জ্বলদর্চি

ইয়ারা / রাকেশ সিংহদেব



'ইয়ারা' - দেশী লেবেলে বিদেশী মদ
পরিচালক - তিমাংশু ধুলিয়া
অভিনয় - বিদ্যুৎ জামওয়াল, অমিত সাদ, বিজয় ভার্মা, কেনি বসুমাতারি, শ্রুতি হাসান, সুধীর মিশ্র। 


মানুষের জীবন আসলে এক কর্মচক্র। পাপ, পুণ্য, প্রেম, বন্ধুত্ব, লোভ, ক্ষোভ  সমস্ত কিছুই প্রতিনিয়ত চক্রাকারে আবর্তিত হয়ে চলে মানব জীবন জুড়ে। জাগতিক চাওয়া-পাওয়ার বৃত্ত সম্পূর্ণ হলে ঘটে ইহ জীবনের স্বর্গবাস নাকি পরিসমাপ্তি? 
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ZEE 5 এ ৩০ জুলাই মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা 'ইয়ারা' এরকমই এক আবর্তের গল্প বলে, যার কেন্দ্রে রয়েছে বন্ধুত্ব। চার অভিন্ন হৃদয় বন্ধু এবং তাদের জীবনের নানা ওঠাপড়ার কাহিনী। 
বিভিন্ন সামাজিক স্তর থেকে উঠে আসা চার কিশোর ফাগুন (বিদ্যুৎ জামওয়াল), মিতবা (অমিত সাদ), রিজওয়ান ( বিজয় ভার্মা), বাহাদুর (কেনি বসুমাতারি) ভাগ্যের ফেরে মিলিত হয় ইন্দো নেপাল সীমান্তের এক স্মাগলারের ডেরায়। সেখান থেকে অপরাধ জগতে হাতেখড়ি এবং চারবন্ধুর 'চাকৌরি গ্যাং' এর দ্রুত এগিয়ে চলা অন্ধকার জগতের কানাগলিতে। একসময় অতীত জীবন পেছনে ফেলে জেলফেরত তিনবন্ধু ফিরে আসে স্বাভাবিক জীবনে। হারিয়ে যায় মিতবা। কুড়ি বছর পর হঠাৎ সে ফিরে আসে। তিন বন্ধুর স্বাভাবিক জীবনে শুরু হয় দোলাচাল। তারা আবার কি ফিরে যাবে অন্ধকার জগতে? নাকি মিতবার এই ফিরে আসার পেছনে রয়েছে অন্য রহস্য?
পরিচালক তিমাংশু ধুলিয়া ফরাসি মুভি 'এ গ্যাং স্টোরি (২০১১)' থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে যে দেশি ভাবধারায় ছবির  চিত্রনাট্য লিখেছেন তার প্রথমার্ধ জমজমাট হলেও দ্বিতীয়ার্ধে ঘটনার ঘনঘটায় ছবির গতি কমে গিয়েছে। প্রত্যেকের অভিনয় চরিত্র অনুযায়ী যথাযথ তবে আলাদাভাবে নজর কাড়েন অমিত সাদ। শ্রুতি হাসানের অভিনিত চরিত্রটি নিয়ে বিশেষ কিছু বলার নেই। প্রেম, দুঃখ, অভিমান, ভয় সব বিষয়েই শ্রুতি হাসানের ফেসিয়াল এক্সপ্রেশন প্রায় একই রকম। সুধীর মিশ্রের চরিত্রটি বেশ ছোট। ছবির সময়কাল পঞ্চাশ থেকে নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত, এই সময়কে ধরে রেখে এই ছবির কস্টিউম এবং প্রোডাকশন ডিজাইন আলাদাভাবে নজর কাড়ে। সঙ্গীত আহমরি কিছু না হলেও আবহ সঙ্গীত যথাযথ। হাতে দুই ঘন্টার সময় নিয়ে 'ফ্রেন্ডশিপ ডে' তে মুক্তিপ্রাপ্ত এই বন্ধুত্বের আমেজ একবার উপভোগ করতেই পারেন। 

রেটিং : 3/5

5 অসাধারণ 
4 বেশ ভালো 
3 ভালো 
2 দেখতে পারেন
1 না দেখলেও চলবে


Post a Comment

3 Comments

  1. ধন্যবাদ তাপস দা

    ReplyDelete
  2. চন্দন মাইতিAugust 1, 2020 at 10:51 AM

    দারুণ রাকেশ দা।

    ReplyDelete