জ্বলদর্চি

প্রত্ন আলোর মুখোমুখি/ অলক জানা

   ফোটোগ্রাফি- সৈয়দ স্নেহাংশু   


প্রত্ন আলোর মুখোমুখি 

অ ল ক  জা না

কিছু ভুলের পাশেই অজান্তে ক্ষয়ে যায় 
পরমায়ুর আলতাপাটি চর, 
মগ্নতায় গচ্ছিত সেইসব প্রত্ন আলো
পাকাপাকি বন্দোবস্ত নিয়ে একটি 
সভ্যতার ধুলোপড়া ইতিহাস
কে না আর পাহারা দিতে থাকে ?

অতীত লিখতে এসে কীভাবে 
এড়ানো যায় সেইসব ----
চর্যামগ্ন সন্ধ্যার মেঘ ! মেঘ মানে 
একটি নয়া বন্দর, জলে ভাসার 
অপটু স্বভাব নিয়ে আনকোরা 
কোন জাহাজ প্রথম নোঙর করেছিল।

প্রতিটি ঢেউয়ের গতিরেখা 
অনিবার্য স্নায়ু পদ্ধতিতে মিলিয়ে যায়
লোমকূপ থেকে ভেতরের কোন
গোপনীয় পৃথিবীর ছায়াজরুল ভাস্কর্যে
জীবনের আদিমতম পাঠ
না জানি নিয়েছি আমি, 
না আমার থেকে তুমি নিয়েছিলে ?

আমাজন নিবিড়তার ভেতর
বয়ে চলা অন্তর্বাহিনী নদী
সমস্ত শিল্পের উৎসমুখ হোক,
রংমশাল জ্বেলে নিরন্তর খুঁজতে থাকা
সুচতুর আক্ষরিক সব মাছ !
যারা সযত্ন পরিচর্যার স্বাদ পেতে
পাড় ঘেঁষে নীল চোখে সম্মোহিত করে
সে ডাক ফেরায় সাধ্য কার ?

অপেক্ষার অসমতল বরাত ভেঙে 
এখনো কোন, শোভন চাঁদের বিচ্ছুরণ 
কল্পনাতীত নামলে, সেই চন্দ্রদোষ সসম্মানে 
নিয়ন্ত্রণ করি, এসে পড়া ভুল ঠিকানার
চিঠিপাঠ, লঘু পাপের গুরু দণ্ডভোগ
বরাবরই আমার স্বভাব বিরুদ্ধ। 

হাতে গোনা দু একটি তারিখ, 
গীতবিতানের কিছু সুর, 
চায়ের লিকারের মতো
উষ্ণ অস্বচ্ছ, গুটিকতক সন্ধ্যা
সযত্নে গচ্ছিত, আমানত 
আমার ব্যক্তিগত অতীতের কাছে।

রাস্তা বেঁকে যায় চিরন্তন 
প্রতিটি বক্রতা ছুঁয়ে যে পথঝুরি নামে
প্রথাগত ব্যর্থতার মতো
আমারও থেকে যাওয়া 
অপ্রাকৃত অসম্ভব কোন ঘটনা নয়,
নিস্তারিণী তোমার কাছে ?

এভাবেই ভাগ হওয়া
রোজনামচায় তুমি, সত্য সূর্যোদয়
আমার পাণ্ডুলিপির অতল হ্রদে
স্নান সেরে অক্ষর হয়ে থাকো-----

পরাজয়, ভেঙেচূরে পড়ে থাকা 
সঞ্চিত অলংকার---
সঠিক ধারণা বেঁধে 
যদি কোন আশ্চর্য মুখ, 
ব্যর্থ দুটো হাত একদিন গড়তে পারে
আরোপিত সমূহ কলঙ্ক
নিজেই সরিয়ে নেবে
সেটাই স্বাভাবিক !

   ফোটোগ্রাফি- সৈয়দ স্নেহাংশু   

Post a Comment

1 Comments

  1. Bending the road is the religion of life. It can also be called the turning point of life. The name নিস্তারিণী has given the appearance of a love. 'কোন' Write this spelling as follows: 'কোনো'।

    ReplyDelete