ম হু য়া ব্যা না র্জী
কালপেঁচা তার তীক্ষ্ণ র্ককশ শব্দে
জানাল রাত এখনো শেষ হয়নি।
অথচ কত যুগ ধরে হেঁটে চলেছি-
যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ কালের সীমানা পেরিয়ে,
পারমাণবিক বোমার ধ্বংস থেকে
মানবিক উত্তরণের অলীক স্বপ্ন
দু চোখে নিয়ে রাতের গভীর থেকে
গভীরতর অন্ধকারে এগিয়ে চলেছি।
সতীদাহ থেকে নারীর ক্ষমতায়নের
সমস্ত খতিয়ান মগজের পরতে পরতে
লিপিবদ্ধ করে ছুটেছি বসন্তউৎসবে।
সন্ত্রাসের গোলা বারূদে বিপর্যস্ত শৈশবকে
ক্যামেরার লেন্সে বন্দী করেছি হাততালির লোভে, আর ধর্ষিতা নারীর যন্ত্রণাকে
সামাজিক নীতিমালার গরম শলাকায়
খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে দগদগে আনন্দে লাল তরলে
রাষ্ট্রব্যবস্থার স্বাস্থ্য পান করেছি।
নাস্তিকতার ছদ্ম মোড়কে মন্দির মসজিদ
চার্চের দরজায় দাও দাও আর দাও বলে ভীখারির দীনতায় লোভের মশাল জ্বেলেছি...
তারপর বৃদ্ধ ন্যায়াধীশের মত রাত্রি নামলো।
পৃথিবীর সব অপরাধ অবিচার নিমেষে
আবৃত হোল অমানিশার কালো পর্দায়।
সব কিছু স্থির অচঞ্চল ...
আঃ! কি আঁধার, দৃষ্টিকে আচ্ছন্ন করেছে।
সেই ঘোর নিশীথের জটাজালের আড়াল থেকে
কে যেন বলে উঠলো এগিয়ে যাও,
পথের শেষে মঙ্গলদীপের উজ্জ্বলতা প্রকাশিত।
সেই থেকে হেঁটে চলেছি আলোর উৎসের খোঁজে।
কতকাল ধরে চলেছি-
গর্ভজল ভেঙ্গে ভেঙ্গে এক জন্ম থেকে
আরেক জন্মে আকন্ঠ ডুবেছি ভেসেছি।
তবুও রাত শেষ হোলনা।
তবুও রাত শেষ হয়নি।
এখনো কত পথ বাকি মহাকাল?
এখনো কত পাপ স্খলন বাকি মহামায়া?
কত আত্মদহনের শেষে নির্বাণ লাভ বোধিসত্ত্ব?
চৈতন্য জাগরণের সেই মুহূর্ত এখনো কি হয়নি?
প্রশ্নগুলো কুলকুণ্ডলিনী থেকে উৎসারিত
হয়ে হৃদপদ্মে স্থিত হয়।
অসমাপ্ত পথের বাঁকে রাত্রি তখনো স্থির।
ফোটোগ্রাফি - সৈয়দ স্নেহাংশু
2 Comments
Bhalo noi, khub bhalo... Tobe dirgho noi boro.
ReplyDeleteধন্যবাদ।
Delete