৯৬৯ সালের ৭ ডিসেম্বর মহাতীর্থ কালিঘাট ছবি দেখিয়ে মহুয়া সিনেমার যাত্রা শুরু। পরের দিন অর্থাৎ ৮ ডিসেম্বর ১৯৬৯ ছিল বাংলা বনধ্ তাই শো-বন্ধ। তার পরের দিন ৯ ডিসেম্বর ১৯৬৯ ‘সাগিনা মাহাত’ ছবি দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে মহুয়া সিনেমার পথ চলা শুরু হলো। তখন মেদিনীপুর-খড়গপুর শহর মিলিয়ে যে সাতটি সিনেমা হল ছিল তার মধ্যে মহুয়া সিনেমাই ছিল সর্বসেরা। কালে কালে সিনেমার নানাবিধ সম্প্রসারণ হয় বিশেষত ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে টিভি, ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোনে আজকের মানুষ তার একান্ত ব্যক্তি পরিসরে সিনেমা দেখায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। একদিকে দ্রুতগতির জীবন আর একদিকে নিজের ইচ্ছে মতন সময় ও পছন্দের সঙ্গে মিলিয়ে সিনেমা দেখার সুযোগের কারণে মেদিনীপুরের মতো মফসসল শহরের সিনেমা হলগুলির নাভিশ্বাস উঠে গেল। অরোরা ও মহুয়া সিনেমা হল দুটি ২০০৮ সাল নাগাদ বন্ধ হয়ে বিক্রি হয়ে গেল আর এখন তো ঐ দুটি হলের কোনও চিহ্নই নেই। হরি সিনেমাও মালিকের হাত থেকে সিনেমা পরিবেষক নওল কিশোর থারাডের হাতে চলে যায় ১৯৯৫ সালে। এখন হরি সিনেমার অবস্থাও ভালো নয়।
    এ তো গেল সিনেমা হল, ফিল্ম সোসাইটি ও দর্শকের কথা কিন্তু মেদিনীপুর শহর সমানভাবে উল্লেখযোগ্য সিনেমা নির্মাতাদের কাছেও। এই শহরে এসেছেন সত্যজিৎ রায়। ১৯৭২ সালে তিনি অশনি সংকেত ছবির লোকেশন খুঁজতে খুঁজতে এই শহরে এসে এক রাত কাটিয়ে গেছেন এখানেই। ১৯৭৩ সালে মৃণাল সেন তাঁর কোরাস ছবির শুটিং করেন নিমপুরা সংলগ্ন এক গ্রামে। ঐ সময় তিনি বেশ কয়েকদিন মেদিনীপুরে ছিলেন এবং একটি সন্ধ্যা তিনি মেদিনীপুর ফিল্ম সোসাইটির সদস্যদের সঙ্গে চলচ্চিত্র আলাপচারিতায় কাটান। বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত বেশ কয়েকবার নানা কারণে এই শহরে এসেছেন এবং মেদিনীপুর ফিল্ম সোসাইটির সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন। পরিচালক সৈকত ভট্টাচার্য মেদিনীপুর শহরে প্রায় একমাস থেকে সংলগ্ন গ্রামে তার ‘দুলিয়া’ ছবির শুটিং করেছিলেন এবং ঐ ছবির প্রোডাকসন ম্যানেজারের দায়িত্ব সামলেছিল মেদিনীপুর ফিল্ম সোসাইটি। পরিচালক ঈশ্বর চক্রবর্তী বহুবার এই শহরে এসেছেন, থেকেছেন, ছবির শুটিং করেছেন এবং আলোচনা ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন। শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়, ধীমান দাশগুপ্ত, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় এর মতো নামী চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞরা বহুবার এখানে এসেছেন, থেকেছেন ও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছেন। এই প্রসঙ্গে একটি ঘটনার কথা না লিখলে লেখায় অপূর্ণ থেকে যাবে, তা হলো মেদিনীপুর শহরে 'বসন্ত বিলাপ' ছবির শুটিং-এর কথা। সেটা ছিল ১৯৭২ সাল, একদিন শুনি খুব হৈ চৈ, কোতবাজারে মিনু সাহার বাড়িতে নাকি অপর্ণা সেন, রবি ঘোষ, অনুপ কুমারদের দেখা গেছে এবং ওনার বাড়িতে নাকি সিনেমার শুটিং হবে। শহরের বহু মানুষের কাজ-কর্ম, পড়াশোনা লাটে উঠলো। সিনেমার নায়ক-নায়িকাদের চোখের সামনে দেখা যাবে তখনকার পরিস্থিতিতে যা অবিশ্বাস্য। যার সঙ্গে দেখা হয় একই প্রসঙ্গ তার মুখে --এই তো স্টেশনে অপর্ণা সেনেদের দেখে এলাম, আবার কেউ বলে স্টেশনের সামনে গীর্জার পাশের রাস্তায় সৌমিত্র, রবি ঘোষ, অপর্ণা সেন, সুমিত্রা মুখার্জ্জীদের দেখা গেছে। জলট্যাঙ্কের কাছে ডাক-বাংলোর সামনে ভিড়ে ভিড়াক্কার। অতি সাধারণ ঐ ডাকবাংলোতে অপর্ণা সেন, সুমিত্রা মুখার্জ্জীদের থাকার ব্যবস্থা। একটু চোখে দেখার জন্য ওখানে এত ভিড় যে ওপাশে যাওয়াই যাচ্ছিল না। কয়েকটা দিন মেদিনীপুর শহর মেতে রইল বসন্ত বিলাপ আর তার শুটিং-এর গল্পে। মেদিনীপুরের কয়েকজন মানুষ যেমন অসিত (মিনু) সাহা, দুলু মাইতি, সুনীল রায়েদের মেদিনীপুরের মানুষ বেশ কিছুদিন সম্ভ্রমের চোখে দেখলো দীনেন গুপ্ত, সৌমিত্র চ্যাটার্জ্জীদের কাছের মানুষ হয়ে ওঠার জন্য। এ তো গেল শহরের বাইরের মানুষদের সিনেমা বিষয়ক কথা কিন্তু শহরের খ্যাতনামা ব্যবসায়ী জ্যাক পল এন্ড সন্সের কর্ণধার ও ফিল্ম সোসাইটির সদস্য উদয়রঞ্জন পালের সিনেমা তৈরির কথাও এই প্রসঙ্গে বলে নিই। আশির দশকের শুরুতে তখনকার একটি রূপকথা নির্ভর হিট ছবি ‘অরুন বরুন কিরনমালা’ প্রযোজনা করেন উদয় পাল। ছবিটির পরিচালক ছিলেন বরুণ কাবাসী। ছবিতে অভিনয় করেছিলেন দিলীপ রায়, ছায়া দেবী, সত্য বন্দ্যোপাধ্যায়, জ্ঞানেশ মুখার্জ্জী, আলপনা গোস্বামী, ঝুমুর গাঙ্গুলী ও তিন শিশু শিল্পী, পার্থ, সুপ্রতিম ও মুন্না। আশির দশকের শেষের দিকে শ্রী পাল অমরজ্যোতি নামে আরেকটি ছবি প্রযোজনা করেন। এই ছবিরও পরিচালক ছিলেন বরুণ কাবাসী। ছবিতে অভিনয় করেছিলেন শ্রীলা মজুমদার এবং সুরকার ছিলেন কল্যাণ সেন বরাট। উদয়বাবু নব্বইয়ের দশকে একটি টেলিফিল্মও প্রযোজনা করেছিলেন। ঐ সময় অর্থাৎ আশি ও নব্বইয়ের দশকে মেদিনীপুরের মতো মফসসল শহরে থেকে বাণিজ্যিক ছবি প্রযোজনা করার ভাবনা যথেষ্ট আধুনিক ও সাহসী ভাবনা ছিল।
    এবার আসি আরেকটি প্রসঙ্গে, তা হলো সম্প্রতি বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রথম চলচ্চিত্র পঠনের লক্ষ্যে সেন্টার ফর কন্টিনিউং এন্ড এডাল্ট এডুকেশনের অধীনে ‘ফিল্ম স্টাডিজ, ফিল্ম অ্যাপ্রিসিয়েশন এন্ড ভিডিওগ্রাফি’ নামে ছ’মাসের ডিপ্লোমা কোর্সে এবছর থেকে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি নেওয়া শুরু করেছেন। ঐ কোর্সে বিদেশী ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি নেওয়ার সংস্থানও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রেখেছেন। এর আগে কল্যাণী ফাউন্ডেশন নামে একটি বেসরকারী সংস্থা বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মাস কম এন্ড ভিডিওগ্রাফি নামে একটি সার্টিফিকেট কোর্স চালাত। ঐ সংস্থাটি বেশ কয়েক বছর আগে উঠে গেছে এবং তাদের কোর্সটি ঠিক ফিল্ম স্টাডিজের কোর্স ছিল না। এই প্রথম মেদিনীপুর শহরে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে কম খরচে চলচ্চিত্র বিষয়ক পঠন-পাঠনের লক্ষ্যে ঠিকঠাক কোর্স চালু হলো।
    পরিশেষে একদিন যা ছিল অসম্ভব, অবিশ্বাস্য তা আজকের তরুণ প্রজন্মের কাছে সহজ এবং বাস্তব। সুমন্ত সাহা, পার্থসারথী শ্যাম, নিসর্গ নির্যাস মাহাত, প্রান্তিক পাল, দেবনাথ মাইতি, নিখিলেশ দিন্দা, মৃণাল মাহাত, অভিনন্দন মুখোপাধ্যায় প্রমুখদের তৈরি ছবি দেখতে দেখতে মন ভরে ওঠে, কত সহজ, কত সাবলীল। মেদিনীপুরে বসে নিজেরাই ছবি তৈরি করে দর্শকের চোখের সামনে হাজির করে দিচ্ছেন নানা ভাবনার ভাললাগা। নাইবা থাকলো আধুনিক এবং পর্যাপ্ত সিনেমা হল কিন্তু একদিকে টিমটিম করে চলা হরি সিনেমা-সহ মেদিনীপুর ফিল্ম সোসাইটি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম স্টাডিজের ডিপ্লোমা কোর্স অন্যদিকে একদল উৎসাহী তরুণ প্রজন্মের সিনেমা পাগল মানুষের অংশগ্রহণে সিনেমা দেখা, সিনেমা তৈরি, সেমিনার, চলচ্চিত্র উৎসব সহ চলচ্চিত্র চর্চার আবহে মেদিনীপুরের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল আজ যথেষ্ট পরিমাণে সিনেমায় সম্পৃক্ত। একই সঙ্গে বিনোদন ও নির্ভেজাল শিল্পের আমেজ নিয়ে সিনেমা আজও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক প্রসঙ্গ হয়ে আছে মেদিনীপুর শহরে।  

-------

Post a Comment

0 Comments