ঋণ , সময়ের কাছে
ত প ন জ্যো তি মা জি
সমন্বয় জেনেছি তোমার কাছে
এখন যে কোনও স্রোতের মুখে স্থির থাকি ,
ঝড়ের অভিমুখে উড়িয়ে দিই নীল কালিতে লেখা
সময়ের বিষন্ন পদাবলী I
উচ্চতম তবু নিরাকার
ছুঁয়েছি মনোভূমি যখন আলোর আভাসে ঘুমন্ত
মুখ জেগে ওঠে I
নদীর সান্নিধ্যে বুঝেছি জলের উদারতা ,
সেভাবেই ঋণী I
অরণ্য শীর্ষের বিপুল সবুজে পৃথিবীর মুক্তি
দ্যাখে নির্মোহ আকাশ I
চিত্ররেখা লোকগানের মতো মিশে যায় ধর্মহীন গ্রামে ,
সেখানে পটুয়ারা গীতিকার I
তিলোত্তমা নগরী থেকে বহুদূরে বাস
তবু তুমি শ্রেষ্ঠ রমণী I
নীরব অঙ্গীকারে শব্দরা মিশে যায় গোলার্ধ ডিঙিয়ে
শীত ও বরফের দেশে I
সমিধ ও শস্য সমার্থক
জীবন মাত্রেই অগ্নি উপাসক I নির্বিকল্প আহূতি প্রদানের
পরেও কেঊ কেউ খোঁজে আল্হাদিত মুক্তি ,
তুমিও জেনেছো সব তরঙ্গ পরবাসী I
কিছু কিছু অভিজ্ঞান নিয়ে পথ চলা
কিছুদিন নির্বাসন চাই I শ্রম ও অধ্যয়ন কাল শেষ হলে
দেখা হবে মুখোমুখি ,
নীরব চোখের ভাষা প্রিয় পাঠক্রম I
প্রচ্ছদে আহত সময়ের মুখ
আম্ফানে উড়ে গেছে শত শত ঘর ,
চোরাবালি চেনা চতুর্ভুজ
কে বাজায় সম্পর্ক ভোলানো বাঁশি I
কেউ কি ডেকেছিল ভোরের পূর্বাভাসে ?
কার মুখ শিল্প হয়ে যায় ?
সম্পন্ন আঁধারে তপস্যার ভূমি খোঁজে মন
নিরাবরণ শরীরের ভাঁজে চাঁদ I
অধিকার ও অনধিকারের দ্বন্দ্বে রক্তে ভেজে মাটি
রাজনীতি ছলনার খেলা I
অবিশ্বাস্য মনে হয় কবিতার অমোঘ লাইন ,
ধর্ম দেশ চতুর বুজরুকি I
সংবাদ শিরোনাম বিক্রি হয়ে যায় in
মুখে মুখে বিজ্ঞাপনের আলো I
সব অগ্রাধিকার তবু দীর্ঘ অপেক্ষার দিকে ধাবমান ,
ধান খেতে কিশোরীর শব I
নদীমাতৃকতার কাছে ফিরে যাই বার বার
সবুজ শস্যে ভাসে গান I
পণ্যের বিপণন নিয়ে কৃষক অসহায় , অভাবের সংসারে
আত্মহনন বার্ষিক সংবাদ I
কোন প্রজন্মের কাছে রেখে যাবো
এই সব আত্মসংঘাতময় দীর্ঘ স্বীকারোক্তি?
সময়তো ক্রুশবিদ্ধ যীশু I শোনিত স্রোতের দুদিকে
নির্বাক নগর ও গ্রাম I
সমর্পনের দিকে যাত্রা শুরু
সব কথা বলতে পারিনি সংকোচে I
রাতের নির্জন বারান্দায় দেখেছি আত্মদহনের নির্বাক আগুন ,
এখন তোমার কাছে সংশয়হীন রোদ জল I
উদাসীন এ জীবন কার ?
মৌলিক প্রশ্নে হুলুস্থূল পরিব্রাজকের পথ l
নতশির বসেছি ভূমিতলে ,
দিগন্ত অবধি কে এঁকেছে নিষ্ক্রমণ চিহ্ন ?
বৃষ্টির মুখর শুভেচ্ছা মেখে সন্ধ্যা এলো ,
রবীন্দ্র চিত্রের মতো ছায়া ছায়া কে দাঁড়িয়ে ছাদের দরজায় ?
ওষ্ঠে কবিতার মুগ্ধ আমন্ত্রণ ,
আগুন অনির্বাণ আলো হলে প্রেম I
শ্রেষ্ঠ কবিতার মতো এ জীবন নির্বাচিত নয় ,
আত্মজৈবনিক কিছু লিখবে বলেছিলো অহংকার I
অনিবার্য যা কিছু গ্রহণ করছি বিনত ,
জ্যোতিষ্কের সংসারে অভাবী অন্ধকার I
মায়ামৃগ কবচকুণ্ডল , মিথ থেকে মিথ্যার অঙ্কুরোদগম ,
গ্রহে গ্রহে সৌর শৃঙ্খল I
লাল আলো বিপদ সংকেত ,
সবুজ জ্বললেই শুরু হবে দুরন্ত লং মার্চ I
প্রচারবিহীন এ জীবন সময়ের ,
মধ্যবর্তী উজ্ব্বল প্রমাদ মুছে দাও I
অন্যমনস্ক তোমার আঙুলে আমার নির্জন আঙুল ,
চক্ষুষ্মান অক্ষর প্রতিমা।
ফোটোগ্রাফি- সৈয়দ স্নেহাংশু
0 Comments