ফোটোগ্রাফি - সৈয়দ স্নেহাংশু
দুর্গাপদ ঘাঁটির পাঁচটি কবিতা
১
সরে গেল চাঁদ
পানশির দাঁড় ঠেলে চলি তুমি আমি
তবুও দূরত্বে রয়েছো বুঝি অন্য দাঁড়ির সাথে
কৃষানির হাত ধরে মনে হয় সৃষ্টি ছুঁয়ে আছি
পাতে সংকীর্ণ জীবন।
সরে গেল চাঁদ মঙ্গলের সাথে সাথে। তবুও পানশি ঠিলে চলি বটবৃক্ষের ছায়ায়
যদি ফিরে আসে সে।
২
ধনীরা জৌলুস ছাড়িয়ে স্ট্যাচু হতে চায়
সঙ্গে গুটিকয় পৃষ্ঠা।
এভাবে উভয়ে মুখোমুখি জঙ্গল উষ্ণতায়।
অথচ বেআব্রু পথে সভ্যতা এল বিবর্তন ছুঁয়ে
তবুও ঝাঁঝাঁ দুপুরে
কেন এত অন্ধকার মনে হয়?
৩
ভাষা শরীরের মতো তোমার ঠোঁট
ছুঁয়ে আছে ওখানে-
হরমোন তখন অন্য কথা বলে
টলি বলি জুড়েই তোমার সাঁতার
ওভেনের পাশে পাশে।
এভাবে এমনই আচ্ছন্ন চোখ
পৌঁছে যায় শোষকের দ্বারে
৪
অনেক ভাবনা আসে,
পড়ে থাকে কত অনুর্বর পড়শি দেশে
কতক অঙ্কুরিত হয় আনাচে কানাচে
সেই ঝিঙে পটল উচ্ছের মতন
বড্ড বেমানান।
শুভ দৃষ্টির পিছনে এক বিস্মৃতির ইতিহাস
তারপর রাজলক্ষ্মীর বৈঁচির রক্তঝরা পথ।
এভাবেই
ভিস্তিওয়ালার দৃষ্টির পাদদেশে
নতুন জ্যোতিষ্কের ইতি-উতি।
৫
হাজার বছর কেটে গেছে
কত সূর্য উঠেছে সেলুলয়েড ফ্রেমে
মঙ্গলে জল, অনুকবিতার আস্ফালন-
তবুও সেই তিনের চারের কাছে সে দূরস্ত --
সেই তরনকে থুতকার দিয়ে সরণই
সভ্যতার লজ্জা হয়ে রয়ে গেছে
ওদের পাঁজরে পাঁজরে।
0 Comments