মৌ মি তা দা স
এক বিঘত হৃদয় খুড়ে যে ফসল একটি শব্দের ফুল ফোটায়, আসলে সেটাই কবিতা।
ওই যে তুমি একটা লুকানো রক্তবর্ণ তিলে নিজেকে লুকিয়ে রেখেছো? সেটি আসলে তোমার নয়, আমার ব্যর্থতা।
কিছুটা হলেও পথ তো একসাথে হেঁটেছি।
তবুও পথের পাশে অবহেলায় পড়ে আছে
পিষে যাওয়া ইউক্যালিপটাস ফুল।
চাইলেও গোছাতে পারো নি এক মুঠো ঘর বাড়ি...
ধুলো কিংবা মরচে কিছুই ধরেনি মাস্তুলে,
পারলে পারতে হয়তো একটা আস্ত বাগান আমাকে দিতে।
দেওয়া হয়নি জানি আমারও অনেক কিছু...
এক গোলা ধান যে ছায়া দেয় বা দিতে পারে,
তেমন কিছু দিতে ভুলে গেছি তোমায়।
একটা আলোকবর্ষ পথ রেখেছিলাম খুব গোপনে,
দিতে হত ভিড়ে মিশে যাওয়ার আগেই।
নদী হয়ে বয়ে যাওয়া সময় টা দিতে হত তোমাকেও।
একটু বেশি আগলে রেখেছিলাম সাড়ে তিন হাত জীবন।
স্বকীয়া কিংবা পরকীয়া, যাই হোক।
মীরা বা রাধার কোনোটাই তো হওয়া হল না।
অথচ দেখো আমি নীল বেনারসী পরেও কেমন রক্তাভ,
আমার শাঁখা য় বুনে রেখেছি তুলসী পুঁথির নক্সা।
মাথা ভর্তি সিঁদুরে ধানের রঙ দেখেও তুমি দেখোনি? বেলা পড়ে গেল?
বেশ।
আমাদের আতর মাখানো দুপুরের কথা কাউকে বলতে পারিনি।
এমনকি নিজেও ছুঁতে পারিনি তোমার ছুঁয়ে দেখা কিংবা না ছোয়া সেই রক্ত বর্ণের লুকানো তিল...
ফোটোগ্রাফি- সৈয়দ স্নেহাংশু
0 Comments