জ্বলদর্চি

ভগৎ সিং : আস্তিক থেকে নাস্তিকতায় উত্তরণ

ভগৎ সিং : আস্তিক থেকে নাস্তিকতায় উত্তরণ


সূ র্য কা ন্ত  মা হা তো

স্বাধীনতা সংগ্রামী,বীর বিপ্লবী, শহীদ ভগৎ সিং ভারতীয় জনগনের হৃদয় মন্দিরে অনন্য সাধারণ জায়গা করে নিয়েছেন। তাঁর ব্রিটিশ বিরোধী কঠিন মন ও সংগ্রামী জীবনের কথা প্রতিটি ভারতবাসী শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন, এবং গর্বিত কণ্ঠে তা ব্যক্ত করেন। এই বিপ্লবী ভগৎ সিং কে আমরা সকলেই চিনি। স্বাধীনতা সংগ্রাম ছাড়াও ভগৎ সিং এর আরও এক সংগ্রামী জীবনযাত্রার পরিচয় আছে। তা হল তার আস্তিকতা থেকে নাস্তিকতায় উত্তরণের লড়াই। হ্যাঁ, এ এক লড়াই-ই তো। এ সংগ্রাম প্রতিটি মুহূর্তে তার আত্মসত্তার সঙ্গে, আত্মচিন্তা ও চৈতন্যের সঙ্গে, পূর্বতন শিক্ষা দীক্ষা ও বিশ্বাসের সঙ্গে। একে  অমোঘ উত্তরণের এক জার্নিও  বলা যেতে পারে। উত্তরণের  এই দীর্ঘ যাত্রাপথ একেবারেই সুগম ছিল না। 
মনের এই বিপুল ভাঙা-গড়ার সঙ্গে তাকে নিরন্তর যে লড়াই করতে হয়েছে শুধু তাই নয়, সর্বক্ষণ এক মহা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হয়েছে। তাই "কেন আমি নাস্তিক" গ্রন্থে নিজেই বলেছেন --- "ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া খুব সহজ ব্যাপার ছিল না।"
      লড়াইটা কেবল আদর্শের সঙ্গেই ছিল না, ছিল পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গেও। নিকট বন্ধু থেকে শুরু করে নেতৃবৃন্দও নানাভাবে তার নাস্তিকতাকে ভর্ৎসনা করেছেন। তাকে দাম্ভিক, আত্মম্ভরি এমনকি স্বেচ্ছাচারী বলতেও কসুর করেননি। 
      নাস্তিকতায় উত্তরণের যাত্রাপথ একেবারেই সহজ ছিল না। এক গোঁড়া আর্য সমাজ পরিবারে বড় হয়ে ওঠা। ছাত্রাবাসে থাকাকালীন দুইবেলা প্রার্থনা আর গায়ত্রী মন্ত্র জপ করেছেন। ঐ সময়ের কথা উল্লেখ করে বলেছেন,-- "ঐ সময় আমি পুরো ভক্ত ছিলাম।"

বাবা কিছুটা উদারচেতা হলেও আর পাঁচজনের মতোই ধর্মীয় পূজার্চনা নিয়েই বেড়ে ওঠা। একমাত্র অসহযোগ আন্দোলনকালে ন্যাশনাল কলেজে যোগদান করার পর তার মানসিক পরিবর্তনের পটভূমি তৈরি হয়। তবুও স্বভাবে লাজুক, ভাবী কাল সম্পর্কে নৈরাশ্যবাদী এক যুবক তখনও পুরোপুরি আস্তিক ছিলেন। তারও পরে বিপ্লবী দলে যোগদান। বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের সংস্পর্শে আসা। তাদের মধ্যে শচীন্দ্র নাথ সান্যাল সহ অনেকেই তখন ঘোর আস্তিক।  কাকোরি শহীদেরা তো সকলেই শেষ দিন গুলোতে প্রার্থনা করেছেন। তবুও তখন থেকেই একটু একটু করে ঈশ্বরের আলোচনা সমালোচনা চলতে থাকে। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখলেন যে, "নাস্তিকতার ধারণা বিপ্লবী দলে অঙ্কুরিতই হয়নি।"
           বিপ্লবী দলে যোগদান তার জীবনযাত্রায় এক আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে দিল। তিনি ছিলেন এতদিন সাধারণ কল্পনা প্রবন একজন ভাববাদী অনুসরণকারী বিপ্লবী মাত্র। পরবর্তীকালে একদিকে যখন দলের অস্তিত্ব সংকটে, অন্যদিকে তখন নেতৃবৃন্দ ও কমরেডদের একের পর এক বিদ্রুপ বাক্য বর্ষণ, এই পরিস্থিতে ভগৎ মারাত্মক রকমের ভীত হয়ে পড়েছিলেন। সে সময়ের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে বলেছেন, --- 
"কিছুদিনের জন্য আমি ভীত হয়ে পড়লাম যে কোনদিন হয়তো আমিই আমাদের কর্মসূচির অসারতায় বিশ্বাসী হয়ে পড়ব। ঐ সময়টা আমার বিপ্লবী জীবনের একটা সন্ধিক্ষণ।"
   প্রতিপক্ষকে প্রত্যুত্তর দেওয়ার জন্য শুরু করলেন অধ্যয়ন। আর কিছু না হোক এই অধ্যয়নই তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিল। উপলব্ধি করলেন প্রকৃত বৈপ্লবিকতা কী। বিপ্লবের সহিংস পদ্ধতির ধারণা যে  এতদিন ফাঁকা বুলির মতো সে প্রত্যয় লাভ করলেন। প্রচলিত মতাদর্শেরও পরিবর্তন ঘটল। তাঁর কথায়, "আর অতীন্দ্রিয় বাদ নয়, অন্ধ বিশ্বাসও নয়। বাস্তববাদ (realism) আমাদের মতাদর্শ হয়ে দাঁড়াল।"
        নৈরাজ্যবাদী নেতা বাকুনিন, সাম্যবাদের জনক কার্ল মার্কস, লেনিন, ট্রটস্কি-র মতো নাস্তিকদের লেখা ভগতকে নাস্তিকতার পুষ্টি জোগাল। তবে নিরালম্ব স্বামী রচিত  "সাধারণ  জ্ঞান" বইটি তার নাস্তিকতায় অনুপ্রবেশের শেষ দরজাটি খুলে দিল। এই বই সম্পর্কে তিনি বলেছেন, "এ ছিল একরকম অতীন্দ্রিয় নাস্তিকতাবাদ, আমার নিকট বিষয়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ  হয়ে দাঁড়াল।"
          অবশেষে দীর্ঘ সময়ের পর এল সেই অন্তিম শুভক্ষণ। 1926 সালের শেষদিকে  'সর্বশক্তিমান পরম সত্তার' অস্তিত্ব সম্পর্কিত তত্ত্ব খারিজ করে নিজেকে পুরোপুরি 'নাস্তিক' বলে ঘোষণা করলেন। 

ঘোষণা তো হল, আর তারপরই শুরু হল তার প্রকৃত লড়াই। কারণ ইতিপূর্বে তাকে নাস্তিকতা রক্ষার্থে সেভাবে কোনও রকম পরীক্ষার সম্মুখীন  হতে হয়নি। এবার সেটা হতে হল। 1927 সালের মে মাসে লাহোরে তিনি অকস্মাৎ গ্রেপ্তার হলেন। তৎকালীন সি এই ডি -র সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট মিঃ নিউম্যান শাসানি দিলেন, ভগৎ যেন দশহারা উৎসবে বোমা নিক্ষেপের কথা স্বীকার করেন এবং বিপ্লবীদের কার্যকলাপ সম্পর্কে একটি বিবৃতি দেন। তাহলে তাকে পুরস্কৃত ও মুক্তি দেওয়া হবে। নতুবা কারাবাস, এমনকি ফাঁসিও দেওয়া হতে পারে বলে হুমকি দিলেন। কেউ কেউ তখন বাঁচার জন্য প্রার্থনা করার পরামর্শও দেন। আসলে ভগতের কাছে মতাদর্শের এটাই ছিল সব থেকে বড় পরীক্ষা। কারণ ঘোর সংকট কালেই মানুষ আদর্শচ্যুত হয়ে পড়ে। কিন্তু না, ভগৎ নাস্তিকতার সেই পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়নি। 
          মনের সঙ্গে নিরন্তর লড়াই শেষে বললেন, "শুধু কি শান্তি ও আনন্দের সময়ই আমি নিজেকে নাস্তিক বলে জাহির করার ক্ষমতা রাখি নাকি এই রকম দুঃসময়েও আমি আমার আদর্শে অবিচল থাকতে পারব। অনেক বিবেচনার পর আমি ঠিক করলাম যে ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখতে ও প্রার্থনা করতে আমি পারব না। আমি কখনো করিনি। এটাই ছিল আসল পরীক্ষা এবং তাতে আমি উত্তীর্ণ হলাম।"
            পরে এল সেই অগ্নিপরীক্ষা। ফাঁসি একরকম নিশ্চিত। রায় প্রায় সকলেরই জানা যে ফাঁসি হবেই। তখন মানসিক অবস্থা ঠিক কিরকম  হয় তা একমাত্র ঐ পরিস্থিতির সম্মুখীন মানুষেরাই জানেন।  মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত মানুষ তখন কী করে? অবশ্যই ঈশ্বরের প্রার্থনা করেন। পূর্বের শহীদেরা তাই করেছিলেন। কিন্তু ভগৎ সিং এর মনে তখন অন্য কিছু চলছিল, বিশ্বাস মানুষের কষ্ট কে কমিয়ে দেয়, এমনকি সময়ে সময়ে আনন্দদায়কও করে তুলে। মানুষ ভগবানের মধ্যে এই মুহূর্তে সান্ত্বনা ও সমর্থন পায়। কিন্তু তার মতো নাস্তিককে দাঁড়াতে হয় সব কিছুর ঊর্ধে নিজের পায়ে। এই আত্মশক্তি কোন ছেলে খেলা নয়। পুনর্জন্ম বা স্বর্গ সুখের মতো কল্প সুখ পরিত্যাগ করে বরং বাস্তববাদী হয়েছেন। তাই তো বলতে পেরেছেন ------
 "আমি জানি যে মুহূর্তে আমার গলায় দড়ি পরিয়ে দেওয়া হবে এবং আমার পায়ের তলা থেকে আড়কাঠ সরিয়ে নেওয়া হবে, সেটাই হবে চরম মুহূর্ত এবং শেষ মুহূর্ত। আর কিছুই থাকবে না।"

ভাবনার এই শক্তি, বিপদের সম্মুখীন হওয়ার এই সাহস সব এসেছে নাস্তিক্যবাদীদের কাহিনী পাঠ থেকে। মৃত্যু ভয়ে ভীত নয়, ঈশ্বরের কাছে বাঁচার আর্তিও নয়, বরং নিপীড়িত মানুষের মুক্তি আর স্বাধীনতার কথা ভেবে গর্বিত বোধ করেছেন নিজেকে। 
            মানুষের প্রগতির অর্থই তার কাছে আলাদা। প্রতিটি প্রচলিত বিশ্বাসই সমালোচনা, সন্দেহ  ও অবিশ্বাসের ঊর্ধে নয়। তা সে মহাত্মা গান্ধীর দেখানো পথও নয়। তিনি মনে করেন, প্রভূত যুক্তিতর্কের পরেই কোনও তত্ত্ব বা সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়া উচিত। তার কাছে দর্শনের সংজ্ঞাই আলাদা ----"যেখানে প্রত্যক্ষ প্রমাণের অভাব সেখানে দর্শনই মুখ্যস্থান গ্রহণ করে।"
                 এমনকি তার বন্ধুর কথায়, "দর্শন হচ্ছে মানুষের দুর্বলতার ফলশ্রুতি।"
                                     ধর্ম সম্পর্কেও তার অসাধারন যুক্তি ছিল। এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড নিয়ে যে নানান কৌতূহলোদ্দীপক  প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল, পূর্বপুরুষরা তা প্রত্যক্ষ প্রমাণের অভাবে নিজস্ব উপায়েই সেগুলোর উত্তর খুঁজেছেন। এবং তা খুবই সীমাবদ্ধ। তাই হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন  প্রভৃতি ধর্মে ধর্মে এত প্রভেদ ও মতভেদ গড়ে উঠেছে। 
   
আপামর আস্তিকদের কাছে ভগৎ সিং যে ঈশ্বর সম্পর্কীয়  প্রশ্নগুলো রেখেছেন, সেগুলো তো আর কেবল প্রশ্ন নয় যেন শব্দ ভেদী বাণ। ঈশ্বর বিশ্বাসের অস্তিত্বটাকেই এফোঁড় ওফোঁড় করে দিয়েছে। তার উত্থাপিত প্রশ্নগুলো কি ছিল দেখা যাক ------

1) সর্বশক্তিমান ঈশ্বর নাকি জগৎ সৃষ্টি করেছেন। প্রশ্ন হল, কেন তিনি সৃষ্টি করলেন? যদি একটি প্রাণীও সুখীই না হতে পারল?

2) যদি বলেন এটা ঈশ্বরের বিধান, তাহলে নিশ্চয়ই তিনি কোন বিধান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হন। অতএব তিনি সর্বশক্তিমান হতে পারেন না। পৃথিবীকে যদি সৃষ্টিই করলেন, তাহলে তাকে নরক বা অশান্তির ক্ষেত্র বানালেন কেন? সৃষ্টি যখন করলেন তখন নিশ্চয়ই না বানানোর ক্ষমতাও ছিল? তাহলে এর যৌক্তিকতা কোথায়?

3) আনন্দ পাওয়ার জন্য যদি সৃষ্টি করে থাকেন, তাহলে তো চেঙ্গিস খাঁও সহস্র জীবন হত্যা করে আনন্দ পেয়েছিল। এখানে তবে ঈশ্বর আর চেঙ্গিস খাঁ-র মধ্যে পার্থক্য কী রইল?

4) মুসলমান ও খ্রিস্টানগন মনে করেন, কথার মধ্য দিয়ে ছয়দিনের  পরিশ্রমে সর্বশক্তিমান এ জগৎ সৃষ্টি করেন। প্রতিদিন বলেন, "সবকিছুই  ভালো আছে।" মানুষের এই দুর্দশা আজ তাকে ডেকে দেখানো হোক। সব কিছুই ভালো আছে কিনা। 

5) দুষ্কৃতকারীদের ঈশ্বর যে শাস্তি বিধান করে থাকেন, তার প্রকৃতি কেমন? এখনো পর্যন্ত ঠিক কতজন পাওয়া গেছে যারা পূর্বজন্মে গাধা ছিল বলে স্বীকার করেছেন?

6) "দারিদ্র একটা পাপ একটা শাস্তি" --- যদি তাই হয়, যারা এমন বিধান দেন,তাদের বিচার করবেন কে? তাই কি প্রত্যেক ধর্ম অনুযায়ী রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা সব সময়ই পাপ বলে গণ্য হয়েছে?

7) ভগৎ সিং মনে করেন, শাস্তি আর বিধানের তত্ত্বগুলো সুবিধাভোগীদের আবিষ্কার। এই তত্ত্ব তাদের দখলীকৃত ক্ষমতা, সম্পদ ও কৌলিন্য কে সমর্থন করে। আপটন সিনক্লেয়ার যথার্থই বলেছেন ---- 
           " কোন মানুষকে একবার শুধু অমরতায় বিশ্বাসী করে তোল এবং তারপর তার সমস্ত ধন ও সম্পদ অপহরণ কর। সে তোমায় নির্দ্বিধায় সাহায্য করবে। ধর্মবাহক ও ক্ষমতার অধিকারীদের মধ্যে যোগসাজশই কয়েদখানা, ফাঁসিকাঠ, চাবুক ও এই ধরণের তত্বগুলির  আমদানি করেছে।"

8) যখন কেউ অপরাধ কাজে যুক্ত হন, তখন ঈশ্বর কেন তাদের নিবৃত্ত করেন না? কেন ব্রিটিশ জাতির মনে ভারতকে স্বাধীন করে দেওয়ার প্রবৃত্তি সৃষ্টি হয় না? পুঁজিপতিদের অন্তঃকরনে ব্যক্তিগত মালিকানার অধিকার চিন্তা কেন সংশোধন করেন না?

তাহলে কোথায় ঈশ্বর? কি করছেন তিনি? মানব জাতির এই দুর্দশা কি তিনি উপভোগ করছেন? 

ঈশ্বরের উৎপত্তি সম্পর্কে স্পষ্ট করে বলেন ---- "মানুষের সীমাবদ্ধতা অনুধাবন করে এবং তার দুর্বলতা ও অক্ষমতা বিবেচনা করে কল্পনায় ঈশ্বরের অস্তিত্ব সৃষ্টি করা হয়েছিল সাহসের সঙ্গে বিপজ্জনক সমস্ত ঘটনার সম্মুখীন হতে মানুষকে উৎসাহিত করার জন্য এবং প্রতিপত্তির ঐশ্বর্যে তার যে বিস্ফোরণ তাকে সংযত ও নিয়ন্ত্রিত করার জন্য।"
                 তিনি আরও বলেন, "ঈশ্বরে বিশ্বাস এবং প্রাত্যহিক প্রার্থনা আমার মতে মানুষের পক্ষে অত্যন্ত স্বার্থপর ও নিম্নস্তরের কাজ।"

স্বার্থপর উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। এটা তার কাছে অধঃপতন ও আত্মবিশ্বাস হীনতা হয়ে উঠবে। তাই তার নামে দাম্ভিক, আত্মম্ভরি-র মতো বিশেষণ যদি বসে বসুক। আর এটাই ছিল তার নাস্তিক মানসিকতার দৃঢ়তা। জীবনের শেষ সময়টুকু পর্যন্ত যা অটুট ছিল।


তথ্যসূত্র :- কেন আমি নাস্তিক (ভগৎ সিং)

Post a Comment

1 Comments

  1. সাধুবাদ জানাই, লেখক ও জ্বলদর্চি'র সম্পাদক মহাশয়কে এই লেখা প্রকাশিত করার জন্য।
    এর বহুল প্রচার করা দরকার। অনুমতি দিলে আমাদের সঞ্চিতা'বল্গে এটি পোস্ট করতে পারি।

    ReplyDelete