জ্বলদর্চি

শার্ল বোদলেয়ার || প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা ও স্মরণ

প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা ও স্মরণ   


স ন্দী প  কা ঞ্জি লা ল  


"কবিতার শেষ কথা তা কবিতা, তা ভালোও নয়, মন্দও নয়। এলে তুমি আকাশ হতে না নরক হতে, হে আমার সুন্দর, তাতে আমার কী এসে যায়?"

                           শার্ল বোদলেয়ার
                 (০৯/০৮/১৮২১ - ৩১/০৮/১৮৬৭)

কথায় বলে যে সময় যায়, সে আর ফেরে না। আমার মনে হয় কথাটি আংশিক সত্য। পুরোপুরি সত্য নয়। ফেরে, কিছু সময় অবশ্যই ফেরে। যা চকচক করে হীরক খণ্ডের দ্যুতির মতো। যার আলোকে মুখ উজ্জ্বল লাগে, চোখ ঝলসে যায়। মৃত অতীতের ভস্ম ঝেড়ে উঠে এল এমনি একটি দিন। নিস্তব্ধ আদালত কক্ষ, বিচারক বসে আছেন ন্যায়ের আসনে, হাতে একটি কবিতার বই, কর্মচারীরা যে যার জায়গায়। সরকার পক্ষের ও আসামি পক্ষের উকিল হাজির। জামা ইন করে স্যুট প্যান্ট পরিহিত গলায় টাই বাঁধা এক যুবক। যার চোখ চকচক করছে, অন্ধকার রাত্রের হায়নার মত, মুখমণ্ডল শান্ত। বিচারকের প্রশ্নের উত্তরে আসামি বলছে, এ বই আমার লেখা, বিচারক - "আপনি কি এই কবিতা গুলিকে ন্যায়নিষ্ঠ মনে করেন?" আসামি,- "আমি ভালোবাসি সুন্দর, ভালোকে নয়। একমাত্র প্রেমই সংরক্ষণ করে সুন্দরকে, আর প্রেমকে যদি প্রকৃত হতে হয়, হতে হয় প্রাকৃতিক, তবে তো তার পাপ না হয়ে উপায় নেই।" তারপর চলল অনেক বাদানুবাদ। সবশেষে আসামি জেল থেকে রেহাই পেলেন বটে, তবে অর্থ জরিমানা এবং কবিতা বই থেকে ছয়টি কবিতা বাদ দেওয়ার শর্তে।  আসামি অস্পষ্ট স্বরে বিড়বিড় করছেন,- "আমার জীবন শুরু থেকেই অভিশপ্ত চিরকালের মতো।" 
কে এই আজন্ম অভিশপ্ত কবি? রাব্যোঁ-র ভাষায় বলি, "কবিদের রাজা, প্রথম দ্রষ্টা- এক সত্য দেবতা।" যাঁর নাম 'শার্ল বোদলেয়ার'। পুরো নাম 'শার্ল পিয়ের বোদলেয়ার'। জন্ম ফ্রান্সের পারি শহরে। বাবা জোসেফ ফ্রাঁসোয়া বোদলেয়ার, কারিগর শিল্পী! মা 'কারোলিন দ্যুফে'। বাবার যখন ৬১ বছর, মায়ের ২৮ বছর জন্ম নিলেন শার্ল বোদলেয়ার। ছ' বছর বয়সে বাবা মারা গেলেন। মা আবার বিয়ে করলেন 'ওপিক' নামে এক সেনাকর্তাকে। এই ঘটনায় কবির শিশুমন মর্মাহত। যিনি পরে বলবেন, "আমার মতো ছেলে যাঁর থাকে, তাঁর কি আবার বিয়ে করা সাজে?" ১৮৩৩ সালে লিঅঁ-র এক বিদ্যালয়ে ভর্তি হলেন, এই সময় থেকে কবিকে হাতের পুতুলে পরিণত করলো বিষন্নতা আর নির্জনতা। তাদের হাত থেকে রেহাই মৃত্যুতে। কিন্তু এই বিষন্নতা আর নির্জনতা কবিকে কষ্ট দিলেও, তার কাব্যকে আজও পর্যন্ত করছে লালন পালন। এই সময় থেকে তিনি অসংযমী, দুর্বোধ্য, রহস্যময়, নীতিজ্ঞানের ধার ধারে না, কবিতা পাগল, মুখে উগো-গোঁতিয়ে প্রভৃতির কবিতা অর্নগল, এক কথায় একটু বিকৃত মস্তিষ্ক- একথা বলছে তাঁর এক সহপাঠী। 
১৮৩৯ সালে পড়াশোনা শেষ করে বাবা মাকে বলে দিলেন, সাহিত্য আমার জীবনের ব্রত৷ সেই থেকে তাঁর আরম্ভ হলো স্বপ্ন দেখা। ফরাসী জগতের সেই সময়কার দিকপাল তরুণ ও প্রখ্যাত কবি লেখকদের সংস্পর্শে আসেন।  এই সময় মধ্য গগনে তখন 'বালজাক'। যেহেতু বাইরের ছায়া পড়ে ভেতরে। তাই তিনি পোশাক পরিচ্ছদ ব্যবহার সবই বদলে ফেললেন। কারণ তাকে সবার থেকে আলাদা হতেই হবে। কুখ্যাতি নিন্দায় তিনি গৌরব বোধ করেন। ১৮৪০ সালে এক ইহুদি যুবতি বেশ্যার সঙ্গে তার পরিচয়। যার নাম 'সারা'। তাঁরই সংস্পর্শে এসে পড়লেন উপদংশ রোগে। যা পরে তার মৃত্যুর কারণ হবে। 
বেশ্যার কাছে যাওয়া কোনো কোনো যুবকের শখের ব্যাপার। কিন্তু 'বোদলেয়ার' এর পূর্ব পরিকল্পিত। এ তার দর্শন। কারণ তিনি নিজে বলেন, "শিল্পকলা কী? গণিকাদের পেশা।" আরও কারণ রয়েছে, যা তার মায়ের পুনঃবিবাহ। বাবা মারা যাওয়ার পর 'বোদলেয়ার' তার মা'র কাছে ঘুমোতেন। দ্বিতীয়বার বিয়ের পর সেই স্থান দখল করে অন্য এক পুরুষ। যা তার মনে গভীর প্রভাব ফেলে। তিনি পরে লিখবেন, "যাকে বলা হয় ন্যায্য যৌন সম্ভোগ, তথাকথিত বিবাহিত নরনারীর মধ্যে, তা অনিবার্য ভাবে পৈশাচিক ও গভীরতম এক পাপ, কারণ তাতে পাপকে এড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে ন্যায়ের নাম দিয়ে।" যে কারণে হয়তো তিনি 'সারা' কে উপেক্ষা করতে পারেননি। বোদলেয়ারের জীবন বদ্ধ পুকুরে সর পড়া জলের উপর দিয়ে সাপের চলে যাওয়ার মতো, যেখানে পড়ে থাকে স্পষ্ট দাগ। ছোটবেলা থেকে খৃষ্টধর্ম শিখিয়েছে পুণ্য মানে ধবধবে সাদা আর পাপ মানে কুচকুচে কালো। তাইতো তিনি বলতে পারেন, "প্রেমের আনন্দ এই যে নরনারী সজ্ঞানে পাপ করে, তাকে পাপ বলে জেনেই।" 
এই সব ঘটনায় তাঁর বাবা-মা শঙ্কিত ভীত। তাই তারা মনস্থ করলেন, তাকে ভারতে কলকাতায় পাঠাবেন। এই মতো 'বর্দো' থেকে জাহাজে চাপলেন। কিন্তু মাঝ পথ জাহাজ বিকল হওয়ার কারণে তিনি নেমে পড়েন 'মরিশাস' এ। এই দ্বীপের লবন ঘেঁটে তিনি লেখেন, 'অতীত জন্ম', 'সুদূর সুঘ্রাণ', 'এক ক্রোয়ল নারীকে', 'এখান থেকে অনেক দূরে', 'এক মালাবার রমণীকে'। উনি এই মরিশাসে উঠেছিলেন 'ব্রাগারের' বাড়িতে। সেখানে তাঁর স্ত্রীর রুপে মুগ্ধ হয়ে লেখেন, 'এক ক্রোয়েল নারী কে', আর তাঁর বোনের প্রেমে পড়েন তিনি। যে মেয়েটি আসলে ভারতের বেনারসের মেয়ে। তাকে নিয়ে লেখেন, 'এক মালাবার রমণীকে'। 
১৮৪২ এ প্রাপ্তবয়স্ক হতেই পিতার সম্পত্তির উত্তরাধিকার হলেন। পরপর তিন বছর ভালোই কাটলো। প্রখ্যাত সাহিত্যিকদের সঙ্গে ওঠাবসা করে। এই সময় তিনি এলেন আর এক তরুণী গণিকার সংস্পর্শে। তার নাম 'জান দ্যুভাল'। রুপ বা গুণ তার কোনোটাই নেই। তাঁর উপর অর্ধশিক্ষিত। সারাজীবন তারই সঙ্গে কাটিয়েছেন। শোনা যায় এই সময় থেকে তিনি আর্থিক টানাটানিতে পড়েন এবং ঘোরতর ভাবে নেশায় পর্যবসিত হন। তাইতো তিনি লিখেছেন, "আমি ক্ষত এবং ছুরি/ হত ও হত্যাকারী।"
"বোদলেয়ার" এর এইরকম আচরণ দেখে 'ওপিক' দম্পতি আদালতের শরণাপন্ন হলেন। আদালত থেকে নির্দেশ এল তিনি, এক তৃতীয় ব্যক্তির মাধ্যমে কবি তাঁর প্রাপ্য পাবেন। ১৮৪৫ থেকে নিয়মিত লেখার সূত্রপাত, কবিতা, গল্প, উপন্যাস চিত্রসমালোচনা এবং ১৮৪৭ সালে একটি উপন্যাস। 
যে 'জান দ্যুভাল' কে নিয়ে  তিনি কবিতা লেখেন- "তোমারই হাতের মতো সুকুমার তোমার পা দুটি / জঘনে জাগাও ঈর্ষা ব্যক্ত করে শ্বেতাঙ্গীর ক্রুটি...." (অনুবাদ বুদ্ধদেব বসু)। তাঁর ব্যবহারে অতিষ্ঠ হয়ে, সমস্ত সম্পত্তি 'জান দ্যুভাল' এর নামে লিখে দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। অথচ সেই নারী কি কোনোদিন বুঝেছেন তাঁর কবিতা ও শিল্পভাবনার স্বরূপ? 
এই সময় তিনি সংস্পর্শে এলেন অভিনেত্রী 'মারি দোব্র্যাঁ' এর সঙ্গে। একই সঙ্গে 'মাদাম সাবাতিয়ে' এর সঙ্গে প্রেমপত্র চলে। এই সময় তিনি লেখেন 'রভ্যু দে দো মদ'। তিনি তাঁর 'সাহিত্যিকদের প্রতি নিবন্ধে' বললেন, "কবি বক্তা অথবা প্রবক্তা নন, দ্রষ্টা, অর্থাৎ বিশ্বজগতের লুক্কায়িত সমন্ধসমূহের আবিষ্কারক, যে তার স্বকীয় ও অনন্য দৃষ্টির কাছে একান্ত ও বিনীতভাবে আত্মসমর্পণ করাই তাঁর স্বধর্ম।" তাই বুদ্ধদেব বসু বললেন, 'ভের্লেন' ও 'মালার্মের' পক্ষে পরে বলতে সুবিধা হয়, "বাগ্মিতার শিরচ্ছেদ করো', 'আত্মার একটি অবস্থার নাম কবিতা'। 
সেইজন্য তিনি জানতেন কবিতা সব লুকিয়ে আছে গোখুরো সাপের ফণার মধ্যে মণি হয়ে। তাকে বের করে আনতে হবে। বের করলেন 'বিষন্ন উন্মত্ত' বই। যা থেকে ঝরে পড়ছে ঘৃণা "প্রিয়  কুহকিনী, ভালোবাসে সেই শয়তানকেই?" যে জানতো, 'দুঃখভোগই একমাত্র অতুল মহত্ত্ব'। তাঁর সেই বিখ্যাত গ্রন্থ 'লা ফ্ল্যুর দ্য ম্যল' এ লিখলেন, "তাঁর বুক ছিঁড়ে আমি বাইরে বার করে নিয়ে আসব পক্ষীশাবকের মতো কম্পমান ও হাঁফাতে থাকা তাঁর রক্ত হৃৎপিণ্ডকে। এবং ঘৃণায় মাঠের উপর ছুড়ে দেব আমার প্রিয় পোষা কুকুরগুলিকে তুষ্ট করার জন্য।" 
এক কৃত্রিম স্বর্গের টানে যখন তিনি অপ্রতিরোধ্য নেশায় আক্রান্ত, তখন অসুস্থতা, অনটন তাকে আরও মাতাল হওয়ার দিকে টানে, তাইতো বলে উঠলেন, "মদের নেশায়, কবিতার নেশায়, সদগুণের নেশায়, তোমার যা যা ভালো লাগে তারই নেশায়। কিন্তু মাতাল হবে তুমি অবশ্যই।" তাই তার কবিতা পড়লে মাতাল হতে হয়। যার স্বাদ গন্ধ অনুভূতি লেগে থাকে ঠোঁটে জিভে সর্ব শরীর জুড়ে, আর জেগে ওঠে মৃত্যুর বুক চিরে নতুন ভাবে বাঁচার ইচ্ছে, জেগে ওঠে আনন্দ। যে আনন্দ, "জন্মের শুরুতেই নর-নারীরা জেনে যায় যে, মন্দের মধ্যে সব ধরনের ইন্দ্রিয়জ আনন্দকে খুঁজে পাওয়া যাবে।" 
ঘৃণা করতেন কান্নাকে, যত শাস্ত্র আছে সব তাঁর কাছে পেচ্ছাব করার যোগ্য। 'আনন্দিত মৃত্যু' তে লিখলেন, "শাস্ত্রবাক্য শবকৃত্য যত আছে ঘৃণা করি আমি / পৃথিবীর কাছে কেন অশ্রুবিন্দু ভিক্ষে করে নেবো?" 

তিনি লেখেন, " আমার হতভাগ্য মস্তিষ্ক সবসময় ব্যস্ত থাকে বিকেলে দুপুর খুঁজতে"। তাই যখন সবে মাত্র যুবক ১৮৫৭ সালে প্রকাশ পেল 'ফ্ল্যুর দ্য মাল'। যখন আদালত তাঁর রায়ে অশ্লীল বলে বইটির সমালোচনা করছেন, তখন তিনি বলে উঠলেন, "আমি জানি এখন থেকে সাহিত্যের যে কোন ক্ষেত্রেই হাত দিই না কেন, আমি থাকবো এক অসুর হয়ে।"
১৮৬২ এর গোড়া থেকেই স্বাস্থ্য খুব খারাপ হতে আরম্ভ করল। কৈশোরে যে যৌন ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন, যা এতদিন ভেবেছিলেন সেরে গেছে, তা তার দেহকে এবার পাকাপোক্ত ভাবে গ্রাস করতে লাগলো। সেই রোগ থেকে বেরুনোর সব পথ বন্ধ কিন্তু এই রোগ থেকে শোক তাঁর কাছে সবই তুচ্ছ। তাই তিনি লিখলেন, "সে-ই স্বাধীনতার যোগ্য যে তা অর্জন করতে জানে।" কবি লেখা ছেড়েছেন। ভবঘুরের পোশাক পরনে। ছেঁড়া আধময়লা। রাস্তায় ঘুরতে ঘুরতে নাচঘরের সামনে ভিখারির মত দাঁড়িয়ে। কারণ তাঁর আগেই তিনি লিখে ফেলেছেন, "অবাক হওয়ার কিছু নেই যে আমি এখন এমন এক মানসিক অবস্থায় আছি যা র্নিবুদ্ধিতা।"
১৮৬৬। রোগ আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে ফেলেছে। বমি, মাথা ঘোরা শূলবেদনা। তার সময়সাময়িকরা তাকে স্বীকৃতি না দিলেও, সদ্য দুই যুবক কবি, মালার্মে আরে ভের্লেন তাকে গুরু বলে মানেন। তখনও তিনি ঘুরে বেড়াতেন রোগকে তুচ্ছ করে। 'রক্ষিতার আলেখ্য' কবিতায় লিখেছেন, "ঈশ্বর রোগের মধ্য থেকে তার ওষুধ বের করেন।" মার্চ মাসে "নাম্যারে" এক গির্জার সামনে মাথা ঘুরে পড়ে যান এক পাথরে। মস্তিষ্কের শিরা ছিঁড়ে গিয়েছে, ডান দিক অবশ, কথা বলতে কষ্ট। ৩১ শে মার্চ 'নতুন যন্ত্রনা কুসুম' নাম দিয়ে ষোলোটি কবিতা প্রকাশিত হয় "ল্য পারনাস কঁতাঁপ্যোরা" পত্রিকায়। তখন তিনি পালাতে চান, 'জীবন থেকে ও দূরে যদি সম্ভব'। ছুটে এলেন ৭২ বছর বয়সী বৃদ্ধা মা। নিয়ে আসা হল হাসপাতালে। যে রাস্তা দিয়ে তার নাম "ভস্মপথ"। 
১৮৬৭ সালে জুন মাসের শেষে ডাক্তারদের শেষ কথা নিয়ে, শুয়ে আছে 'বিরাট আয়না' নামক এক হোটেলে। বোবা অর্ধ শরীর নিষ্ক্রিয় 'বোদলেয়ার' কে নিয়ে ঘুরছেন অসহায় মা। এপ্রিল মাসে বন্ধু 'পুলে-মালাসি' তেইশটি কবিতা নিয়ে বের করলেন 'ভগ্নদূতেরা' নামক চটি কাব্যগ্রন্থ। যেটি আবার আদালত 'বোদলেয়ার' এর মৃত্যুর নয় মাস পরে অশ্লীল বলে বইটি পুড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেবে। ১৮৬৭ সালের ৩১ শে আগস্ট সকাল এগারোটায় তিনি মারা গেলেন। বসয় ৪৬ বছর ৪ মাস ২২ দিন।
পাপ আর পূণ্য, শয়তান আর ঈশ্বরের মধ্যে লড়াই করতে করতে ক্ষতবিক্ষত দেহ নিয়ে মরতে মরতে বলে গেলেন, "ফূর্তিবাজ দার্শনিক, উচ্ছন্ন সন্তান সমবেত / দেখো, এক মুক্ত আর আনন্দিত মৃতদেহ এল।"

Post a Comment

3 Comments

  1. অসাধারণ লাগলো ।

    ReplyDelete
  2. মনোগ্রাহী লেখা / পার্থপ্রতিম আচার্য

    ReplyDelete
  3. মনোগ্রাহী লেখা / পার্থপ্রতিম আচার্য

    ReplyDelete